সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। আর বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও উত্তাল বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ। নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়করা মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলে, অধ্যক্ষ তা পাঠের সুযোগ দিলেও, তা নিয়ে আলোচনার দাবি খারিজ করা হয়।
এরপরেই বিজেপি বিধায়করা হাতে কালো পতাকা নিয়ে, পুলিস মন্ত্রী ধিক্কার লেখা পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। বিরোধীদের মতে, এ রাজ্যের সরকার নারী নির্যাতনের মত নৃশংস ঘটনাকে আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় বলেই মনে করে না। এরই সঙ্গে অধিবেশন শুরু থেকেই বিজেপি বিধায়করা স্পিকারের বিশেষ দলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আগেই এনেছে। মঙ্গলবার ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব খারিজের পর, একই ভাবে, অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও দেখা গেল নারী নির্যাতনের মুলতুবি প্রস্তাব পাঠের সুযোগ দিলেও, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ দিলেন না স্পিকার।
মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে, সেই আলোচনা খারিজ করেন বিধানসভার স্পিকার। এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পাল্টা স্লোগান তুলতে ছাড়েন না শাসক দলের মহিলা বিধায়করাও। এসব দৃশ্য দেখার পর, এই ঘটনা শোনার পর সাধারণের মনে প্রশ্ন জাগছে, আদৌ কি সত্যিই মহিলারা সুরক্ষিত এ রাজ্যে? নাকি শাসকের ঘটনা চাপা দেওয়ার প্রবণতা মহিলাদের দিন দিন অসুরক্ষিত করে তুলছে?
এ নিয়ে অধিবেশন কক্ষ উত্তাল হয়ে ওঠে। একদিকে নারী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনা না করতে দেওয়ার জন্য বিজেপি বিধায়করা যখন স্লোগান তোলেন, তখন পাল্টা স্লোগান তুলতে দেখা যায় শাসক দলের মহিলা বিধায়কদেরও। তবে, এই নিন্দনীয় ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং বিধানসভার স্পিকারকে কালো পতাকা দেখানো যথার্থ বলেই মনে করছে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘরের সামনে বিতর্কিত পোস্টার। পোস্টারে লেখা ভিসিকেই কটাক্ষ করে নানারকম কৌতুকমূলক লাইন। লেখা রয়েছে, 'তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার চেয়ার খানি চাই।' এমনকি তাতেই কার্টুনের মাধ্যমে এক ব্যক্তির চেয়ার আটকানোর ছবি ছাপিয়ে লেখা, 'আমায় ছেড়ে যাস না প্লিজ, আমায় ছেড়ে যাস না।' পাঁচিলে, দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি ছাপিয়েছে কেউ বা কারা। আর তা নিয়েই ফের তৈরি হল বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ভিসি কে? তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমত অচলাবস্থা চলছেই। গত বছর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখেই জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের। এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছেও নেই। ঘটনাকে 'অভূতপূর্ব' বলেই মন্তব্য করেছিলেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। এবার ভিসির ঘরের সামনে পোস্টার বিতর্কে সেই অচলাবস্থাকেই টেনে আনলেন তিনি।
এদিকে যাকে নিয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যখন রাজ্যপাল তাঁকে অপসারণ করেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদ থেকে। সেই বুদ্ধদেব সাউ এবার পোস্টার বিতর্কে সুর চড়ালেন। তিনি বললেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন, এতে তাঁদের মনুষ্যত্ব, তাঁদের চরিত্র কেমন তা বোঝা যাচ্ছে।
তবে এর জেরে একমাত্র সমস্যার মুখে পড়তে হবে পড়ুয়াদেরই। উপাচার্য কে তা না জানা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু কাজও যেতে পারে আটকে। আর এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার এই সব পোস্টার রহস্য। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই 'রহস্যময়' পোস্টারে ছেয়ে গেল বাংলা। পোস্টারে লেখা 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি'। একদিকে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলে তোলপাড়, তার মধ্যেই কলকাতা জুড়ে এই পোস্টার। তেরঙ্গা পোস্টারে সবুজ-নীল রঙে শুধুমাত্র লেখা রয়েছে, 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি'। তবে কে, কী উদ্দেশ্যে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে তা এখনও অজানা। তবে ইতিমধ্যে এই পোস্টারকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে লিখেছেন, "বাংলার ভবিতব্য, বিকল্প রাজনীতি"।