বুধবার গভীর রাতে টেকনোসিটি থানায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর বা এসআই কৌশিক ঘোষের পায়ে গুলি (Firing)। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরই সহকর্মী অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর বা এএসআই (ASI) অভিজিৎ ঘোষ। জানা গিয়েছে, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ থেকে কিছুদিন আগেই তিনি পোস্টিং পেয়েছেন টেকনোসিটি থানায় (Techno City PS)। টেকনো সিটি থানার পুলিস ব্যারাকের মধ্যে গণ্ডগোলের কারণেই এই গুলি চালনার ঘটনা। সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন এসআই কৌশিক ঘোষ। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা। একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান বিধান নগর কমিশনারেটের কমিশনার। ঠিক কী কারণে এই গুলি চলেছে রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি দুই সহকর্মীর মধ্যে কোনও বিবাদ বা ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কিনা তাও দেখবে বিভাগীয় তদন্ত।
এই ঘটনায় এএসআই অভিজিৎ ঘোষকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এই গুলি চালনা ইচ্ছাকৃত, না দুর্ঘটনাবশত খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনার খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সকালে টেকনোসিটি থানায় যান বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তারা। যদিও দুর্ঘটনাবশত এই গুলি চালনার ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে, গত বছর কলকাতা জাদুঘর বা মিউজিয়াম-কাণ্ড। সিআইএসএফ ব্যারাকে সহকর্মীর ছোড়া গুলিতে এভাবেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক আধা সামরিক কর্তার। গুরুতর জখম হয়েছিলেন আরও এক।
বৌমা জোরে আওয়াজ দিয়ে টিভি দেখছিলেন। আর শাশুড়ি (Mother-in-law) টিভি বন্ধ করে দেওয়ায় রেগে আগুন। যার জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বসবেন বৌমা, তা ভাবাও যায় না। বৌমার কীর্তি শুনে হতবাক সকলে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রাগে বৃদ্ধা শাশুড়ির তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। পুলিস সূত্রে এমনটাই খবর। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানে (Thane) জেলার অম্বরনাথে।
শিবাজি নগর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ব্রুশালি কুলকার্নি বাড়িতে ভজন পাঠ করছিলেন। আর সেসময় পুত্রবধূ বিজয়া কুলকার্নি (৩২) টেলিভিশন দেখছিলেন। আওয়াজ জোরে হওয়ায় শাশুড়ির ভজন পাঠে অসুবিধে হয়। তখন তিনি কমাতে বলেন আওয়াজ। এরপর শুরু হয় ঝগড়া।
ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রেগে শাশুড়ি টিভি বন্ধ করে দেন। তখন ঘটে যায় বিপত্তি। শাশুড়ির হাত ধরে তাঁর তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। এমনকি বিজয়া তাঁর স্বামীকেও চড় মারেন, দুজনের ঝগড়ার মধ্যে ঢোকার জন্য।
আহত শিবাজিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।