মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি (President of India) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি এদিন সকালে একটি আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রার মাধ্যমে সংসদ ভবনে পৌঁছন। গত জুলাইয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যসভা এবং লোকসভা সদস্যদের যৌথ সভায় রাষ্ট্রপতি মুর্মুর এটিই প্রথম ভাষণ।
কনভেনশন অনুযায়ী, বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণের পরপরই সেন্ট্রাল হলে দুই কক্ষের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেখানে এক ভারত তৈরি করার বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি।
দ্রৌপদী মুর্মু জানান, বর্তমান সময়ে ভারতের আত্মবিশ্বাস সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ব ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে ভারতকে। ভারত বিশ্বকে সমাধান খুঁজে দিচ্ছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার। গত ৯ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যেমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ভারত। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে শত্রুদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে সেনা। আত্মনির্ভর ভারত আরও এগিয়ে যাবে আগামী দিনে। এছাড়া স্বনির্ভরতার উপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের উন্নতির উপরও জোর দিয়েছেন দেশের সংবিধান প্রধান। এমন একটি দেশ গড়বে যেখানে যুব ও মহিলারা সমাজ ও দেশকে পথ দেখাতে সামনে দাঁড়াবে।। অমৃতকালের ২৫ বছরের সময়কাল স্বাধীনতার স্বর্ণযুগ এবং একটি উন্নত ভারত গড়ার সময়।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করা থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল পর্যন্ত সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সবথেকে বড় পরিবর্তন ঘটেছে তা হল প্রত্যেক ভারতীয়র আস্থা শীর্ষে রয়েছে এবং ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় অধিবেশনে ছিল না আপ এবং টিআরএস। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর থেকে বিমান বিলম্ব করায় অধিবেশনে থাকতে পারেননি কংগ্রেস সাংসদরা।
প্রসূন গুপ্ত: জন্মদিনকে খুব একটা আমল না দিয়ে সমর্থকদের ভালোবাসা জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেমে গিয়েছেন সংগঠনের কাজে। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যাবেন জেলায় জেলায়। সম্প্রতি চোখের অপারেশন করে আমেরিকা থেকে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। কিন্তু জানা যাচ্ছে নিয়মিত অফিস করছেন। প্রতি জেলার সংগঠনের হাল হকিকতের খবর নিচ্ছেন। এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। এরই মধ্যে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে গিয়েছিলেন বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার কর্মী সমর্থক ও নেতাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, ইচ্ছা হলেই প্রার্থী হতে পারবে না কেউ। বুথস্তরে আলোচনা হবে এবং সেখান থেকে প্রার্থীর নাম যাবে কেন্দ্রীয় অফিসে, সেখানে চূড়ান্ত হবে প্রার্থী। প্রার্থী বাছাইয়ে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না বলে জানান তিনি।
আগামী ১৫ নভেম্বর তিনি ফের যাচ্ছেন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে। ১৭ এবং ১৮ নভেম্বর তাঁর মেঘালয়ে জনসভা আছে। ওখানেই দলীয় নেতা এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর। ২৭ এবং ২৮ নভেম্বর তিনি দলীয় কাজে যাবেন দিল্লিতে। এই সময়ে অবশ্য পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনও থাকে। যদিও এই প্রতিবেদককে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন জানালেন, এই সময়ে অধিবেশন থাকার কথা কিন্তু কিন্তু এখনও শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ঠিক মতো পার্লামেন্ট না ডাকার অভিযোগ কার্যত করেন তৃণমূল সাংসদ। এদিকে, ১১ নভেম্বর এসে গেলেও অথচ এখনও জানতেই পারা যাচ্ছে না কবে বসবে সংসদ।
অবশ্য যদি ওই সময়ে সংসদ বসে তবে অভিষেক তো দিল্লিতেই থাকছেন। ৩ ডিসেম্বর অভিষেক যাচ্ছেন কাঁথ। ইতিমধ্যে জানা গেলো শুক্রবার নাকি পূর্ব মেদিনীপুরের গোকুলনগরে বিইউপিসির মঞ্চে সভা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই নাকি সেই মঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ দাবি করেছেন এটি বিজেপির কীর্তি। তিনি দাবি করেছেন পুলিশ বিষয়টি দেখুক এবং ব্যবস্থা নিক। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এবারে অভিষেক কী বলেন সেটাই দেখার। ১৭ ডিসেম্বর নদিয়ার রানাঘাট যাচ্ছেন অভিষেক। এরপর নতুন বছর পড়লে জেলায় জেলায় সফর করবেন অভিষেক।