Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Poem

Mamata: লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষ্যে বিশেষ কবিতা লিখলেন মমতা

লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষ্যে বিশেষ কবিতা লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম দিয়েছেন 'আমার লক্ষ্মী।' শনিবার বিকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ওই কবিতা প্রকাশ করেন তিনি।

মোট ২৪ লাইনের ওই কবিতার একাধিক বিষয় উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গ যেমন টেনেছেন তেমনই বৈষম্যের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার নিজের লেখা কবিতাতেও সেই বিষয়টি উল্লেখ করলেন।

শুধু এখন নয়, এর আগেও একাধিক বিষয়ে কবিতা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেও কবিতাকে হাতিয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফের লক্ষ্মী পুজোর দিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতা প্রকাশ তাঁর। 

7 months ago
Special:আধুনিক বাংলা কবিতায় জীবনানন্দ দাশের স্থান (দ্বিতীয় পর্ব)

জীবনানন্দ দাশ বাংলার প্রাণকে খুঁজে পান নরম ধানের গন্ধে, ঘ্রাণে, হাঁসের পালকে, চাঁদা সরপুটিদের সুবাসে, কিশোরীর চাল ধোঁয়া ভিজে হাতে, লাল লাল বটফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতায়। বিষন্ন চড়াই, শ্যামার গান, কাকের শব্দ, কুকুরের উদাস ডাক, খঞ্জনার নাচ, গাঙশালিখের ঝাঁক, ধবল বক, লক্ষ্মী পেঁচা, শঙ্খ চিল, আম কাঠাঁলের গাছ, কীর্তন-ভাসান-রুপকথা-যাত্রা-পাঁচালীর নিবিড় ছন্দ। এমনি আরও কত অন্তরঙ্গ ছবি তাঁর কবিতার বিষয়, প্রিয় অনুষঙ্গ।

তাঁর কবিতায় বিষন্নতা আছে, আছে স্বপ্নালোকের অভিসার বাসনা। কিন্তু স্বপ্নাভিসারই তাঁর কাব্যের শেষ কথা নয়। তাঁর শেষ পর্বের অনেক কবিতায় কঠোর বাস্তবতার স্পর্শ রয়েছে। সমাজের নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাত কবিমনে ঢেউ তোলে। বাস্তবের নানা জটিলতা ঘাত-প্রতিঘাতের নানা তরঙ্গে তিনিও বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে তা কখনই সোচ্চার নয়। কবিতায় চির যৌবনের জয় দৃপ্ত ঘোষণা নেই, নেই অগ্নিবীনার সুর। তিনি সমাজের রুক্ষতায়, মানুষের আচরনে ব্যথা পান। মাঝে মাঝে তাঁর মনে হতাশার ছবিও উঁকি মারে। এ যুগে কোথাও কোনও আলো, কোনও ক্লান্তিময় আলো চোখের সমুখে নেই যাত্রিকের।

তবে হতাশাই শেষ কথা নয়। এরপরেও আছে আশার আলো। বিশ্বাসের ছবি। জীবনানন্দের কবিতাতে শুনি সেই আশ্বাসের সুর। তাঁর লেখায় ধ্বনিত হয় গভীর প্রত্যয়ের ঝরনা। জীবনানন্দ গতানুগতিক প্রবাহের কবি নয়। তিনি হলেন বিরল কবিদের একজন। তাঁর কবিতায় ভাষারীতি হলো বিশিষ্ট। তাঁর ছন্দ, শব্দ ব্যবহার আমাদের অভিভূত করে। প্রতীক ও চিত্রকল্প ব্যবহারে তিনি অনন্য। জীবনানন্দ দাশের প্রধান ও প্রথম পরিচয় তিনি কবি। কবিতার সাধনাতেই তিনি অধিকাংশ সময় মগ্ন থেকেছেন। জীবনানন্দ দাশের কবিতা সবার জন্য নয়, কবিতা রসিকদের জন্যই তাঁর কবিতা।

one year ago
Poem: আধুনিক বাংলা কবিতায় জীবনানন্দ দাশের স্থান (প্রথম পর্ব)

সৌমেন সুর: বাংলা কবিতার দেশ। আধুনিক কালে বাংলার শ্যামল স্নিগ্ধ নরম মাটিতে জন্ম নিলেন সর্বকালের সর্বদেশের আর এক উজ্জ্বল বিস্ময়। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ, আকাশের মতোই তিনি বিরাট, নদীর মতোই তিনি গভীর, অনন্ত। নিঃসন্দেহে তিনি বরেণ্য কবি। এরপর বাংলা কবিতার প্রবাহে এক নতুন ঢেউ উঠলো। সবাই শুনলেন নতুন এক কন্ঠস্বর। বিস্ময়ের আর সীমা রইল না। হাজার বছর ধরে পথহাটা ক্লান্ত প্রাণ এক কবি। চোখে তার শতাব্দীর নীল অন্ধকার। বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই সেই কবি ব্য়ক্তিত্ব হয়ে উঠলো সকলের একান্ত প্রিয়। সেই কবির নাম জীবনানন্দ দাশ। রবীন্দ্র উত্তর যুগের এক ব্য়তিক্রমী কবি।

জীবনানন্দের কবিতার বিষয়-বিষন্ন প্রকৃতি, ইতিহাসের ধূসর পটভূমি, আত্মমগ্ন সৌন্দর্য চেতনা, রোমান্টিক মনন, মানব মনের জটিল রহস্যময়তার স্বরূপ উপলব্ধি। তাঁর কাব্য়ে শুনতে পাই চিরন্তন বাংলার প্রাণের স্পন্দন। এমন নিবিড় মমতা দিয়ে আর কোনও কবি বাংলার প্রাণ প্রতিমা রচনা করেননি। বাংলার কত খাল-বিল, মাঠ-প্রান্তর, ঘাস-লতাপাতা, পাখি তাঁর কবিতায় অমূল্য় সম্পদ হয়ে উঠেছে। 

এই বাংলার সঙ্গেই কবির জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক। এখানেই তাঁর আশা আকাঙ্খা, ব্য়র্থতা-সফলতা। এর আকর্ষণ দুর্নিবার। জন্ম-জন্মান্তরেও এই ঋণ শোধ হওয়ার নয়। বারবার তিনি ফিরে আসতে চান, "ধানসিড়িটির তীরে-এই বাংলায়/ হয়তো মানুষ নয়/হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে/হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে/কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব, এ কাঁঠাল ছায়ায়।" (চলবে)

one year ago