বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের দক্ষিণ বাড়ইবাড়ি এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম প্রহ্লাদ বর্মন। বাড়ি হেমতাবাদের কলোনীপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে চার বন্ধু একসঙ্গে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। এরপর স্নান করতে নেমেই জলে তলিয়ে যান এক যুবক। বাকি তিনজন পুকুরে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও হদিশ পাননি প্রহ্লাদের। এরপর খবর দেওয়া হয় হেমতাবাদ থানার পুলিসকে ও ডুবুরি টিমকে। পুলিস প্রশাসনের উপস্থিতিতে ডুবুরি নামিয়ে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে খোঁজ চালানো হয়। কিন্তু খোঁজ মেলেনি ওই নিখোঁজ যুবকের।
এরপর শনিবার গভীর রাতে যুবকের মৃতদেহ স্থানীয়রা পুকুরে ভাসতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহট উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার কুসুম্বা হালদারপাড়া এলাকায়। খুনের অভিযোগে সরব এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। ওই পুকুর থেকে কানে হেডফোন লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই ব্যক্তির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এই ঘটনায় স্থানীয় রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মোফাজ্জল হোসেন ওরফে (ভুলু) বাবুর অনুমান, দুষ্কৃতীরা খুন করে ওই ব্যক্তিকে পুকুরে ফেলে গিয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। আশা রাখছেন দ্রুত ওই মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় জানতে পারবে পুলিস। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত যাতে পুলিস করে সেই বিষয়ে তিনি বলেন। ঘটনাটি আতঙ্কের বলেই জানিয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব হালদার জানান, এলাকায় ইদানীং বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। এরফলে রীতিমতো আতঙ্কেই থাকছেন তাঁরা। পুলিস ও প্রশাসনের কাছে রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সিসিটিভি বসানো হলে, স্থানীয়রা সকলেই নিরাপদে ও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন বলে দাবি তাঁর।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। খুন নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে ঘটনার পিছনে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রাচীন পুকুর ভরাটের (Pond Fill Up) অভিযোগে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এমনকি পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে যশোর রোডে প্রতীকি নিয়ে অবরোধ বিজেপির (BJP)। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার (Gaighata) বকচরা ১ নম্বর টালিভাটা এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবার সকালেও সেই বিক্ষোভ জারি রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা৷
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা ব্লকের বকচরায় কয়েক বিঘা জায়গা নিয়ে একটি পুকুরকে ভরাট করছে প্রোমোটার, তেমনই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি সদস্যদের দাবি, পুকুর ভরাট করে এখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে তেমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষেকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন এই প্রোমটার। কিন্তু এই পুকুর ভরাট হলে বকচরা এলাকার সাধারণ মানুষ আগামী দিনে বেশ সমস্যায় পড়বেন। তাই সেই কারণেই বুধবার বিকেল যশোর রোডের বকচরাতে রাস্তা অবরোধ করেছে বিরোধী দলের নেতারা। এমনকি প্রতীকি নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ করার পর পুলিস সেই অবরোধ তুলে দেয়। তবে তাতেও থেমে নেই তাঁরা। তাই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ফের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা গোবিন্দ হালদার নামে এক ব্যক্তি জানান, এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত নিয়েই এই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। পুকুরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গাও রাখা হয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্যই একটি হাসপাতাল নির্মাণ করার কারণেই পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে। আর যাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছে তাঁরা এই এলাকার সাধারণ মানুষ নয়। এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে মতামত নিলে তাঁরাই সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
পুকুর (Pond) থেকে ভাসমান এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার। নেতাজীনগর (Netaji Nagar) থানা এলাকার রানীকুঠি পুকুরের ঘটনা। ঘটনাস্থলে পুলিস (Police) এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এখনও ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। পুলিসের অনুমান, ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক চল্লিশ বছর। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালবেলা স্থানীয় কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণে যাওয়ার সময় পুকুরের জলে একটি ভাসমান দেহ দেখতে পান। তারপরেই তাঁরা খবর দেন নেতাজীনগর থানায়। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু্র আসল কারণ জানতে পারবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জীবনযাপনের প্রয়োজনেই দিনভর কাজে ব্য়স্ত থাকতে হয়। তার জন্য অনেককেই দিনের অনেকটা সময় ডেস্কে বসে কাজ করতে হয়। এককথায়, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে ঘাড় গুঁজে বসে থাকতে হয়। তারমধ্যে কোভিডকালে বেড়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা। তবে সেখানেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে। সবার বাড়িতে কাজের জায়গা নাও থাকতে পারে। ফলে অনেক সময়েই বিছানায় বা সোফায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হয়। আর এসবের ফলেই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে দেখা যাচ্ছে স্পন্ডিলাইটিস (spondylitis)। এই রোগে সাধারণত ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে ব্যথা হয়। অনেকের পিঠের নীচের অংশে বা কোমরেও অসহ্য যন্ত্রণা হয়। অনেক সময় কাঁধ থেকে হাতে বা কোমর থেকে পায়েও যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় কী কী করবেন?
