অবিরাম বৃষ্টিতে মাথায় হাত আলু (Potato) চাষিদের। অন্যদিকে আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারির চলছে, অভিযোগ কৃষকদের। শাসক দলের নেতারা বিক্রি করছে আলুর বন্ড চড়া দামে। ফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে সেই দাম থেকে, এমনটাই অভিযোগ।
হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের দাপট। আর তাতেই জলের তলায় বিঘার পর বিঘা আলু ক্ষেত। চৈত্রের অকাল বৃষ্টিতে হাঁটু সমান জল আলুর ক্ষেতগুলিতে। দু-দিনের ঝড় বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে আলু খেতে, আর তাই মাথায় হাত আলু চাষিদের। দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন সকলে। কারণ এভাবে জলের তলায় আলু বেশিদিন থাকলে আলুর পচন ধরতে পারে। যার ফলে বেশ ক্ষতির মুখেই পড়তে হবে আলু চাষিদের।
কৃষকদের অভিযোগ, আলুর বন্ড নিয়ে নেতারা কালোবাজারি শুরু করেছে। কৃষকদের দাবি, 'ডুয়ার্সের গয়েরকাটা, বানারহাট, ধূপগুড়িতে অবিরাম চলা বৃষ্টির ফলে বিঘার পর বিঘা আলু ক্ষেত এখন জলের তলায়। কৃষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেই আলুগুলিকে বাঁচাবার, কিন্তু জল বের করার কোন উপায় নেই। তাই ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এমনকি আলু তুলে হিম ঘরে রাখা নিয়েও দুশ্চিন্তা। ৫০ বস্তার বেশি আলুর বন্ড দেওয়া হয়েছে, তাই বাড়তি আলু নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে কৃষকরা। তার উপরে এই কালবৈশাখীর ঝড় বৃষ্টি।' জানা গিয়েছে, এবছর ধূপগুড়ি এবং বানাহাট ব্লকে প্রায় ১ কোটি প্যাকেট আলু উৎপাদন হয়েছে। এদিকে দুই ব্লক মিলে আলু হিমঘরে রাখার ক্ষমতা ২৪ লক্ষ প্যাকেট। তবে বাকি আলুর কী ব্যবস্থা করবেন চাষিরা, উঠছে সেই প্রশ্ন।
তবে এই বিষয়ে কৃষি দফতরের আধিকারিক তিলোক বর্মন বলেন, 'আলুর বয়স ৮০ থেকে ৯০ দিন হয়েছে। এই ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার আগে আমরা চাষিদের সতর্ক করেছিলাম। সেই অনুযায়ী জল নিকাশি ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। তবে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, যেহেতু আলুগুলি তোলার সময় হয়ে এসেছে তাই এক দুদিন জলের তলায় থাকলে তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে এই আশ্বাসেও কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।
মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী (Suicide) এক আলু ব্যবসায়ী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি। গোঘাট থানার অন্তর্গত লালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গোঘাট থানার(Police) পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত(Death) আলু ব্যবসায়ীর নাম শ্যামল ঘোষ। তিনি গোঘাটের মান্দারণ গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুকা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ওই আলু ব্যবসায়ী নিজের দোকানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার শ্যামল ঘোষ দোকানে যাওয়ার আগে এক ব্যাক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দোকানে গিয়েছিলেন শ্যামল। তারপরই এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, আলু ব্যবসায় লাভ হয়নি শ্যমলের, যার জেরে বাজারের দেনাও শোধ করতে পারছিলেন তিনি। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। গত বছর কৃষকদের থেকে আলু নিয়েছিলেন শ্যামল। তবে টাকা দিতে পারেননি তিনি। সেই কারণে প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল। এই বছর আর কৃষকরা আলু দিতে চায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, মহাজনদের থেকে মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছে শ্যামলকে যার জেরেই এমন ঘটনা।