
বাড়ি ফিরলেন পিয়ালি (Piyali Basak)। মাকালু (Makalu) জয় করে অবশেষে শনিবার চন্দননগরে ফিরেছেন বাংলার এই পর্বতারোহি। গত ১৭ মে সামিটের পর তুষারঝড়ের মধ্যে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। এক রুশ এবং তাঁর শেরপার সাহায্য ওই দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই পান তিনি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পিয়ালিকে ভর্তি করা হয়েছিল কাঠমান্ডুর হাসপাতালে। সেইসব ঝঞ্ঝা কাটিয়ে অবশেষে বাংলায় ফিরলেন পিয়ালি বসাক।
প্রবল তুষার ঝড়ে চোখ ও পায়ের সমস্যায় পড়েছিলেন পিয়ালি। বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন কাঠমান্ডুর হাসপাতালে। সম্প্রতি সেখান থেকে ছাড়া পান। এরমধ্যে এই ঝড়ের ফলে তাঁর ব্যাগ থেকে অনেক মূল্যবান কাগজ হারিয়ে যায়। প্রথমবার কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে গিয়েও তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছিল। অবশেষে যাবতীয় চেষ্টার পর শনিবার নিজের বাড়িতে ফিরলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা পিয়ালি।
দুর্গম পথ, প্রতি পদে মৃত্যু, আমৃত্যু যুদ্ধ পেরিয়ে অবশেষে স্বস্তি। ঘরে ফিরছেন পর্বতারোহী (Mountaineer) পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা পৌঁছনোর কথা ছিল পিয়ালীর। কিন্তু কিছু নথি খুঁজে না পাওয়াতে এদিন সে তাঁর বিমানটি সময় মতো ধরতে পারেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএন ডিজিটালকে পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক জানান, তিনি বৃহস্পতিবার ফিরতে পারবেন না। বৃহস্পতিবারের বদলে তিনি শুক্রবার ফিরছেন।
মাকালু জয়ের পর পর প্রথমে নিখোঁজ হলেও পরে উদ্ধার করা হয় পিয়ালীকে। তারপর কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দীর্ঘ দিন। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে ছিল গোটা রাজ্য।
গত মাসে অক্সিজেন ছাড়া মাকালু অভিযান শুরু করেন পিয়ালী। সফলভাবে শৃঙ্গজয়ের পরে নেমে আসার পথে সমস্যার শুরু, প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে কাঠমাণ্ডু নিয়ে আসা হয়। পিয়ালীর দু'পায়েই প্রবল ফ্রস্টবাইট হয়েছিল, করে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন পিয়ালী। আপাতত, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। বাংলার গর্ব পিয়ালীর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় গোটা রাজ্যবাসী।
গত বছর এভারেস্ট জয়ের পর এ'বছর পিয়ালী প্রথমে অন্নপূর্ণা, তারপর মাকালু জয় করেন।
মাকালু জয়ের পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)। যদিও পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। মাকালু (Makalu) জয়ের পর বিপদ কাটেনি বাংলার পর্বতারোহী পিয়ালী বসাকের। অসুস্থ অবস্থায় কাঠমাণ্ডুর (Kathmandu) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পিয়ালী। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে খানিকটা হলেও উদ্বেগ পরিবারের সদস্যদের। পিয়ালীর পরিবার সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পিয়ালীকে কাঠমান্ডুর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে অক্সিজেন ছাড়া মাকালু অভিযান শুরু করেন পিয়ালী। সফলভাবে শৃঙ্গজয়ের পরে নেমে আসার পথে সমস্যার শুরু, প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন, পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে কাঠমাণ্ডু নিয়ে আসা হয়। পিয়ালীর দু'পায়েই প্রবল ফ্রস্টবাইট হয়েছে বলে খবর। নতুন করে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছেন পিয়ালী। গত বছর এভারেস্ট জয়ের পর এ'বছর পিয়ালী প্রথমে অন্নপূর্ণা, তারপর মাকালু জয় করেন।
বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট মাকালু (Mount Makalu) জয় করলেন পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। হুগলি চন্দননগরের মেয়েটি কয়েকমাস আগেও একবার চেষ্টা করেছিলেন ওই শৃঙ্গ অভিযানে। বাবার অসুস্থতার কারণে ফিরে এসেছিলেন। ফের তাঁর জেদ ও সংকল্প তাঁকে বড় সাফল্য এনে দিতে সহায়তা করেছে। এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ের পরে এবার এই শৃঙ্গ জয় করে মুকুটে নয়া পালক যোগ করলেন এই অভিজ্ঞ পর্বতারোহী। ১৭ মে সকালেই পিয়ালি মাউন্ট মাকালুর শৃঙ্গ স্পর্শ করেছেন।
৯ ই মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যেই চন্দননগরের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বঙ্গতনয়া। ১৭ এপ্রিল সোমবার গায়ে জ্বর নিয়েই অন্নপূর্ণা পর্বত শৃঙ্গ অভিযান করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, বাবা অসুস্থ, পিয়ালি ফিরে আসেন বাড়িতে।
সব থেকে বড় বিষয় হল, পিয়ালির জেদ, একরোখা মনোভাব। ২৪ এপ্রিল বাড়ি ফিরে এসে তিনদিনের মধ্যেই তিনি রওনা হন মাকালুর উদ্দেশে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মাকালু বেস ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ফের আরও একটি আট হাজারি শৃঙ্গ জয় করে তিনি নজির গড়লেন। ২০২১ সালে সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলাগিরি জয় করেন তিনি। ২০২২ সালে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখর মাউন্ট এভারেস্ট আরোহন করেছিলেন। তার ঠিক পরেই লোৎসে সামিট করেন। এবারও পিয়ালি প্রমাণ করলেন তিনি থেমে থাকার মেয়ে নন।
ফের ৮ হাজারী পর্বত জয় বাংলার মেয়ে পিয়ালীর (Piyali Basak)। এবার অবশ্য বিনা অক্সিজেনে (Oxygen) হলো না। সূত্রের খবর, সোমবার, ১৭ই এপ্রিল সকাল ৮ টা ৫০ মিনিট নাগাদ অন্নপূর্ণার (Annapurna) শৃঙ্গে পা রাখেন পিয়ালী। পৃথিবীর অন্যতম দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ অন্নপূর্ণার শিখরে পৌঁছেছেন চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালী বসাক। মঙ্গলবার সকালে ৮০৯১ মিটার উচ্চতার শীর্ষে পৌঁছে সেখানে দেশের পতাকা নিয়ে ছবি তোলেন পিয়ালী ও তার শেরপা। তবে এখনি বাড়ি ফেরার পালা নয়। এর পরের চ্যালেঞ্জের রয়েছে মাকালু পর্বতশৃঙ্গ। ঘরের মেয়ের সাফল্যে খুশির হাওয়া গোটা চন্দননগর জুড়ে।
১৭ মার্চ চন্দননগর থেকে যাত্রা শুরু করেন পিয়ালী। তার দুই দিন বাদে ট্রেন থেকে নেমে নেপালের পথে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। যাত্রা শুরু ঠিক এক মাসের মাথায় সোমবার সকালেই নেপালের ওই এজেন্সির তরফ থেকে পিয়ালীর বাড়িতে ফোন করে জানায় সুসংবাদটি।
প্রসঙ্গত পিয়ালী এর আগে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করে নজির গড়ে ছিলেন। একের পর এক আট হাজারি পর্বতমালার শিখরে পৌঁছেছেন তিনি। ধৌলাগিরি, লোথসে, সামিট করে অন্নপূর্ণা ও মাকালুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন এই বঙ্গকন্যা। এর আগে প্রায় বিনা অক্সিজেনেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ধৌলাগিরি শীর্ষে। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য শীর্ষে পৌঁছানোর একটু আগে তাঁকে অক্সিজেন ব্যবহার করতে হয়েছিল। এইবারেও পিয়ালী প্রায় বিনা অক্সিজেনেই পৌঁছে গিয়েছিলেন পাহাড়ের শীর্ষে। তবে সেই আবহাওয়া খারাপের জন্যেই খুব সামান্য পরিমাণে অক্সিজেন ব্যবহার করতে হয় তাঁকে।
বাঙালিকন্যার এভারেস্ট (Everest) জয়, তাও আবার কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়া। এমন সাফল্য ছুঁয়ে নজর কাড়লেন চন্দননগরের (Chandannagar) পিয়ালি বসাক। ভারতীয় সময় রবিবার (IST) সকাল সাড়ে ৮টা এবং নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই কীর্তি গড়েন মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট পিয়ালি (Piyali Basak)। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের আগে অমরনাথ, ধৌলগিরি এবং মানসুলুর শিখর ছুঁয়েছেন এই বঙ্গতনয়া।
কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের সাফল্য এই প্রথম। যদিও তিন বছর আগে এভারেস্টের সাড়ে ৪০০ মিটার দূর থেকে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় হতাশা গ্রাস করলেও, শেষ তিন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই বঙ্গতনয়া। এবার মূলত ক্রাউড ফান্ডিংয়ের ভরসায় ৩ এপ্রিল চন্দননগর থেকে মাউন্ট এভারেস্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন পিয়ালি।
বিশ্বে এমন অনেক পর্বতারোহী রয়েছেন, যাঁরা অক্সিজেন ছাড়াই ৮৮৪৮ মিটার উপরে উঠে এভারেস্ট শৃঙ্গ ছুঁয়েছেন। কিন্তু বাঙালি মেয়ে হিসেবে পিয়ালিই প্রথম যিনি এই রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর এই পর্বতদৃঢ় সাফল্যকে কুর্নিশ জানান এ রাজ্যের অন্য পর্বতারোহীরা।