ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্ত (Jharkhand-Bangla border) সংলগ্ন মাইথনে (Maithon) রয়েছে জাগ্রত মা কল্যাণেশ্বরীর মন্দির (Kalyaneshwari temple)। দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের কাছে পুজো দিতে অসংখ্য ভক্তের ভিড় জমে। করোনার (Covid-19) দুই বছর পর এবার কালীপুজোয় ভক্ত সমাগম প্রত্যেকবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কথিত আছে মা কল্যাণেশ্বরী ভক্তদের সকল দুঃখ-বেদনা দূর করেন।
বাংলার অন্দরে হ্যাংলা পাহাড়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন কল্যাণেশ্বরী মাতার মন্দির। এদিন বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের ভক্তরা তাঁদের মনোবাসনা নিয়ে মায়ের দর্শনে পৌঁছে যান মন্দিরে।জনশ্রুতি রয়েছে, কুষাণদের তাড়া খেয়ে ৩ শতকে হরিগুপ্ত পালিয়ে এসে রাজ্য গড়েন হ্যাংলা পাহাড়ে। মন্দিরও গড়েন তিনি। তবে, এখনকার মন্দিরটি পঞ্চকোটের রাজার তৈরি। অতীতে নরবলির প্রথা ছিল দেবীর থানে। দেবীর কৃত্রিম গুহামন্দির। গুহার দ্বার রুদ্ধ থাকে। গুহামুখে অষ্ট ধাতুর মূর্তি দেবীর। আর অন্দরে সোনার তৈরি দেবীর মূল মূর্তি রয়েছে।
মন্দিরের উত্তরে স্রোতস্বিনী চালনার পাড়ে দেবী কল্যাণেশ্বরী (শ্যামা) রয়েছেন শাঁখা পরে। স্মারক রূপে মন্দির হয়েছে সেখানেও। পায়ের ছাপও রয়েছে পাষাণ বেদিতে দেবীর। আর মন্দির চত্বরেই রয়েছে চতুর্দশ শিব মন্দির। শীতলা মায়ের থানে মনস্কামনা পূরণে ঢিল বাঁধার প্রথাও আছে। শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির তৈরি হয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের প্রবেশপথে। যাতায়াতের জন্য আসানসোল, দুর্গাপুর এবং ধানবাদ থেকে এই উপাসনালয় পর্যন্ত নিয়মিত বাস পরিষেবা পাওয়া যায়।
মন্দিরের পুরোহিতরা জানান যে, দেবনাথ দেবহরিয়া এখানে কঠোর সাধনা করেছিলেন। তার পরে মা তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন। পুরোহিতরা বলেন, দর্শনের পর দেবনাথ দেবহারিয়াও মাকে একটি শঙ্খদান করেছিলেন। মাকে দেখেই সাধক দেবনাথ এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। মা জগতের কল্যাণ করেন, তাই মন্দিরের নাম হয় কল্যাণেশ্বরী। সাধক গুহার ভিতরে অষ্টধাতু মায়ের মূর্তি স্থাপন করেছেন।
মন্দিরের পুরোহিত আরও জানান, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তাঁদের ইচ্ছা নিয়ে এখানে আসেন। যে নিম গাছের নিচে সাধক দেবনাথ সাধনা করেছিলেন। ভক্তরা সেই নিম গাছে পাথর বেঁধে মায়ের কাছে তাঁদের মঙ্গল কামনা করেন। মনোকামনা পূরণের পর ভক্তরা আবার প্রথমে মায়ের দর্শন করে। তারপর নিম গাছে বাঁধা পাথরটি খুলে নদী জলে ফেলে দেন।
তীর্থযাত্রা (Pilgrimage) সেরে ফেরার পথে শনিবার রাতে কানপুরে (Kanpur Accident) পথদুর্ঘটনা। মৃত (Death) অন্তত ২৬ পুন্যার্থী, গুরুতর জখম ২০ জন। মৃতদের বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু। জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীদের নিয়ে পুন্যার্থী বোঝাই গাড়ি পুকুরে উলটে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাক্টর টলি উন্নাওয়ের চন্দ্রিকা মন্দির থেকে ৫০ জনকে নিয়ে ফিরছিল। কানপুরের কাছে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। তারপর একটি পুকুরে পড়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয়রা। খালি হাতেই পুকুর থেকে একের পর এক মৃতদেহ তুলেছেন তাঁরা। পরে পুলিস এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনায় পর শনিবার রাতে শোক প্রকাশ করে মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।। আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।