পাওয়ার ব্লকের দরুন বর্ধমান মেইন এবং বর্ধমান কর্ড শাখায় রবিবার একাধিক লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেলওয়ে। ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া বর্ধমান ছাড়াও কাটোয়া-আজিমগঞ্জ, খানা-গুমানি এবং ব্যান্ডেল নৈহাটি শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, হাওড়া থেকে ৩৬৮২৫, ৩৬৮২৭, ৩৬০৩৩, ৩৭৯১৫, ৩৭৮২৭, ৩৭২৩৭, ৩৭২৩৫, ৩৭২৩৭, ৩৭৮১৯ এবং ৩৭৬১৫ নম্বর আপ লোকাল বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বর্ধমান থেকে বাতিল করা হয়েছে ৩৬৮৪০, ৩৬৮৪২, ০৩৫১৭, ৩৭৮৩২, ৩৬৮৪৪ নম্বর ডাউন লোকাল।
বর্ধমান-হাওয়ার মতো ব্যস্ততম একটি শাখায় একাধিকবার পাওয়ার ব্লকের জন্য সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, বেশিরভাগ সরকারি অফিস ছুটি থাকলেও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেককেই রবিবার অফিস যেতে হয়। সেকারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
অন্যদিকে শ্রাবণ মাসের সোমবার থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা তারকেশ্বরে যাচ্ছেন। ফলে কামারকুন্ডু স্টেশন থেকে তারকেশ্বর যাওয়ার ট্রেন ধরছেন তাঁরা। কিন্তু কর্ড লাইন লোকাল বন্ধ থাকায় তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন।
মাত্রাতিরিক্ত ইলেকট্রিক বিলের (Electric Bill) জন্য ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ মানুষের। প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে নাজেহাল পরিস্থিতি। ফলে এই অবস্থায় এসি, ফ্যানের ব্যবহার বেশি পরিমাণে করতেই হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে বিলও আসে। ফলে এবারে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই কেন্দ্রের তরফে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক। বিদ্যুৎ (Electricity) পরিষেবার নিয়মে পরিবর্তন আনল শক্তি মন্ত্রক (Power Ministry)।
শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, দিনে খরচ হওয়া বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কম ট্যারিফ (Tarrif) লাগবে। অর্থাৎ দিনের বেলায় যত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার সাপেক্ষে যত টাকা বিল হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম খরচ লাগবে। তবে রাতের ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম। জানানো হয়েছে, রাতের বেলা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার ২০ শতাংশ বেশি ট্যারিফ লাগবে।
গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে এবং তার জেরে বিদ্যুতের গ্রিডগুলির উপরে যে চাপ পড়ছে, তা কমানোর উদ্দেশেই শক্তি মন্ত্রকের তরফে এই বদল আনা হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই নিয়ম চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক গ্রাহক ও শিল্পাঞ্চলগুলির জন্যই এই নিয়ম চালু করা হবে। এর এক বছরের মধ্যে বাকি সমস্ত গ্রাহকদের জন্যই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে খবর।
বিয়ে করছেন চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) তারকা ক্রিকেটার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। ৩ জুন বান্ধবী উৎকর্ষা পওয়ারের (Utkarsha Power) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তিনি। সম্প্রতি, আইপিএল ফাইনালে স্টেডিয়ামে রুতুরাজের হয়ে, চেন্নাইয়ের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ম্যাচের পর সাজঘরে ধোনি ও রুতুরাজের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে উৎকর্ষাকে। সেসব ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কিন্তু কে এই উৎকর্ষা? জানা গিয়েছে, রুতুরাজের হবু স্ত্রীও নাকি ক্রিকেটার।
