বুধবার ভোররাতে আগুন লাগে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার কয়লা ডিপো অঞ্চলের একটি প্লাস্টিক রিসাইকেলিং কারখানায়। আনুমানিক এদিন রাত ২ টো নাগাদ আগুন লাগে ওই কারখানায়। রাত ২:৩০ নাগাদ খবর দেওয়া হয় দমকলবাহিনীকে। মূলত ওই কারখানায় প্লাস্টিক রিসাইকেলিং-এর কাজ করা হত। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পৌঁছয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন দ্বারা আগুন নেভানোর কাজ চললেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে পরবর্তীতে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। একইসঙ্গে ব্যবহার করা হয় পোর্টেবল পাম্প মেশিন। দমকলের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ কুলিং প্রসেস চালিয়ে যান দমকলের আধিকারিকরা। যাতে আর কোনো পকেট ফায়ার থেকে পুনরায় না আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই দিকেই নজর রাখছে দমকলের কর্মীরা। আগুন লাগার পর নিমেষেই সমস্ত কিছু পুড়ে যায় এবং কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। যদিও কোথা থেকে কীভাবে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।
বাংলায় মিড-ডে মিলের খাবারে কখনও দেখা গিয়েছে, টিকটিকি, কখনও দেখা গিয়েছে সাপ। আর এই খাবার খেয়ে রীতিমতো অসুস্থও হয়েছে বহু শিশু। কিন্তু এবারে চেন্নাইয়ের (Chennai) এক নামী রেস্তোরাঁর খাবারে দেখা গেল আস্ত প্লাস্টিক। ঘটনাটি মঙ্গলবারের। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই চেন্নাইয়ের এক রেস্তোরাঁর (Restaurant) বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল যে, সেখানকার খাবার খেয়ে মানুষ ফুড পয়জনিং-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন। এরপরই মঙ্গলবার সেই রেস্তোরাঁয় হানা দেয় ফুড সেফটি আধিকারিকরা। এরপরই প্রকাশ্যে যা এল তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের।
চেন্নাইয়ের যে রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল, সেখানেই মঙ্গলবার তদন্ত করতে যান ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথারিটি অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। তাঁরা সবকিছু খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেন। এরপর সমস্ত খাবারের গুণমান দেখতে গিয়ে তাঁদের চোখ কপালে উঠে যায়। এক বড় পাত্রে রাখা সাম্বার ও কারি নাড়তে উঠে আসে এক আস্ত প্লাস্টিকের প্যাকেট। খাবারে কীভাবে প্লাস্টিক এল, তা জিজ্ঞাসা করলে রেস্তোরাঁর লোকেরা ভয় পেয়ে যান। এছাড়াও রান্নাঘরের চারপাশে মাছি ও নোংরা পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, ফ্রিজার থেকে বাসি মাংস ও মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া খাবারও উদ্ধার করা হয়।
রেস্তোরাঁর এমন অবস্থা অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেন আধিকারিকরা। রেস্তোরাঁর এমন শোচনীয় পরিস্থিতি দেখে রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া দেয় ফুড সেফটি বিভাগের আধিকারিকরা।
হিমাচলে জলের তোড়ে বাড়ি-গাড়ি-হোটেল ভেসে যাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে আগেই। এবার আরও ভয়াবহ এক ছবি দেখল দেশবাসী। জলের স্রোতে রাশি রাশি আবর্জনার স্তূপাকারে এসে জমা হয়েছে এক সেতুর ওপর।
যত্রতত্র ফেলা হয়েছিল আবর্জনা, প্লাস্টিক। সেসবই ফিরিয়ে দিয়েছে নদি, পাহাড়ের মতো সেই জঞ্জালের পাহাড় এসে জমেছে এক সেতুতে। মাটির সঙ্গে মিশে যায় না, এমন আবর্জনায় ভরে উঠেছে সেই জঞ্জালের স্তূপ।
আইএফএস প্রবীণ কাসওয়ান সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। অনেকেই মনে করছেন এ যেন মানুষের পরিবেশকে ভাল না বাসারই অভিশাপ, সব ফিরিয়ে দিয়েছে নদি। কেরালার বন্যাতেও গতবছর ঠিক এরকমটাই হয়েছিল।
গত কয়েকদিন ধরেই বন্যা পরিস্থিতির শিকার হিমাচল প্রদেশ। সরকারও চেষ্টা চালাচ্ছে সমান ভাবে এ বিষয়ের মোকাবিলা করার। এই বন্যায় আপাতত বহু গবাদি পশুর প্রাণ গিয়েছে। এছাড়া বহু মানুষ গৃহহীন। এ পরিস্থিতিতে প্রকৃতি শিখিয়ে দিল তাঁর সঙ্গে অন্যায় বেশিদিন চলে না, সেটা প্রকৃতি মানুষকেই ফিরিয়ে দেবে। এ ছাড়া এঘটনায় মানুষকে প্রকৃতি শিক্ষা দিল প্রকৃতি সর্বোচ্চ শক্তিশালী।
