পাচারের আগেই ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ২ যুবক। ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগারের বাজার মূল্য় পাঁচ লক্ষ টাকা। পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল মহম্মদ আসলাম ও মহম্মদ আজাহার। নকশালবাড়ির তোতারাম জোতের বাসিন্দা। সোমবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ির লালপুল সংলগ্ন এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নকশালবাড়ি থানার পুলিস একটি স্কুটি আটক করে। এরপর ওই দুই যুবককে তল্লাশি চালিয়ে ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য। আদালতে তোলার পর ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে এনে গোটা ঘটনার তদন্তে নামবে পুলিস। তবে এই মাদকদ্রব্য় কোথা থেকে এল এবং কাকে এই মাদক দিতে যাচ্ছিল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
ফের লরি ভর্তি মহিষ পাচারের (Buffalo Smuggling) চেষ্টা। তবে পাচারের আগেই পুলিসি (Police) তৎপরতায় মহিষ ভর্তি দুটি লরিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) বিধাননগর থানার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মুরালীগঞ্জে। এই ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে দুই জন অভিযুক্তকে। এমনকি ওই দুটি লরির ভিতর থেকে মোট ৯১টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মহিষগুলিকে খোয়ারে পাঠানো হয়েছে। এমনকি ওই দুই ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠনো হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন (৪৮), বাবুল আহমেদ (৫৬)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং করে বিধাননগর থানার পুলিস। সেই সময়ই দুটি ১৪ চাকা লরিকে সন্দেহের জেরে আটক করে পুলিস। তারপরেই লরির ভিতরে তল্লাশি করার পরেই ওই মহিষগুলিকে উদ্ধার করা হয়। তারপরেই গাড়ি চালককে এই মহিষ বোঝাই করার জন্য বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে চালক মহিষ গুলির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে না। ঠিক তারপরেই পুলিস ওই দুটি লরিকে আটক করে এবং ২ টি লরির চালককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিসের দাবি, মহিষগুলি বিহারের পূর্ণিয়া জেলা থেকে অসমের উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। প্রায় প্রতিনিয়ত কলকাতা শিলিগুড়িগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে রাতের অন্ধকারে মহিষ পাচারকারীরা পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝেমধ্যেই নাকা চেকিং এর সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস সেই গাড়িগুলিকে আটক করছে। এমনকি এই পাচার কাজের পিছনে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসি দেওয়ার বিধান নগর থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই শিলিগুড়ি গামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর থেকে একটি মহিষ বোঝাই করা লরি আটক করে পুলিস। বুধবার ওই লরিটি থেকে ৪১টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপর ফের শুক্রবার এই ঘটনা।
ফের পাচারকার্য (Smuggling) রুখলো পুলিস। মহিষ (Buffalo) ভর্তি একটি দশ চাকা গাড়ি আটক করলো পুলিস (Police)। ওই গাড়িটি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪০ টি মহিষ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Phansidewa) মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থানার অন্তর্গত মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের সামনে। এই ঘটনায় ওই গাড়ির চালক ও সহকারী চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধৃত ওই দুজনকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহাকুম আদালতে পাঠানো হয়েছে। এমনকি এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম হাবিবুল রহমান ও আব্দুল হাকিম। দু'জনের বাড়িই বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের সামনে বিধান নগর থানার পুলিস নাকা চেকিং চালায়। আর সেই সময়ই একটি দশ চাকার কন্টেনার গাড়িকে আটক করে। তারপরেই গাড়িটির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় গাড়ির ভিতর থেকে প্রায় ৪০ টি মহিষ উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মহিষ গুলিকে উদ্ধার করার পরেই গাড়ির চালককে মহিষ বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তবে গাড়ির চালক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর ফলেই পুলিস মহিষ সহ কন্টেনার গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং গাড়ির চালক ও সহকারী চালককে গ্রেফতার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, বিহারের পূর্ণিয়া থেকে মহিষ গুলি অসমের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাচারের উদ্দেশ্যে।
স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র (Weapon) দিয়ে কুপিয়ে খুন (Death)! ঘটনার পরেই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Phansidewa) মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত কোকঝার গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃত দেহটি উদ্ধার করে মযনাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম গীতা সোরেন এবং অভিযুক্ত ওই স্বামীর নাম রঞ্জিত সরেন। মৃতার পরিবার সূত্র্রে খবর, তিন বছর আগে রঞ্জিত সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয় গীতার। তাঁদের একটি দেড় বছরের সন্তানও রয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে গীতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে খুন করেছে অভিযুক্ত স্বামী। খুন করার পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করে অভিযুক্ত। মৃতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত রঞ্জিত সরেনকে এই অপরাধের জন্য যথাযথ শাস্তি দেওযা হোক প্রশাসনের তরফ থেকে, এমনটাই দাবি পরিবারের।
পুকুরের স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু (Death) হল এক নাবালকের। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহাকুমা ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) ব্লকের চটহাট অঞ্চলের তুফান ডাংগি এলাকার ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে ফাঁসিদেওয়া থানার (Phansidewa Police) পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। ঘটনার শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত নাবালকের নাম মোঃ মোহিত (১১)। উত্তরপ্রদেশ থেকে দিন ১৫ আগে তাঁরা ইদ মানাতে দাদুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পাশের একটি পুকুরে স্নান করতে যায় ওই নাবালক। বেশ কিছুক্ষণ জলে স্নান করার পর তাকে আর দেখতে পায় না তার বন্ধুরা। শেষে কয়েকজন যুবক খোঁজাখুঁজি করে তাকে জল থেকে উপরে নিয়ে আসে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ফাঁসি দেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
রক্ষকই যখন ভক্ষক! খোয়া গিয়েছে এক ব্যবসায়ীর টাকা ও মোটর সাইকেল, অভিযোগ জানাতে গিয়ে তাঁকেই বেধড়ক মারধর পুলিসের (police)। রক্ষকের হাতেই জখম ব্যবসায়ী। অভিযোগ, লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে থানাতেই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এমনকি মেরে দুটি লাঠিও ভাঙা হয়েছে। এমনই নির্মম ঘটনার সাক্ষী থাকল ফাঁসিদেওয়াবাসী (Phansidewa)। কিন্তু কেন এই নির্মম অত্যাচার (torture)?
জানা যায়, ওই লেপ ব্যবসায়ী (businessman) মহম্মদ রহমান গ্রামে ঘুরে ঘুরে লেপ তৈরি করার কাজ করেন। যেহেতু পরিচিতির মধ্যেই তাই গ্রামে বেশ কিছু মানুষদের নতুন লেপ ধারে বানিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বুধবার বিকেলে সেই লেপের টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিন তিনি। এরপর গ্রামেরই বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ওই লেপ ব্যবসায়ের মোটর সাইকেল ও টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সেই অভিযোগ ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিতভাবে জানানোর জন্য লেপ ব্যবসায়ী এলে রীতিমতো তাঁকে এক অফিসারের নির্দেশে বেশ কয়েকজন কনস্টেবল (Constable) ও সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) মারধর করেন।
লেপ ব্যবসায়ীর বক্তব্য, বিনা কারণে পুলিস কেন তাঁকে মারল, তার জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে যদি এই মারধর করা হয়, তাহলে সাধারণ জনগণ কেন আসবে পুলিসের সাহায্য নিতে? তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে যারা যারা মারধর করেছেন, প্রত্যকের বিরুদ্ধে তিনি লিখিত অভিযোগ জানাবেন। কেন তাঁকে বিনা কারণেই মারধর করা হল সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
ফাঁসিদেওয়ায় (Phansidewa) মাটিগাড়ার একটি বাড়িতে মাদক (drugs) চোরাচালান চক্রের পর্দাফাস। ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার (Brown sugar) সহ গ্রেফতার (arrest) করা হয় ৬ জনকে। জানা যায়, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) ও মাটিগাড়া থানার পুলিসের যৌথ অভিযানেই মূলত মিলেছে এই বড়সড় সাফল্য। পুলিস (police) সূত্রে খবর, মাটিগাড়া থানার অধীন সাধন মোড়ে অবস্থিত একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এই মাদক ব্যবসা (drug dealing)।
এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, এসওজি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের পরিচয় পুষ্পা মণ্ডল, রাজু সরকার, দীপঙ্কর মণ্ডল, বিনোদ প্রসাদ, আরতি দেবী এবং ভারত মণ্ডল। অভিযুক্তদের মধ্যে পুষ্পার স্বামী রাজু সরকার ও দীপঙ্কর মণ্ডলের ছেলে এই চক্রে রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারত মণ্ডল ও আরতি দেবী যথাক্রমে কালিয়াচক ও বাতাসির বাসিন্দা। ভরত আর আরতি আজ কালিয়াচক থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে মাটিগাড়ার মেইন রোডে পুস্পার বাড়িতে পৌঁছেছিল।
এসওজির মতে, পুষ্পা শিলিগুড়িতে মাদক ব্যবসার একটি বড় নেটওয়ার্ক চালাত। যা এসওজি দল দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার ৬ আসামীকে মাটিগাড়া থানায় হস্তান্তর করেছে এসওজি। মাটিগাড়া থানার পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা দায়ের করেছে। আগামীকাল তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।
ফের টোল প্লাজার কর্মীদের (Toll plaza staff) বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল। কেবল তা নয়, টাকা না দেওয়ায় গাড়ির চালককে মারধরেরও (Beaten) অভিযোগ করা হয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। এবারের ঘটনায় অভিযুক্ত নকশালবাড়ি (Naxalbari) সাতভাইয়া টোল প্লাজার কর্মীরা।
অভিযোগ, জোর জুলুম করে রাতের অন্ধকারে গাড়ি চালকদের কাছ থেকে টাকা নেন সাতভাইয়া টোল প্লাজার কর্মীরা। এদিনও এক গাড়ি চালকের থেকে অতিরিক্ত টাকা চান। বাড়তি টাকা না দিতে চাওয়ায় টোল কর্মীরা গাড়ির চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরফলে শুরু হয়ে যায় টোল কর্মী ও চালকদের মধ্যে বচসা।
ঝামেলার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টা টোলের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় গাড়ির। এর আগেও ঠিক একইভাবে এই টোল প্লাজার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে চালকদের মারধর করার। চালকরা জানান, রাতের অন্ধকারে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় এই টোল প্লাজায়। এর আগে একইভাবে গাড়ির চালককে মারধর করায় গাড়ি চালকরা একত্রিত হয়ে টোল ভাঙচুর করে বলে জানা যায়।
খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানার পুলিসকে। পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং টোল প্লাজার এক কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।