নিজেদের সন্তানদের ভালো করে লালন-পালন করে বড় করে তোলা বাবা-মায়েদের এক বড় কাজ। কীভাবে তাঁদের ভালো আদর্শ দিয়ে বড় করে তুলবেন, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। বিশেষ করে এই প্রজন্মের বাবা-মায়েরা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত। অনেক বাবা-মা সন্তানদের জন্য কঠোর হয়ে পড়েন। ফলে বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু কথা বলেছেন, যা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বলা উচিত না।
বাচ্চাদের প্রত্যেকদিনই তাদের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে তাদের উপর কখনও নিজেদের কোনও ভাবনা চাপিয়ে দেওয়া উচিত না। তাদেরকে তাদের মত বড় হতে দেওয়ার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। শিশুদের কখনও 'স্টুপিড', 'মিথ্যাবাদী' বলে ডাকা উচিত না। এতে শিশুদের নিজের প্রতি বিশ্বাস কমে যায়। তাদের কখনও স্বার্থপর বলাও উচিত নয়। কারণ বাচ্চারা সাধারণত বড়দের অত ভাবনা-চিন্তা বুঝতে পারে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা নিজেরাই বুঝতে পারে।
আবার সন্তানদের বেশি মাথায় চড়ানোও যাবে না। বাবা-মায়েদের বিশেষজ্ঞরা বিশেষ করে জানিয়েছেন যে, সন্তানদের সামনে যেন কোনও গালিগালাজ না করা হয়। তাদের কোনও কাজে প্রশংসা করতে পারেন আপনারা, তবে স্মার্ট, জীবনে ব্যর্থ, অলস এসব বলে কটূক্তি করতে যাবেন না। এসব বললে সন্তানদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অসহায় ছেলের চিকিৎসার জন্য পায়ে শিকল বেঁধে ঘুরছেন বাবা-মা। ছেলেকে কখনও সরকারি হাসপাতাল (Government Hospital) আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন গত আট বছর ধরে। কিন্তু হয়নি চিকিৎসা (treatment)। মঙ্গলবার সকালে মালদহ (Maldah) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন বাবা-মা। সেখানেই জানা যায়, ছেলের এই অবস্থাতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। তাঁরা মালদহ জেলা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা রোডের বৈরনাহি গ্রামের বাসিন্দা। ছেলে সেলিম আত্মার বয়স ১৮ বছর। বাবা জাকির হোসেন ও মা সেহেরা বিবি। জাকির বাবুর তিন ছেলে। সেলিম পরিবারে বড়।
পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, বিগত আট বছর ধরে ছেলে মানসিক রোগে আক্রান্ত। তারপর থেকেই পায়ে শিকল বেঁধে বাবা-মা ছেলেকে বেঁধে রেখেছেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য কখনও মালদহ আবার মুর্শিদাবাদের মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও ছেলেকে ভর্তি নিচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন কেউ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই পুনরায় ছেলেকে পায়ে শিকল বেঁধে বাবা-মা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন ভর্তি করানোর জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর ভর্তির কোনও সুরাহা হয়নি। আর অসহায় ছেলেকে নিয়ে বাবা-মা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কখনও সরকারি হাসপাতাল আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতাল। ছেলেকে কোথায় রাখবেন বাবা-মা বুঝতে পারছেন না। থাকার জন্য নেই কোনও পাকা বাড়ি।
বাবা মায়ের কাতর আর্জি সরকারের কাছে, ছেলেকে এখন সরকারি কোনও হাসপাতালে ভর্তি করানো হোক। কখন ছেলেকে ভর্তি করাতে পারবেন সেই অপেক্ষায় বসে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের সামনে। বাবা মায়ের দাবি, ছেলেকে হাসপাতালের মানসিক বিভাগে ভর্তি করলে অনেকটাই শান্তি পাবেন। বিষয়টি নজরে আসার পর তাকে মানসিক বিভাগে ভর্তি করেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এতদিন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় (Accident) বাবা-মা মারা গেলে বিবাহিত ছেলেরা বিমায় ধার্য করা (insurance compensation) ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার থেকে বিবাহিত মেয়েরাও বাবা-মার দুর্ঘটনায় বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন বলে একটি মামলার রায়দানে জানাল কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)।
সূত্রের খবর, মামলাটি ২০১২ সালের। উত্তর কর্ণাটকের হুবলিতে ৫৭ বছর বয়সি এক মহিলা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর ওই মহিলার পরিবারের লোকেরা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, এক পুত্র এবং তিন বিবাহিত কন্যা বিমা সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু বিমা সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বিবাহিত মেয়েদের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। মৃত মহিলার পরিবার বাধ্য হয়ে বিমা সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হন। তারা বিমা সংস্থাটিকে বার্ষিক ছয় শতাংশ হারে সুদ-সহ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ মানতে নারাজ ছিল বিমা সংস্থাটি। তারা ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
ওই মামলার রায় প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি এইচপি সন্দেশ বলেন, “আদালত কখনওই বিবাহিত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে ভেদাভেদ করতে পারে না। মৃত ব্যক্তির বিবাহিত কন্যা বিমার ক্ষতিপূরণ পাবেন কি পাবেন না, তা নিয়ে বিতর্ক কখনওই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
প্রেমের পথে কাঁটাকে উপড়ে ফেলতে ভয়ংকর ঘটনা (Murder) ঘটিয়ে বসেছে ১৫ বছরের নাবালিকা প্রেমিকা (Daughter) এবং ৩৭ বছরের প্রেমিক। মঙ্গলবার তাদের দুজনকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামশেদপুর (Jamshedpur) শহরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা এবং তাঁর প্রেমিক মিলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বয়সে অনেকটা বড় হওয়ায় এই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল বাবা (৪৫) এবং মা (৩৫)। তাই পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল নাবালিকা। সেই মতো রবিবার ভোরে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বেরনোর সময় বাবা-মার চোখে পড়ে যায়। নাবালিকাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভয়ংকর আকার নেয় পরিস্থিতি।
নাবালিকার বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিল অভিযুক্ত যুবকটি। হইচই শুনে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এবং নাবালিকা ও তাঁর প্রেমিক মিলে নাবালিকার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুন করে বলে পুলিস জানায়। জানা গিয়েছে, হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর বাইরে রাখা স্কুটারে করে পালিয়ে যায় তারা।
সোমবার বাড়ির কাছের একটি পুকুরের থেকে উদ্ধার করা হয় দম্পতির মৃতদেহ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন। এরপর পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং তদন্তে নেমে ওমনগরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই অভিযুক্ত নাবালিকা মেয়ে এবং প্রেমিককে। খুনে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার উদ্ধার করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায মামলা রুজু করা হযেছে।