অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের (Visakhapatnam) একটি বন্দরে বিধ্বংসী আগুন। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই অন্তত ৪০টি নৌকা। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের খবর নেই। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, নৌকার মধ্যে থাকা সিলিন্ডার ফেটেই এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ঠিক কীভাবে নৌকাগুলোতে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশাখাপত্তনমের এক বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নৌকা বিস্ফোরণের শব্দ হয়। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পর পর নৌকাগুলিকে গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। সোমবার সকালেও বিশাখাপত্তনমের মৎস্য বন্দরের শ্রীহীন ছবি। চারপাশে পড়ে রয়েছে পোড়া সামগ্রী। চোখের সামনে এভাবে নৌকাগুলি ভস্মীভূত হতে দেখে মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের।
পুলিস সুপার আনন্দ রেড্ডি জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশাখাপত্তনম বন্দরে আগুন লাগে। নৌকায় থাকা জ্বালানি ট্যাঙ্ক ও সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হতে পারে। সেই থেকেই হয়তো এই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এখনও এই অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ জানা যায়নি। তবে মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কেউ ইচ্ছা করেই নৌকায় আগুন লাগিয়ে ক্ষতি করেছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ফের ট্রেনে (Train) ভয়াবহ ঘটনা। ট্রেনে উঠতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন একের পর এক মানুষ। এমনকি দু'জনের মৃত্যুও ঘটল। রবিবারের ঘটনাটি পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস ট্রেনের (Patna-Kota Express Train)। সূত্রের খবর, এসি ট্রেনের কামরার ভেতরে ঢুকতেই একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বারাণসী থেকে মথুরার পথে যাওয়ার সময় এই ট্রেনে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। এসি কামরার ভেতরে সুস্থ মানুষদের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাকি যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর মধ্য রেলওয়ের আগ্রা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) প্রশস্তি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, রবিবার পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস-এর যাত্রীদের হঠাৎ করে শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। এই সম্পর্কে আগ্রার রেলওয়ে কর্মকর্তাদের কাছে খবর পাঠানো হয়। এরপরই এক ৬২ বছরের বৃদ্ধা ও ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই কামরায় মোট ৯০ জন যাত্রী ছিলেন।
জানা গিয়েছে, ট্রেনে ওঠার পর থেকেই ওই বৃদ্ধা বমি বমি ভাব এবং অসুস্থতা অনুভব করতে শুরু করেন। তাঁকে সামাল দিতে অন্যান্যরা ছুটে আসার পর একজন বৃদ্ধও একইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের সাহায্য় করার জন্য ট্রেনের আরপিএফ ও রেল আধিকারিকরা ছুটে আসেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। ৬২ বছরের এক বৃদ্ধা ও ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও এই ঘটনায় ৬ জন অসুস্থও হয়ে পড়েন। আগ্রা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়।
তবে যাত্রীদের ঠিক কারণে মৃত্যু হয়, তা এখনও জানা যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তা জানা যাবে। তবে প্রশস্তি শ্রীবাস্তবের মতে, খাবারে বিষক্রিয়া বা ডিহাইড্রেশনের জন্য হতে পারে মৃত্যু। এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
মাঝ আকাশে ফের বিপত্তি। উড়ানের মাত্র তিন মিনিটের মধ্য়েই বিমানের (Flight) জরুরি অবতরণ করা হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালের ঘটনাটি পাটনার (Patna)। আজ সকালে পাটনার বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওয়া দেয় ইন্ডিগো (Indigo) সংস্থার বিমান। কিন্তু উড়ানের কিছু মিনিটের মধ্য়ে বিমানকে ফের বিমাবন্দরে অবতরণ করানো হয়। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক কিছু গোলোযোগের কারণে দিল্লিগামী বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ৯ টা ১১ মিনিটে পাটনার জয়প্রকাশ নারায়ণ বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর ৬ই ২৪৩৩ নম্বরের দিল্লিগামী বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বিমানটি উড়ান নিয়েছিল ৯ টা ৮ মিনিট নাগাদ। ফলে উড়ানের ৩ মিনিটের মধ্যেই সেটির জরুরি অবতরণ করা হয়। বিমানে উপস্থিত ছিলেন মোট ১৮১ জন যাত্রী। জানা যায়, বিমান উড়ে যাওয়ার পর দেখা গিয়েছে বিমানের একটি ইঞ্জিন কাজ করছে না। এরপরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জরুরি অবতরণের পর যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। এমনকি যাত্রীদের কথা ভেবেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়।
