সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের রোগী অসহায়তার (Patient Harass) অভিযোগ উঠছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj)। বেশ কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল টাকার অভাবে শববাহী গাড়ি না পেয়ে, হাসপাতালের সহায়তা না পেয়ে নিজের ৫ মাসের মৃত বাচ্চাকে ব্যাগে নিয়ে বাড়ি ফেরে এক অসহায় বাবা। এই অমানবিক চিত্র আগেই দেখেছে গোটা রাজ্য। যা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই নিন্দার ঝড় উঠেছিল রাজ্য-রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তারপরেও খুম ভাঙেনি প্রশাসনের। তাই ফের রোগীর পরিবারকে অসহায়তা করার অভিযোগ উঠছে কালিয়াগঞ্জে। তবে এবার অভিযোগ উঠছে খোদ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই রোগীর পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস (police)। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নির্যাতিত ওই রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের শিমূলতলা এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ পাল। তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা চলছিল এক চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের কথা মতই তাঁর স্ত্রীর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। তবে চিকিৎসকের কথা মতো রায়গঞ্জের পরীক্ষা সেন্টার থেকে এই পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলি না করে কালিয়াগঞ্জের একটি পরীক্ষা সেন্টার থেকে করানো হয়। শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসা করতে গেলে ওই চিকিৎসক সেই রিপোর্ট না দেখেই ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের তরফে। রোগীর পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি বলেই রোগীকে দেখননি চিকিৎসকের। উপরন্তু রোগী ও রোগীর স্বামী গোবিন্দ পালকে ব্যাপক হয়রানি করা হয়।
তবে এই ঘটনায় ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকের দাবি, রোগী কোথা থেকে পরীক্ষা করবে সেটি তার নিজেস্ব ব্যাপার। রোগী নাম লেখানোর পরেও নাম কেটে দেন। কিন্তু পরে তিনি নিজের স্ত্রীকে নিয়ে চেম্বারে আসেন। তাই আগামী সপ্তাহে নাম লিখিয়ে তাঁদের চিকিৎসকের চেম্বারে আসতে বলেন চিকিৎসকের। এ ছাড়া আর কোনও ঘটনা ঘটেনি চেম্বারের ভিতরে, এমনটাই দাবি করছেন চিকিৎসক।