ফের দময়ন্তী সেনকে (Damayanti Sen) বদলি করা হল। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) পদে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারের নির্দেশ অনুযায়ী, এবার ‘এডিজি ট্রেনিং’ পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই প্রথম নয়, আগেও তাঁকে কলকাতা পুলিশ থেকে সরানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ-কাণ্ডের পর তাঁকে কলকাতা পুলিশ থেকে সরানো হয়েছিল। প্রথমে ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ছিলেন তিনি। এরপর সেখানে থেকে সরানো হয় যথাক্রমে দার্জিলিংয়ে ডিআইজি রেঞ্জ ও সিআইডি-তে। ফের ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিশে ফেরেন তিনি। কালিয়াগঞ্জ ধর্ষণ মামলায় তদন্তভার যে তিনজনকে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দময়ন্তী সেন।
কাগজপত্র ঠিক না থাকায় দুধের গাড়ি চালককে কেস না দিয়ে টাকা নেন বলে অভিযোগ খড়দহ থানার (Khardah police station) দুই পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে ওই দুই পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ড (suspend) করল বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট (Barrackpore Police Commissionerate)।
সূত্র মারফত খবর, চেকিং-এর সময় সোদপুর (Sodepur) বি টি রোডে একটি দুধের গাড়ি থামিয়ে তার কাগজপত্র দেখতে চায় খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাস। গাড়ির কাগজপত্রে কিছু ভুল থাকায় কেস না দিয়ে টাকা দাবি করে বসেন সাব ইন্সপেক্টর। সেইমতো রফা করে টাকাও নেন সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার।
এরপর গাড়ির মালিক খড়দহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস কমিশনারকে বিষয়টি জানান। গাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সাব ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সাব ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাসকে সাসপেন্ড করল বারাকপুর পুলিস কমিশনার। পুলিস অফিসারদের মধ্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আনার জন্যই এই ধরনের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।