পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) ভয়ঙ্কর তাণ্ডবের স্মৃতি এখনও রয়েছে বিদ্যালয়ের ভিতরে। শুক্রবার, মালদহের (Maldah) খরবার গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্ধার (rescue) হয় দুটি বোমা (bomb)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খরবা ফাঁড়ির পুলিস। এই বোমা উদ্ধারকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িযেছে গোটা স্কুল চত্বর এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন খরবার গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের কোণ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি বোমা। এছাড়াও শৌচালয় থেকে পাওয়া গিয়েছে বাঁশের লাঠি। ভাঙন ধরেছে দেওয়ালে। এমনকি স্কুলের ক্লাসরমের ভিতরে থাকা পাখাগুলিও বাঁকানো অবস্থায় রয়েছে। তবে স্কুলে আরও বোমা থাকতে পারে বলে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। এরপর খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে।
আপাতত বন্ধ রয়েছে স্কুলের পাঠ্যক্রম ব্যবস্থা। তবে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্ষুব্ধ রয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি, দিন দিন রাজনৈতিক হিংসার প্রভাব যেন বেড়েই চলেছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানো ও গুলি (shot) চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ এক দুষ্কৃতী। ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (arrest) করল খড়দহ থানার পুলিস। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন এক যুবককে দেখা যায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিপক্ষকে হামলা করেছে, সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই চিত্র। ব্যারাকপুর (barrackpur) মোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে রাজ্যবাসী সহ বিরোধীরা। পুলিস সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম ধীরাজ হেলা ও নূর হাসান। অভিযুক্তরা টিটাগড় থানার অন্তর্গত মুচিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্বাশা এলাকায় নির্দল প্রার্থীকে মারধরের ঘটনা ও প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসতেই, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে খড়দহ থানার পুলিস মূল অভিযুক্ত ধীরাজ হেলা ও নূর হাসানকে খড়দহ রাসখোলা ঘাট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর দুই অভিযুক্ত খড়দহ রাসখোলা ঘাট থেকে নৌকা পার হয়ে কোন্নগরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তবে তার আগেই পুলিস অভিযানে নেমে তাদেরকে ধরে ফেলে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের হাতে বেধড়ক মার খেলেন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর (Ashokanagar) থানার দীঘরা মালিকবেড়িয়া পঞ্চায়েতের ট্যাংরা এলাকায়। এই ঘটনায় চার জন সিপিআইএম কর্মী সমর্থক আহত (injure) হয়েছেন বলে খবর। আহতদের বারাসাত হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করানো হয়। পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচারের প্রায় শেষ সময়ে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের ২১ নম্বর সংসদের প্রার্থী বিলকিস বিবি ট্যাংরা এলাকাতে ভোট প্রচার বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় তৃণমূলের একটি বাইক মিছিল যাচ্ছিল। অভিযোগ, সিপিএম সমর্থকদের প্রচার করতে দেখে তৃণমূলের কর্মীরা বাইক মিছিল থেকে বেরিয়ে হামলা চালায়। আচমকাই বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধারক মারধর করতে শুরু করে। এর ফলে চার জন সিপিএম কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসাপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিপিআইএমের তরফে অভিযোগ, সিপিআইএম সমর্থক আতিয়ার রহমানকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাঁর মাথায় বাঁশ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ২১ নম্বর জেলা পরিষদের সিপিএম প্রার্থী বিলকিস খাতুন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক (MLA)। ভোগান্তি কাকে বলে বোঝাতে বিধায়ক কে কাঁদা রাস্তায় জোর করে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। কথায় বলে ঠ্যালায় পড়লেই নাকি বিড়ালও গাছে ওঠে, কিন্তু এই ঠ্যালায় যে কোনো দিন স্বয়ং বিধায়ককেই পড়তে হবে তা মনে হয় স্বপ্নেও ভাবেন নি ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।
শনিবার সকালে ভাতারের নিত্যনন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুত্তকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল রউফের সমর্থনে প্রচারে বের হোন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা, প্রার্থী ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এবং তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। সেখানেই কার্যত গ্রামবাসীদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় প্রার্থীকে। শুধু তাই নয় এরপর গ্রামবাসীরা নিজেদের নিত্যদিনের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে বিধায়ককে কাঁদা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেন। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, ভোট দিই, ভোট নেন, রাস্তা কই?
বিধায়ক মনগোবিন্দ অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রামের মেয়েরা এসে রাস্তা খারাপের কথা জানিয়েছেন। তিনিও আরও বলেছেন তৃণমূলের লোক দেখলেই বিক্ষোভ করতে পারেন। সিপিআইএম কিংবা বিজেপির লোককে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে পারে না। কারণ, তাঁরা জানে তৃণমূলের লোক কথা শুনবে। এই কারণে তিনি গ্রামবাসীদে আশ্বাস দেন আগামী দু,মাসের মধ্যেই রাস্তা ঠিক করে দেবেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ। বিভিন্ন স্তরে বারংবার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই এদিন বিধায়ক আসতেই রাস্তার দাবী জানানো হয়।
পঞ্চয়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) আগে একের পর এক জায়গা থেকে উদ্ধার (Rescue) হচ্ছে বোমা (Bomb)। আবারও ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে রানীনগরের পানিপিয়ায়। বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর রাতে রানীনগরের পানিপিয়ায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার করে রানীনগর থানার পুলিস। বোম ডিসপোজাল ইউনিটে খবর দেওয়া হয়েছে পুলিসের তরফে। পুলিস বোমা উদ্ধারের স্থানটিকে ঘিরে রেখেছে। তবে কে বা কারা এই বোমা গুলিকে পাট খেতে রেখে গিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত অজানা এলাকাবাসীর। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীনগর থানার পুলিস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) আগে আবারও উদ্ধার (Rescue) হল বোমা (Bomb)। বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের লোহাগর এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের পিছনের মাঠ থেকে আনুমানিক প্রায় ৫০ টি তাজা বোমা উদ্ধার করলো শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। বোমা উদ্ধারকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যার ফলে বোমাতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বোমা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা গুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন থানার লোহাগর গ্রাম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানেই বোমায় গুরুতর জখম হয়েছেন দুই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগের তীর ছিল কংগ্রেসের দিকে। একের পর এক জায়গা থেকে এইধরনের তাজা বোমা উদ্ধার হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক জায়গাতে আবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চলাকালীন বোমাবাজিও হয়েছে। যার ফলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।