১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর জন্ম উৎকর্ষার। মহারাষ্ট্রের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। অলরাউন্ডার ছিলেন। দেড় বছর আগে শেষবার রাজ্যের হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০২১ সালে মহিলাদের একদিনের ট্রফিতে তিনি পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। এখন ক্রিকেট ছেড়ে পুনের একটি বেসরকারি সংস্থায় পড়াশোনা করছেন তিনি।
শনিবার বন্ধ থাকবে কলকাতা মেট্রোর (Metro) একাংশ। আগেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে একথা জানাল মেট্রো রেল কতৃপক্ষ। মেট্রো কতৃপক্ষ সূত্রে আরও খবর, ২৭ মে সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত পাওয়ার ব্লক (Power Block) চলবে। দক্ষিণেশ্বর বা দমদম থেকে মেট্রো চলবে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন, অর্থাৎ টালিগঞ্জ পর্যন্ত। এই পাওয়ার ব্লক শেষ হওয়ার পর মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
কলকাতা মেট্রোর পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তা মাথায় রেখেই এই পাওয়ার ব্লক। সকালের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ লাইনে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। সকালের দিকে মেট্রো কম চলতে পারে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন নিত্যযাত্রীরা।
কলকাতা মেট্রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই এই কাজ করা হচ্ছে। ট্র্যাক রক্ষাণবেক্ষণের জন্য পাওয়ার ব্লক নেওয়া হবে। এই নিয়ে কোনও গুজবে কান দিতেও বারণ করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোতে এই নিয়ে ঘোষণাও করা হচ্ছে।
বলিউড ও খেলার জগতের অন্যতম পাওয়ার কাপল বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma)। তাঁদের প্রেম একসময় বেশ চর্চিত ছিল। বিরাট -অনুষ্কার প্রেমের শুরু খুব একটা খুব একটা ভালো চোখে দেখেনি সমাজ। বিরাট ময়দানে নামলেই তাঁকে চিয়ার আপ করতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতেন অনুষ্কা। সেসময় ফর্মে ছিলেন না বিরাট। ফলে তাঁর ক্রমাগত খারাপ পারফরমেন্সের প্রভাব গিয়ে পড়ত অনুষ্কার উপর। বিরাট ভক্তদের অনেকে অনুষ্কাকে 'আনলাকি' বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল। কিন্তু সকলকে এক প্রকার চমকে দিয়ে ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন দুই তারকা।
বর্তমানে দাম্পত্য জীবন বেশ আনন্দে কাটাচ্ছেন বিরাট-অনুষ্কা। তাঁদের আদরের সন্তান ভামিকার সঙ্গেও অভিভাবকত্ব উদযাপন করছেন দম্পতি। আজও বিরাট মাঠে নামলে অনুষ্কাকে দেখা যায় গ্যালারিতে। তাঁদের ভালোবাসার আভাস পান অনেকেই। বাড়ির চার দেওয়ালের ত্রিসীমানা পেরিয়ে এবার তাঁদের প্রেমের সাক্ষী থাকল ময়দান।
Virat kohli flying kiss to anushka #ipl2023 pic.twitter.com/YslypyVSya
— Mohit (@cricmohit01) April 23, 2023
রবিবার আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং রাজস্থান রয়্যালস। বিরাটের নেতৃত্বে ব্যাঙ্গালুরু, রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারান। সেই ম্যাচেই একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন বিরাট। সেই আনন্দে অনুষ্কার দিকে ছুঁড়ে দেন উড়ন্ত চুমু। সেই দেখে অনুষ্কাও একই প্রতিক্রিয়া দেন। এই মুহূর্তের প্রশংসা নেট দুনিয়া জুড়ে।