পাটনার (Patna) বিরোধী বৈঠকেও বাংলার পঞ্চায়েতের (Panchayat) কথা। ম্যারাথন বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গই তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, শাসনের নামে অপশাসন চালাচ্ছে বিজেপি (BJP)। যার উদাহরণ এখন পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজভবনকে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত তৈরি হয়েছিল। সেই ইস্যুও এদিন পাটনায় খুঁচিয়ে তুললেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বেকারত্ব, মণিপুর নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না। কিন্তু কবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস, তা একতরফা ভাব পালন করে বিজেপি। এই ব্যাপারে চিঠি লিখে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে উৎসব পালন না করার জন্যই আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই বিষয়টিও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
মমতা জানান, হাইকোর্টের গুটিকয়েক আইনজীবীকে জড়ো করেছে বিজেপি। রোজ তাঁদের নিয়ে আদালতে গিয়ে জড়ো করে সরকারের পিছনে সিবিআই লাগানোর চক্রান্ত করছে। পঞ্চায়েত ভোটেও সিবিআই দাবি করা হয়েছে। বিজেপি এখনও সবাইকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বধ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী।
শুক্রবার পাটনায় বিরোধীদের মেগা বৈঠক। বৃহস্পতিবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সঙ্গে নিয়ে পাটনা (Patna) পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে বৃহস্পতিবারই লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে যান তিনি। পরিবারের হাতে বিশ্ব বাংলার উপহার তুলে দেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি ছিল বাংলার মিষ্টিও। সাক্ষাতের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ওয়ান ইজটু ওয়ান লড়াই হবে। কাল বৈঠকের পর জানা যাবে। সবার মতামত একই হবে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন লালুপ্রসাদ, রাবড়ি দেবী, তেজস্বী যাদবকে। তেজস্বীর স্ত্রীর জন্য উপহার দেন তৃণমূল নেত্রী। জানান, তেজস্বীর বিয়েতে যেতে পারেননি, তাই এই উপহার।
এয়ারপোর্ট থেকে নেমেই অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদের বাড়ি যান তৃণমূল নেত্রী। এই সফরে সঙ্গী ফিরহাদ হাকিমও। পাল্টা উপহার দেওয়া হয় লালুর পরিবারের পক্ষ থেকেও। বুদ্ধমূর্তি তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। দেওয়া হয় বিহারের বিখ্যাত দ্রব্যও।
শুক্রবার বিরোধীদের মেগা বৈঠকে তৃণমূলের ভূমিকা অনেকটাই বড় হতে পারে। ইতিমধ্যেই আপ, সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউ, আরজেডির সমর্থন পেয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসকে কোনঠাসা করতে শুরু করেছে আঞ্চলিক দলগুলি।
প্রসূন গুপ্তঃ বিরোধী দলের বৈঠকে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বৃহস্পতিবার পাটনা (Patna) গেলেন। শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বিরোধী সমস্ত দলের উপস্থিতিতে। অবিশ্যি দু-একটি দল অনুপস্থিত থাকবে বলেই খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা (Kolkata) ছাড়ার আগে ক্ষোভ প্রকাশ করে গেলেন বর্তমান কোর্ট থেকে রাজ্যপালের ভূমিকার বিরুদ্ধে।
তিনি মনে করেন যে, অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি জানিয়ে যান যে যত ঘটনা পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হচ্ছে তা অভূতপূর্ব। যতই যা হোক না কেন জনগণ ভোট দেবে এবং তিনি সুষ্ঠভাবে ঠিক সময়ে ভোট হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। লক্ষণীয় বিষয়, শুক্রবারের বৈঠকে অন্যান্য দলের মধ্যে উপস্থিত থাকবে কংগ্রেস এবং বামেরা যাদের সঙ্গে এ রাজ্যে ভোট নিয়ে কোর্টকাছারি চলেছে।
এবারে প্রশ্ন থাকতেই পারে, এ রাজ্যের ভোট নিয়ে এই অনুষ্ঠানে কি আলোচনা হতে পারে? নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, নীতীশ কুমার বা শারদ পাওয়ারের উপস্থিতিতে এমন কোনও আলোচনা হবে না যেখানে মমতা ক্ষুব্ধ হতে পারেন। একই বিষয়ে তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন, তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব, উদ্ধব ঠাকরে বা আপ পার্টির প্রধান কেজরিওয়ালও মনে করেন যে, মমতা বিরোধী জোটের অত্যন্ত বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন। প্রথমে এ মাসের গোড়ায় এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাহুল গান্ধী থাকতে পারবেন না বলেই শুক্রবার বৈঠক ধার্য হয়েছে।
