Breaking News
Abhishek: দুবাই যাওয়ার পথে বাধা অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়কে, কারণ!      Railway: অসংক্ষরিত টিকিটের ক্ষেত্রে পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা থাকলে মৃতের পরিবার হয়ত টাকাটা পেত!      Railway: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পরিবারের কেউ নিখোঁজ! সনাক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রেলের      Train Accident: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ১০০      ED: মানিকের ফোন থেকেই কালীঘাটের কাকুর খোঁজ, ইডির কাছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য      DA: অবশেষে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়      Bayron: দলবদলু বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতার গলায়      Congress: 'আমি তৃণমূলেরই লোক' দল পরিবর্তন করে দাবি সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রনের      IPL: আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই বনাম গুজরাত, বৃষ্টি হলে কে জিতবে!      Prerona: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেরণার উদ্দেশে ভাষা সন্ত্রাস 'অনুপ্রেরণার'     

PanchayatVote

Tea: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই খুলে দেওয়া হল কোহিনূর চা বাগান

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে খুলল ডুয়ার্সের কোহিনূর চা বাগান (Teagarden)। প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ ছিল এই চা বাগান। শাসকদলের তৎপরতায়, একগুচ্ছ প্রশ্ন রেখেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat vote) আগেই তড়িঘড়ি খুলে দেওয়া হল ইস্টার্ন ডুয়ার্সের কোহিনূর চা বাগান। আর এই পদ্ধতিতে বাগান খুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কারণ আগের মালিকের লিজ (Lease) বাতিল না করেই খুলে দেওয়া হল কোহিনূর চা বাগান।

শ্রমিক সূ্ত্রে খবর, চা বাগান খুলে যাওয়াতে একদিকে যেমন সুবিধা হয়েছে। অপরদিকে, শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের প্রাপ্য পিএফ, গ্র্যাচুইটির কোনও সমাধান না করেই তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে কোহিনূর চা বাগান খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও-এর দাবি, পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলে ফের বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে এই বাগানের।

উল্লেখ্য, শুক্রবার মেরিকো এগ্রো ইন্ডাস্ট্রির হাত ধরে খুলে দেওয়া হয়েছে কোহিনূর চা বাগান। বাগান খোলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতা।

4 weeks ago
Coochbehar: অভিষেকের সফরের আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে ২ নেতা-সহ হাজার কর্মী

পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) শিয়রে রেখে জনসংযোগ বাড়াতে সম্প্রতি জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নাম দেওয়া হয়েছে 'জনজোয়ার' ও 'গ্রাম বাংলার মতামত।' অভিষেকের এই কর্মসূচির প্রথম সভাস্থল কোচবিহারের সভার আগেই বড় ভাঙন তৃণমূলে। সূত্রের খবর, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ প্রায় এক হাজার কর্মী শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) নাম লিখিয়েছেন।

যার পরে সিএন-ডিজিটালকে কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, 'শুরুর আগেই ভাটা জোয়ারে!' যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি সোমবার সিএন ডিজিটালকে বলেন, 'এসব করে বা প্রচার করে বিজেপি কিছুই করতে পারবে না। চক্রান্ত করে অভিষেকের সভা বানচাল করার ধান্দা বিজেপির, আর কিছুই না।'

পঞ্চায়েতের আগে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ এই নতুন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা। ঠিক তার আগে কোচবিহারের হাজারের অধিক কর্মী, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মৃত্যুঞ্জয় রায় ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জীব চন্দ্র রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল।

a month ago
BJP: জোট তত্ত্ব খারিজ, পঞ্চায়েতে একাই লড়বে বিজেপি

প্রসূন গুপ্ত: বেশ কিছুদিন ধরে বাংলায় বিরোধীদের মধ্যে কোথাও একটা একতা বা পরোক্ষ জোটের বাতাবরণ দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী নেতা একপ্রকার এতে সিলমোহর দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক রাজ্যের বেশ কিছু সমবায় ভোটে সিপিএম ও বিজেপির জোট প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে। দু-তিনটি সমবায় দখলও করেছে এই জোট, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরাজিত হতেও হয়েছে। এই জোটের ফায়দা সব থেকে ভালো তুলেছে সিপিএম। কারণ কমিউনিস্ট পার্টি চিরকাল এই পদ্ধতিতে বিশ্বের নানা দেশে ক্ষমতায় এসেছে। 

যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছিলেন, কোনও ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে বামপন্থীরা জোট করবে না। অন্যদিকে বিজেপির তরফে সম্প্রতি 'নো ভোট টু মমতা' স্লোগান উঠেছে। প্রাথমিকভাবে দলের অনেকের এই স্লোগানে সম্মতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত দিল্লির নেতৃত্বের কাছে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে বলেই খবর।

বৃহস্পতিবার বিধাননগরের এক সাংস্কৃতিক মঞ্চে আসন্ন পঞ্চায়েত বিষয়ে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রধান পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) আমিতাভ চক্রবর্তী। এছাড়া সাংসদ ও নির্বাচন বিষয়ক প্রস্তুতি কমিটির কনভেনর দেবশ্রী চৌধুরী। এছাড়াও অগ্নিমিত্রা পল ইত্যাদি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সংঘ ঘনিষ্ঠ দেবশ্রী পরিষ্কার বার্তা দেন যে, বিজেপি বিরোধী দল। বিধানসভায় সিপিএম বা কংগ্রেসের অস্তিত্ব বলে কিছু নেই। কাজেই কারও সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জোট করবে না দল। কেউ যদি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চান তবে তাঁকে বিজেপির সিম্বল নিয়েই লড়তে হবে। কংগ্রেস বা বামেদের সঙ্গে জোটের প্রশ্নই নেই। তাঁর বার্তায় চূড়ান্ত সম্মতি।

একইসঙ্গে দিল্লিতে নাকি এমন প্রশ্ন উঠেছে যে সাগরদিঘিতে কোন গড়াপেটায় কংগ্রেস একটি আসন পেয়ে গেল। কেনই বা বিজেপির ওই কেন্দ্রে ১৯ হাজার ভোট কমে দল তৃতীয় স্থানে চলে গেলো। অন্দরের কথা দলের ভিতরে উভয়পন্থী নেতাদের কথা মানা হবে না। বিজেপির সর্বভারতীয় দল তাঁরা কোনওভাবেই কংগ্রেস বা কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে না।

2 months ago


Abhishek: পঞ্চায়েতে প্রচারের লক্ষে বাঁকুড়ায় অভিষেক, কোন কোন ইস্যু তুলে ধরলেন

প্রসূন গুপ্ত: একেকটি ভোট মানে একেক রকম প্রস্তুতি। লোকসভায় প্রচার মানে জাতীয় রাজনীতি। থাকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, চিন-পাকিস্তান কিংবা গত ৫ বছরের সার্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণ নিয়ে তরজা। তেমনই বিধানসভায় থাকে রাজ্যের উন্নয়ন, আইন-শৃঙ্খলা, নারী নিরাপত্তা  বা কর্মসংস্থান। পুরো বা পৌরসভা মানে এলাকার জল, রাস্তা ইত্যাদি নিয়ে প্রচার। সেরকম পঞ্চায়েত ভোটের সিংহভাগে থাকবে গ্রামের কথা, জমির বা ফসলের কথা এবং অবশ্যই ভূমিহীনদের জন্য অন্য কাজে রোজগারের কথা। তবে ভারত মূলত কৃষি প্রধান এবং শ্রমনির্ভর দেশ। তাই কৃষক এবং শ্রমিক যেদিকে, জয় সেদিকেই হয়ে থাকে। এই হিসাব দেখে সরকারি দল বা বিরোধীরা চেষ্টা করে যেভাবেই হোক বিভিন্ন পঞ্চায়েত দখল করা।  দখল করা বললেও কাজটি কঠিন।

প্রতিদিনের লড়াই থেকে এ দেশের কৃষকরা বেঁচে থাকার তাগিদ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। ব্যতিক্রম নয় এ বাংলাও। সামনে পঞ্চায়েত ভোট কাজেই উচিত প্রচার অভিযানে সমস্ত দলের নেমে যাওয়া, মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। তৃণমূল বেশ কিছুদিন হলো প্রচার অভিযানে নেমেছে পক্ষান্তরে। এদিকে এখনও প্রস্তুতিতেই রয়েছে প্রধান বিরোধী বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রচার এখনও শুরুই হয়নি এবং সিপিএম অতি গোপনে তাদের  আস্তিনের তাস বের করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন প্রসারের দায়িত্বে যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহ থেকেই প্রচারে নেমেছেন। খোঁজ নিচ্ছেন সেই অঞ্চলগুলি, যেখানে গত লোকসভা এবং বিধানসভায় তাঁদের দল খুব খারাপ ফল করেছে। যথা ডুয়ার্স বা বাঁকুড়া-পুরুলিয়া। বাঁকুড়ায় লোকসভার দুটি আসনই বিজেপির দখলে, সাথে বিধানসভার অধিকাংশ আসনও। যদিও গত পৌরসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার সবকটি পুর ভবন তৃণমূলের হাতে। কিন্তু পঞ্চায়েতে জয় না আসলে লোকসভায় তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। কাজেই কাল বিলম্ব না করে অভিষেক দুর্বল কেন্দ্রগুলিকে বেছে নিচ্ছেন।

বুধবার বাঁকুড়ার ওন্দাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক তুরুপের তাস হিসাবে তুলে ধরলেন ১০০ দিনের কাজের কথা। তিনি জানেন, এই বাঁকুড়া জেলা প্রবল গরমে খরার কবলে পরে। তিনি বক্তব্যে জানালেন যে , ধর্ম নয় বাঁচতে গেলে দরকার অর্থ। এই ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকরা টাকা পাচ্ছেন না এবং তাই দিল্লিতে দরবার করতে হবে এবং কোটি প্রতিবাদ পত্র নিয়ে তিনি দিল্লিতে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা প্রকল্পে যে বাঁকুড়া অধিবাসী সুবিধা পাচ্ছেন তাও জানালেন অভিষেক যদিও ট্রাম্প কার্ড ওই ১০০ দিনের কাজ।

2 months ago
Road: ভোটের আগে মুর্শিদাবাদ-হুগলির পঞ্চায়েতে রাস্তার বেহাল দশা, কী বলছেন স্থানীয়রা

পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় রাস্তার বেহাল (Road problem) দশা নিয়ে অভিযোগ আগেই ছিল। এবার হুগলি (Hooghly) ও মুর্শিদাবাদ, দুটি আলাদা জেলার বহু রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও মেরামত করা হচ্ছে না প্রয়োজনীয় রাস্তা। পথশ্রী প্রকল্প-সহ জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েতের কোনও ফান্ডের মাধ্য়মে তাদের রাস্তা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গুধিয়া থেকে মনিহারপুর ঘাট পর্যন্ত সাড়ে তিন কিমি রাস্তায় বেহাল দশা। যার কারণে ধুঁকছে পর্যটনের শহর মুর্শিদাবাদ। 

কুড়ি বছর আগে রাস্তাটি নির্মাণ হলেও এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি পাকা রাস্তা। প্রথমদিকে রাস্তার কাজ শুরু হলে সেখানে মোরাম দিয়ে কাজ চালানো হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার বেহাল দশা স্পষ্ট, ফলে কঙ্কালসার রাস্তায় বেড়িয়ে গিয়েছে মাটি। অভিযোগ, 'বর্ষাকালে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয় স্থানীয়দের।' 

ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, 'এই রাস্তায় প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের বেশি লোক যাতায়াত করে এবং আশেপাশের দশটির বেশি গ্রাম এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। স্কুল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবা নিতে গেলে এ রাস্তাটিকে ব্যবহার করতে হয়। ওই সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় রয়েছে। সেই কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।' স্থানীয়দের একটাই দাবি, রাস্তা ঠিক করতে হবে। 

পাশাপাশি অভিযোগ, 'নিম্নমানের মাল সামগ্রী দিয়ে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। রাস্তাটি চওড়ায় ও উচ্চতায় সরকারি পরিকাঠামো অনুযায়ী করছেন না ঠিকাদার। রাস্তা তৈরিতে ব্য়বহৃত বালি-সিমেন্টের পরিমাণ নিয়েও। যার ফলে রাস্তা তৈরির একদিনের মধ্যেই রাস্তায় ফাটল দেখা দিচ্ছে।' এই ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের জগতপুর এলাকায়। অভিযোগ, 'জগতপুর থেকে সাঁকরা মেলাতলা পর্যন্ত যে দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের মাল সামগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দেয় গ্রামের মানুষ।' অভিযোগ, 'সেই রাস্তা গ্রামের মানুষের সুবিধার জন্য করে দেওয়া হয়েছে। ওটা কোনো টেন্ডার হয়নি।'

2 months ago


Canning: ভোট ঘোষণার আগেই তৃণমূলের দেওয়াল লিখন! বিধায়কের কাছে রাস্তা-জলের দাবি

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার আগেই ক্যানিংয়ে (Canning) বিধায়কের নেতৃত্বে দেওয়াল লিখন তৃণমূলের (TMC)। রাজ্যে এখনও ঘোষণা হয়নি পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। কিন্তু তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ে ভোটের প্রচার ও দেওয়াল লিখন শুরু করল তৃণমূল। 

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ক্যানিংয়ের দীঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের হাত ধরে শুরু হল দেওয়াল লিখন। সঙ্গে দিনভর চলেছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারও। এদিন সকালে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিধায়ক ক্যানিং এলাকার বেশ কয়েকটি দেওয়ালে দলের প্রতীক চিহ্ন নিজেই আঁকেন। পাশাপাশি প্রখর রোদ উপেক্ষা করে একটি মিছিলও করেন দলের কর্মীদের নিয়ে। 

সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী বিধায়ক। রবিবার ভোটের প্রচার ও দেওয়াল লিখনের সময় বিধায়ককে রাস্তা ও জলের দাবিও জানানো হয় এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। এমনকি সেই দাবি দ্রুত মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দেন বিধায়ক।

এই বিষয়ে বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, "একটি রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মীদের দেওয়াল লিখন ও প্রচার করতে দেখি। তারপরই আমি গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে কয়েকটা দেওয়াল লিখেছি। এমনকি দলের হয়ে গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটও চেয়েছি।" 

2 months ago
Road: বেহাল দুই কিমি দীর্ঘ রাস্তা, বর্ষায় একহাঁটু জল! ভোটের আগে কি ফিরবে হাল

পাঁচ বছর ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের হাতিনগর অঞ্চলে এলাকার দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তায় বেহাল (Road Problem) অবস্থা। অভিযোগ, পথশ্রী প্রকল্প চালু হলেও সেখানে নাম আসেনি হাতিনগর অঞ্চল এলাকার। স্থানীয়দের একটাই দাবি রাস্তার বেহাল অবস্থা ঠিক করতে হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষাকালে রাস্তায় এত পরিমাণ জল জমে যায় যে, স্কুলপড়ুয়ারা (School Students) ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল যাওয়ার পথে জল-কাদা মেখে আবার বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়। এমনকি রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি গেলেই রাস্তার আশেপাশের বাড়িগুলিতে ধুলোবালি ঢুকে যায়। হাতিনগর অঞ্চলের এই রাস্তার উপর নির্ভর করে রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল। যার কারণে এলাকাবাসীরা প্রতিনিয়ত সমস্য়ার সম্মুখীন হচ্ছে।

অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সমস্য়ার সমাধান মেলেনি। স্কুল কলেজ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র এই রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হয়। আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। মালপত্র আনতে নিতে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। বর্ষাকালে একহাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই এলাকার উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাস্তা। কবে ঠিক হবে রাস্তা সেই অপেক্ষায় রয়েছে এলাকাবাসী।

2 months ago
TMC: পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটের আগে ব্যাটন নিজের হাতেই রাখলেন মমতা

প্রসূন গুপ্ত: শুক্রবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ সভা ডেকেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক বিধায়ক, সাংসদ ও বিশিষ্ট নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বক্তা ছিলেন। আশা করা গিয়েছিল তিনি হয়তো বিশেষ বার্তা দেবেন, হলো তাই। তাঁর বিশেষ বার্তার মধ্যে অন্যতম, রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পের প্রচার যাতে প্রতি ঘরে পৌঁছয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

মমতা সাগরদিঘি থেকে পঞ্চায়েত হয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তথা দলের ভাবমূর্তি নিয়েই কথা বলেছেন বলেই সূত্রের খবর। তিনি পরিষ্কার জানান, 'প্রতি মাসে তিনি জেলা ধরে ধরে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। জেলার সর্বস্তরের সমস্যা দেখবেন নিজেই। দলের মধ্যে কোনও বেচাল সহ্য করা হবে না।' 

তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব ইমেজ আজকেও স্বচ্ছ, তিনি অতি সাধারণ জীবনযাত্রা করেন। তাঁর সততার ভাবমূর্তি আজকেও অটুট, কাজেই তিনি চান সকলের মধ্যে সেই পরিবেশ আসুক। অন্যথায় দল থেকে বেড়িয়ে যেতে পারেন। এই বার্তাও ঠারেঠোরে দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো।

তিনি জানান, 'আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে হবে একসঙ্গে।  গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানা হবে না।' তিনি পরোক্ষে নাকি জানান, 'সাগরদিঘি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোট বিচার করা যায় না। আজকেও সংখ্যালঘু ভোটাররা তাঁর সঙ্গেই আছে। তাঁর কাছে ধর্মের কোনও ভেদাভেদ নেই। তিনি যেমন সংখ্যালঘু উন্নয়নে কাজ করছেন সেভাবেই চালিয়ে যাবেন। সংখ্যালঘু বন্ধুরা যদি বিদেশযাত্রা করতে চান তবে তারও ব্যবস্থা করা হবে। সমস্যা হলে তিনি বিষয়টা নিজেই দেখবেন।'

এছাড়া সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তিনি সম দূরত্ব বজায় রাখবেন বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে। তিনি মনে করেন, বিজেপি চাইছে রাহুল বিরোধী মুখ হোক এতে পদ্মশিবিরের সুবিধা। তবে তিনি এও জানান, 'যে যে রাজ্যে যে দল অধিক শক্তিশালী তিনি তাদেরই সহযোগিতা করবেন।' এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে এসপি নেতা অখিলেশ যাদবের কথা চলছে। অন্যান্য দলের কথাও উল্লেখ করেন যথা বিজু জনতা দল। ২৩ মার্চ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার বৈঠক হওয়ার কথা। অর্থাৎ কোথাও ভোটের আগে দলের ব্যাটন নিজের হাতেই রাখলেন মমতা।

 

3 months ago


Vote: ঝুলে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা, স্থগিতাদেশ বাড়ালো হাইকোর্ট

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দিন ঘোষণার জট কাটলো না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার উপর স্থগিতাদেশ বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি। শুক্রবার পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানি শেষ না হওয়ায় বাড়ানো হলো মেয়াদ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) হলফনামাই গ্রহণ করলো না ডিভিশন বেঞ্চ।

অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে সবকটি রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে চলতি বছরের পঞ্চায়েত ভোট চেয়ে সরব প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তারা অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে দ্বারস্থ হাইকোর্টের। সেই আবেদনের উপরেও চলছে শুনানি। এখন রাজ্য রাজনীতির কারবারীরা তাকিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের দিকে। সূত্রের খবর, কোর্টের নির্দেশ নিয়েই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে প্রাক-ভোট প্রস্তুতিতে নামতে পারে নির্বাচন কমিশন। 

3 months ago
Arms: ফের রাজ্যে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র! বন্দুক-কার্তুজ-সহ আটক ২, পলাতকদের সন্ধানে তল্লাশি

শাসন থেকে উদ্ধার একটি রিভালবার (Fire Arms) ও চার রাউন্ড কার্তুজ। একটি ভোজালি আটক একটি মোটরবাইক‌। ধৃতদের নাম আবিদ রহমান (২১) ও রাজু সদ্দার (২২)। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাতে শাসনের বোয়ালঘাটা এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল প্রায় আট জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতীর দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস (Bengal Police) এলাকায় হানা দিয়ে দু'জনকে 

প্রথমে আটক করে পরে গ্রেফতার করা হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিস তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে একটি আগ্নেয়াস্ত্র চার রাউন্ড কার্তুজ একটি ভোজালি ও একটি বাইক। পুলিস সূত্রের খবর এর আগেও এই দুই যুবক একাধিক অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। পুলিস দুই যুবককে খুঁজছিল রাতে ২ যুবক যখন ডাকাতের উদ্দেশে জড়ো হয়। তখনই তাদের ধরে শাসন থানার পুলিস। রবিবার দুই যুবককে গ্ৰেফতার করে বারাসাত আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে শাসন থানার পুলিস।

4 months ago


S24: বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে কাঁপল বাসন্তীর গ্রাম! গুরুতর জখম তিন, 'কঠোর সাজা চান' বিধায়ক

বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণ। বোমা বিস্ফোরণে(Bomb Blast) তিনজন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভারতীর মোড় এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে বাসন্তী থানার(Basanti PS) বিশাল পুলিস। 

জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে একটা তীব্র আওয়াজ শুনতে পান এলাকাবাসী। পুলিস সূত্রে খবর, মনিরুল খাঁ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বোমা বাঁধা চলছিল। আর সেখানেই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। তবে কী কারণে এই বোমা তৈরির কাজ চলছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বোমাবাজির ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক দলের মদত আছে কিনা, তাও তদন্ত করছে পুলিস।

প্রাক্তন পুলিসকর্তা অরিন্দম আচার্য জানান, 'পুলিস অনেক কষ্ট করে বোমা উদ্ধার করে। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতী দল সেই বোমার ঘাটতি মেটাতে নতুন করে আরও বোমা তৈরি করে এবং তা মজুত করে।' 

বাসন্তীর বোমাবাজির ঘটনায় কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে জানান, "এটা পশ্চিমবঙ্গ না আফগানিস্থানে বসবাস করছি। সামনেই তো পঞ্চায়েত ভোট তাই আগে থেকেই বোমাবাজি করে দেখা হচ্ছে বোমাগুলি ভোটের সময় ঠিকঠাক ফাটবে কিনা।"

তবে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, "এই বোমাবাজির সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেয়। আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক।"       

4 months ago
canning: এলাকা দখলকে ঘিরে রাতের অন্ধকারে ক্যানিংয়ে বোমাবাজি, সকালে উদ্ধার তাজা বোমা

ক্যানিং থানার (Canning PS) অন্তর্গত গোলাবাড়ি বাজার এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Pargana) এই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি (Bombing and Firing) এবং শনিবার সকালেই উদ্ধার করা হয়েছে বোমা। এমনটাই স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল ব্লক সভাপতি শানু, অঞ্চল দেখাশোনার জন্য আসলে, ইটখোলা অঞ্চল উপপ্রধান খতিব সরদারের লোকজন এসে আচমকাই সেখানে বোমাবাজি করে ও গুলি চালায়। আর সকাল হতে না হতেই এখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা। স্থানীয় লোকজন ক্যানিং থানায় খবর দিলে, পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করেছে।

তবে খতিব সরদারের দাবি, 'তাঁর লোকজন এ কাজ করেনি, কারা করেছে তা তিনি জানেন না। গোলাবাড়ি এলাকায় এরকম বোমাবাজি নিয়ে তিনিও খুব আতঙ্কিত।' এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিস। এছাড়াও এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা এবং কারা জড়িত আছে ঘটনার সঙ্গে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

4 months ago
MSD: পুরনো শত্রুতার জের,খড়গ্রামে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মী

মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে গুলি চালানোর ঘটনা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। আহতকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পুরানো শত্রুতার জেরেই গুলি চলেছে বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম শফিক শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে গুলিবিদ্ধ হন ওই ব্যক্তি। আহত ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতেই কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। বুধবার সকালে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতায় চিকিৎসার উদ্দেশে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ আনা হয়েছে।

অভিযোগ, পুরানো শত্রুতার জেরেই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ির পাশে বসে থাকার সময়ই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় শফিক শেখের উপর। তখনই শফিকের বুকে গুলি লাগে। 

আহত ওই ব্যক্তি শফিক শেখ জানায়, তিনি একজন তৃণমূল কর্মী। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি কর্মী টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা তৃণমূল ছাড়ার হুমকি দেয়। সেই হুমকিকে উপেক্ষা করতেই এই ঘটনা। তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক।

তবে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন মুর্শিদাবাদের দক্ষিণ বিজেপি সভাপতি সাখোরাব সরকার। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, 'তৃণমূলকর্মীরা নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কাটমানির টাকা ভাগাভাগির ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা।'   

4 months ago


S24: সাতসকালে বাসন্তীর গ্রামে বোমা উদ্ধার, রাতভর বোমাবাজি! পঞ্চায়েতের আগে আতঙ্ক

সাতসকালে বোমা উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি বাসন্তী থানার (Basanti PS) আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) নিতাইপাড়ার। অভিযোগ, গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা এলাকায় বোমাবাজি করে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা শিক্ষক সুনীল নস্করের বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে বোমাবাজির দাগ। পড়ে ছিল একটি তাজা বোমাও (Bombing)।

এমনকি ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কালী মন্দিরের সামনেও বোমাবাজির দাগ এবং সুতুলি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এমএসকে শিক্ষাকেন্দ্রের সামনেও বোমার দাগ দেখেন স্থানীয়রা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে বম্ব স্কোয়াডে খবর দেয়। তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস।

এক স্থানীয় জানান, 'সকালে উঠে বোমা পড়ে থাকতে দেখে প্রশাসনকে জানাই। রাতে বোমাবাজির ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কে ছিলাম।' স্পষ্টতই পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে বোমাবাজির ঘটনায় চাপা আতঙ্কে গ্রাম।

4 months ago
Road: কোথাও শুধু ফলক, কোথাও প্রতিশ্রুতি! উত্তর-দক্ষিণ পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেহাল রাস্তা

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাস্তার বেহাল অবস্থা। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি হোক কিংবা দক্ষিণের সুন্দরবনের ক্যানিং কিংবা রায়দিঘি; বেহাল পথ (Road Condition) পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত স্থানীয়দের। শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাওয়াখাড়ি এলাকা। বহুদিন ধরেই বেহাল রাস্তা। আর সেই রাস্তা তৈরির জন্য উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। পথের ধারে লাগানো মস্ত এক ফলক।