পরমাণু শক্তি (Nuclear power) উৎপাদন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিল জার্মানি (Germany)। পাশাপাশি রবিবার, সেদেশে চালু থাকা তিনটি পরমাণু চুল্লি নিষ্ক্রিয় (Inactive) করা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তীব্র জ্বালানি-সঙ্কটে রয়েছে জার্মানি-সহ গোটা ইউরোপ। এমনকি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারও ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিচ্ছে তারা। এই কারণে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল এই দেশ।
পরমাণু শক্তির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার খবরে জার্মানির বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দ-অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। পরমাণু শক্তি-বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রে থাকা ‘গ্রিনপিস’ সংস্থা বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট-এ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এছাড়াও জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরে মিছিল করেন সাধারণ মানুষ, উদ্যাপন করা হয় দিনটি। অনেকেই বলেন, 'এক বিপজ্জনক, অস্থিতিশীল, দামী প্রযুক্তির ব্যবহার অবেশেষ বন্ধ হল। ২০০২ সাল থেকে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বন্ধের কথা ভাবতে শুরু করেছিল ইউরোপের এই দেশ। অবশেষে ২০২৩ সালে সম্পূর্ণ বন্ধ হল। জার্মানির মানুষ এই সিদ্ধান্তে খুশি। ঠান্ডা যুদ্ধ কিংবা ইউক্রেনের চের্নোবিল বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে তাঁরা বরাবরই পরমাণু শক্তি-বিরোধী।'
বিদ্যুৎ বিলের টাকা আদায় করতে গিয়ে বড়সড় বিপদের মুখে বিদ্যুৎ আধিকারিকরা। কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে ফিরতে হয় আধিকারিকদের।
গাড়ি করে এসেছিলেন বিদ্যুৎ আধিকারিকরা। সেই গাড়ি-সহ পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়, ঘটনাটি বিহারের সিওয়ান জেলার। পুলিস সূত্রে খবর, বিহারের সিওয়ানের চকরী গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুলে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে বলে অভিয়োগ পেয়েছিল বিদ্যুৎ দফতর। সেই বিদ্যুৎ বিলের টাকা আদায় করতে গিয়ে এবং বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করতে দলবল নিয়ে গ্রামে হাজির হয়েছিলেন এসডিও শাকিল আহমেদ।
বিদ্যুৎ দফতরের লোক গ্রামে আসছেন, এই খবর পেতেই সমর্থকদের নিয়ে গ্রামের রাস্তা অবরোধ করেন গ্রাম প্রধান। এসডিও গ্রামে পৌঁছতেই তাঁদেরকে ঘিরে ধরেন প্রধানের সমর্থকরা। অভিযোগ, এরপরই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকের উপর হামলা চালান তাঁরা। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এসডিওকে গাড়ি-সহ পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
হামলার খবর পেয়েই চকরী গ্রামে পুলিস পৌঁছয়। হামলাকারীদের হাত থেকে এসডিও এবং বিদ্যুৎ কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসডিও-র দাবি, ১৫ বছর ধরে স্কুলের বিদ্যুতের বিল দিচ্ছিলেন না গ্রাম প্রধান। সেই অভিযোগ পেয়ে গ্রামে ঢুকতেই প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয় তাঁদের উপর।
উন্নযনের কাজের জন্য হাওড়া বিভাগে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল।হাই স্পিড ট্রেনের জন্য ওভারহেড ইকুইপমেন্টের ট্র্যাক পরিবর্তন এবং আপগ্রেডের কারণে পুরো মার্চ মাস লিলুয়া-বর্ধমান বিভাগে ট্র্যাফিক এবং পাওয়ার ব্লকের পরিকল্পনা রয়েছে৷ ফলস্বরূপ, নিম্নলিখিত ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে:
হাওড়া থেকে:৩৭৬১১, ৩৭৮১৫,৩৭৩৪৩,৩৬০৭১,৩৭০১১,৩৬৮২৫,৩৬০৮৫।
পাণ্ডুয়া থেকে: ৩৭৬১৪।
বর্ধমান থেকে: ৩৭৮৩৪,৩৭৮৪০।
তারকেশ্বর থেকে: ৩৭৩৫৪।
গুরাপ থেকে: ৩৬০৭২।
শ্রীরামপুর থেকে: ৩৭০১২।
মশাগ্রাম থেকে: ৩৬০৮৬।
এভাবে ট্রেন বাতিলের কারণে যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে পূর্ব রেল।
থার্ড লাইনে কাজের জন্য ১৫, ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি আড়াই ঘণ্টা করে পাওয়ার ব্লক (Power Bloc) থাকবে নৈহাটি (Naihati Junction) এবং হালিশহর স্টেশনে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৩টে অবধি, বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৩টে অবধি এবং শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৩টে অবধি এই পাওয়ার ব্লক থাকবে। ফলে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে এবং কয়েকটি ট্রেন বাতিল (Train Cancel) করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি আপ শিয়ালদহ-রানাঘাট মেমু বাতিল হয়েছে। সেই একই দিনে (১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি) ডাউন লালগোলা-শিয়ালদহ মেমু রানাঘাট অবধি যাবে। এদিকে, ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি বালিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস ডানকুনি হয়ে যাবে এবং ডানকুনি জংশনে দাঁড়াবে। এই দু'দিন মুজজফরপুর-কলকাতা তিরহুত এক্সপ্রেস এবং যোগবাণী-কলকাতা এক্সপ্রেসের যাত্রা ব্যান্ডেল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত থাকবে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখিত। প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে পূর্ব রেল।
হাওড়া-বর্ধমান লোকাল (Howrah-Burdwan) ট্রেন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা রেলের (Eastern Rail)। হাওড়া শাখার ডিআরএম (Howrah DRM) মণীশ জৈন জানান, 'যে সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে, সেটা ১৯০১ সালের সেতু। তাই আমাদের ভাঙতে হচ্ছে। নতুন কেবল ব্রিজ ২০১৯ সালে চালু হয়েছে। পুরনো ব্রিজে টোটো, সাইকেল ইত্যাদি উঠছিল। এতে বিপদ বাড়ছিল। এমনকি নতুন কিছু দূরপাল্লার রেক বা কয়লা রেকের মাথা পুরনো ব্রিজের নিচে ঠেকে যাচ্ছিল। আমরা নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
তিনি দাবি করেন, 'ব্রিজ ভেঙে ফেলার পর প্ল্যাটফর্ম এবং ট্র্যাকের পরিধি বাড়বে। ন্যূনতম যেটুকু না করলেই নয়, বাধ্য হয়ে ট্রেন বাতিল করেছি। বুধবার মধ্যরাতের পর পুরনো সমস্ত গার্ডার একে একে ক্রেন দিয়ে তুলে ফেলা হবে।' মেইন লাইনের ১৭টি ট্রেন, ১৪টি কর্ড লাইনের ট্রেন এবং ৪১টি মেল এবং এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাতিল। রাজধানী-সহ হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন ৩ নম্বর লাইন দিয়ে পাস করবে কিন্তু প্ল্যাটফর্ম পাবে না। এদিন জানান হাওড়া শাখার ডিআরএম।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই রেলকর্তা জানান, '২০১৯-এ এটা প্রথম ভেঙে ফেলার প্ল্যান হয়। সে সময় তিন মাস সময় লাগতো। এবার কিন্তু ২৪ দিনে গোটা কাজ হবে। কিছু শাটল ট্রেন চলবে, যাত্রীদের ক্রমাগত ঘোষণা করতে থাকব।' মেইন লাইনে শক্তিগড়ে ১১ জোড়া, কর্ড লাইনে মশাগ্রাম ১০ জোড়া স্পেশাল শাটল ট্রেন চলবে।
অর্থাৎ ট্রেন বর্ধমান স্টেশন না ছুঁলেও, যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাত্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হবে। এদিন রেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এনজেপি শতাব্দী, পাটনা শতাব্দী, রাঁচি শতাব্দী, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস-সহ ৪১টি মেইল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মেইন পাওয়ার ব্লক থাকবে, জানা গিয়েছে পূর্ব রেল সূত্রে। তারপর থেকে ধাপে ধাপে পাওয়ার ব্লক শিথিল করবে রেল। জানা গিয়েছে, কাজ শেষ হতে আনুমানিক ২১ ফেব্রুয়ারি।
সৌমেন সুর: মীনাক্ষীর ডিঙি নৌকায় দিনে দিনে মাছ কমতে লাগলো। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো। পেট চালানো দায় হয়ে পড়েছে। শ্রমিকের পয়সা মেটাবে কেমন করে। এই সংকট মুহূর্তে স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ালেন মীনাক্ষী দেবী। নিজেরা কিছু অর্থ দিয়ে আর আই.আর.ডি.পি থেকে লোন নিয়ে একটি এক সিলিন্ডারের মেশিন নৌকা বানালেন। তাই নিয়েই নেমে পড়লেন সমুদ্রে। এর দুই বছর পরে দুই সিলিন্ডার মেশিনযুক্ত নৌকা আর আড়াই হাজার হাত মনোফিলের তৈরি ভাসানি জাল দিয়ে মীনাক্ষী সমুদ্র থেকে তুলে আনতে থাকেন ইলিশ, বাউল, ফিরকা, ভোলা প্রভৃতি মাছ। প্রচুর পরিমাণে উঠে আসা এই মাছ পাইকারি কাঁথি মাছের হাটে পাঠিয়ে দিতেন।
মাসের পনেরো দিন মাছ ধরতেন। বাকি দিনগুলিতে সমুদ্র ভয়ঙ্কর অবস্থায় থাকে বলে যাওয়া হয়ে উঠত না। পাড় থেকে ১০-১২ মাইল দূরত্বে সমুদ্রের রূপ ভয়ঙ্কর। ছোট নৌকা তখন অসহায়। যাই হোক সমুদ্রে নৌকা যাত্রার সময় দুই ছেলেকে নিয়ে যেতেন। ছোট ছেলে ঘরেই থাকত। তিন ছেলে আর স্বামী নিয়ে তাঁর সংসার।
উপার্জিত অর্থ দিয়ে একটি জমি কেনেন। জমিতে সব্জি ও ধান চাষ করেন। প্রচুর পরিশ্রমেও মীনাক্ষী দেবীর শরীরে কোনোও ক্লান্তি নেই। সমুদ্রে যখন নৌকা নিয়ে পাড়ি দেন তখন নৌকার ভিতরেই রান্না করেন, প্রয়োজনে হাল ধরেন। আবার হ্যান্ডেল চালিয়ে মেশিনও স্টার্ট দেন। মীনাক্ষী দেবীর স্বপ্ন, যদি একটা ফিশিং লঞ্চ পাওযা যায় তাহলে সবদিক থেকে তাঁদের উপকার হয়। প্রশ্ন হল, ঘর সংসার সামলে গভীর সমুদ্রে জীবনের পরোয়া না করে যে জীবিকা অর্জন করছে-সেইতো দেবী দুর্গা। (সমাপ্ত) তথ্যঋন-রাজকুমার পান্ডা
সৌমেন সুর: যুগে যুগে নারীদের কত পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাঁদের কর্মকাণ্ডে এবং চরিত্রেরও। প্রতিটি পরীক্ষায় কখনো তারা উত্তীর্ন কখনো অনুত্তীর্ন। ঋগবেদে একটা কথা আছে- 'মেয়েরা নৌকায় পা রাখলে আর হাল ধরলে, লক্ষ্মী ছেড়ে যাবে সংসার হতে।' ঋকবেদের এই উচ্চারিত কুসংস্কারকে এক ফু্ৎকারে উড়িয়ে দিয়ে, বাংলার মীনাক্ষী মান্না নৌকার হাল ধরেন। কে এই মীনাক্ষী মান্না, প্রশ্ন উঠতেই পারে। সর্বোপরি তিনি একজন অতি সাধারণ ঘরের খেটে খাওয়া এক সংগ্রামী-রমনী। আমাকে মুগ্ধ করেছে তাঁর সংগ্রামের স্টাইল। এক অকুতোভয় সংগ্রামশীল মহিলা। গভীর সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে তিনি মাছ ধরেছেন। ইলিশ, পমফ্রেট, বাউল ইত্যাদি মাছ। সমুদ্রের বিপুল জলরাশির মধ্যে তিনি একা।
মীনাক্ষী বলেছেন, 'মাছ ধরার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকেই। বাবার বাড়ি জমি জায়গা ছিল নদী-সমুদ্রের কাছে। তাই চাষঘর ছিল। চাষঘরে এসে রোজ ডিঙি নৌকায় চেপে সমুদ্রে ভাসতাম। আবার ছাঁকনি জাল দিয়ে নদীনালায় মাছ ধরতাম। এসব মেয়েলিপনা একসময় সংসার চালানোর পাথেয় হবে, তা কোনদিন ভাবিনি।' স্বামী মণীন্দ্রর জমিজিরেত নেই, শুধু নৌকা আর সম্বল জাল। কাঁথি্ ব্লকের মোঠলা খালে ডিঙি নৌকায় মাছ ধরে সংসার চলত তাদের। (চলবে) তথ্যঋণ: রাজকুমার পাণ্ডা
সৌমেন সুর: একটি নারী অনন্ত শক্তির অধিকারিণী। নারী এক অসীম, অনন্ত শক্তির আধার। প্রত্যেক নারীর মধ্যে স্নেহ, মায়া, মমতা, ত্যাগ, নিষ্ঠা, স্বার্থপরতার সঙ্গে একটা অনন্য গুণাবলী সহাবস্থান করে। সব অগোছালো জঞ্জাল, পাঁক সরিয়ে এক সুন্দর সমাজ, সংসার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী নারীর মধ্যে বিদ্যমান। নারীর মধ্যে যে শক্তির অন্তঃসলিলা গঙ্গা প্রবাহিত হয়ে চলেছে সৃষ্টির আদিকাল থেকে, সেকথা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, জেনেছি পড়েছি পুরাণে ইতিহাসে। মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গরাজ্যে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব, দেবতারা যখন দিশেহারা, ঠিক সেই সময় আবির্ভূত হলেন এক মহাশক্তি। সেই মহাশক্তি অসীম পরাক্রমশালী দেবী দুর্গা। এই দুর্গাই পরাজিত করেন মহিষাসুরকে।
