
উৎসবের দিনেও রেহাই নেই তেলের দামে। সোমবার মহাষষ্ঠীর দিন কলকাতায় পেট্রলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি ২৯ পয়সা। ডিজেলের দাম বাড়ল লিটারে ৩৫ পয়সা। ফলে শহরে পেট্রলের দাম বেড়ে হল ১০৫ টাকা ০৯ পয়সা। অন্যদিকে ফের লিটারে ৩৫ পয়সা বেড়ে কলকাতায় ডিজেলের নয়া দাম ৯৬ টাকা ২৮ পয়সা। এমনিতেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজার আগুন। ফি দিন বাজারে গিয়ে তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন আমজনতা। গত সাত দিন ধরে যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে তাতে বাজারদর আরও চড়া হওয়ার আশঙ্কা।
সোমবার মহাষষ্ঠীর দিন কলকাতায় পেট্রলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি ২৯ পয়সা। ডিজেলের দাম বাড়ল লিটারে ৩৫ পয়সা। ফলে শহরে পেট্রলের দাম বেড়ে হল ১০৫ টাকা ০৯ পয়সা। অন্যদিকে ফের লিটারে ৩৫ পয়সা বেড়ে কলকাতায় ডিজেলের নয়া দাম ৯৬ টাকা ২৮ পয়সা। এমনিতেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজার আগুন।
ফি দিন বাজারে গিয়ে তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন আমজনতা। গত সাত দিন ধরে যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে তাতে বাজারদর আরও চড়া হওয়ার আশঙ্কা।একেই উৎসবের মরসুম শুরু।মানুষ বেরিয়ে পড়েছে ঠাকুর দেখতে। তবে পেট্রোলের দাম বাড়তে সমস্যায় আমজনতা।
নয়াদিল্লিঃ পুজোর মুখে ফের উর্দ্ধমুখী পেট্রোল, ডিজেলের দাম। এদিন মুম্বইতে পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৯.৮৩ টাকা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ১০০.২৯ টাকা। চেন্নাইতে পেট্রোল লিটার প্রতি ১০১.২৭ টাকা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৯৬.৯৩ টাকা। দিল্লিতে পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৩.৮৪ টাকা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৯২.৪৭ টাকা। অন্যদিকে কলকাতায় পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৪.২৩ টাকা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৯৫.৫৮ টাকা। চেন্নাইতে পেট্রোল লিটার প্রতি ১০১.২৭ টাকা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৯৬.৯৩ টাকা। করোনা অতিমারীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পেট্রল- ডিজেলের দাম. যারফলে সাধারণ মানুষ নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ছে।
একেই অতিমারী সময়ে অনেকের কাজ হারিয়েছে। আবার অনেকের কমেছে বেতন। যারফলে মানুষ খাবে না তেলের টাকা যোগাবে। এদিকে লাগাতার তেলের দাম বাড়ায় কিন্তু ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ যাচ্ছে মানুষজন। তবে কেন্দ্রের সরকারের কিন্তু হেলদোল নেই. শুধু পেট্রল- ডিজেলের দাম বাড়ছে তা তো নয়, তার পাশাপাশি বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম ।
যারফলে অনেখানি সমস্যায় আমজনতা। তেলের দাম বাড়ায় তার প্রভাব পড়ছে কিন্তু জিনিসপত্রের ওপর. নিত্যদিনের সবজি বাজারে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তবে এইভাবে যদি সেঞ্চুরি পার হতে থাকে সেক্ষেত্রে ভুগতে হতে পারে আমজনতার।
উৎসবের মরসুমে ভোগাচ্ছে তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পাওয়ায়, তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের পেট্রল পাম্পগুলোতেও। রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুক্রবারের চেয়ে শনিবার পেট্রলের দাম বেড়েছে লিটারে ২৫ পয়সা। এর ফলে দিল্লিতে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০২.১৪ টাকা।
একই ভাবে লিটারে ৩০ পয়সা দাম বেড়ে কলকাতায় পেট্রলের দাম হয়েছে ১০২.৭৭ টাকা। শুক্রবারের চেয়ে ২৪ পয়সা দাম বেড়ে শনিবার মুম্বইয়ে এক লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ১০৮.১৯ টাকায়।গাঁধী জয়ন্তীর দিনেই দেশে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল পেট্রলের দাম। শনিবার নয়াদিল্লিতে এক লিটার পেট্রলের দাম ১০২ টাকা ১৪ পয়সা, সেখানে কলকাতায় এক লিটার পেট্রল বিকোচ্ছে ১০২ টাকা ৭৭ পয়সায়। মুম্বইয়ে দাম ১০৮ টাকা ১৯ পয়সা।
এবার ট্যাঙ্কার মালিকদের পর এবার পাম্প মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কমিশন বৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ছটা থেকে বুধবার ভোর ছটা পর্যন্ত বন্ধের ডাক ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের। ফলে রাজ্যের প্রায় আড়াই হাজার পাম্পে মিলবে না জ্বালানি। এদিকে পেট্রোলের দাম বাড়ছে দিনে দিনে।যার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রোল এবং ডিজেলের কিনতে গিয়েই কার্যত গাড়ির মালিকদের পকেট গড়ের মাঠ হওয়ার জোগাড়।
এমতাবস্থায় অনেকেই এখন আর পেট্রোল চালিত গাড়ি কিনতে অথবা ব্যবহার করতে চাইছেন না। তার বদলে ইলেকট্রিক চালিত স্কুটারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে পাম্প মালিকরা বেজায় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।যদিও সূত্রের খবর, ইন্ডিয়ান অয়েল ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের পাম্প খোলা থাকবে।
তবে বন্ধ থাকবে ভারত পেট্রোলিয়ামের পাম্পগুলি। সংগঠনের তকফে অবশ্য জানান হয়েছে, জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে জ্বালানি সরবরাহ করা হবে।মঙ্গলবারই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা মালিকদের। তারপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যাবে। আপাতত নো পারচেজ, নো সেলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন।
আগামীকাল রাজ্যজুড়ে ২৪ ঘণ্টা পেট্রোল পাম্প বনধের ডাক পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের। কাল সকাল ৬ থেকে বুধবার সকাল ৬ অবধি অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প বন্ধের সম্ভাবনা। প্রায় ২৪০০ পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে বলে দাবি অ্যাসোসিয়েশনের। বনধের আওতার বাইরে থাকবে জরুরি পরিষেবা। তিন দফা দাবিতে রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।সংগঠনের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানির বিক্রয় কমেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাম্প মালিকরা।
দ্বিতীয়ত, পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল নিয়ে তেল কোম্পানিগুলিকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। কমিশন বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে। এদিকে পেট্রোলের দাম বাড়ছে দিনে দিনে।যার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রোল এবং ডিজেলের কিনতে গিয়েই কার্যত গাড়ির মালিকদের পকেট গড়ের মাঠ হওয়ার জোগাড়।
এমতাবস্থায় অনেকেই এখন আর পেট্রোল চালিত গাড়ি কিনতে অথবা ব্যবহার করতে চাইছেন না। তার বদলে ইলেকট্রিক চালিত স্কুটারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে পাম্প মালিকরা বেজায় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। জ্বালানি তেল বিক্রি আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের মূল্যে রাশ টানার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এতে কার্যত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সাধারণের ক্ষোভ বাড়ছে। শুধু তাই নয়, বিরোধীরাও একজোট হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করছেন।