এবারে প্রশ্ন, কি কি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে? সিপিএম ছাড়া প্রতিটি দলের প্রধান খুব কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির উপর অর্থাৎ সিবিআই বা ইডির উপর। এ বিষয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কি আলোচনা হবে বলেই ধারণা। দ্বিতীয় বা প্রধান আলোচনার বিষয় জোট হবে কি সূত্রে তাই নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে সিংহভাগ আসনে যাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী করা যায় তার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু কংগ্রেস কতটা সমঝোতা করবে এটিও প্রশ্ন থাকতে পারে। কংগ্রেসকে বোঝানোর দায়িত্ব ফের ওই শারদ পাওয়ার বা স্ট্যালিন নিতে পারেন বলেই খবর।
প্রসূন গুপ্তঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ছিল, বিরোধীদের বৈঠক হোক কিন্তু দিল্লিতে নয়, হোক পাটনায়। যেদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব নবান্নে এসেছিলেন সেদিনই এই প্রস্তাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে রাখেন। পরে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলে মূলত নীতীশের আয়োজনে পাটনায় এই বৈঠক হচ্ছে।
এবারে প্রশ্ন, উপস্থিত থাকছেন কারা? গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যাবেন না। দেখা গেল আগে না জানালেও অধিকাংশ অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই গরহাজির। পরদিন রবিবার ছিল নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। সেখানেও বিরোধী ২০টি বিরোধী দল অনুপস্থিত ছিল। যুক্তি ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানো। যদিও বাহানা রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি কিন্তু ওই ঘটনার মাধ্যমে একটা বিরোধী ঐক্য গড়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে ভারতের পদক জয়ী খেলোয়াড়দের গ্রেফতারির ঘটনাও তাঁদের নতুন তথ্য জোগান দিয়েছে।
বিরোধীদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী কংগ্রেস যেমন জোট হওয়ার কাজে উদ্যোগ নিয়েছে, তেমন রয়েছে নীতীশের জেডিইউ, লালুর আরজেডি, জেএমএম, ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব) ইত্যাদি। তবে কংগ্রেসের বিরোধী হলেও থাকছে তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, তেলেঙ্গানার টিআরএস।
তবে কি বিজেপি একা। না তার অনেক সমর্থক এসে গিয়েছে যাদের ঠিক জোটসঙ্গী বলা যায় না। আছে বিজেডি, এআইএডিএমকে, শিরোমনি আকালি দল। অন্ধ্রের চন্দ্রবাবুর দল বা জগন্ময় রেড্ডির দলও রয়েছে মোদীর পাশে। মজার বিষয় এক সময়ের মোদী বিরোধী দেবেগৌড়ার দল জেডিএস সম্প্রতি কর্ণাটকের ভোটে খুবই খারাপ ফল করেছে, কাজেই তাদের কোনও পছন্দ নেই। সুতরাং রবিবারে আসবো না বলেও সংসদ ভবনের উদ্বোধনে তারা উপস্থিত ছিল।
২০২৪-এর নির্বাচনের আগে সাভারকরের জন্মদিনে সংসদ ভবন উদ্বোধন করে প্রকারান্তে আরএসএস-কে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে সুরাত আদালতের পাশাপাশি মামলা দায়ের হয়েছিল পাটনার (Patna) একটি নিম্ন আদালতেও (Court)। তাই ১২ এপ্রিল রাহুলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পাটনার নিম্ন আদালতে। সেই মামলায় সোমবার নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট। ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২২ এপ্রিল পাটনা হাইকোর্টে এই মামলা খারিজের আবেদন জানান রাহুল। তবে এই বিষয়ে রাহুলের আইনজীবী বীরেন্দ্র রাঠোর এক সংবাদ সংস্থাকে জানান, 'যেহেতু একই বিষয় নিয়ে একটি আদালতে মামলা চলছে, তাই অন্য আদালতে মামলাটি চলতে পারে না। তাই আমরা মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলাম।'
গাড়ি পার্কিং (Car Parking) নিয়ে শুরু হয় বচসা। তারপর পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে এগোয়, যে শুরু হয় হাতাহাতি। সেখান থেকে চলে গুলিও। যার জেরে দু'জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় আহত ৫ জন। উত্তেজিত জনতা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। একেবারে রণক্ষেত্রে পরিণত বিহারের (Bihar) পাটনার (Patna) জেঠুলী গ্রাম।
জানা গিয়েছে, রবিবারের এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে পাটনা মেডিকেল কলেজ এবং নালন্দা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিস এই ঘটনায় গ্রামের প্রধান-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পাটনার পুলিস সুপার জানিয়েছেন, 'দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সংঘর্ষ অচিরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মোট পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিস জেঠুলীতে ক্যাম্প করবে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এক পুলি্স আধিকারিকের সামনেই গুলি চালানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে মত্ত অবস্থায় সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় (Air India Urination Case) তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। এবার দিল্লি-পাটনা (Delhi-Patna) ইন্ডিগো ফ্লাইটে (Indigo flight) মদ খাওয়ার অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৮:৪৪ নাগাদ দিল্লি-পাটনা ইন্ডিগো ফ্লাইট 6E-6383-এ।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে দিল্লি থেকে পটনাগামী এক বিমানে মদের বোতল নিয়ে উঠেছিলেন দুই যাত্রী। তাঁরা মাঝ আকাশে নিজেদের আনা বোতল থেকে মদ খাওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি নজরে পড়ে বিমান সেবিকার। সে তাঁদের বাধা দেয়। উল্টে ওই বিমানসেবিকাকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।
এরপর পাটনায় বিমানটি অবতরণ করলে সিআইএসএফ-র হাতে তুলে দেওয়া হয় দু'জনকে। মত্ত অবস্থায় থাকা এই দুই যাত্রীকে পরে পাটনা পুলিস গ্রেফতার করে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বিষয়টি জানানো হয়। পাটনা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক গোটা বিষয়টি পুলিসকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত যাত্রীরা লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ক্রুদের কাছে। ইন্ডিগো বিমান সংস্থার ম্যানেজারের পক্ষ থেকে সকল যাত্রীদের প্রতি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন এই ঘটনার জন্য। তবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Patna University) তিন ছাত্র। এরপর বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন তিন জনই। পুলিস জানিয়েছে, উভয়পক্ষ থেকেই কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। যদিও পড়ুয়ারা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁরা গুলি চালাননি।
ঘটনাটি ঘটেছে, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আম্বেদকর হস্টেলের পড়ুয়া এবং সুলতানগঞ্জ এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। দু'পক্ষই দুটি এফআইআর দায়ের করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আম্বেদকর হস্টেলের ছাত্রদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর পাথর ছোড়াছুঁড়ি শুরু হয়, তারপর গুলি।
ছাত্রাবাসের গুলিবিদ্ধ তিন পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাটনার এসএসপি মানবজিৎ সিং ধিলোন বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
আগ্নেয়াস্ত্র এখন যেন সকলের হাতে হাতেই ঘোরাঘুরি করছে। লাইসেন্স ছাড়া আজকাল অবৈধ বন্দুক (Illegal Gun) যুবক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে। আর তার জেরে প্রতিনিয়ত দেশের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে নানান দুর্ঘটনা। এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল পাটনা। সেই ঘটনার ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি (CCTV Footage) ক্যামেরায়। ঘটনাটি বিহারের (Bihar) রাজধানী পটনার (Patna) ইন্দ্রপুরী এলাকার।
জানা গিয়েছে, কোচিং করে বাড়ি ফিরছিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। সেসময় তার পিছু ধরে এক যুবক। সময়টা বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। সেসময় তরুণী একটি সরু গলিতে ঢুকতেই তার খুব কাছে চলে আসে ওই যুবক। সুযোগ বুঝে ব্যাগ থেকে বন্দুক বার করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ওই ছাত্রীকে গুলি করে। আর গুলি গিয়ে লাগে ছাত্রীর ঘাড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তরুণী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় যুবকটি।
Bihar| A vegetable vendor’s daughter shot yesterday in Indrapuri locality of Sipara area of Beur PS in Patna. Injured girl who was shot in the neck is undergoing treatment in a private hospital. Matter is being said to be a love affair: Patna Police
— ANI (@ANI) August 18, 2022
(Visuals: CCTV footage) pic.twitter.com/kHbddcU2L1
পুলিস জানিয়েছে, সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে ওই ছাত্রী। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনুমান পুলিসের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।