
গ্রামের পাশের জলাশয় থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ (DeadBody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা ইন্দাস ব্লকের আকুই এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলকালী তলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইন্দাস থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। আত্মহত্যা নাকি খুন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাবণ সরেন। বাড়ি আকুই বাজার এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলাশয়ের মধ্যে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপর খবর জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ইন্দাস থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইন্দাস থানার পুলিস। উদ্ধার করে মৃতদেহটি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রবিবার বিকেল থেকে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। এরপর সোমবার বিকেল নাগাদ ওই ব্যক্তির দেহ গ্রামের পাশেই একটি জলাশয় ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা।
তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটি আদৌ আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য তদন্ত করে দেখছে পুলিস। এদিন মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে এমনটাই অনুমান পুলিসের।
সেনকো গোল্ড সোনার দোকানের দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুরুলিয়া জেলা পুলিস। ঘটনায় উদ্ধার প্রচুর সোনা ও টাকা। গ্রেফতার আরও তিন জন। সোমবার দুপরে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিস লাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিস জানিয়েছে ডাকাতি হওয়া সোনা সহ ৩৬লক্ষ টাকার ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার জিনিস পত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এ ঘটনায় আগেই ২ জন গ্রেফতার হয়েছিল। এবার আরও ৩জন গ্রেফতার হওয়ায় মোট আসামি সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ জন।
এদিন পুলিস সুপার জানিয়েছেন, আগে বিকাশ গুপ্তা ও করণজিৎ সিধু গ্রেফতার হয়েছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ইনফরমেশন ভিত্তিতে পুরুলিয়া ঝাড়খন্ড বর্ডারের ঘাগড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়, এদের মধ্যে ওম প্রকাশ প্রসাদ উড়ফে গুড্ডু ও আরেকজন ডাবলু সিং ও অজয় যাদব। এদের বাড়ি ঝাড়খন্ড ও বিহারে।
ঘটনা পর থেকে পুরুলিয়া একটি লজে তাঁরা ডাকাতি সোনা রেখে যায়। তাঁর মধ্যে কিছু সোনা বিক্রি করে। পুলিস সেই লজ থেকে সোনার গহনা ছাড়া বিক্রি করা সোনার যে টাকা ছিলো সেই ৩৬ লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছে। আরও সোনা কোথায় রয়েছে একই সঙ্গে বাকি দুষ্কৃতী দের খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়। তবে ঘটনার মাস্টার মাইন্ড জেলে।
বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছে মাঝে মধ্যেই। কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতারকরা ফাঁকা করে দিচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট। এমনকি ফোনেও আসছে না OTP।
সম্প্রতি কলকাতার পুলিসের তরফের বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি মেনে চললে প্রতারণার ঘটনা কমবে বলেই আশা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ হল দ্রুত বায়োমেট্রিক লক করা। এছাড়াও আনমাস্কড আধার নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধ করা হয়েছে পুলিসের তররফে। প্রয়োজনে পুরো আধার নম্বর না দিয়ে শেষ চারটি ডিজিট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিস।
কীভাবে বায়োমেট্রিক লক করবেন?