ভর সন্ধ্যাতেই একি কাণ্ড! বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল একটি শিয়াল (fox) বাবাজি। তবে মুখে প্লাস্টিকের কৌটো (Plastic box) আটকে যাওয়ায় দম বন্ধ হয়ে প্রায় মরণাপন্ন অবস্থা। ওই বাড়ির সদস্য এবং স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারছিলেন না শিয়ালটিকে। অবশেষে খবর যায় বনকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের। রাতে খবর পেয়েই তাঁদের যৌথ চেষ্টায় এযাত্রায় প্রাণে বাঁচলেন "শেয়াল রাজা"। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মোহিতনগরের জোড়দিঘী এলাকার।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যাবেলা স্থানীয় এক যুবক দিবাকর দাস খেয়াল করেন তাঁদের বাড়ির মধ্যে বড়সড় কোনও একটি বন্য জন্তু ঢুকে পড়েছে। তবে কাছে যেতেই দেখেন জন্তুটির মুখে একটি প্লাস্টিকের কৌটো আটকে রয়েছে। কষ্টও পাচ্ছে সে। দিবাকর স্থানীয় কয়েকজন যুবককে ডেকে আনেন সাহায্যের জন্য। কিন্তু জন্তটির মুখ না দেখা যাওয়ায় প্রথমে কাছে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না ওই যুবকেরা। পরে তাঁরা সাহস করে এগিয়ে গিয়ে দেখেন সেটি একটি শেয়াল। সম্ভবত, খাবারে খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছিল।
তাঁদের অনুমান, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বিস্কুটের ওই প্লাস্টিকের কৌটোতে খাবারের গন্ধ পেয়ে মুখ ঢুকিয়ে দেয় শিয়ালটি। কিন্তু আর বের করতে না পারায় দম বন্ধ হয়ে প্রাণ যাওয়ার জোগাড় হয়। স্থানীয় যুবকেরা কৌটোটি খোলার চেষ্টা করলেও পারেননি। শেষমেশ খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখায়। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে, ঘণ্টা খানেকের কসরৎ-এর পর শিয়ালের মুখ থেকে কৌটো খুলতে সমর্থ হন। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর শিয়ালটিকে একটি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এযাত্রা প্রাণ ফিরে পেয়ে এক ছুটে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন "বনগাঁয়ের শেয়াল রাজা"। মনে মনে হয়ত ধন্যবাদও জানায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখা ও স্থানীয় যুবকের এহেন কাজে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্লাস্টিক (Plastic) সমাজের শত্রু। বারেবারে এই নিয়ে প্রচার থেকে অভিযান, সবই করা হয়েছে কিন্তু ফল তাতেও মেলেনি। সম্প্রতি, প্লাস্টিক ব্যবহারে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। প্লাস্টিক বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আইন করে জরিমানা (penalty) ধার্যও করা হয়েছে। তা সত্ত্বে এখনও বহু মানুষ অনেকটাই অসচেতন। এমতাবস্থায় উত্তর দমদম (North Dumdum) পুর এলাকায় মানুষ কতটা সচেতন এবং প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে কীভাবে পুরসভা ব্যবস্থা নিচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে বাজারে ঘুরে দেখলেন কেন্দ্র ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অধিকারিকেরা।
এদিন বাজারে ক্রেতা বা বিক্রেতারা ব্যাগ না প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন তা খতিয়ে দেখা হয়। বেশ কিছু সময় তা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে প্লাস্টিক নিয়ে পুরসভার ভূমিকার প্রশংসা করেন। উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান জানান, মানুষ প্লাস্টিক নিয়ে বর্তমানে যথেষ্টই সচেতন। তাঁরা আশা করছেন এই পুর-এলাকা কিছু দিনের মধ্যে গ্রিনজোন হিসেবে ঘোষিত হবে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক শিশির মণ্ডল জানান, আগেই তাঁদের কাছে খবর ছিল প্লাস্টিক বর্জনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর দমদম পুরসভা। সোমবার বাজারগুলি ঘুরে তাঁরা সেটাই পর্যবেক্ষণ করেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথেষ্ট সন্তুষ্ট তাঁরা। তাঁরা আশাবাদী আগামীদিনে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে।