করোনার (Corona) দাপট বিশ্বে সবেমাত্র কমেছে। কিন্তু এরই মাঝে চিনে ফের নয়া রোগের আতঙ্ক। 'অজানা নিউমোনিয়া' অর্থাৎ 'এইচ৯ এন২'-এ চিনে শিশুরা আক্রান্ত হতে শুরু হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালে থিকথিকে ভিড়। এবারে এই রোগ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ আপাতত এই রোগ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। এছাড়াও জানানো হয়েছে, যে কোনও ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য ভারত প্রস্তুত।
মূলত শিশুরাই অসুস্থ হচ্ছে এই 'অজানা নিউমোনিয়া'য়। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এই 'অজানা নিউমোনিয়া' ভারতেও ছড়িয়ে পড়বে না তো, এমনই প্রশ্ন প্রত্যেক ভারতবাসীর। এবারে এই প্রশ্নের জবাবে বিবৃতি প্রকাশ করে কিছুটা স্বস্তি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত চিনের 'অজানা নিউমোনিয়া' ভারতে ছড়িয়ে পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চিনে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ফুসফুসের সংক্রমণ ও এইচ৯এন২ সংক্রমণের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ভারতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বর্তমান পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে ভারত যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গেই লড়াই করতে প্রস্তুত।
সারা বিশ্বে করোনার (Corona) দাপট আপাতত কমেছে, মানুষ ফের স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে শুরু করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ফের এক রহস্যজনক রোগের প্রকোপ শুরু হল। আর এবারও এর শুরু চিন থেকেই। 'অজানা নিউমোনিয়া' বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে এই রোগকে। জানা গিয়েছে, মূলত শিশুরাই অসুস্থ হচ্ছে এতে। ইতিমধ্যেই এই রোগের জন্য স্থানীয় স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, 'অজানা' এই নিউমোনিয়া রোগ মূলত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশের স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়েছে। এই দুই জায়গায় শিশু হাসপাতালগুলি নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুতে ভরে গিয়েছে। ১২ নভেম্বর এক সাংবাদিক বৈঠক করে চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন সম্ভবত প্রথমবারের মতো বাড়তে থাকা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিল। হাসপাতালগুলিতে অজানা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে বলে দাবি।
জানা গিয়েছে, অজানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের মূলত জ্বর হচ্ছে, ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে শিশুদেরই এই রোগ হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সেভাবে ছড়াচ্ছে না রোগটি। কিন্তু এই রোগে এখনও পর্যন্ত কোনও রোগীমৃত্যুর কোনও খবর আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। অজানা এই নিউমোনিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'।
শহরের হাসপাতালে অব্যাহত জ্বর-শ্বাসকষ্টে শিশুমৃত্যু (Child Death)। বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২৪ ঘন্টায় অন্তত চার শিশুর মৃত্যু। রবিবার সকালে বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও দুই শিশুর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক আড়াই বছরের শিশুকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশুটি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার কার্তিকপুরের বাসিন্দা। জ্বর থেকে নিউমোনিয়া হয়। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার বা পিকুতে (PICU) ভর্তি ছিল শিশুটি। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার আইসিইউ-তে বেডের প্রয়োজন থাকলেও তা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চৈতালের বাসিন্দা ৭ মাসের শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। গত ৯ দিনে বিসি রায় হাসপাতালে মোট ৩৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিসি রায় হাসপাতাল শহরের অন্যতম পেডিয়াট্রিক কেয়ার হাসপাতাল। তবে রবিবার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ বিভাগ খোলা থাকলেও বন্ধ ছিল হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিক। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা মানুষদের। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিদিনই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে ফিভার ক্লিনিক। তবে রবিবার কেন বন্ধ এই বিভাগ তা স্পষ্ট নয়। এমনটাই অভিযোগ রোগী পরিবারের।
অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিত্রটা একটু আলাদা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘন্টায় ২৪ জন অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশু ভর্তি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগে। তবে গত ৪৮ ঘন্টায় কোনও শিশুর মৃত্যুর খবর নেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে স্বস্তির খবর মিললেও শিশুমৃত্যু অব্যাহত বিসি রায় হাসপাতালে।
জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় নিউমোনিয়ার (Pneumonia) প্রকোপে ফের শিশুমৃত্যু কলকাতায়। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত শহরের দুই হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু। বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে একজন সদ্যোজাত, অপরজনের বয়স প্রায় ৪ বছর (৩ বছর ৮ মাস)। এই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বুধবার সকালে। তবে এই দু'জনের অ্যাডিনো (Adeno virus) ছিল কিনা হাসপাতাল সূত্র কিছু নিশ্চিত করেনি। অপরদিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৭ মাস, অপর জনের বয়স ২২ দিন।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে ৪ বছরের যে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে, সে গোবরডাঙার বাসিন্দা। তাকে প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। ২৬ তারিখ সে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে বের করলে বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় খুদের। জানা গিয়েছে, জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু। পাশাপাশি বিসি রায় হাসপাতালে মৃত দ্বিতীয় শিশু রবিবার ভূমিষ্ট হয়েছিল। শিশুটি বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেদিন বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাসাত নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা এই শিশুর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। ফলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ৭ মাস। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে চুঁচুড়া ইমামবারা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসে কলকাতার হাসপাতালে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ভর্তি ছিল সে। বুধবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে সেই শিশুর। তাঁর শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। জানা গিয়েছে, সেই শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল। হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে অ্যাডিনোর জেরে হওয়া নিউমোনিয়া মিটে গেলেও হার্টের সমস্যার জেরেই মৃত্যু।
অপরদিকে, দ্বিতীয় শিশুর বয়স ২২ দিন। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি। উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল তাকে। অ্যাডিনো ভাইরাস পজিটিভ ছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মৃত্যু হয়েছে তার।
ফের সিনে দুনিয়ায় শোকের ছায়া। মাত্র ৩১ বছরেই প্রয়াত তরুণ পরিচালক। জীবনের প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই প্রয়াত দক্ষিণী ছবির পরিচালক জোসেফ মনু জেমস (Joseph Manu James)। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) মালায়ালম পরিচালকের (Malayalam Director)।
জোসেফ মনু জেমসের আচমকা প্রয়াণের খবরে সকলে স্তম্ভিত। বেশ কিছুদিন ধরেই চিকিৎসাধান ছিলেন নবাগত পরিচালক জোসেফ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবন যুদ্ধে হার মেনে নেন। রবিবার কোট্টায়ামের কুরাভিলাঙ্গাদের একটি গির্জায় তার শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়। শীঘ্রই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি 'ন্যান্সি রানি'। পরিচালকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ছবির অভিনেতা থেকে শুরু করে সকলে।
ডেবিউ পরিচালকের প্রথম ছবি ন্যান্সি রানিতে অভিনয় করেছেন অহনা কৃষ্ণা। পরিচালকের মৃত্যুতে তিনিও একেবারে হতচকিত। জোসেফের মৃত্যুতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি লিখেছেন, "তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি মনু! এটা তোমার সঙ্গে হওয়া মোটেই উচিত হয়নি।" বাকি কলাকুশলীরাও শোকসন্তপ্ত। তরুণ প্রাণের মৃত্যুর এই খবর যেন কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না।
শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় জগতে পা রেখেছলেন তিনি। ২০০৪-এ ‘আই অ্যাম কিউরিয়াস’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন। মালায়ালম, কন্নড় ও হিন্দি ছবির দুনিয়ায় সহ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রয়াত তারকা জোসেফ।
রেসপিরেটরি ইনফেকশনের (Respiratory Infection) কারণে শহরের হাসপাতালে মৃত্যু এক ছয় মাসের শিশু। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার বাসিন্দা সেই খুদে (New Born Baby) ভর্তি ছিল। জানা গিয়েছে, সর্দি, কাশি, জ্বর ছিল তার। শনিবার তাকে ভেন্টিলেশন (Ventilator) থেকে বের করে রবিবার একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। নিউমোনিয়া বা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ফেলিওরের কারণে সেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও শিশুর পরিবার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসার গাফিলতিকে দায়ী করেছে। কিন্তু মৃত্যু শংসাপত্রে উল্লেখ নিউমোনিয়ার প্রসঙ্গ। ইতিমধ্যে শিশুদের মধ্যে এই রেসপিরেটরি ইনফেকশন ঠেকাতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকায় জানিয়েছে, প্রত্যেক হাসপাতালে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আক্রান্তদের নমুনা প্রতিদিন পাঠাতে হবে। এই নির্দেশিকা পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত ভাঙরের শিশু। এদিকে, বিসি রায় হাসপাতালে ২৫ বেডের রেসপিরেটরি ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। মৃত শিশুর পরিবারের বক্তব্য, 'বাচ্চার সর্দি-কাশি ছিল। হাসপাতাল বলেছিল নিউমোনিয়া হয়েছে। ভেন্টিলেটর ওয়ার্ডে চার দিন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছিল। দিন কয়েক আগে জ্বর আসে, সে মোতাবেক চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু রবিবার একটা ইনজেকশন দেওয়ার পরেই বাচ্চার মৃত্যু। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ নিশ্চয় জানাবো।'