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের পাশে, হাজরা মোড়ে, এক্সাইড মোড়, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা এবং এন্টালিতে কংগ্রেস অফিসের আশেপাশে এই পোস্টার দেখা যায়। একই রকম পোস্টার দেখা যায় কোচবিহার, মাথাভাঙা, মালদাতেও। পোস্টারে নাম নেই প্রচারক বা প্রকাশকের, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। তবে অনেকেই বেশ কিছুদিন ধরে এই বাংলায় বিকল্প রাজনীতির কথা বলে আসছিলেন। ফলে তবে কি এটা তারই প্রতিচ্ছবি? এই নিয়েই প্রশ্ন। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় 'বিকল্প রাজনীতি' চেয়ে পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নিয়োগের দাবিতে সুদীর্ঘ এক হাজার সাত দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই রীতিমত খালি গায়ে, মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। আর এরপরেই গত ১১ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিকরা। এই বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেছিলেন আইনি জট কাটলেই নিয়োগ হবে। আর শিক্ষামন্ত্রীর এই কথাতেই একটু হলেও আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন রাজ্যের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। গত ১৪ ডিসেম্বর ছিল সুপ্রিম কোর্টের সুপার নিউমেরারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এই শুনানির তারিখও পিছিয়ে গিয়ে হয়েছে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি।
আর এই কারণেই প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের এমন টালবাহানা দেখে তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ঠিকই নিয়োগ হতো, বারবার বৈঠক এবং আলোচনার প্রয়োজন পড়ত না।
তবে ১১ ডিসেম্বরের বৈঠকে প্রশাসনের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হলেও নিয়োগের স্বপ্ন কিন্তু সেই বিশ বাওঁ জলেই। আর এই কারণেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, নিয়োগ দিতে না পারলে প্রশাসন নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করুক এবং পুলিস ফোর্স পাঠিয়ে গুলি করে মেরে ফেলুক প্রার্থীদের। তবুও নিয়োগ না পেলে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে কোনওভাবেই সরে দাঁড়াবেন না বলে জানালেন চাকরিপ্রাথীরা।
দীর্ঘ প্রশাসনিক টালবাহানায় আটকে রয়েছে ২০১৬ সালের এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ। এই ইস্যুতে বারংবার একাধিক বৈঠক, একাধিক আলোচনা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতির বন্যায় রাজ্যের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ভবিষ্যৎ এখনও সেই তিমিরেই।
শিক্ষিত সৎ সাংসদ চাই', মঙ্গলবার সন্ধে থেকে এই পোস্টারেই ছয়লাপ বসিরহাটের একাধিক এলাকা। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মোটামুটি কোমর বাঁধতে শুরু করেছে সব দলই। বুধবারই, রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এই আবহেই, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত বিরোধী পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা।
লোকসভা ভোটের আগে, বসিরহাটের মিনাখাঁ বিধানসভার অন্তর্গত হাড়োয়া ব্লকের কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় পোস্টারের কোনওটিতে লেখা, “লোকসভার প্রার্থী হিসেবে বহিরাগত কাউকে চাই না।” আবার কোনোটার বয়ান, ‘অভিনেতা, অভিনেত্রী না, সৎ শিক্ষিত মানুষ চাই’ । এর আগেও একাধিকবার তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই পোস্টারে রীতিমতো অস্বস্তিতে সবুজ শিবির।
বুধবার রাজ্যে বিজেপির একটি সভায় যোগ দিতে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অর্থাৎ বিজেপি নেতা অমিত শাহ। এই সভাকে ঘিরে আইনি লড়াই ছিল রাজ্য সরকার অর্থাৎ শাসক দল তৃণমূলের। যদিও সেই আইনি লড়াইকে পরাস্ত করে হাইকোর্টের অনুমতিতে ধর্মতলায় সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। ঠিক তাঁর আগেই শহর জুড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থাৎ বিজেপি নেতা অমিত শাহকে কটাক্ষ করে কটূক্তির পোস্টার ছেয়ে গেল কলকাতায়। তৃণমূলের সমাজমাধ্যম এবং আইটি সেলের উদ্যোগে শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো সেই পোস্টার এবং ব্যানারগুলিতে লেখা, ‘মোটা ভাই, ভোট নাই’।
