স্কুলে মদ্য়প অবস্থায় পড়নোর অভিযোগ এক শিক্ষকের (Drunken Teacher) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা (South 24 Pargana) ব্লকের উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ের। শুধু স্কুলে নয় স্কুলের বাইরেও মদ্যপ থাকেন ওই শিক্ষক। পাশাপাশি তাঁর মুখের ভাষাও অকথ্য, এমন অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। এই মদ্যপ শিক্ষকের মাতলামিতে অতিষ্ঠ শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নয়, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ। শুধু এলাকার সম্মানের জন্য় শিক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চাইছেন না এলাকাবাসী। তাই তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান ওই শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করার।
যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক অনুব্রত মিদ্দা জানান, 'আমি মদ খাই না, কিন্তু গুটকা খাই।' স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর মোদক জানিয়েছেন, সহকারী শিক্ষক মাঝে মধ্য়ে মদ খেয়ে আসতেন। এখন খান কিনা জানা নেই। তবে স্কুলের সম্মানের কথা ভেবে ওই শিক্ষকের যত দ্রুত সম্ভব অন্য়ত্র বদলির দাবিতে সরব অভিভাবকরা।
অভিভাবক রেশমা বিবি জানান, 'কখনও কখনও ছাত্রছাত্রীদের এমনভাবে মারধর করেন, তাদের আঙুলের নখ ভেঙে গিয়েছে।' যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, 'তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্য়া অভিযোগ আনছেন অভিভাবকরা।'
আবারও বাঘের (tiger) আতঙ্ক পাথরপ্রতিমায় (Pathar Pratima)। রাতভর আতঙ্কে (panic) ঘুম উড়ে যায় স্থানীয়দের। প্রাণ যাওয়ার ভয়ে ঘরবন্দী দশা প্রায় সকলেরই। রাতভর ঘুম ভেঙে পাহারারত অবস্থা। শেষমেষ তা হাতেনাতে ধরাও পড়ে। তবে একি কাণ্ড! দিনের আলো পড়তেই চক্ষুচড়কগাছ এলাকাবাসীদের। কী এমন ঘটল?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার গঙ্গাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দা উত্তম জানার মুরগি ঘরে হঠাৎ করে দেখা যায় একটি জন্তুকে। মুরগির চিৎকারে ঘুম ভেঙে উঠে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা দেখতে পান বিরাট আকৃতির এক জন্তু সেখানে ঘুরছে। রাতের অন্ধকারে চোখ জ্বলজ্বল করছে। ভয়ে, আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন তাঁরা।
তাঁদের আওয়াজ শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসেন। মূহুর্তের মধ্যেই ঘিরে ফেলে এলাকাটি। এমনকী মুরগির খামারের চতুর্দিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের চিৎকারে এদিকে জন্তুটিও গা ঢাকা দিয়েছে। শেষমেষ খবর যায় বন দফতরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরই মধ্যে ফুটে ওঠে দিনের আলো। আর দিনের আলো ফুটতেই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলেই। আলোতেই বোঝা যায় রাতভর যে জন্তুটি তাঁদের ঘুম উড়িয়েছে তা আসলে বাঘ নয়, বরং একটি আস্ত বাঘরোল।