চাকরির সুপারিশ পাওয়ার ২ বছর পরও মেলেনি নিয়োগ। ঘটনায় গাফিলতি স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেক্রেটারি। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অনুকম্পা জনিত নিয়োগের জন্য উমা প্রামানিক নামে এক প্রার্থীকে বাঁকুড়ার শালতোড়া গার্লস স্কুলে ক্লার্ক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু তারপর প্রায় ২ বছর কেটে গেলেও তাকে নিয়োগ না দেওয়ার কারণে পর্ষদের সেক্রেটারির কাছে জবাব তলব করে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল, কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? সেই প্রশ্নের উত্তরে সোমবার নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন পর্ষদ সেক্রেটারি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সেক্রেটারির পাঠানো ওই ক্ষমাপত্র গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি কোন ক্ষেত্রে কত শূন্য পদ আছে তা নির্ধারণের জন্য শিক্ষা দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নিজেদের মধ্যে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। ওই বৈঠকে যে তথ্য উঠে আসবে তা আদালতে জানাতে হবে। তারপরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আগামী ২২ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দুর্নীতির জালে ইতিমধ্যে কালিমালিপ্ত গোটা বাংলা। নিয়োগে কারচুপিসহ একাধিক অরাজকতায় বেসামাল বঙ্গ রাজনীতি। আদালতে থরে থরে জমে দুর্নীতির মামলা। এই আবহে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। আদালতের রায়ে আগামীদিনে দুর্নীতিমুক্ত বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।
মঙ্গলবার থেকে একগুচ্ছ কড়া নিয়ম চালু হল শিক্ষাক্ষেত্রে। সপ্তাহে অন্তত ৩২ ঘণ্টা ক্লাস নিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সকাল ১১:১৫-র পর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্কুলে এলে তাঁকে অনুপস্থিত মার্ক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। এছাড়াও মঙ্গলবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সকাল ১০:৩৫-র মধ্যেই পৌঁছতে হবে স্কুলে। আগে অবশ্য ১০:৪৫-এ স্কুল ক্যাম্পাসে পৌঁছলেও হত। যা চলতি শিক্ষাবর্ষে ১০ মিনিট এগিয়ে এনেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুধু তাই নয়, বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটের আগে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষাকর্মীকে স্কুল ক্যাম্পাস ছাড়তে নির্দেশ জারি পর্ষদের তরফে।
তবে শিক্ষাক্ষেত্রে পর্ষদের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে গাফিলতির অভিযোগ আনছে অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স ও হেড মিস্ট্রেস সংগঠনের সদস্যরা। এদিন পর্ষদের নয়া নির্দেশিকা সম্পর্কে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির বক্তব্য-শিক্ষকই নেই, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার কাকে দেখাবেন। বহু স্কুল আছে যেখানে শিক্ষক মাত্র ৪-৫ জন। এভাবে কোনও স্কুল চলে।