কয়েক ঘণ্টার জন্য গায়েব। তারপরই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। এক্কেবারে ফিল্মি প্লট পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন সরবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান (Panchayat Pradhan) কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়া। অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছিল প্রধানকে। এই নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত ঠিক তখনই রাত ১২ টা নাগাদ নিজেই ফিরে আসেন অপহৃত প্রধান।
মুক্তি পেয়েই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদে ইস্তফা দিতে চাইছেন প্রধান। ছাড়তে চান পঞ্চায়েত সদস্য পদও। জয়লাভের পর হাসি হাসি মুখে ৫ বছরের উন্নয়নের শপথ নিয়েছিলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সেই প্রধানেরই কী ভীমরতি হল? অপহরণকারীরাই কি তবে প্রধানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে?
এই নাটকের রহস্য ভেদ করতে হলে পিছিয়ে যেতে হয় কয়েক মাস। ১২ আসনের সবকটিতে জয়লাভ করেও প্রধান পদ নিয়ে ভাঙন ধরে সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলে। জানা গিয়েছে, দল কমল জানা নামে এক সদস্যকে প্রধানের পদে বসাতে চাইলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার পাল্লা ভারী করে। দলের হুইপ অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাতেই প্রধানের মুকুট ওঠে কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার মাথায়। কিন্তু অভিযোগ, দলের একাংশের দাপটে পদ পেয়েও পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি প্রধান। তাহলে কি দলের একাংশের হাতেই অপহৃত হয়েছিলেন তিনি? অভিযোগ ঘুরিয়ে প্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূল।
এক অপহরণে ভোল বদল। রাস্তার কাঁটা সরাতেই কি প্রধানের কিডন্যাপিং? তাতে জড়িত দলেরই একাংশ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
নিম্নচাপের দোসর বৃষ্টি। আর তাতেই বাড়ছে আতঙ্ক। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ডেবরার মোরিমপুর থেকে তালিবাঁদি কংসাবতী নদী (Kansabati River) বাঁধে ধস। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলস্তর বাড়লে প্লাবিত হয়ে যেতে পারে প্রায় ৪০টি মৌজা। বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস থাকায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা। গৃহহীন হওয়ার ভয় জাঁকিয়ে বসেছে বাসিন্দাদের মনে। বাঁধের অবস্থা বেহাল হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনাও। এমনকি টিউশন থেকে ফেরার পথে পড়ে যায় ১ ছাত্রী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এই পরিস্থিতি। বহুবার বাঁধ মেরামতির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। এরফলে বিভিন্ন সময় নানা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
তৃণমূল জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মানুষের হাতে নেই। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য জগন্নাথ মুর্মুর অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানানোর পরও সুরাহা মেলেনি।
নদী পাড়ের মানুষদের বারোমাসই দুর্ভোগ লেগেই থাকে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে জন্য এগিয়ে আসেনা কেউই। বাঁধের সুবন্দোবস্ত না হলে কী হবে, সেই আশঙ্কাই দিন কাটছে বাসিন্দাদের।
জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। কন্টেইনারের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় পুলিসের গাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক সিভিক পুলিস ও এক এনভিএফ কর্মীর। আহত আরও চার পুলিস আধিকারিক। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার নারায়ণগড় (Narayangarh) থানার সুপ্রিম কোম্পানির কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, পুলিসের গাড়িটি জাতীয় সড়কের উপর পেট্রোলিং করছিল। সে সময় আচমকা দ্রুত গতিতে কন্টেইনার এসে ধাক্কা মারে পুলিসের গাড়িতে। কন্টেইনারের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় পুলিসের গাড়ি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ এক এনভিএফ (NVF) কর্মীর। আহত হন আরও চার জন পুলিস কর্মী। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নারায়ণগড় থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকেই আহত চার পুলিস কর্মীকে উদ্ধার করে মকরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে মৃত্যু এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও NVF কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম বিমানচন্দ্র করণ ও মৃত এনভিএফ কর্মীর নাম দীপক কুমার পাত্র।