এই পোস্টারকে নিয়ে অভিযোগ বিজেপির। একদিকে যেমন 'মোটা ভাই,' শব্দটা যেমন শারীরিক গঠনকে উল্লেখ করে তেমনি 'ভোট নাই,' শব্দটা গত বিধানসভার ফলাফল কিংবা পূর্বের ভোট এর ফলাফলকে কটাক্ষ জোরে এমন পোস্টার এমনই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। যদিও পাল্টা তৃণমূলের সোশ্যাল মাধ্যমের এক কর্মীর দাবি, 'মোটা ভাই' শব্দটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেহারার সঙ্গে এই সম্বোধনের কোনও সম্পর্ক নেই। শাহ জন্মসূত্রে গুজরাতি। গুজরাতে বড়ভাইকে ‘মোটা ভাই’ বলে সম্বোধন করা হয়। সেই সম্মানজনক সম্বোধনই ব্যানার-পোস্টারে করা হয়েছে।
তৃণমূলের আইটি সেলের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোটের প্রচার করে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করতে বাংলায় আসছেন ‘মোটা ভাই’ অমিত শাহ। বাংলায় আবার প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু যে কারণে তিনি আসছেন, সেই ভোট আর তাঁর দল বিজেপির জন্য নেই।’’ সেই বার্তা দিতেই শহর জুড়ে পোস্টার এবং ব্যানার লাগানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শোভাবাজার, শ্যামবাজার, শিয়ালদহ, নাগেরবাজার মোড়, ফুলবাগান, কাঁকুড়গাছি মোড়, রাজারহাট, বিধাননগর স্টেশন, উল্টোডাঙা উড়ালপুল, সল্টলেক বিকাশ ভবন, করুণাময়ী সল্টলেক, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, বিবেকানন্দ রোড-সহ উত্তর, মধ্য ও পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন অংশ মুড়ে ফেলা হয়েছে ব্যানারগুলিতে। সমাজমাধ্যমেও বুধবার সকাল ১০টা থেকে এই সব পোস্টার এবং ব্যানার শেয়ার করা হবে বলে আইটি সেলের তরফে জানানো হয়েছে।
রবিবার কালীপুজো। প্রতিবারের মতো এবারও কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে তাঁর বাড়ির ছবি পোস্ট করলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, তাঁর বাড়ির ব্রহ্মময়ী। তাঁর চরণে শতকোটি প্রমাণ। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁর বাড়ি হয়ে উঠবে ভিড়ে ঠাসা।
দিন কয়েক আগে নিজের বিধানসভা ভবানীপুরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মমতা। সেখানে কর্মীদের নানা কথার মধ্যেই জানান, প্রতিবারের মতো এবার বাড়ির পুজোতে তিনি উপোস করে ঠাকুরের ভোগ তৈরি করবেন।
এবার পায়ের জন্য দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে যেতে পারেননি। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন স্বশরীরে। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করেই মধ্য কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি।
রাজধানীর বাতাস দূষিত। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে খুদে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজধানীর সরকার।
রবিবার সকালে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সব প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে, শুধু খুদে পড়ুয়া নয়। টুইটে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যেও স্কুলে যাওয়ার বদলে বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করানোর ভাবনাচিন্তা করছে রাজধানীর সরকার।
দিল্লির দূষণ ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে। রবিবার সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স পৌঁছে গিয়েছে ৪১৫ থেকে সরাসরি ৪৬০-এ। দূষণের কারণে দিল্লিজুড়ে নির্মাণ কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বাইরে বেরোলেই অনেকেই চোখ জ্বালা করতে শুরু করেছে। দিল্লির এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা এই সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিঠারি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তাঁদের নাম মণীন্দ্র সিং পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলি। জানা গিয়েছে, মোট ১২ টি মামলায় সুরেন্দ্রকে এবং ২টি মামলায় মণীন্দ্রকে বেকসুর খালাস করেছে উচ্চ আদালত।
২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নিঠারিতে একের পর এক যুবতী ও কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করেন। তদন্তে নেমে ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি নরকঙ্কাল। সেখান থেকে বাঙালি যুবতি পিঙ্কি সরকারের কঙ্কালও উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানতে পারে, যৌন নির্যাতনের জন্য যুবতী, কিশোর ও কিশোরীদের অপহরণ করতেন তিনি। তারপর তাদের খুন করে শরীরের মাংস সিদ্ধ করে খেতেন পান্ধের ও মণীন্দ্র। নিম্ন আদালতে তাঁদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। নিম্ন আদালতে দুই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট ফাঁসির সাজা রদ করে দেয়।
গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal) অগুনতি ভক্ত চারিদিকে। তাঁর গান শুনতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়াও মুশকিল। শ্রেয়ার ব্যক্তিত্বেরও ভক্ত অনেক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ভীষণ পরিমিত। নিজের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রাখতে পছন্দ করেন। মাঝেমধ্যে সামাজিক মাধ্যমের পাতায় নিজের জীবনের দু'এক পশলা ঝলক দিয়ে থাকেন গায়িকা। এইবার সামাজিক মাধ্যমে তাঁর চোখের তারার সঙ্গে ছবি আপলোড করেছেন।
গায়িকার চোখের তারা আর কেউ না, তাঁর ছেলে দেবযান। চলতি বছরের মে মাসে দু বছর শেষ করেছে সে। মা শ্রেয়া ঘোষাল মাঝেমধ্যেই ছেলেকে গানের রিহার্সালে নিয়ে যান, কিংবা কনসার্টে নিয়ে যান। ছেলেকে কোলে নিয়েই গান ধরেন শ্রেয়া। ছোট্ট দেবযানও সবটা বুঝতে না পারলেও মুগ্ধ চোখে দেখে মা'কে। একরত্তির সঙ্গেই ছবি পোস্ট করেছেন গায়িকা।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দালালরাজের দৌরাত্ম্য। খবর সামনে আসতেই রাতারাতি হাসপাতাল জুড়ে পড়ল জাভেদ নামের এক দালালের বিরুদ্ধে পোস্টার। পোস্টারে রয়েছে জাভেদের থেকে সতর্ক থাকার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাওয়ার পরিবর্তে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ার ভয়ে তটস্থ রোগী থেকে রোগীর পরিবার। চিকিৎসা মেলার পরিবর্তে তাঁরা চান না দালালদের পকেট ভারী করতে। চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন অসহায় রোগী ও তার পরিবাররে সদস্যরা। যদিও গোটা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত দালাল জাভেদ। দালালরাজের বাড়বাড়ন্তে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুললেন চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম।
তবে হাসপাতালে দালালরাজের সক্রিয়তা প্রসঙ্গে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সুজয় মিস্ত্রির সাফ জবাব, এই ঘটনার তদন্তে একটি এনকোয়্যারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, জাভেদ হাসপাতালের স্থায়ী কর্মী নয়। এজেন্সি মারফত নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মী। যদি ভবিষ্যতে হাসপাতালের ওই অস্থায়ী কর্মচারী জাভেদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, কোনও ঘটনা বিশদে না জেনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা য়ায় না। তাই পুলিস এ ব্যাপারে তদন্ত করুক এবং রোগীর পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ হাসপাতালে জমা দেয়, তাহলে অবশ্যই এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে হাসপাতাল। আশ্বাস দিলেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম প্রধান।
কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার শুনানির পর আদালতের নির্দেশ, পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারি করতে হবে। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে। ওই রিপোর্ট ও ভিডিওগ্রাফি দেখিয়ে তাঁদের থেকে মতামত নিতে হবে। সিসিটিভি ডিভাইস ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পোস্টমর্টেম কপি দ্রুত পরিবারকে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে। ৬ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি।
মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ঘটনার পরে গুরুতম জখম অবস্থায় ওই ছাত্রকে দীর্ঘক্ষণ কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ইনকোয়েস্ট বা সুরতহাল ঘটনার পরেই হওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পরে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু কান থেকে রক্ত বেরোতে দেখা গেছে। এটা অবিশ্বাস্য। আইনজীবী নিয়ে মৃতের পরিবার কসবা থানায় গেলেও সিসিটিভি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কখন সে পড়ে গেছে, তার কোনও ছবি নেই। সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে। বাড়ির লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। তাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি। সিট গঠন করে তদন্তের দাবি।
