নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ফের গ্রেফতার ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়। সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়ে তাঁকে। এরপর আজ, বৃহস্পতিবার সকালে প্রসন্ন কুমার রায়কে মেডিক্যাল চেকআপ করাতে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। মেডিক্যাল চেকআপ করানোর পর তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
জানা গিয়েছে, এর আগে এই একই মামলায় সিবিআই প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান ‘নিয়োগ দুর্নীতির অন্য়তম মিডলম্যান’। এরপর চলতি সপ্তাহের সোমবার প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ডাকা হয়েছিল ইডি দফতরে। সেখানে তাঁকে দিন-রাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
গত জানুয়ারি মাসে প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই নথিপত্রের ভিত্তিতেই প্রসন্ন রায়কে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ফের গ্রেফতার ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়। সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়ে তাঁকে। এর আগে এই একই মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান ‘নিয়োগ দুর্নীতির অন্য়তম মিডলম্যান’।
জানা গিয়েছে, সোমবার প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ইডি দফতরে ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে দিন-রাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই প্রসন্ন রায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গত জানুয়ারি মাসে প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই নথিপত্রের ভিত্তিতে প্রসন্ন রায়কে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল। সেই মত সোমবার ইডি দফতর যান তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে ইডির স্পেশাল কোর্টে পেশ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির স্ক্যানারে পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। বৃহস্পতিবার প্রসন্ন রায়ের অফিস সহ ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডির আধিকারিকরা। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, বেশকিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস-ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রসন্ন রায়ের ৪৫০টিরও বেশি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর তাঁর একাধিক সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন প্রসন্ন রায়। এই আবহেই গতকাল একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। পাশাপাশি, প্রসন্ন রায়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? কোন কোন ব্যবসায় তিনি বিনিয়োগ করেছেন? গোটা বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা।
তবে শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার-ও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রসন্ন রায়। সিবিআইয়ের দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে চাকরি পাইয়ে দিতেন প্রসন্ন রায়।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যানের ভূমিকা ছাড়াও আর কোন কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রসন্ন রায়? আগামী দিনে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম? এরকম একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ইডি স্ক্য়ানারে এদিন ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়। সূত্র মারফত খবর, তাঁর অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এক ট্রাঙ্ক ও ২ ট্রলি ব্যাগ ভর্তি নথি উদ্ধার করল ইডি।
ইডি সূত্রে আরও খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস থেকে ৫০০ টা দলিল উদ্ধার হয়েছে। ১০০ টারও বেশি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। প্যান কার্ড পাওয়া গিয়েছে ৭০টার মতো। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। উল্লেখ্য বিষয়, যে দলিলগুলো উদ্ধার হয়েছে, তা প্রসন্ন রায়ের অফিসে বেতনভুক কর্মীদের নামে রয়েছে। যাঁরা মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন, তাঁদের নামই বাড়ির দলিল তৈরি করেছিলেন প্রসন্ন রায়। সেই সমস্ত কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে পরিবহন ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০২৩-এর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান প্রসন্ন। জামিনের ৩ মাস পরেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির স্ক্যানারে এই প্রসন্ন রায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রসন্নর একাধিক ফ্ল্যাট ছাড়াও নিউটাউনের অফিস সহ মোট ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে পরিবহন ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০২৩-এর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান প্রসন্ন। জামিনের ৩ মাস পরেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির স্ক্যানারে এই প্রসন্ন রায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রসন্নর একাধিক ফ্ল্যাট ছাড়াও নিউটাউনের অফিস সহ মোট ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযানে তৎপর হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
আসলে কে এই প্রসন্ন রায়? এই প্রসন্ন রায়ের উত্থানের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্য থেকে কোনও অংশে কম নয়। রংমিস্ত্রি থেকে পরিবহন ব্যবসায়ী হওয়ার গল্প শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। জানা যায়, প্রথম জীবনে প্রসন্ন রায় ছিলেন একজন সাধারণ রং মিস্ত্রি। তারপর ঠিকাদার রং মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করতেন প্রসন্ন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে গাড়ির ব্যবসায় হাত লাগান তিনি। বিভিন্ন সরকারি অফিসে গাড়ি ভাড়া দিতেন। প্রসন্নর গাড়ি ভাড়া যেত এসএসসি দফতরেও। জানা গিয়েছে, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তি প্রসাদ সিনহার কাছেও যেত প্রসন্নর গাড়ি। সেই সূত্র ধরেই শান্তি প্রসাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে প্রসন্নর। অন্যদিকে আবার এই প্রসন্ন রায়ের স্ত্রী, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-এর আত্মীয়। এই ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়েই চাকরি বিক্রির মিডলম্যান হিসেবে শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে কাজ শুরু করেন প্রসন্ন। এরপর থেকেই উত্থান শুরু হয় রং মিস্ত্রি প্রসন্ন রায়ের। সম্পত্তিও বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ। ইতিমধ্যেই তদন্তে প্রসন্ন রায়ের কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি সামনে এসেছে। এছাড়াও রয়েছে একশোর বেশি কোম্পানি। পাশাপাশি একাধিক ফ্ল্যাট, নিউ টাউন এলাকায় প্রচুর জমিও রয়েছে প্রসন্ন রায়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তে দাবি, প্রসন্নর এই বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে চাকরির বিক্রির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা হয়ে যেত সাদা।
অতি সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত সংসার থেকে ঠিক এভাবেই রকেটগতিতে উত্থান হয় নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মিডলম্যান প্রসন্নের। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ২টি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের নাম পেয়েছিল সিবিআই। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলা। পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রসন্ন রায়। ইতিমধ্যেই ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন প্রসন্ন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর ইডির তদন্তে নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যানের ভূমিকা ছাড়াও আর কোন কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এই প্রসন্ন রায়? কার বদান্যতায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে এই প্রসন্ন রায়ের? এসব প্রশ্নের উত্তর ইডির তদন্তে শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে মনে করছে বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।