Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

PrasannaRay

ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়-এর ইডি হেফাজত, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সিজিওতে প্রসন্ন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই অভিযুক্ত। নিয়ম মোতাবেক শুক্রবারও বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সিজিও নিয়ে আসা হল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়কে। মূলত প্রথমে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির ঘটনায় মিডলম্যান হিসেবে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। কিন্তু গতবছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। যদিও তার বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি দেখে সন্দেহ থেকেই গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি অভিযোগ উঠে আসে যে সিবিআই-এর গ্রেফতারির পরও জেল হেফাজতে থাকাকালীন সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির এই মিডলম্যান। প্রসন্ন রায়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাতেই বৈভব ফুলেফেঁপে উঠেছে প্রসন্ন রায়ের? টাকার যোগানটাই বা তাকে দিত কে? প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারই তথ্য সন্ধানে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করেছিল ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় ৪০০-র বেশি দলিল, শতাধিক এটিএম ও ৭০টি প্যানকার্ড। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, দলিলগুলি উদ্ধার হয়েছে, তা ছিল প্রসন্ন রায়ের অফিসের বেতনভুক কর্মীদের নামে। মূলত ইডির হাতে উঠে আসে প্রসন্নর একাধিক সম্পত্তির নথি ও তথ্য প্রমাণ। প্রসন্ন রায়ের ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই সব নথির উপর ভিত্তি করেই দ্বিতীয়বার গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। বুধবার সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রসন্নর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।

কিন্তু আদালতে প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী। বরং ইডির তরফে আদালতে প্রসন্ন রায়ের ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ১০০টি কোম্পানির তথ্য প্রমাণ পেশ করতে দেখা যায় এদিন। পাশাপাশি ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিডলম্যান প্রসন্নর ৯৭টি সম্পত্তির হদিশ এবং ৭০ কোটি টাকার হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল জবাবের ভিত্তিতে আপাতত ইডি হেফাজতেই প্রসন্ন। এখন  ইডির প্রশ্নবাণে অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্যের সন্ধান মেলে সেটাই দেখার।

3 months ago
Bail: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম 'মিডিলম্যান' প্রসন্ন রায়কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন আরও ১ অভিযুক্ত। চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্ন রায়কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি। উত্তর ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠাতেন এই প্রসন্ন রায়। দেশে ও দেশের বাইরে তাঁর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি ও সিবিআই।

এদিন প্রসন্ন রায়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন মুকুল রোহতগি। তার পরই তাঁকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। এসএসসি দুর্নীতিতে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করলেও পরে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতেও তাঁকে হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীদের দাবি, প্রসন্ন রায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। উত্তর ২৪ পরগনা ও লাগোয়া এলাকার চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠাতেন তিনি। সেজন্য বিধাননগরে একটি পরিবহন সংস্থার দফতর খুলেছিলেন তিনি। সেই দফতর থেকেই চলত জালিয়াতির কারবার। প্রসন্নের পাঠানো তালিকা মিলিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন পার্থ।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এই নিয়ে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি জামিন পেলেন। এর আগে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ও ওএমআর শিট পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার কর্তা নীলাদ্রি দাস জামিন পেয়েছেন।

6 months ago
Prasanna: নিয়োগ-কাণ্ডে মিডলম্যান প্রসন্নর ফের সিবিআই হেজাজত, নিজেকে 'ইউনেস্কোর প্রতিনিধি' পরিচয়!

সোশাল মিডিয়ায় আকর্ষণীয় প্রোফাইল। নির্দিষ্ট একটি সংগঠনের হয়ে কখনও দুবাইয়ে কখনও বা তিনি ইজরায়েলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি হিসেবেও তুলে ধরেছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেই মিডলম্যান মধ্যমনি পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন রায়কে ৭ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মিলছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের একাধিক সম্পত্তির হদিস।


নিউটাউনের রবিরশ্মি ভিলার ১২ নম্বরে মাঝে মাঝেই আসতেন প্রসন্ন রায়।  তবে এখানকার মানুষরা তাকে চিনতেন রাকেশ নামে। প্রশ্ন একটাই এই রাকেশ আর প্রসন্ন দুজনেই কি এক ব্যক্তি? তাই যদি হয়, তাহলে এই ভিলার মালিকানা কি ছিল প্রসন্ন রায়ের নামে? নাকি এখানেও রয়েছে অন্য সমীকরণ? উত্তরের খোঁজে সিবিআই। পার্থ ঘনিষ্ঠের কুবের সম্পত্তি চমকিয়েছে বাংলাকে। গাদিয়াড়ার পর এবার বাগনান। টাইলস কারখানার হদিস প্রসন্ন রায়ের। সূত্র বলছে ২০১৫ সালে ৩০ বিঘা জমির ওপর এই টাইলস কারখানাটি  প্রসন্ন রায় কিনেছিলেন ১২ কোটি টাকায়। কেনার পরে কোম্পানিটির নাম দেয় সালেসার টাইলস প্রাইভেট লিমিটেড। নিউটাউন প্রাইড হোটেলে রয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন কুমার রায়ের সালেসার টাইলস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস।


প্রাইড প্লাজার প্রসন্ন রায়ের অফিসে পৌঁছেছিল আমাদের প্রতিনিধি। চোখ ধাঁধানো ইন্টেরিয়ার ডেকরেশন। এই অফিস থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হোটেলের ৫ তলায় রয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর পন্টিয়াক মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস। সেখান থেকে একাধিক ব্যবসা চালাতেন প্রসন্নবাবু। এছাডা়রাও এই হোটেলে রয়েছে একাধিক অফিস, যেখানে প্রসন্নবাবু নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এই হোটেলের ৪ তলায় ৪১৫ নম্বরে রয়েছে সালসার টাইলস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস।

১৮০/১ বাঙুর এ্যাভেনিউ। এই ঠিকানাটিকে দেখানো হয়েছে দৃষ্টিকোন ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের  অফিস হিসেবে, যার ডিরেক্টর ছিলেন প্রসন্ন রায়। প্রাথমিক খোঁজের পর দেখা গেল এই ঠিকানায় বসবাস করেন মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। এই মহেন্দ্রবাবুর কাছ থেকে রাজারহাট নিউটাউনে প্রায় ২০০ কাঠার বেশি জমি কেনেন প্রসন্ন। এবং এরপর দৃষ্টিকোন ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে রিয়েল এস্টেটের একটি ব্যবসা খোলেন। যার অফিসের ঠিকানা দেখানো হয়েছে মহেন্দ্র আগরওয়ালের ঠিকানাতে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহেন্দ্রবাবুকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে। মহেন্দ্রবাবুর থেকে জমি কিনে তারই ঠিকানাটিকে কেন প্রসন্ন কুমার রায় নিজের ব্যবসার ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করছিলেন? উঠছে প্রশ্ন। 

আমরা কথা বলেছিলাম মহেন্দ্রবাবুর সঙ্গে। তিনি জানান এক দালাল মারফত আলাপ হয় প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে। এরপর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের পর তার ঠিকানাটিকে প্রসন্ন বাবু নিজের অফিসের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এখানেই শেষ নয়। মহেন্দ্রবাবুর আরও অভিযোগ তার ২০৬ লেকটাউনের ঠিকানাটিতেও তার অনুমতি ছাড়া প্রসন্ন রায় একটি অফিস খুলেছেন। যদিও সেই অফিসটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, খোঁজ মিলেছে মধ্য হাটগাছায় প্রসন্ন রায়ের দুটি ভেরির। ১৬ বিঘা জমির ওপর এই ভেরি দুটির দেখাশোনা করতেন কনক মণ্ডল। আমাদের ক্যামেরার সামনে কণকবাবু জানান তিনি বলাকা আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় প্রসন্নর। কণকবাবু আরও জানান, এই দুটি ভেরি প্রসন্ন দান হিসেবে পেয়েছেন। কীসের দান? প্রসন্ন বাবুকে এই দুটি ভেরি দান করেছিলেন কে? খোঁজ চলছে।


বলাকা আবাসনের বাসিন্দা হিসেবে দুর্গাপুজোয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেন প্রসন্ন বাবু। তিনি সিবিআই হেফাজতে। তবে পুজোয় তার কোনও প্রভাব পড়বে না। জানালেন পুজো কমিটির সভাপতি। ট্রাভেলিংয়ের ব্যবসা ছিল। বন্ধু হিসেবেই দেখত এলাকার মানুষ। তার এত ব্যবসার কথা বিন্দুবিসর্গ জানতেন না তারা। আপাতত সিবিআই হেফাজতে প্রসন্ন রায়। তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কী হতে চলেছে তদন্তের ভবিষ্যত্ উত্তর দেবে সময়।

2 years ago