রাস্তা (Road) না হলে ভোট (Vote Boycott) বয়কট! রাস্তার দাবিতে সরব এবার জন সাধারণ। এই উত্তপ্ত জন সাধরণের ছবিটা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার কেশিয়াড়ী ব্লকের নছিপুর অঞ্চল এলাকার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই বেহাল রাস্তার কথা বারাবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন যাতায়াত করতে হয় ওই বেহাল রাস্তার ওপর দিয়ে। শুধু তাই নয় বর্ষার সময় রাস্তার উপরে জল উঠে আসে। ফলে স্কুলে যেতেও অসুবিধা হয় ছাত্রছাত্রীদের।
এলাকাবাসীদের দাবি, ওই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে পাঁচটি গ্ৰামের মানুষজন। প্রায় ৭০০ টি পরিবারের বসবাস। গ্ৰাম থেকে ৩ কিমি দূরত্বে রয়েছে নছিপুর আদিবাসী উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুল। পড়ুয়াদের প্রতিনিয়ত ওই বেহাল রাস্তার ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এমনকি রাস্তার বেহাল দশার কারণে এলাকার অসুস্থ রোগীদের জন্যেও এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনা আ্যম্বুলেন্স থেকে শুরু করে বড় গাড়ি। তাই তাঁরা এই রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন, এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
অন্নপ্রাশন বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৮০ জন। ইতিমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘনশ্যাম বাটি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে গ্রামে পৌঁছয় ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ মহাকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পানীয় জল বা ফুচকা থেকেই কোনও বিষক্রিয়ার হতে পারে। যার কারণেই এমন ঘটনা। যার ফলে আতঙ্কে গ্রামবাসী।
জানা গিয়েছে, ঘনশ্যাম বাটি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ ঘোড়ই-এর নাতির অন্নপ্রাশন ছিল শুক্রবার। তাই শুক্রবার দুপুর ও রাতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান বাড়িতে। আমন্ত্রিত ছিল প্রায় শতাধিক। সেই অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার পরেই শুক্রবার রাত থেকে বমি পায়খানা নিয়ে একে একে অসুস্থ হতে থাকে। ইতিমধ্যেই যার সংখ্যা প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই। শনিবারও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। শনিবার রাত পর্যন্ত সোনাখালী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় প্রায় ১২ জনকে। গ্রামেও চিকিৎসারত রয়েছে প্রায় ৮০ জন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Health Center) পাখার অভাব। তাই ভ্যাবসা গরমে ত্রাহি ত্রাহি রব রোগীদের। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাই (Khirpai) স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এমনকি এই করুণ দশার পোস্টারও লাগানো রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়ালে। আর সেই পোস্টারকে ঘিরেই শুরু হয়েছে শোরগোল। পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'ক্ষীরপাই গ্রামীণ স্বস্থ্য কেন্দ্রের করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে ফ্যান বা পাখা আনিবেন।' তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে এমন পোস্টার কে বা কারা লাগিয়েছে তার খবর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
তীব্র গরমের মাঝে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই বেহাল ছবি। তীব্র গরমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাখা না থাকার কারণে গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন রোগীরা। বাড়ি থেকে পাখা এনে কাজ চালাতে হচ্ছে রোগীদের এমনি অভিযোগ রোগীদের পরিবারের। এক রোগীর পরিবারের দাবি, যে রোগীরা বাড়ি থেকে পাখা নিতে পারেনি, তাঁরা এই গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
যদিও এবিষয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ নিরঞ্জন কুতি বলেন, 'দ্রুততার সহিত পাখার ব্যবস্থা করা হবে।' চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি বিএমওএইচকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যতগুলি পাখার অ্যারেঞ্জমেন্ট করা আছে সেগুলিতে পাখা লাগানো রয়েছে। তবে যেখানে পাখার হওয়া পৌঁছয় না সেখানে দ্রুত দেওয়াল পাখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।'