পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তি আপাতত স্থগিত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) এই মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তপশিলি জাতি/উপজাতি, এসসি/ এসটি-দের সিট সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে। সেই তথ্যের কোনও যৌক্তিকতা নেই। কোন ভেরিফিকেশন ছাড়াই তথ্য প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হোক।'
পাশাপাশি আদালতে শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, 'কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনের আগে তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পুরো ঘটনাটি সবিস্তারে জানিয়েছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।'
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন মেনেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাই তাদের কোনও ত্রুটি এখানে নেই। তবে আপাতত এই বিজ্ঞপ্তিতে যেন স্থগিতাদেশ না দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, 'জুলাই মাসের ওই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করা রইল। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত ওই অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল থাকবে।' আগামী ৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি। ততদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনওরকম পদক্ষেপ নেবে না।
অবাধ, শান্তিপূর্ন এবং সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) দাবিতে জনস্বার্থ মামলা। এই জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (LOP Suvendu Adhikary)। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচন আয়োজনের আবেদন বিরোধী দলনেতার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট আয়োজনের জন্য দরবার করেছেন তিনি। এই মামলায় বিরোধী দলনেতার আবেদন, 'সব বিরোধী প্রার্থীরা যাতে মনোনয়নপত্র পেশ করতে পারে তা নিশ্চিত করুক কমিশন।' পাশাপাশি গত ২৯ শে জুলাই তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে তা খারিজের আবেদন জানানো হয়েছে এই মামলায়। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, '২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই নির্বাচন শান্তিপূর্নভাবে হয়েছিল।'
বিরোধী দলনেতার দাবি, '২০১৮ সালে রাজ্যে পুলিসের নিয়ন্ত্রণে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। ব্যাপক সন্ত্রাসের সাক্ষী ছিল রাজ্য। বিরোধীরা মনোনয়ন পর্যন্ত পেশ করতে পারেনি। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের পরেও ব্যাপক হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা।'
শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, '২০২২ সালেও কলকাতা পুরসভা এবং কাঁথির নির্বাচনেও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হোক! রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন।' মূলত অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর উপর থাকা হাইকোর্টের রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে জনৈক আইনজীবী আবু সোহেল। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আইনজীবী আবু সোহেল। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে রক্ষাকবচ দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, 'শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব এফআইআর-র উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। পাশাপাশি আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন এফআইআর দায়ের করা যাবে না।'
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাকারীর মন্তব্য, 'পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় আমি অন্যতম পক্ষ। আমার বক্তব্য না শুনেই রায় দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ।'
বেহাল রাস্তা (road) মেরামতের কাজ শুরুই হয়নি। উল্টে গ্রামের মধ্যে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফলক বসিয়ে দেখানো হয়েছে ঝামা ইট দিয়ে রাস্তা সারাই ও পাইলিংয়ের কাজ শেষ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বারুইপুরের (Baruipur) বেগমপুর পঞ্চায়েতের কামরা তেঁতুলিয়া এলাকায়। এলাকার মানুষজন এই কাজে ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তা মেরামত না করে শুধু রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় লক্ষাধিক টাকা খরচের ফলক বসানো হয়েছে। যদিও বেগমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা সরদার বলেন, 'কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও শেষ হয়নি। যেহেতু বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতি কাজটা করছে, তাই যা উত্তর দেওয়ার তাঁরাই দেবেন।' যদিও কাজ শেষের ফলকের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। এদিকে, বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কানন দাস বলেন, 'খোঁজ নিয়ে দেখব।'
কামরা তেঁতুলিয়া এলাকার রাস্তায় এক জায়গায় ফলকে দেওয়া শিবতলা থেকে শচীন নস্করের বাড়ি পর্যন্ত পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে রাস্তা সারাই ও পাইলিং করতে। যা চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ১৮ নভেম্বর। আবার আর একটি জায়গায় ফলক বসিয়ে দেখানো হয়েছে সনৎ নস্করের বাড়ি থেকে ছোট পোল ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সারাই ও পাইলিং। যার কাজ শেষ হয়েছে ১৮ নভেম্বর।
বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছু জায়গায় শুধু রাস্তা সারাই ও পাইলিংয়ের খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, 'এত বেহাল রাস্তা, চলাচল করা যাচ্ছে না। লক্ষাধিক টাকা খরচের নামে দুর্নীতি হয়েছে। উত্তর পূড়ির বটগাছ থেকে কামরা বামনের দোকান পর্যন্ত গোটা রাস্তাই বেহাল হয়ে পড়ে আছে। তাও বছরের পর বছর। কবে মেরামত হবে জানেন না কেউই।'
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে তপ্ত ভাঙর। তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে ১২ রাউন্ড গুলি। প্রাণ বাঁচাতে খাটের তলায় আশ্রয় ভাঙর (Bhangar) বড়ালি গ্রামের তৃণমূল নেতা ফজলে করিম। এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উসকে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা কাইজার আহমেদের দিকে আঙুল তুলেছেন আক্রান্ত নেতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে তৃণমূল নেতা ফজলে করিমের বাড়ি লক্ষ্য করে ফিল্মি কায়দায় গুলি (Shootout)। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাইজার। এদিকে, ন্যায় চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ আক্রান্ত তৃণমূল নেতা ফজলে। এই গুলি চালনার ঘটনায় সিআইডি তদন্ত দাবি করেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার মধ্যরাত পৌনে একটা নাগাদ হওয়া এই ঘটনায় বুধবার সকালেও ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ।
জানা গিয়েছে, গুলির হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে খাটের তলায় লুকিয়ে পড়েন ফজলে করিম। রাতেই ভাঙর থানার পুলিস এসে গুলির খোল উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমাও। বুধবার সকালে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়ির দরজা, জানলা পাশাপাশি খাটের একাধিক জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে মুখ খোলায় এভাবে হামলা, অভিযোগ ফজলে করিমের। তিনি কাইজারকে কাঠগড়ায় তুলে জানান, 'দিদির কাছে আমি হাত জোড় করে বলছি দিদি সিআইডি তদন্ত করুক। কোথা থেকে এত সম্পত্তি এলো, ওরা কারা, সিআইডি তদন্ত করলে বের হবে। এর আগে তিন বার আমার উপর হামলা করেছে। একবার মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে। এবার আমি অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। ঘাড়ের পাশ ঘেসে গুলি বেড়িয়েছে। ও টিকিট না পেয়ে তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছে। সেই অডিও প্রকাশ হওয়ায় আমি মুখ খুলেছি বলে দুষ্কৃতী দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।'
পাল্টা কাইজার আহমেদের দাবি, 'পুরো অভিযোগ হাস্যকর এবং গটআপ। পুলিস এবং দল তদন্ত করলে সত্যিটা সামনে চলে আসবে। আমার পুলিস এবং দলের উপর ভরসা রয়েছে। যার বাড়িতে হামলা হয়েছে, দেখলাম সে দিব্য রয়েছে। আমি তোলাবাজিতে মদত দিচ্ছি না, এটায় কিছু লোকের অসুবিধা হয়েছে।'
গ্রামের এক প্রান্তে বিদ্যুতের (electricity) অপচয় বাড়িয়ে দিনের আলোতে জ্বলছে রাস্তার আলো। আর অন্যপ্রান্তে বিদ্যুৎ খুটি পুজোর আগে লাগানোর পরও আজও জ্বলেনি আলো। নীল সাদা রঙের বিদ্যুতের খুটি শুধু দাঁড়িয়ে রয়েছে। ছবিটা তৃণমূল পরিচালিত খোদ জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষর গ্রামের। গ্রামের নাম শঙ্করপুর (Shankarpur)। দুর্গাপুরের (Durgapur) জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন এই গ্রাম। শুধু এখানেই নয়, এই গ্রামের আশপাশেও বেশ কিছু অংশের বেহাল ছবি ধরা পড়েছে।
ইতিমধ্যেই রাস্তার (road) আলোকীকরণের কাজ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল অন্ধকারময় গ্রামগুলির রাস্তাগুলিকে আলোকীকরণ করা। সেই মোতাবেক এই বছর বিশ্বকর্মা পুজোর সময় নীল সাদা রঙের বিদ্যুতের খুটি বসিয়ে ছিলেন খোদ তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বাধীন ঘোষ। কিন্তু অভিযোগ, পুজোর আগে যে খুটি বসেছিল আলোকিকরণের জন্য সেই খুঁটির এল.ই.ডি আলো আজও জ্বলেনি। ফলে রাতের অন্ধকারে সমস্যায় পড়ে যান গ্রামবাসীরা।
সাপ খোপের উৎপাত রয়েছে গ্রামে। অন্ধকারে জীবন হাতে নিয়ে গ্রামের মানুষজন চলাচল করছেন। স্থানীয়রা জানান, মাঝে একবার রাস্তার আলো জ্বলেছিল, কিন্তু ওই একদিনের জন্যই। তারপর থেকেই বন্ধ আলো। তবে অন্যদিকে, শঙ্করপুর গ্রামের এক কোনে থাকা বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় গুটি কয়েক আলো দিনের বেলাতেও জ্বলছে বিদ্যুতের অপচয় বাড়িয়ে। ছবিটা শুধু শঙ্করপুর গ্রামের নয়, জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও বেশ কিছু গ্রামের ছবি একই রকম।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের সময় ভোট নেয় নেতারা। এরপর আর পাত্তা দেওয়া হয় না ভোটারদের। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজ করিয়ে নেওয়ার পর টাকা না দেওয়ার অভিযোগও করেন তাঁরা। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ।
তবে এই ঘটনার পর জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধক্ষ স্বাধীন ঘোষ জানান, 'স্থানীয় বিধায়ক ব্যস্ত বিভিন্ন কাজে। তাই উদ্বোধন সম্ভব হচ্ছে না। খুব তাড়াতাড়ি আলো জ্বলবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।'
পানীয় জলের (drinking water) অভাবে পচা পুকুরের জল ব্যবহার। শুধু তাই নয় পানীয় জল আনতে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার দূর যেতে হচ্ছে, এমনই অভিযোগ বীরভূমের (Birbhum) বানীওর পঞ্চায়েত দক্ষিণ বানীওর গ্রামে। যদিও পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু কবে মিলবে সুরাহা? জানেন না কেউই।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বানীওর গ্রামে প্রায় ৭০টি পরিবারের বাস। সেখানে দুটি টিউবওয়েল ছিল আগে। যার মধ্যে একটি টিউবওয়েলের জল থেকে পোঁকা বের হতো। বর্তমানে সেটিও অকেজো। অন্য একটি কল থেকে জল উঠতো না। সেটিকে ঠিক করার জন্য প্রায় দু'মাস আগে টিউবওয়েল তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও সেই টিউবওয়েল ঠিক করা হয়নি। এর জেরে যেমন স্নান থেকে মুখ ধোওয়া বা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে গ্রামের পুকুরের জলেই। যে পুকুরে গবাদি পশুর সঙ্গে মানুষকেও স্নান করতে হয় বলে অভিযোগ। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বড় থেকে ছোট সব বয়সের মানুষরাই।
পানীয় জলের জন্য যেতে হয় একদিকে প্রায় ৫০০ মিটার, অন্যদিকে প্রায় ৭০০ মিটার। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রধান-সহ ব্লক প্রশাসন এমনকি বিধায়ককে জানিয়ে এখনও জলের সুরাহা হয়নি। তাই পানীয় জলের জন্য এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। তবে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তিনিও এই বিষয় প্রধানকে জানিয়েছেন। দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান পঞ্চায়েত সদস্য। তবুও প্রশ্নটা সেখানেই রয়ে গিয়েছে, আর কত দিন এই পচা জল ব্যবহার করতে হবে? কবে শুদ্ধ পানীয় জল মিলবে? তার দিকেই এখন তাকিয়ে দক্ষিণ বানীওর গ্রামের মানুষ।
পানীয় জলের (water) হাহাকার। তবুও নেই কারও হুঁশ, বাধ্য হয়ে পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। ঘটনাটি নদিয়া (Nadia) জেলার চাকদহের। প্রায় ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তা অবরোধ থাকার পর শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayat Pradhan) এবং পিএইচই-এর আধিকারিক এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে তিনদিনের সময় নিয়ে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তাঁদের আশ্বাসে অবশেষে আন্দোলন উঠে যায়। কিন্তু রয়ে গেল আরও একটি জট। কারণ, ওই রাস্তা অবরোধ, আন্দোলন বা পানীয় জলের দাবি রেখেছিলেন পাশের গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ চাকদহ (Chakdaha) থানার অন্তর্গত শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এলাকার পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এদিকে, পানীয় জলের দাবি রেখেছিল রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে আসেননি।
গত শনিবার পথ অবরোধের পর প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয় তিনদিনের মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে এলাকায়। সেইমত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে অল্প পরিমাণে ব্যবহারের জল কলে আসলেও তারপর থেকে আর জল আসছে না বলে অভিযোগ। একইভাবে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েই গেল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি, জলের অভাবে শাকসবজি কিনছেন না এলাকাবাসীরা।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Vote), আর তার আগে ফের জেলা থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms), গ্রেফতার ২। রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Bengal STF) বা এসটিএফ মন্তেশ্বরে গোপন অভিযান চালিয়ে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) কুসুমগ্রাম থেকে এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম কুরবান আলি ও রাকেশ মোল্লা। এই রাকেশের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। তাঁদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি বন্দুক। শনিবার এই দুই অভিযুক্তকে তোলা হয়েছিল কালনা মহকুমা আদালতে।
এদিন ধৃত কুরবান আলি শেখ জানায়, অস্ত্র বেচে টোটো কেনার পরিকল্পনা ছিল। যেখানে কাজ করতো, সেখানে দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বেচার পরিকল্পনায় রাকেশকে বন্দুকটি দেখাতে নিয়ে এসেছিলো সে। সেই সময় পুলিস তাদের বমাল ধরে। সে জানায়, অস্ত্রটি আমার, বেঙ্গল লাইসেন্সের আগ্নেয়াস্ত্র। নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করতাম। কাজ করেও চার-পাঁচ মাস বেতন না পেয়ে টোটো কেনার টাকা তুলতে অস্ত্র বেচার পরিকল্পনা করেছিলাম। রাকেশ বলেছিল অস্ত্রটা একবার নিয়ে আসো দেখবো। বিহারের একজনের থেকে অস্ত্রটা কিনেছিলাম।
তার দাবি, 'পুরনো সংস্থা বেতন দিচ্ছিল না, নতুন সংস্থায় কাজ করবো বলে বন্দুক কিনেছিলাম। পরে যখন জানলাম অস্ত্রটা দু'নম্বরী তখন বেচে দেওয়ার প্ল্যান করি।' আগ্নেয়াস্ত্রর নিয়ে করা একাধিক প্রশ্নের এভাবেই একাধিক অসঙ্গতিপূর্ণ জবাব দিয়েছে কুরবান। তাই সঠিক উদ্দেশ্য জানতে তদন্ত করেছে পুলিস। এদের রিমান্ডে কলকাতা এনে জেরা করা হবে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর।
সাঁইথিয়ার (Saithia Incident) পর এবার কেশপুর। তৃণমূলের (TMC) 'গোষ্ঠী কোন্দলে' রক্তপাত কেশপুরের (Keshpur) চড়কা গ্রামে। শাসক দলের 'গোষ্ঠী কোন্দলে' বোমাবাজি (Bomb Hurled), হাত উড়লো এক তৃণমূল কর্মীর। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে কেশপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) প্রস্তুতিকে সামনে রেখে এলাকায় একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। চড়কা গ্রামে তারই প্রস্তুতি সারছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় হঠাৎই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করেই বোমাবাজি করে অপর গোষ্ঠীর লোকেরা। এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমকে করেছেন এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। বোমার আঘাতে জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনা ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক কর্মী জানান, সামনে থেকে প্রাণের বাজি নিয়ে আমরা দলকে ভোট লড়তে সাহায্য করি। জিতিয়েও আনি দলীয় প্রার্থীদের। কিন্তু পেশায় প্রমোটার একজন সভাপতি হতে চেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যার সঙ্গে দল কিংবা সংগঠনের কোনও যোগ নেই। কিন্তু সে নিজেকে তৃণমূল বলে দাবি করে। সে হঠাৎ করে হুমকি দেওয়া শুরু করে তৃণমূলের থিওরি আমি জানি। এই দলে পয়সা দিলে সভাপতি পদ পাওয়া যায়, সেই পয়সা আমি দিয়ে দিয়েছি। এটা আদতেই গোষ্ঠী কোন্দল। এই কোন্দলের পিছনে স্থানীয় বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতির ইন্ধন রয়েছে। আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য আছে, কোনও গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত নয়, যা হবে একসঙ্গে লড়াই।
তাঁর মন্তব্য, 'যখন কেউ নেই আশপাশে সবাই বিজেপি, তখন আমরা জীবনের বাজি রেখে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে এনেছি। ভোট পেরোতেই আমাদের ভুলে গিয়েছে।' যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক অজিত মাইতি। তিনি বলেন,'বোমার আঘাতে একজনের আঙুল উড়েছে। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত করেছে। পুলিস ঘটনাস্থলেও আছে। তবে আমি নিশ্চিত এই ঘটনার পিছনে সিপিএম-র চক্রান্ত এবং বিজেপির উসকানি আছে। ওরা চাইছে তলে তলে কেশপুরকে অশান্ত করতে। এখানে যা আছে ন্যূনতম মনোমালিন্য। সেটা আমরা বসে ঠিক করে নেব। এই ধরনের ঘটনা নেতৃত্ব আগামি দিনে ঘটতে দেবে না, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।'
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, 'তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের এই গণ্ডগোল। যারা এখানে প্রথম থেকেই তৃণমূল করেছে তাঁরা এখানে পাত্তা পায় না। এখন যারা বেশি তোলা দিতে পারছে তাঁরাই প্রাধান্য পাচ্ছে। কিন্তু নিজেদের হাতের বাইরে নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় এখন বিজেপিকে দোষারোপ করেছে। মানুষই তৃণমূলের কেশপুরকে শেষপুর বানানোর চক্রান্ত রুখে দেবে।'
মঙ্গলবার রাইপুরে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। কার্যত পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) সামনে রেখে আয়োজিত এই জনসভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, 'পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ করতে এলে ব্যালট নেবেন আর পুকুরে ফেলবেন। প্রস্তুত থাকুন, জোর লড়াই দিতে হবে। আর পথ দেখাবে উত্তরবঙ্গ, রাঢ় বঙ্গ আর বালু মাটি একসঙ্গে লড়বো। একদম শক্ত থাকুন, প্রস্তুত থাকুন।' এদিন তিনি ফের ডবল ইঞ্জিনের সরকার (Double Engine Government) তত্ত্বকে জাগিয়ে দেন।
শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। 'কয়লা চোর, গরু চোর, গুণধর ভাইপো' বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, 'আগামি দিনে রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করার শপথ নিয়ে রাইপুরের মাটিতে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত করলাম।'
এদিকে, ডায়মন্ডহারবারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাংগঠনিক বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভোট যখনই ঘোষণা হবে তৃণমূল তৈরি। বিজেপি আগে প্রার্থী খুঁজে পাক। পঞ্চায়েত ভোট অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবের মেজাজে হবে। গণতন্ত্রে মানুষ একপক্ষকে বর্জন করবে, একপক্ষকে গ্রহণ করবে।'
পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, 'দল প্রতি পদক্ষেপে চেষ্টা করছে অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নিতে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার উপ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। দাইহাট পুরসভার প্রধানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। ব্লক বা টাউন সংগঠনে নেতৃত্ব নিয়োগে কারও বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এলে, সত্যতা প্রমাণ হলে আমরা পদে রাখছি না। ভালো মানুষকে, মানুষের কাজে লাগানো যেতে পারে। উন্নয়ন যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় সেটাই আমরা সুনিশ্চিত করেছি। অর্থাৎ এটাই নতুন তৃণমূল।'
প্রসূন গুপ্ত: এখনও আইনগত ভাবে মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে মুকুল কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জিতেছেন। কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার দিন ইঙ্গিত ছিল মুকুল তৃণমূলে ফিরছেন। অন্তত তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানতেন বিষয়টি। এরপর নাটকীয় ভাবে খোদ তৃণমূল নেত্রীর উপস্থিতিতে ঘাসফুলে যোগ দিলেন মুকুল। তাঁকে বরণ করে নিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মুকুলপুত্রকেও দলে টানেন অভিষেক।
সেই বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে পরাজিত শুভ্রাংশু এখন তৃণমূলের টিকিটে পুরভোটে জিতে বীজপুর পৌরসভার উপপ্রধান। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। মুকুলকে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির দাবিতে আপাতত সেই পদ নিয়ে প্রচুর জটিলতা তৈরি হওয়ায়। প্যাক কমিটির চেয়ারম্যান পদে রদবদল হয়েছে। এরই মধ্যে মুকুলের পত্নী বিয়োগ হয়েছে। এরপর থেকে তিনি অনেকটাই উদাসীন হয় পড়েন সক্রিয় রাজনীতিতে। কেউ কেউ বলেছে, তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। কিন্তু মুকুলকে চেনা বড়ই দুষ্কর। ভাইফোঁটার দিন হাসি মুখে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে পুরোনো দিনের মতো ফোঁটা ও উপহার নিয়ে আসেন তিনি। তিনি পাল্টা কী উপহার দিলেন প্রশ্নের উত্তরে মুকুল জানান যে, এখনও দেওয়া হয়নি তবে দেওয়া হবে। তাহলে সেই উপলক্ষ্য কি পঞ্চায়েত ভোট?
পর্দা আসতে আসতে অনেকটাই সরছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার নদীয়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন রাতে নাকি মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন মমতা বলে এমনটাই গুঞ্জন রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন এটাই মুকুল কি ফের ২০১৩-র মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বড় দায়িত্ব পাচ্ছেন? সেটা সময় বলবে, তবে এই প্রতিবেদককে ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে মুকুল আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, নদিয়ার দায়িত্ব পেলে ভালো হতো কারণ নদিয়া জেলাকে হাতের তালুর মতো মতো নাকি চেনেন তিনি।
সেবার দায়িত্ব পাননি তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড, কিন্তু এবারে হয়তো ভাবনা শুরু করেছেন মমতা। তাই বোধ করি মুখ্যমন্ত্রীর নদীয়া জেলা সফরে মমতার সঙ্গেই আগের মতোই থাকছেন মুকুল রায়।
ফের বাসন্তীতে উদ্ধার বোমা (bomb)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী (Basanti) থানার তিতকুমার গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত দশটি তাজা বোমা। ফাঁকা মাঠ থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক (panic)। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বাসন্তী থানার পুলিস (police)।
তিতকুমার গ্রামের ওই মাঠে কে বা কারা এই বোমগুলি রেখে গেল, তদন্ত করে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করতে সিআইডি বোম্ব স্কোয়াডকে (CID Bomb Scuad) খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষরা জানান, রবিবার রাতভর এলাকা চলেছে বোমাবাজি। তবে সাতসকালে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে এসডিপিও ক্যানিংয়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী রয়েছে। পুরো এলাকায় চলছে তল্লাসি।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এহেন অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধারকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। সন্ত্রাসের আবহে পঞ্চায়েত ভোট করাতে চাইছে শাসক দল। এহেন টিপ্পনি বাম-বিজেপি ও কংগ্রেসের। শাসনে খোদ তৃণমূল নেতার বাড়িতে, মধ্য কলকাতা, বারুইপুর পুলিস জেলা অন্তর্গত কাশীপুরে গত একমাসে উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র।
প্রসূন গুপ্ত: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখনই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন তখনই তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই তরজা বেশিরভাগ সময়ে স্বাস্থ্যকর থাকেনি। এমনটিও দেখা গিয়েছে, শুভেন্দু মমতা বা অভিষেককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছেন, তার ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই কুণাল আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। এ কি এক অলিখিত নিয়ম? বোধহয় না, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি আস্থাভাজন কুণাল ঘোষ। এমনটিও দেখা গিয়েছে, শুভেন্দু কোথাও সভা করেছেন তো তার কিছুদিনের মধ্যে সেই স্থানে সভা করতে গিয়েছেন কুণাল।
কুণালের অনেক দায়িত্ব। একদিকে সারা বাংলার বিভিন্ন জেলায় তিনি যান। মূলত প্রচারের কাজটি সারেন। এছাড়া দলীয় মুখপাত্রর দায়িত্বে যেই থাকুন না কেন আসলে সম্পাদকীয়র কাজটি কুণালই করে থাকেন। এছাড়া পৌর বা পুরসভার ভোটেও তাঁকেই বিভিন্ন জেলায় যেতে দেখা গিয়েছে। এবারে দায়িত্ব পূর্ব মেদিনীপুরের। কোনও লিখিত পদ নয় কিন্তু দল (পড়ুন অভিষেক) তাঁকেই পঞ্চায়েতের সংগঠন ও প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছে।
কুণালের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছিল কালীপুজোর রাতে। তিনি জানিয়েছিলেন পয়লা ও দোসরা নভেম্ববর তিনি বিশেষ জেলার কাজে যাচ্ছেন। ফিরবেন হয়তো ৩ নভেম্বর। কিন্তু ফিরেই আবার জেলা সফর। শেষ পর্যন্ত জানা গেল সাম্প্রতিক ভোটের আগে ও পরে তিনি নিয়মিত গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সম্প্রতি নন্দীগ্রামে অভিমান করে থাকা দলের নেতা শেখ সুফিয়ানকে ডেকে এনে সভা করেছেন তিনি। ওই সভায় চোখে লাগার মতো ভিড় দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে কোনও সময়েই শুভেন্দু অধিকারী আমল দেন না কুণালকে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিরোধী নেতা সটান বলে দেন, 'ওই লোকের কথার উত্তর দিতে তাঁর রুচিতে বাঁধে।' কিন্তু বাস্তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কিন্তু আরও একবার বিজেপির কাছে লোকসভার আগে সেমিফাইনাল। দিল্লি থেকে কড়া নির্দেশ, পঞ্চায়েতে ভালো ফল করতে হবে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের লড়াই এখন শুভেন্দু বনাম কুণাল। কুণাল দায়িত্ব নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন হলদিয়ার অফিসে, যা একসময়ে শুভেন্দুর চারণ ভূমি ছিল।
টাকা (money) আত্মসাৎ-এর অভিযোগ প্রধান সঞ্জিত পোদ্দার সহ ১৩ জনের জামিন অযোগ্য ধারায় তেহট্ট থানায় অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই প্রধানকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিস (police)। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।
জানা যায়, নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট থানার বেতাই দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেহাল অবস্থা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ নাগরিক। কারণ, ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ বিডিওর কাছে জমা পড়ে। অভিযোগকারীরা যে অভিযোগ জমা দেয় তাতে হিসাবে দেখা গিয়েছে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা কারচুপি হয়েছে। বিডিও অভিযোগ পেয়ে পাঁচজনের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৯ লক্ষ টাকা তছরুপ সামনে আসে। এরপরই তেহট্ট ওয়ানের বিডিও শুভাশিস মজুমদার শোকজ করেন। শোকজের উত্তর সঠিকভাবে দিতে না পাড়ায় গত ৫ অগাস্ট তেহট্ট থানায় ঐ ১৩ জনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়।
তবে এরপর থেকেই প্রধানের ঘরে তালা বন্ধ। পঞ্চায়েতে আসেন না প্রধান। আর সেইজন্যই পঞ্চায়েতের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত বেতাই দু'নম্বর পঞ্চায়েতের নাগরিকগণ। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা।