কলকাতা পুলিসের কনস্টেবলের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী ওই পুলিসকর্মী। এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার পর্ণশ্রী থানা এলাকা। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, ওই পুলিস কর্মীর নাম পুলক ব্যাপারী। কলকাতা পুলিসের ওয়ারলেস ব্রাঞ্চে কর্মরত। পর্ণশ্রী এলাকায় পুলক ব্যাপারী তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, গত তিন মাস আগে এই এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ওই প্রতিবেশীর মতে পুলক ব্যপারীর পরিবারে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটতে দেখেননি তাঁরা।
ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানার চেষ্টা করছে পারিবারিক অশান্তি নাকি মানসিক অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিস কনস্টেবল।
এবারে খাদ্যভবনে চলল গুলি। সোমবার বড়দিনের উৎসবের রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, খাদ্যভবনে কর্মরত পুলিসের রিজার্ভ ফোর্সের ব্যারাকে থাকতেন তপন পাল। ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যখন সবাই উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়েছেন, ঠিক তখনই হাইকোর্টের ডিউটির জন্য বেরোচ্ছিলেন তপন পাল। জানা যায়, সেই সময় নিজের সার্ভিস গান দিয়েই আত্মহত্যা করেন তিনি। গুলি লাগে বুকে। শোকের ছায়া গোটা পরিবার জুড়ে।
সূত্রের খবর, রিজার্ভ ফোর্সের ওই পুলিসকর্মীর নাম তপন দাস। বড়দিনের সন্ধ্যায় হাইকোর্টের ডিউটিতে বেরোচ্ছিলেন তপন পাল। সেই সময় নিজের সার্ভিস গান দিয়েই আত্মঘাতী হন তিনি। নিজেই নিজেকে গুলি করেন, সেই গুলি এসে লাগে তাঁর বুকে। ঘটনার পর সহকর্মীরা তাঁকে কলকাতা পুলিস হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
জানা যাচ্ছে, তপন পাল হরিণঘাটা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুবর্ণপুরের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ভুগছিলেন স্নায়ু রোগে। এছাড়াও বহু দিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানা যায় সূত্র মারফত। ৫৩ বছর বয়সী তপন পালের এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার। শোকের ছায়া গোটা পরিবারে।
লোকাল ট্রেনের মধ্য়ে চলল গুলি। আচমকা গুলির আওয়াজে আতঙ্কে কেঁপে উঠল ট্রেনে থাকা সকল যাত্রী। সূত্রের খবর, নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন জিআরপির এক কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার রাতে ব্য়ান্ডেল-বর্ধমান লোকাল ট্রেনে পালসিট রেল স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ। বাড়ি বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর মোড় এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান জিআরপিতে পোস্টিং ছিল শুভঙ্কর সাধুখাঁ নামে ওই কনস্টেবলের। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি হাওড়া-বর্ধমান আপ লোকালের মহিলা কামড়ায় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। শীতের জন্য় যাত্রী বেশি না থাকায় রাতের ট্রেনগুলি বেশ ফাঁকাই থাকে। এরপর পালসিট স্টেশনের কাছে ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। গুলির শব্দ পেয়ে ভয়ে আঁতকে ওঠে সকল মহিলা যাত্রীরা। এরপর ট্রেন থামিয়ে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে। পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে বর্ধমান জিআরপি তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুতই ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে কি তবে হাসি ফুটবে?
স্পেন সফর সেরে ফেরার পর পায়ে আঘাতের কারণে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের বদলে তাঁর বাড়ি থেকেই সারছেন প্রশাসনিক কাজকর্ম। ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই হয় মন্ত্রীসভার বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল, যার মধ্যে ৮৪০০ পুরুষ ৩৬০০ মহিলা নিয়োগ করা হবে। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে এবার প্রকাশও করা হবে বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই সূত্রের খবর। আবার পাশাপাশি অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করা হয় এদিন।
এর আগেও নবান্ন থেকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যা এখনও প্রতিশ্রুতি হয়ে রয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে ফের একবার প্রতিশ্রুতি, যা কী সত্যিই হাসি ফোটাবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে, নাকি অন্যান্য বারের মত দুস্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।
ফের সাত সকালে পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু (Death)। এবার পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক পুলিস কনস্টেবল (Police constable)। মৃত পুলিসকর্মীর নাম শিশির মণ্ডল। তিনি ঠাকুরপুকুর থানায় কর্মরত ছিলেন। বালির লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালবেলা কনস্টেবল শিশির মণ্ডল বেহালা চৌরাস্তা থেকে ডিউটি করে ঠাকুরপুকুর থানায় ফিরছিললেন। সে সময় ঠাকুরপুকুর থানার সামনে আচমকা একটি বালির লরি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তখন শিশির বাইকে ছিলেন। এর ফলে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। তখন বালির লরির চাকা কনস্টেবলের গায়ে উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। তড়িঘড়ি বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘাতক লরিকে আটক করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস। যদিও চালক ও খালাসি পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, একের পর এক শহরের বুকে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রত্যকদিনই কোথাও না কোথাও পথদুর্ঘটনা, মৃত্যু, এসব খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরবাসীর মধ্যে। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান নিত্যযাত্রীরা।
ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে হেড কনস্টেবল খুনে সন্দেহের তির মাওবাদীদের দিকে। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় পুলিশের হেড কনস্টেবল মণিরাম ভেট্টিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে কাঠগড়ায় ৪ জন। সোমবার বীজপুরের বেলচর গ্রামের এই ঘটনার শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, মণিরাম ভেট্টি ছুটিতে ছিলেন। তিনি গিয়েছিলেন এক আত্মীয়র বাড়ি। মণিরামকে রবিবার মধ্যরাত ২টো নাগাদ ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় ৪ জন। পরে দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছেই। দেহে একাধিক ক্ষত মিলেছে।
সূত্রের খবর, মণিরাম থাকতেন গেদাম এলাকায় কিন্তু নিযুক্ত ছিলেন দান্তেওয়াড়ায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন মাওবাদীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও মাওবাদী পোস্টার বা পত্রিকা মেলেনি বলেও জানিয়েছে পুলিস।