গ্যাংস্টার তথা সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদকে অবশেষে গুজরাতের সবরমতী জেল থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলের মধ্যে প্রয়াগরাজে নৈনি জেলে পৌঁছন উত্তর প্রদেশ পুলিসের বিশেষ দল। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মোহিত জয়সওয়ালের উপর হামলা, অপহরণ ও গুন্ডাগিরির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আতিককে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালে সবরমতী জেলে পাঠানো হয় আতিককে। এই মামলার শুনানির জন্যই তাকে প্রয়াগরাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এই মামলা ছাড়াও ১০০টির বেশি ফৌজদারি মামলার সঙ্গে জড়িত আতিক। মোহিত জয়সওয়ালের মামলা ছাড়াও আতিক ২০০৫ সালের বিজেপি নেতা রাজু পাল খুনে প্রধান অভিযুক্ত। আবার রাজু পাল খুনের প্রত্যক্ষদর্শী উমেশ পালকেও অপহরণের পিছনে তারই হাত ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার জন্যও তাকে বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
তবে মোহিত জয়সওয়ালের ঘটনায় এবার তাকে ফের প্রয়াগরাজে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উঠলে ফের শিরোনামে উঠে এসেছে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। এই মামলায় আগামী বুধবার, ২৯ মার্চ তাকে প্রয়াগরাজ আদালতে তোলা হবে। আর তার জন্যই তাকে সবরমতী থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসা। রবিবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের পুলিস পৌঁছে গিয়েছিল সবরমতী ও সেখান থেকে রওনা দেয় রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ। অন্যদিকে রবিবার সবরমতী কেন্দ্রীয় সংশোধনারগার থেকে বেরোনোর সময় সে খুন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গ্যাংস্টারের পরিবার।
বিএসপি বিধায়ক রাজু পল হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষীকে খুনে অভিযুক্ত ছিল আরবাজ নামে এক দুষ্কৃতী। সেই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিস। প্রয়াগরাজ একদা এলাহাবাদের ধুমনগঞ্জ এলাকার নেহরু পার্কে হওয়া এই এনকাউন্টারে সাক্ষী খুনে ওই অভিযুক্ত নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।
প্রয়াগরাজ পুলিসের দাবি, 'পাল্টা আরবাজের গুলিতে রাজেশ মৌর্য নামে এক পুলিস ইনস্পেক্টর জখম হয়েছেন।' উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্তা বলেন, 'শুক্রবার উমেশ খুনে জড়িত ছিলেন আরবাজ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায় পুলিস। সে সময় আরবাজ গুলি চালানোয়, পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল পুলিস। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরবাজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা আরবাজকে মৃত ঘোষণা করেন।'
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পল খুন হয়েছিলেন। এই খুনে অভিযোগ ওঠে কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন রাজুর বন্ধু উমেশ পল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছিলেন উমেশ। কিন্তু এবার আর শেষরক্ষা হয়নি।
দোকানের বাইরে থাকা বাল্ব চুরি করছেন 'চোর' আর সেই দৃশ্যবন্দি সিসি ক্যামেরায় (CCTV)। কিন্তু চোরের বেশভূষা দেখে হতবাক স্থানীয়রা। কারণ সেই 'চোর' কোনও দাগী আসামি নয়, বরং পুলিস (Police)। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, চোরের মতোই চুপি চুপি দোকানের বাইরে ঝোলা বাল্ব চুরি করছেন অভিযুক্ত পুলিসকর্মী। এই ভিডিও (Viral Video) এবং ঘটনা চাউর হতেই অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, পায়চারি করতে করতে একটি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান ওই পুলিস। কিছুক্ষণ আশপাশে তাকান, গভীর রাতে দোকান বন্ধই ছিল। আশপাশও জনমানবশূন্য। সেই সুযোগেই এগিয়ে গিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে তিনি খুলে নিচ্ছেন দোকানের বাল্ব এবং তা পকেটে পুরে সামনে হেঁটে চলে যান।
Steals light bulb in UP pic.twitter.com/g4pE5qBjuF
— Sanat Singh (@sanat_design) October 15, 2022
জানা গিয়েছে, এই কীর্তিমান পুলিসের নাম রাজেশ বর্মা। তিনি প্রয়াগরাজের ফুলপুর থানার কনস্টেবল। মূলত দোকান মালিক পরের দিন সিসিটিভি দেখেই বিষয়টি ভাইরাল করেন। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে খবর জানাজানি হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছে প্রয়াগরাজ জেলা পুলিস।