তাতে স্পষ্ট লেখা কাজ কবে শুরু হবে। কত শ্রম দিবস প্রয়োজন রাস্তার কাজ শেষ করতে। কিন্তু ফলকই সার। এখনও রাস্তার কাজ শুরুই হয়নি। শুরু তো দূর অস্ত, রাস্তা নির্মাণের জন্য পাথরকুচিও পড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে জনমানসে। স্থানীয়দের কথায়, মেঠো রাস্তায় পথ চলা দায়। অল্প বৃষ্টিতে জল জমে। স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা তৈরির ফলক পড়তেই খুশির আবহে গা ভাসিয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু সময়ের মতো সময় পেরিয়েছে শুধুই৷ আজও শুরু হয়নি কাজ।

দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কাজ শুরু না হওয়ায় গ্রামবাসীদের প্রশ্ন আদৌ কি রাস্তার কাজ হবে? নাকি ফলকই সার? স্থানীয়রা জানান,'বৃষ্টির সময় পোকামাকড় ঢোকে। বাড়িতে জল ঢুকে যায়। অনেকদিন ধরে শুনছি রাস্তা হবে, কিন্তু এখনও কোনো কাজ শুরু হয়নি।'

একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং কাঠপোল থেকে দক্ষিণ নিকারীঘাটা ৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা, খানাখন্দ অবস্থায় পড়ে। হেলদোল নেই প্রশাসনের, সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। নিত্যদিনে পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে রাস্তা মেরামত হয়নি। কোথাও রাস্তার চাঙর ভেঙেছে। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস প্রতিশ্রুতি তো দিয়েছেন। রাস্তা কবে মেরামত হবে সেই অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা।

স্থানীয়রা জানান,'গত ৬ বছর ধরে রাস্তা খারাপ। ঠিকমতো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। প্রায়দিন কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে রাস্তায়। গ্রাম পঞ্চায়েত বিডিও-কে জানিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।'

অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের দাবি বেহাল রাস্তা সংস্কার। ইটের রাস্তা রূপ দেওয়ার কথা ছিল কংক্রিটের রাস্তার। কিন্তু সেই কংক্রিটের রাস্তার কাজ শুরু হলেও সুসম্পন্ন হয়নি ১৮০০ মিটার ‌জেলা পরিষদের রাস্তার কাজ। মাত্র ১০০ মিটার কংক্রিটের ঢালাইয়ের কাজ হলেও বাকি রাস্তাটাই পড়ে রয়েছে ইটের। এব‌রো-খেব‌রো, খালাখ‌ন্দে ভরা ইটের হাড় বেরিয়েছে।


রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। কালিবাজার থেকে শান্তিপুর মোড় পর্যন্ত বেহাল এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বহু মানুষের। হাইস্কুল,প্রাইমা‌রি,সমবায় স‌মি‌তি, ব্যাঙ্ক এমন‌কি র‌য়ে‌ছে গ্রা‌মের বড় বাজার। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু কোথায় কী! মাত্র কালিবাজার থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত হয়েছে ঢালাই রাস্তা।

আর বাকিটাই পড়ে রয়েছে ইট কোথাও আবার মাটি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ইঞ্জিন ভ্যান, মোটরসাইকেল, সাইকেল, টো‌টোগা‌ড়ি যাতায়াত করে। স্কুল পড়ুয়া থেকে মুমূর্ষু রুগী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পথচলতি মানুষ বহু সমস্যায় পড়েন।

স্থানীয়রা জানান,'কালিবাজার থেকে শান্তিপুর অবধি রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু সামান্য ১০ হাত রাস্তা করতে পুরো টাকাটাই বরাদ্দ করেছে। মেরামতিরর নাম করে সামান্য সাদা বালি ছড়িয়ে রেখে চলে গিয়েছে। কেউ বাইক নিয়ে গেলে অন্য আরেকজন হেঁটে পর্যন্ত যেতে পারে না।'

4 months ago