আপনার নিজের স্মার্টফোন থেকেই আধারের বায়োমেট্রিক লক করতে পারবেন। তার জন্য এম আধার (mAadhaar) অথবা উমাঙ্গ অ্য়াপ ডাউনলোড করতে হবে।
-প্রথমে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করুন।
-এররপর সেখানে Lock/Unlock biometric অপশন আসবে।
-ওই অপশনে ক্লিক করুন।
-সেখানে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। এরপর রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে OTP আসবে।
-সেই OTP দেওয়ার পর আধারের বায়োমেট্রিক লক হবে।
সম্প্রতি একাধিক এই সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতারণার ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করুন। এবং ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়ে রাখুন।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ভেজা বা তৈলাক্ত হাতে বায়োমেট্রিক ছাপ দেবেন না। এবং সঠিক কারণ না জেনে কোথাও বায়োমেট্রিক দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
স্কুলের ভিতরে দিনের পর দিন ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন অসহায় দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের উপর। শহরের উপকণ্ঠে দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল হরিদেবপুরের একটি হোমের। নির্যাতনের শিকার হওয়া ২ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিল হোমের ৩ সদস্য। শনিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে ছিল এই মামলার শুনানি। গতবারের শুনানিতে ৩৭৬ ধারা এবং পকসো ৬ ধারায় মামলা হয়েছিল ধৃতদের বিরুদ্ধে। শনিবার ধৃতদের ফের পেশ করা হয় বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে। শুনানিতে ধৃত ৩ ব্যক্তির ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী। তবে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, ধৃতরা এই বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিষয়টি প্রিন্সিপালকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিষয়টি গোপন করা হয়।
এদিন আইনজীবী শিবনাথ অধিকারীর আরও দাবি, নির্যাতিতা নাবালিকারা বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নির্যাতিতাদের জবানবন্দি ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের সত্যতা উপস্থাপিত করা যাবে না। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের জামিন দিলে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করেই ধৃতদের পুলিসি হেফাজতের আবেদন সরকারি আইনজীবীর।
বাদী-বিবাদী পক্ষের মতামতের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনে হয়তো আদালতের তরফে মিলবে সুবিচার। দোষীরা পাবে শাস্তি। কিন্ত অসহায় দৃষ্টিহীন নির্যাতিতারা কি ভুলতে পারবে সেই বিভীষিকাময় দিনগুলি? বাস্তবে তাদের প্রতি এই সমাজের কি নেই কোনও দায়িত্ব? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
৫০ হাজার কর্মী ও সমর্থকদের থাকার বন্দোবস্ত করতে চেয়ে দিল্লির দায়রাগঞ্জ থানার ডিপিসিকে চিঠি লিখেছেন সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হুঁঙ্কার দিয়ে রেখেছেন, ট্রেন ভর্তি করে দিল্লিতে লোক নিয়ে যাওয়ার। একুশের মঞ্চ থেকেই সেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি এবার সত্যি সত্যিই ট্রেন ভর্তি করে লোক নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল? গান্ধীজয়ন্তীতে রাজধানীর বুকে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচির তোড়জোড় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থকের রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত করতে চায় তৃণমূল। সেই মতো রামলীলা ময়দানে প্য়ান্ডেল ও তাঁবু খাটাতে চাইছে তৃণমূল শিবির। এদিকে গান্ধী জয়ন্তীর জন্য হাতে আর বেশি সময় নেই। দু’সপ্তাহ বাকি। এত কর্মী-সমর্থকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে, তাই তেড়েফুড়ে আসরে নেমে পড়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েনরা। রামলীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে ফের চিঠি পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ।
উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লির বুকে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লির একাধিক জায়গায় ধরনা কর্মসূচির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতজন কর্মী-সমর্থকের থাকার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করতে পুলিশের থেকে কোনও সবুজ সংকেত এখনও পাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল শিবির থেকে ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লির বুকে প্রতিবাদ কর্মসূচি হবেই।
শহর কলকাতায় অপহরণের ঘটনার ৩ দিনের মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। অভিযোগ ডাক্তার দেখাতে এসে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া। সেখান থেকেই গলায় ব্লেড ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয় এক যুবককে। এরপর পয়সার বিনিময়ের তাঁকে মুক্তি দিলে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন ওই পরিবার। এরপরই তদন্তে নেমে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সূত্রের খবর, ধানবাদ থেকে এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে। তারপর কাকা দুই ভাইপোকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া দেখাতে। সেখানেই মোবাইল সারানোর জন্য ৬ হাজার টাকা চান এক ব্যক্তি। টাকা না দেওয়ায় গলায় ব্লেড ঠেকিয়ে এক যুবককে বাসে তোলার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়েরের তিন দিনের মধ্যে সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হেস্টিংস থানার পুলিস। অপহরণের অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৯ তারিখ ধানবাদ থেকে শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসেন তিন জন। কাকা ও তার দুই ভাইপো ১৩ তারিখ চিকিৎসা করানোর ফাঁকেই ভিক্টোরিয়া ঘুরতে যান। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, কাকা ভিক্টোরিয়া নর্থ গেটের বাইরে ছিল ও দুই ভাইপো ভিক্টোরিয়া ঘুরে সাউথ গেট দিয়ে বাইরে এসে কাকাকে না দেখতে পেয়ে খুঁজতে থাকে। এক ভাইপো বাথরুম করার সময় অন্যজন মোহরকুঞ্জে রাস্তা ধরে এগোতে থাকে।
অভিযোগকারীর বক্তব্য, এক ব্যাক্তি সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। ওই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে একটি ভাঙা মোবাইল দেখিয়ে বলেন ‘সারাই করতে হবে, টাকা দাও’। সে তখন বিষয়টিতে ভয় পেয়ে যাওয়ায় তাঁর গলায় ব্লেড লাগিয়ে একটি বাসে তুলে নেন। তার মধ্যে অন্যজন দেখে বাসে উঠে যাচ্ছে আরও এক ভাই। তার মধ্যে ৬ হাজার টাকা চাওয়া হয় ফোন করে কাকার থেকে। কাকা ৫৫০০ টাকা দেন, তখন ফের তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাকা তাঁর ভাইপোকে পেয়ে হেস্টিংস থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে অপহরণের। বৃহস্পতিবার রাতে দু’জন গ্রেফতার হয়।
প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউট (Shoot Out)। পেট্রোল পাম্পের এক মহিলা কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) সালানপুর থানার (Salanpur Police Station) অন্তর্গত জেমারী এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যে ভাইরাল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ।
যদিও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ওই মহিলা কর্মী মঞ্জু মারান্ডি। তিনি জানান, একটি স্কুটি করে তিন যুবক তেল ভরতে এসেছিল। ৫৫ টাকার তেল ভরে গাড়িতে। তারপর তাঁর চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু মিস ফায়ার হয়ে যায়। এরপর মহিলা কর্মী সহ পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা ছুটে পালাতে শুরু করে। অপরদিকে স্কুটিতে আসা ওই তিনজনও পালিয়ে যায়। তবে পালানোর আগে আরও একবার গুলি করে জানান মঞ্জু।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে সালানপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
'রাজ্যের সমস্ত পুলিসকে কঠোর ট্রেনিং দিন। আইপিসি-সিআরপিসি ভালো করে পড়তে হবে পুলিসকে।' মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে টাওয়ার প্রতারণা মামলায় এভাবেই হাইকোর্টে ফের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য পুলিসকে। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপারের কাছে ক্ষুব্ধ বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ২০১৪ সালের মামলায় কেন চার্জশিট জমা পড়ল ডিসেম্বর ২০২২ সালে? এত বছর পর চার্জশিট কেন? জানতে চায় আদালত।
উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে নন্দকুমার থানার জনৈক এক ব্যাক্তি ২০১৪ সালে লিখিত অভিযোগ করেন টাওয়ার বসানো নিয়ে তার কাছে একটি সংস্থা থেকে ফোন আসে। তাকে বলা হয় ফোর জি টাওয়ার বসানো হবে। পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে টাওয়ার বসিয়ে তার জন্য পর্যাপ্ত টাকাও তাকে দেওয়া হবে। এছাড়াও তার বাড়ির ২ জন লোককে সিকিউরিটি হিসেবে কাজ দেওয়া হবে। তারা জানান সেক্টর ওয়ান, সল্টলেক নিউটাউনে তাদের অফিস। এই ভাবেই প্রলোভন দেখিয়ে ওই ব্যক্তির থেকে প্রতারণা করা হয় কয়েক লক্ষ টাকা। ওই জনৈক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগ যায় ওই অফিসে। এবং সেখানে দেখা যায় ভুয়ো লোগো ও ভুয়ো নাম ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করেছে ওই সংস্থা।
বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ওই অফিস থেকে পুলিস বাজেয়াপ্ত করে বহু নথি। ১৫ জনকে গ্রেফতার করে চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট কোর্ট তমলুক পূর্ব মেদিনীপুরে পেশ করা হয়। ৪ জনের পুলিস হেফাজত ও বাকিদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হেফাজত হয়। কিন্তু সময়মত পুলিস চার্জশীট জমা না দেওয়ায় সকলেরই জামিন হয়ে যায়। এবং প্রায় ৯ মাস পরে পুলিস চার্জশীট জমা দেয়।
সেই মামলাতেই মঙ্গলবার শুনানিতে রাজ্য জুড়ে ডিজিকে নির্দেশ এবার থেকে চার্জশিট নিম্ন আদালতে জমা দেবে তদন্তকারী অফিসার। তার পর সেটা আইন মেনে কাজ হবে। আর আদালতের নির্দেশের পর এখন দেখার পুলিসের হুঁশ ফেরে কি না।
কলকাতায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের কিনারা করল পুলিশ। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ লেক থানা এলাকার সেলিমপুরের কাছে স্কুলের সামনে থেকে এক ছাত্রকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে কলকাতা পুলিশ কসবা থেকে ওই অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে। সহপাঠী উত্যক্ত করে এই অভিযোগ জানিয়েছিল বোন। বোনের কথাতেই ওই ছাত্রকে ‘সবক’ শেখাতে কিশোরীর দাদা এই কাণ্ড ঘটান বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর নাগাদ সেলিমপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যমের সামনে অপহরণের ঘটনা ঘটে। ওই অপহৃত ছাত্রের সহপাঠীরা জানাচ্ছেন, স্কুল থেকে বেরনোর সময় তাকে ঘিরে ধরে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন। তারা বাইক নিয়ে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর ওই ছাত্রকে মারধর করে টেনে-হিঁচড়ে বাইকে তুলে সেখান থেকে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে কোকেন-সহ গ্রেফতার ৭ জন। উদ্ধার হওয়া মাদকের ওজন ১৬৫ গ্রাম। আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা। জেরা করে বাকিদের খুঁজছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগে হাওড়া থেকে এসটিএফ-এর তল্লাশিতে কোকেন উদ্ধার হয়। সেই সূত্র ধরেই একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পায় এসটিএফ। সেই অনুযায়ী এসটিএফ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হাজির হয়। গাড়ি ও বাইকে মোট ৬ জন যুবক ওই জায়গায় আসে। কিছুক্ষণ পর আরও একজন আসে। ওই ৭জনকেই গ্রেফতার করে এসটিএফ।
জানা গিয়েছে , ধৃত অবিনাশ কুমারের থেকে মাদক নেওয়ার কথা ছিল ৬ জনের। তার আগেই মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
দোকানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপহৃত অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী (Student)। অপহরণের পর উদ্ধার হলেও নাবালিকাকে ফেরত আনতে যেতে টাকা চাইছে পুলিস। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। তাহলে রক্ষকই ভক্ষক? উঠেছে এমনই প্রশ্ন। গাজিয়াবাদে নাবালিকাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাইছে স্থানীয় চাঁচল থানার (Chanchal Police Station) অন্তর্গত খরবা ফাঁড়ির পুলিস। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Malda) চাঁচল থানার মল্লিক পাড়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত সাত দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মল্লিকপাড়া এলাকার এক নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার। অভিযোগের তীর এক প্রতিবেশী বান্ধবীর বিরুদ্ধে। তারপর বৃহস্পতিবার দিল্লির গাজিয়াবাদ থানা থেকে খবর আসে ওই থানায় রয়েছে নাবালিকা। অপহরণ করে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাচারের উদ্দেশে। রাস্তায় কোনও এক সহৃদয় ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় দিয়ে আসে।
এই মুহূর্তে ওই থানা থেকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে বলা হয়েছে, স্থানীয় থানা উপযুক্ত প্রমাণ সহ গেলে তবেই নাবালিকাকে ছাড়বে পুলিস। ওই নাবালিকার পরিবার খরবা ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন। কিন্তু নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিসের নাম করে ওই ফাঁড়ির এক সিভিক নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার জন্য চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেলে তারা কোনোভাবে নাবালিকাকে দিল্লি থেকে চাঁচলে আনতে পারবেনানা বলেও জানান। নাবালিকার পরিবারের এই অভিযোগ সামনে আসতে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
মহানন্দা নদীর তীরে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস ওই নাবালিকার পরিবার। হতদরিদ্র, দিনমজুর পরিবারের সামর্থ্য নেই সেই টাকা যোগানের। মেয়েকে ফেরানোর চিন্তায় ব্যাকুল মা। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইন যোগ করল পুলিশ। কলকাতা পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ওই কাণ্ডে পকসো ধারা যোগ করা হতে পারে। সেই মোতাবেক এবার আদালতে উপযুক্ত তথ্য সহ পকসো ধারা যোগ করার আবেদন জানায় যাদবপুর থানার পুলিস। এরপরই আদালতের অনুমতিতে যাদবপুর কাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন যোগ করল পুলিশ। এদিকে ধৃতদের আজ অর্থাৎ শুক্রবার আদালতে তোলা হলে, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের তিনতলা বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে, ব়্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তদন্তে নেমে প্রাক্তন পড়ুয়া সহ মোট ১২ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় পরিকল্পনা মাফিক খুন ও ৱ্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে, প্রথম গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। তাঁকে জেরা করেই বাকিদের নাম জানতে পারে পুলিশ। এবং ধাপে ধাপে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছিল জয়দীপ ঘোষ নামে এক প্রাক্তনীকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতে পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত।
বিমান সেবিকা (Air Hostess) খুনে অভিযুক্ত ছিল এক ব্যক্তি, তাকে লক আপে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ, শুক্রবার এই অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছে বলে প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগেই এক বিমান সেবিকা খুনে অভিযুক্ত হয়েছিল ৪০ বছর বয়সী বিক্রম আটওয়াল। সূত্রের খবর, এদিন সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রের খবর, গত রবিবার প্রশিক্ষণরত বিমানসেবিকা রুপাল ওগ্রেকে আন্ধেরির একটি আবাসনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পর তাঁর আবাসনের এক সাফাইকর্মী বিক্রম আটওয়ালকে তাঁকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার এই হত্যাকাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছিল বলেই জানিয়েছে পুলিস। এর পর তাকে পুলিসি লক আপে রাখা হলে শুক্রবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে অভিযুক্ত, বিক্রম আটওয়াল তার প্যান্ট ব্যবহার করে আত্মঘাতী হয়েছে।
কিন্তু পুলিসি নিরাপত্তার মধ্যে থেকেও কীভাবে অভিযুক্ত যুবক আত্মহত্যা করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোমবার গ্রেফতারির পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিস। হেফাজতে থাকাকালীন বৃহস্পতিবার রাতে আটওয়াল আত্মহত্যা করে বলে পুলিস জানিয়েছে। তবে আটওয়াল কেন আত্মহত্যার পথকে বেছে নিল, তা খতিয়ে দেখতে সেলের অন্য বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।
বুধবার সোদপুর স্টেশন রোডে চিত্রশিল্পী ও তাঁর মা-কে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিস প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস-এর স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠল। খড়দহের মুখার্জী রোডের বাসিন্দা জলি বিশ্বাসের অভিযোগ, ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছেন আবাসনের কমিটির সদস্য প্রাণগোপাল সাহা সহ অন্যান্য সদস্যরা। খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতারা।
জলি বিশ্বাস ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়, শুরু হয় একের পর এক নিগ্রহ। অভিযোগ, ফ্ল্যাটের সামনে নোংরা আবর্জনা ফেলা রেখে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে আবাসনের কোনও বাসিন্দাই প্রাক্তন পুলিস কর্তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন না। আতঙ্কে গৃহবন্দি রয়েছেন জলি।
গত ২০২০ সালে মৃত্যু হয় প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের। মৃত্যুর ৩ বছর পর আচমকাই আবাসন থেকে চাপ দেওয়া শুরু হল। খড়দহ থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আতঙ্কে গৃহবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছেন জলি বিশ্বাস ও তাঁর মেয়ে।
আবাসনে বসবাসেও নেই নিরাপত্তা? সামান্য আবাসন কমিটির সদস্য হয়েই এত বাড়বাড়ন্ত? নাকি মাথায় প্রভাবশালী হাত থাকার সুবাদেই এই সাহস? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস। খড়দহ থানার হস্তক্ষেপে এলাকার নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত হয়, সেটাই দেখার।
দীর্ঘদিন ধরেই ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য। এবার তা নিয়ে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। আগামী মাসে রাজধানীতে বড়সড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চলেছে তারা। তার জন্য ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
চলতি বছরের ২ এবং ৩ অক্টোবর মোট তিনটি জায়গায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের যে সব শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি তাঁরাও ওই সমাবেশে যোগ দেবেন। লোধি স্ট্রিটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। পাশাপাশি, কৃষি ভবন এবং যন্তর মন্তরেও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রমীণ কর্মসংস্থান আইনের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছেন না। বরাবর এমনই অভিযোগ তুলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইমতো রাজ্যের বঞ্চিত শ্রমিকদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে।