পিকনিক (picnic) করতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু (Death) দুই যুবকের। শনিবার রামনগর (Ramnagar) থানার অন্তর্গত নৈনানে পিকনিক করতে গিয়ে নদীতে স্নান করতে নেমে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রামনগর থানার অন্তর্গত নৈনানে পিকনিক করতে গিয়েছিল তিন যুবক। তার মধ্যে রয়েছে বেহালার দুই যুবক। একজন পনশ্রী থানার অন্তর্গত নাম অরিত্র বসু, নবপল্লীর বাসিন্দা এবং আরেকজন সানু প্রসাদ, বেহালা পাঠক পাড়ার বাসিন্দা। বেহালার এই দুই বাসিন্দা অরিত্র এবং সানু নৈনানে নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায়। এরপর জেলেরা ওই দুুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অরিত্রের পরিবারের লোকের বক্তব্য, অরিত্র সাঁতার জানত না। ঘটনায় পরিবারের উপর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সানু প্রসাদ-এর বাড়ির লোকের বক্তব্য, এরা তিনজনের কেউই সাঁতার জানত না। স্নান করতে গিয়েছিল নদীতে সেখানে গিয়েই তলিয়ে যায়।
হরিণ শিকার (Hunting) করে আবার তার মাংস দিয়ে বনভোজন (Picnic) করার অভিযোগ উঠল এক শিকারি দলের বিরুদ্ধে। সমাজমাধ্যমে সেই বনভোজনের একটি ভিডিও পোস্ট করে পুলিস ও বন দফতরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে একদল শিকারি।
সোমবার সমাজমাধ্যমে এক নির্মম জীব হত্যার (Animals Kills) ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি হরিণ শিকার করে পরে সেটিকে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তারপর সেই হরিণের চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কেটে সেই মাংস দিয়েই আবার বনভোজনও করা হচ্ছে। ভিডিওটি দেখামাত্র প্রাথমিক তদন্তে পুলিস অনুমান করে জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে লুনি থানা এলাকার পান্নে সিংহ নগরের কালিজলের কাছাকাছি।
বন্যপ্রাণ সুরক্ষাকর্মী ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, জোধপুর-বারমের সীমানায় চোরাশিকারিদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। ০০৯ নামে একটি শিকারির দল কয়েকদিন ধরেই এই অঞ্চলে আসা যাওয়া করছিল। সেই শিকারির দলটিই এই হরিণ শিকার করছে এবং সেই দলেরই এক সদস্য ভবানী সিংহ সমাজমাধ্যমে এই ভিডিওটি প্রকাশ করে পুলিসকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছে দ্য বিষ্ণোই টাইগার ফোর্স। তারা পুলিস কমিশনার, ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। বন্যজীব বাঁচানোর জন্য ওই অঞ্চলে বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি করেন। ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। বিষ্ণোই টাইগার ফোর্সের প্রধান রাম পাল ভাওয়ার বলেন, আগামী দু’দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
ডিসেম্বর মানেই পিকনিকের (Picnic) মেজাজ। শীতের হালকা রোদের ছটা গায়ে মেখে প্রকৃতির কোলে বনভোজনে মেতে ওঠেন সাধারন মানুষ। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি পর্যন্ত এই দৃশ্য অহরহ দেখা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি একই চিত্র দেখা যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরেও। বিগত ২-৩ বছর আগেও রায়গঞ্জে পিকনিক স্পট বলতে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠত কুলিক বনাঞ্চল (Kulik forest)। যেখানে সেকাল থেকে একাল পর্যন্ত মানুষজন পিকনিক করতে আসতেন। শুধু রায়গঞ্জ কিংবা উত্তর দিনাজপুর জেলাই নয় অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষজন ভীড় করতেন কুলিকে। কিন্তু সম্প্রতি সংরক্ষিত এই অঞ্চলে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ। বনাঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা ও পাখীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট আইন অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। এবারেও সেই নির্দেশ বলবৎ থাকছে, এমনটাই জানালেন জেলা বন আধিকারিক কমল সরকার।
তিনি বলেন, এবছরেও কুলিক বনাঞ্চল কিংবা আব্দুলঘাটা ও শিয়ালমনি অঞ্চলের সংরক্ষিত এলাকায় কোনওরকম পিকনিক বা হৈ-হুল্লোড় করা যাবে না। এরজন্য বনবিভাগের তরফে বাড়তি নজরদারি থাকছে। মোতায়েন থাকছে একাধিক বনকর্মী। তবে সাধারন মানুষের বিনোদনের জন্য অন্যত্র কোথাও পিকনিক স্পট চিহ্নিত করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান বনকর্তা। বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। পাশাপাশি রায়গঞ্জে এই সব জায়গায় পিকনিকের একমাত্র স্পট। সুতরাং, সমস্ত দিক বজায় রেখে পিকনিকে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
এদিকে বনবিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় মন কিছুটা খারাপ শহরবাসীর। রায়গঞ্জের বাসিন্দা আলভা মিত্র বলেন, এই সময়টায় বাচ্চাদের নিয়ে প্রকৃতির কোলে বসে আনন্দ উচ্ছ্বাস করেন সকলেই। নদীর ধারে সবুজের মাঝে এ এক অন্য অনুভূতি। সেখানে রায়গঞ্জে কুলিক, আব্দুলঘাটা, শিয়ালমনি এলাকায় পিকনিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা মন খারাপ হচ্ছে। সেই সঙ্গে বনবিভাগের কাছে কোনো বিকল্প ব্যবস্থার দাবীও জানিয়েছেন তিনি।
এ যেন এক আজব কাণ্ড! প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা (treatment) বন্ধ করে চলছে জমজমিয়ে পিকনিকের আয়োজন। যা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ বীরভূমের বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (primary health center) আসা রোগী ও অন্যান্যদের। শুক্রবার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চক্ষু বিভাগে কোনও ডাক্তারের দেখা মিলল না অথচ সেখানে খাওয়া-দাওয়ার জন্য রমরমিয়ে হচ্ছে রান্না। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একদিকে যখন এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চক্ষু বিভাগে চলছে রান্নাবান্নার কাজ, সেই সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা করাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। কেন হুঁশ নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের? মেলেনি উত্তর।
এই বিষয়ে যারা এই রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাঁদের প্রশ্ন করা হয়। তাঁরা জানান, চিকিৎসক না থাকাই রান্নার কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই স্টাফরা তাঁদের রান্না করার জন্য বলেছেন। ঘটনাকে নিয়ে ফের একবার স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে আঙুল উঠছে।