পুলিসের গাড়িতে (Police car) চাপা পড়ে মৃত্যু (Death) এক কিশোরের। আহত আরও তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার নদীয়ার (Nadia) ধানতলা থানার কুলগাছি এলাকায়। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঝামেলার জেরে পুলিস তাঁদের ওপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং গাড়ি আটকে রাখেন বেশ কিছুক্ষণ। আহতদের উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে কয়েকদিন ধরেই গরু চুরির ঘটনা ঘটছিল। তবে গরু চোরকে ধরতে পারছিলেন না। সোমবার রাতে গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুই গরু চোরকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধানতলা থানার পুলিস। এর পরই পুলিস ওই গরু চোরদের গ্রেফতার করতে গেলে বচসা শুরু হয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে। গ্রামবাসীদের দাবি, এই এলাকা থেকে বহু গরু চুরি হয়েছে। সেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে তারপর চোরদের নিয়ে যেতে পারবে পুলিস। অভিযোগ, এর পরেই হঠাৎ পুলিসের গাড়িটি গ্রামবাসীদের ওপর চালিয়ে দেয়। যার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক কিশোরের এবং গুরুত্বর আহত হন তিনজন। বর্তমানে আহত তিনজন রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পথদুর্ঘটনার(Road Accident) কবলে পুলিসের গাড়ি। বাসের সঙ্গে পুলিস জিপের সংঘর্ষে মৃত পুলিস গাড়ির চালক। আহত এক পুলিস অফিসার-সহ এক কনস্টেবল ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। আহত তিনজনকে বর্ধমানের এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি আউশগ্রাম থানার(Ausgram police)বাগরাই ব্রিজ এলাকার। ইতিমধ্যেই বাসটিকে আটক করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিস। তবে বাসের চালক পলাতক।
জানা গিয়েছে, পুলিস গাড়ির মৃত চালকের নাম বিশ্বনাথ মুর্মু (৩৮)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগরাই ব্রিজের কাছে পুলিস গাড়িকে ধাক্কা মারে একটি বাস। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসকরা চালককে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিন আহতকে বর্ধমানের এক নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাসটিকে আটক করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিস।
ভয়ংকর ঘটনা পঞ্জাবে। মারাত্মক শক্তিশালী বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধার হল পুলিসকর্মীর (Police Car) গাড়ি থেকে। আরও বড় উদ্বেগের বিষয় হল, এই বিস্ফোরক পাকিস্তান (Pakistan) থেকে আনা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই সন্দেহ পুলিসের। তবে পুরনো একটি ঘটনার সূত্র ধরেই পুলিস এমনটা মনে করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিস্ফোরকের উত্স সন্ধানে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি অভিযান।
এমন ঘটনা ঘটেছে বুধবার, অমৃতসরে (Amritsar)। রাজপথে রুটিন তল্লাশি চলছিল। সেই সময়ই এক পুলিসকর্মীর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় শক্তিশালী ইম্প্রোভাইসড এক্লপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। এই বিস্ফোরকের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। ফলে এর ক্ষমতা কী হতে পারে, সহজেই অনুমেয়।
কিন্তু পুলিস প্রাথমিক তদন্তেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার বিষয়ে সন্দিহান কেন? পুলিস সূত্রেই জানা গিয়েছে, মে মাসে তারাতরণ জেলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি টিফিন বক্স। ধাতব ওই বাক্সের মধ্যে ভরা ছিল আরডিএক্স এবং আইইডি। এরও ওজন ছিল প্রায় আড়াই কেজি। এই আইইডিতে আবার টাইমার, ডিটোনেটর, ব্যাটারি ইত্যাদি ছিল। এগুলি পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল বলে দুই ধৃত জেরায় স্বীকার করেছিল। তারা এও জানিয়েছিল, মাদক এবং অর্থের লোভেই তারা এই কাজে নেমেছে। এবারে উদ্ধার হওয়া আইইডি-র সঙ্গে আগের ওই আইইডি-র যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিস। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।