বিচারপতি জানান, এমন একটা গুরুতর ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক গাফিলতি করবেন বলে মনে হয়? স্কুলের তরফে জানানো হয়, প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা নিয়ে ক্লাস টিচারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই ছাত্রের। সেই সময় শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করে সে। সিসিটিভি ফুটেজে সবটাই ধরা আছে। এরপর পাঁচতলার উপর থেকে সে ঝাঁপ দেয়। তখনই মুকুন্দপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিচারপতি বলেন, তার মানে খারাপ ব্যবহার করে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে, এটা বলতে চাইছেন? এরপরেই পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
শনিবার তিনি সত্যির উপলব্ধির কথা বলেছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনিই ঝড়। তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শনি ও রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লম্বা পোস্ট করলেন বসিরহাটের সাংসদ।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু গত মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে ছ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। রবিবার পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ওরা ফিসফিস করে বলেছিল, ঝড় এলে তুমি উড়ে যাবে। কিন্তু ওদের কাছে পালটা উত্তর গেল, আমিই ঝড়…।'
এদিকে ইডির একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, যে কোম্পানির হয়ে বাজার থেকে নুসরতের নামে টাকা তোলার অভিযোগ, সেই কোম্পানির অডিট রিপোর্টে ডিরেক্টর হিসাবে সই আছে বসিরহাটের সাংসদের। এর আগে, ওই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অস্ত্রোপচার হয়েছে গত সপ্তাহেই। এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী ? ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, আপাতত এখন অনেকটা সুস্থ আছেন স্বস্তিকা। তবে, একমাস তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে।
জানা গিয়েছে, স্ত্রীরোগ জনিত সমস্যা ছিল স্বস্তিকার। অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে নিজের অসুস্থতার বিষয়ে জানান তিনি। অপারেশন হবে খুব শীঘ্রই বলেছিলেন নায়িকা। তবে, এখন সব বাধা কাটিয়ে আপাতত সুস্থতার পথে অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, এখনই কাজে ফিরছেন না নায়িকা। আপাতত বিশ্রামেই থাকবেন। নভেম্বরেই নতুন কাজের জন্য বাংলাদেশ যাবেন স্বস্তিকা। এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে টলিউড অন্দরে।
ভরসার পোস্ট অফিসেই জালিয়াতির ফাঁদ? গ্রাহকদের কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে। একটু একটু করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন পোস্ট অফিসে। কিন্তু সেই পোস্ট অফিসেই জালিয়াতির ফাঁদে পড়তে হবে তা হয়তো ভাবেননি গ্রাহকরা। বুধবার দিশেহারা গ্রাহকেরা জলপাইগুড়ি মেইন পোস্ট অফিসের সিনিয়র সুপারিটেণ্ডেন্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু পাকড়াও করবেন কাকে? তিনি যে আগেই আত্মহত্যা করেছেন। তাহলে কীভাবে মিলবে অসহায় মানুষগুলোর সঞ্চিত টাকা? একরাশ ক্ষোভ প্রতারিত গ্রাহকদের।
প্রতারিত গ্রাহকদের অভিযোগ, পোস্টমাস্টারের কাছে গরিব অসহায় মানুষরা টাকা জমা করতেন। একরকম ভুল বুঝিয়ে উপভোক্তাদের টাকার স্লিপের বদলে দেওয়া হতো সাদা চিরকুট। এত টাকা দিয়ে কী করতেন পোস্টমাস্টার? জানা গিয়েছে, ক্রিকেট জুয়ায় আশক্ত ছিলেন অভিযুক্ত পোস্টমাস্টার। তবে কি সাধারণ মানুষের টাকা তছরূপ করে নিজের খেলার নেশা মেটাতেন?
জানা গিয়েছে, মৃত পোস্টমাস্টার স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির ছেলে। তবে কি ক্ষমতার বলেই এই জালিয়াতি? যদিও প্রতারিতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অর্চনা রায়।
বুধবার যে পোস্টঅফিসের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উঠেছিল, বৃহস্পতিবার বেলা গড়িয়ে গেলেও কোনও কর্মীর দেখা নেই সেই পোস্ট অফিসে। তবে কি ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছে সবাই? শুধু সাধারণ মানুষই নয় প্রতারিত হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যও। জেলা বিজেপি সম্পাদক নিতাই মণ্ডল ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, বাবার ক্ষমতার জেরেই এই কাজ করেছে ছেলে। আদৌ কি মানুষগুলো তাদের টাকা ফেরত পাবে, প্রশ্ন থাকছেই।