এমন ব্যথা অনুভূত হলে প্রথমত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এরপর তাঁদের দেওয়া ওষুধ তো খাবেনই। এর পাশাপাশি দরকার নিয়মিত শরীরচর্চা-ব্যায়াম।
অফিসে কাজ করার সময় একভাবে একজায়গায় বসে থাকা যাবে না। মাঝে মাঝেই কাজের ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে। বসে বসেই ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম করতে হবে।
শুতে যাওয়ার সময় বালিশের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। যে বালিশে শোবেন, সেটি যেন শক্ত না হয়, সবসময় শোবার সময় নরম বালিশ মাথায় দেবেন। এছাড়াও কীভাবে শোবেন, ঘুমোনোর সময় ঘাড় বেঁকে যাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে পারলে ভালো।
পুকুরে কুমির (Crocodile)! পুকুর ঘিরে রয়েছেন উৎসুক স্থানীয়রা। দিগম্বর (South 24 Parganas) পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর আবাদ এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলা গরুকে ওই পুকুরে জল খাওয়াতে নিয়ে যায়। পুকুরে গিয়ে ওই মহিলা দেখেন পুকুরেরে পাড়ে শুয়ে আছে কুমির। তৎক্ষণাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। চিৎকার শুনে এলাকার প্রচুর মানুষ পুকুরের কাছে ভিড় করেন কুমিরটিকে দেখার জন্য।
জানা গিয়েছে, পুকুরটির মালিক বাসুদেব ঘোড়া। বনদফতর এবং ঢোলাহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকার সিভিক ভলেন্টিয়ারও পুকুরের কাছে আসে। বনদফতরের কর্মীরা পুকুরের জাল দেওয়া শুরু করেন। প্রথমে জাল থেকে বেরিয়ে যায় কুমিরটি। তবে দ্বিতীয়বারে অতি সাহসিকতার সঙ্গে জলে ডুবে কুমিরটিকে ডাঙ্গায় তোলেন দুই বনকর্মী।
বন দফতর সূত্রে খবর, কুমিরটি আনুমানিক ৫ ফুট লম্বা। কুমিরটিকে ধনচি অথবা ভাগবতপুর এলাকায় ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। কুমিরটি ধরা পড়ায় বেশ খুশি এলাকার মানুষজন। এমনকি স্থানীয়রা ধন্যবাদও জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকদের।
শীত পড়লেই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে সারস হাঁস (লেজার হুইস্টিং ডাক), জল পিপি (ব্রোঞ্জ উইঙ্গেড় জাকানা), পার্পেল হিরন-সহ নানান প্রজাতির পরিযায়ী পাখি (Migratory birds)। আর সেই পাখি দেখতেই জলাশয়ে ভিড় করেছেন পাখি (birds) প্রেমী মানুষেরা। জলাশয় ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের। প্রতিবছর শীত পড়লেই ভিন দেশ থেকে উড়ে এসে ঘাটাল (Ghatal) পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিসিংহপুরের জলাশয়ে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখিরা। এবছরও শীত পড়তেই ঘাটালের জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে পাখিরা। এলাকার বাসিন্দাদের মন আনন্দে ভরে উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, শীতের কয়েক মাস এই পাখিদের কলরবেই তাঁদের ঘুম ভাঙে। আবার দিনের শেষে কিচিরমিচির আওয়াজ করে উড়ে যায় ওরা। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই পরিযায়ীদের জন্য। এলাকাবাসীরা নিজেরাই পাহারা দেন যাতে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করে। এলাকাবাসীরা জানান, বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই পাখি দেখতে। তাই এই জলাশয় ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক, দাবি তুলছেন স্থায়ী বাসিন্দারা।
সাতসকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। পুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (Death) ২ গ্রামবাসীর। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মেদিনীপুর (Medinipur) সদর ব্লকের মোরখা গ্রামে। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা বাথরুম করতে পুকুরপাড়ে এসেছিলেন গ্রামের এক আদিবাসী দম্পতি। অভিযোগ, পুকুরের জলে বিদ্যুৎ সংযোগ করা ছিল। সে কথা জানতেন না ওই দম্পতি। এর ফলে ওই পুকুরের জলে নেমে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মুঙ্গলী মান্ডি ও বাপি মান্ডির। এই ঘটনার পর চরম উত্তেজনা ছড়ায় গোটা গ্রামজুড়ে। জানা গিয়েছে, পুকুর মালিক এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য।
তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, 'এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। গ্রামবাসীরা যে অভিযোগ করছেন তা যদি সত্যি হয়, তাহলে অবশ্যই দোষীর শাস্তি দেবে প্রশাসন। এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলেরই লোক হোক না কেন, ছাড় পাবেন না।'
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই পুকুরের মালিক। ফাঁকা মাঠের মাঝে পুকুরে কেন বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া ছিল তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তির শাস্তি দিতে হবে দাবি গ্রামবাসীদের। বাদনা পরবের দিনেই কার্যত শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রাম।
মহাষষ্ঠীর সাতসকালেই পুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ের দেহ (deadbody) উদ্ধার। পুজোর সময় এমন মর্মান্তিক ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বসিরহাটের (Basirhat) সন্দেশখালি থানার বেড়মজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের।
জানা যায়, বছর ৫২ গয়সেল মোল্লা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ (missing) ছিলেন। শনিবার সকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে একটি দেহ দেখতে পায়। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় সন্দেশখালি থানায়। সন্দেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারিকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস (police) দেহটি উদ্ধার করে। উদ্ধার করার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দেহটি শনাক্ত করা হয়।
এরপরই জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম গয়সেল মোল্লা। পার্শ্ববর্তী রামপুর গ্রামেরই বাসিন্দা তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, গয়সেল মোল্লার ছেলে তাঁদের জানিয়েছেন, বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আর শনিবার এই দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ঘোষপুর হাসপাতালে (hospital) পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়।
নামেই রাস্তা। তবে পুকুর বলে চালিয়ে দেওয়া যায় দিব্য। জমা জলে রীতিমত সাঁতার কাটা চলে। যেখানে জল নেই সেখানে কাদাভরা। বছরের অন্য সময়টা যেমন তেমন, বর্ষাকাল রীতিমত অসহনীয় হয়ে উঠছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধান নগরের এক কিলোমিটার রাজ্য সড়ক। এই সড়কের ভরসায় লেখা-পড়া থেকে কাজকর্ম চালান আশেপাশের প্রায় দশ-বারোটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এই এলাকাতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ইঁটভাটা এবং চা ফ্যাকটরি (Tea Garden)। মাল বোঝাই ভারিভারি গাড়ি দিবারাত্র যাচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে ফলে রাস্তা আরও ভাঙছে দ্রুতগতিতে।
সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে। নিত্য লেগে আছে দুর্ঘটনা। অসুস্থ মানুষদের নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স এড়িয়ে চলে গোটা রাস্তা। শ্বাস ওঠা রোগীকে নিয়ে মুরলিগঞ্জ হয়ে ঘুরে যেতে হয়। সমস্যাটা নতুন নয়। প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়া হয়েছে বহুবার। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্যাটা স্বীকার করে আশ্বাস দিয়েছেন অতি দ্রুত সমস্যার সমাধানের। এর আগেও আশ্বাস মিলেছে ঝুড়ি ঝুড়ি। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
ফি বছর বর্ষা এলেই নিয়ম করে আশ্বাস দেওয়া হয়। এবার আশ্বাসে বিশ্বাস রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ রাজ্যের আনাচে কানাচে শুধুই উন্নয়নের বিজ্ঞাপন। কীসের উন্নয়ন? উন্নয়নটা আসলে হচ্ছে কাদের? উঠে আসছে হাজার প্রশ্ন। ফাঁসিদেওয়ার এই রাজ্য সড়ক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঠিক কী বললেন তিনি? চলুন শুনে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞাপন বলছে রাজ্যের মোড়ে মোড়ে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিজ্ঞাপন বলছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু আসল চেহারাটা পরিষ্কার হয়ে যায় এ ধরণের ঘটনায়। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পরিষেবার বিভিন্ন ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তিতিবিরক্ত হচ্ছেন রাজ্যবাসী। এবার মিটবে কি ফাঁসিদেওয়ার এই সড়ক সমস্যা? আপাতত আশ্বাসেই বিশ্বাস রাখছেন এলাকাবাসী।