অরুন্ধতি ভট্টাচার্য। চড়াই-উতরাই নিয়ে তাঁর জীবন কাহিনী। শিক্ষা সমাপ্ত করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফিনান্স ম্যানেজারের আসনে যোগদান আশির দশকে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর উত্থান। ধাপে ধাপে এমডি থেকে হলেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ২০১৬ আলে ফোর্বস তাঁকে সবচেয়ে শক্তিশালী ২৫ মহিলার তালিকাভুক্ত করে সম্মানিত করে। এশিয়া প্যাসিফিক অরুন্ধতী ভট্টাচার্যকে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মহিলারূপে মনোনীত করে অনন্য সম্মান দেন। ২০১৭ সালে ইন্ডিয়া টু ডে ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের ৫০ জন শক্তিশালী মহিলার একজন বলে শিরোপা দেন। ভারতবর্ষ তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্ব বিরল।
যা নারী শক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রথমে বাঙালি তারপর ভারতীয় হিসেবে অরুন্ধতী ভট্টাচার্য আমাদের গর্ব।
সীমান্তে(border) মোতায়েন বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রের মজুত বাড়াতে তৎপর হল ভারতীয় সেনা(Indian army)। একদিকে লাদাখ সীমান্তে(Ladakh border) চিনের সঙ্গে অশান্তি, অন্যদিকে ভারত-পাক সীমান্তে(Indo-Pak border) উত্তেজনা বাড়ছে। এর মধ্যে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে চিন(China) এবং পাকিস্তান সীমান্তে(Pakistan border) উত্তেজনার আবহে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকে দেশে তৈরি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম জরুরি ভিত্তিতে কেনার জন্য বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দিল কেন্দ্র।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি (ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি)-র বৈঠকে এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আগামী ছ’মাস পর্যন্ত স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনাকে জরুরি ভিত্তিতে দেশে তৈরি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশীয় সংস্থাগুলিকে দেওয়া প্রতিটি বরাতের সর্বোচ্চ মূল্য ৩০০ কোটি টাকা হতে পারে।
২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গিহানার পরে এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বালাকোট-পর্বের সময়ও একই ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনীকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, চিনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ভারতের ভাঁড়ারে না থাকলে সমস্যা হবে। তাই সামরিক শক্তি আগে থেকেই বাড়িয়ে রাখতে তত্পর কেন্দ্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। পাহাড়ি এলাকায় ও দুর্গম এলাকায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে সব ধরনের সামরিক অস্ত্র ভারতীয় বাহিনীর হাতে মজুত থাকে সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গত বছর লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাত-পর্বের সময়ই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকে জরুরি ভিত্তিকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে ২০২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও পরে তা দু’দফায় বাড়ানো হয়।