ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই ইডি এবং সিবিআইয়ের সক্রিয়তা বাড়বে। মুম্বইয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নেতাদের সতর্ক করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। তাঁর আশঙ্কা, লোকসভা ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের উপর অত্যাচার আরও বাড়াবে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে এজেন্সির সক্রিয়তা আরও বাড়বে। গ্রেফতারিও করা হতে পারে দাবি তাঁর।
শুক্রবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হয় মুম্বইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "পাটনা ও বেঙ্গালুরুর বৈঠক দেখে আশঙ্কা বেড়েছে বিজেপির। সেকারণে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে আক্রমণ বাড়ানো হচ্ছে। তাঁর আশঙ্কা, মণিপুর, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে চাপে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সেখান থেকে নজর ঘোরাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে সক্রিয় করা হবে।
তবে শুধু মল্লিকার্জুন খড়গে নয়, এর আগেও এই দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজেন্সি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat polls)। তার মধ্যেই জারি রয়েছে কুড়মিদের আন্দোলন। এরই মধ্যে পদত্যাগ। একই বুথে তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি অমল মাহাতো ও বুথ সভাপতির সুব্রত মাহাতো পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগী এই দুই নেতার বক্তব্য রাজ্য সরকার তাঁদের জন্য কিছুই করছে না তাই তাঁরা তৃণমূলের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। সোমবারও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল লাগোয়া এলাকা থেকে তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে কুড়মিতে যোগদান করেন তিন নেতা। এরপর মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে অপর দুই নেতার পদত্যাগে বাড়ছে জল্পনা।
উল্লেখ্য, কুড়মিদের যে দাবি দাওয়া রয়েছে। সেই দাবি-দাওয়াকে সামনে রেখে সম্প্রতিক খেমাসুলিতে একটি বৈঠক হয় ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বদের নিয়ে। কুড়মি সমাজের নেতৃত্বরা মনে করছেন এই যে দুই রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁরা সমাজের কাছে একটা বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এই বিষয়ে তৃণমূল যুব সভাপতি অমল মাহাতো বলেন, “আমাদের আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলন সফল হলে তবেই আমরা ভোটে দাঁড়াতে পারব। সরকার কথা শুনছে না। তাই খেমাসুলিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ভোটের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করা চলবে না। সরকার আমাদের জন্য কিছু করে না। ১৯৮২ সাল থেকে এই আন্দোলন চলছে।” উল্লেখ্য, জামবনি ব্লকের টুলিবড় এলাকা থেকে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের কৃপা সিন্ধু মাহাতো এবং জাম্বনি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ভবতারণ মাহাতো, উপপ্রধান তথা পঞ্চায়েত সদস্য যুথিকা মাহাতো দল ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুড়মি সংগঠনের ঝাণ্ডা কাঁধে তুলে নেন এবং কুড়মি সংগঠনে যোগদান করেন।
ভোটের (polls) আগেই রাজ্য জুড়ে বিপুল পরিমাণে মাদক দ্রব্য ও নগদ টাকা উদ্ধার। উদ্ধার হয়েছ ২০ লক্ষ লিটার মদ, ১,৭০০ কেজি মাদক ও ৯৫ কোটি টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে (Karnataka)। ফলে সীমানায় রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন দফতরকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকের চারপাশে ছ’টি রাজ্য রয়েছে। আর এই ছ’টি রাজ্যের সীমানায় ১৮৫টি চেকপোস্ট রয়েছে। আর এই সব চেকপোস্টেই কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২৯ মার্চ থেকে সোমবার পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ৩০৯ কোটি টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কর্নাটক থেকে। মাদক দ্রব্য নগদ টাকা সহ ৭৯৪ কেজি সোনা-রুপোও উদ্ধার হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৮০.৫৩ কোটি টাকা। এমনকি সারা রাজ্যে ৬৯ হাজার ৮২৫টি অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০টি বন্দুকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কর্নাটকের এই পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল, নোডাল পুলিস অফিসার, উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিক, নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, কর্নাটক এবং সংলগ্ন রাজ্যের আয়কর দফতরের আধিকারিকেরাও। ওই বৈঠকেই সীমানার চেকপোস্টগুলিতে কড়া নজরদারির কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমেও নজরদারি চালাতে হবে, যাতে ভোট সংক্রান্ত ভুয়ো খবরের উপর নজর রাখা যায়।
ঝুলে থাকা হাওড়া পুরনিগমের ভোট হতে পারে ডিসেম্বর মাসে, এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরনিগমের ভোট করাতে গেলে আইনি জটে পড়ছে রাজ্য। কারণ, বিধানসভায় বিল পাস হওয়ার পরও রাজভবনে সেটা আটকে। রাজ্যপাল সই করেননি। এই পরিস্থিতিতে হাওড়ার ওয়ার্ড পুর্নবিন্যাস করছে রাজ্য। যা সম্পন্ন হলে রাজ্যপালের সই ছাড়াই ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব।
হাওড়া-বালি পুরসভা মিলিয়ে মোট আসন ছিল ৬৬টি। যা ভেঙে হাওড়ায় ৫০টা ওয়ার্ড আর বালিতে ১৬টা ওয়ার্ড করে দেওয়া হয়। সরকার চাইছে হাওড়ার ৫০টা ওয়ার্ড ভেঙে ৬৬টি করে ফেলা গেলে আইনের পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নেই। ফলে, হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন দ্রুত করে ফেলা সম্ভব। নবান্ন সূত্রের খবর, পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই হাওড়ার জেলাশাসককে পুরনিগমের ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দিয়েছে। এই কাজ শেষ হলেই পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর হাওড়া পুরনিগমের আসন সংরক্ষণের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পেশ করবে। কমিশন এই কাজ শেষ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪৯ দিন অপেক্ষা করতে হবে ভোটের জন্য। সেই হিসেবে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরে ভোট করতে কোনও সমস্যা হবে না।
দেখুন কোন পথে এই ভোট সম্ভব?
হাওড়ার পুরসভার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের পথে রাজ্য। রাজ্যপালের সই ছাড়াই হতে পারে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন।
হাওড়া ৫০টি ওয়ার্ড ভেঙে ৬৬টি করার চিন্তাভাবনা।
হাওড়া জেলাশাসককে পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ
প্রাথমিক পরিকল্পনা পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের