অবশেষে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হল রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি)। পিএসসি-র নতুন চেয়ারম্যান হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার তাঁকে নিয়োগ করা হয়। নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কি গতি আসবে? আশায় চাকরিপ্রার্থীরা।
রাজ্যের তরফে পিএসসি চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। রাজ্য সরকারের সেই প্রস্তাবে মঙ্গলবার অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে অপসারণ করা হয়েছিল পিএসসি- র চেয়ারম্যানকে। দীর্ঘদিন পদটি শূন্য পড়ে ছিল। ফাঁকা রয়েছে বেশ কয়েকজন আধিকারিকের পদও। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ এবং প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিএসসি, তারই অবসান চেয়ে সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গত ১৮ জানুয়ারি রাজভবন থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। পিএসসির বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগের দাবি সহ একাধিক দাবি নিয়েই এদিন আন্দোলনে সামিল হলেন তাঁরা। সমস্যার সুরাহা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার একাধিক দাবি নিয়ে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন। যে সমস্ত দাবি নিয়ে তাঁরা আন্দোলনে সামিল হলেন তার মধ্যে রয়েছে- মিসলেনিয়াস সার্ভিস ২০১৯-এ নন জয়েনিং সিটে নিয়োগ করতে হবে। অবিলম্বে সব বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সুপারভাইজার প্রমোশনালদের পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। আইসিডিএস সুপারভাইজার ২০১৯ পদে নিয়োগ করতে হবে ইত্যাদি।
মঙ্গলবার পিএসসি অভিযানরত বিক্ষোভকারীরা জানালেন একাধিকবার রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালকে এ বিষয়ে জানানো হলেও সুরাহা মেলেনি। বারংবার জানানোর পরেও রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙছে না বলে মন্তব্য পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের আহ্বায়ক ইন্দ্রজিতের। জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের ৫ প্রতিনিধির একটি দল পিএসসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তবে এদিন যে সমস্ত দাবি নিয়ে পিএসসি ভবনের সামনে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা, সেগুলো না মানা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। সুরাহা না হলে প্রয়োজনে আদালতেও যাবেন, এমনটাই জানালেন বিক্ষোভকারীরা।
ফের হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) প্রতারণার খবর শিরোনামে। পরিশ্রম না করেই উপার্জন, এই লোভ দেখিয়েই ফাঁদ তৈরি করা হয়। আর সেই ফাঁদেই পা দিতেই খোয়াতে হল লক্ষাধিক টাকা। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার (Noida) এক মহিলার সঙ্গে। জানা গিয়েছে, তাঁকে বলা হয়েছিল ইউটিউব ভিডিওতে (Youtube Videos) লাইক করলেই মোটা টাকা উপার্জন হবে। কিন্তু সেই কাজ করেই একনিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে গেল ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপরই বুঝতে পারেন যে, প্রতারিত হয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, নয়ডার সেক্টর ৬১-এর বাসিন্দা সেই মহিলা। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য এক মেসেজ পান। প্রতারকরা তাঁকে জানান, বিনা পরিশ্রমেই অর্থ উপার্জন করতে তাঁকে শুধুমাত্র কিছু ভিডিও লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে হবে। এরপর তাঁকে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপেও যোগ করা হয়। এরপর তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হয়। আবার তাঁকে বিশ্বাস করানোর জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু ফের তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপর নয়ডা পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কারা এই ঘটনার পিছনে তার তদন্ত করছে নয়ডা পুলিস।
ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) পদে নিয়োগ নিয়ে এবার হাইকোর্টে (High Court) ধমকির মুখে রাজ্য সরকার। 'বেআইনি নিয়োগ হলে বরদাস্ত নয়’, এবার ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগ মামলায় হুঁশিয়ারি আদালতের। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাহলে আদালত নিয়োগ বাতিল করবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। ২০১৮ সালে ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা হয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেয়। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২১ সালে প্রায় ১০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল।
ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্যানেল প্রকাশ হয়। তাতে ৯৫৭ জনের নাম ছিল। ১০০ জন চাকরিও পান। তবে সেই নিয়োগে স্বচ্ছতা নেই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় ৮০ জন আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় একাধিক অনিয়ম রয়েছে। এই নিয়োগে সংরক্ষণ-সহ ইন্টারভিউ এমনকী ভুল প্রশ্নের অভিযোগও তোলা হয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন শনিবার এই মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেন।
যদিও এদিন মামলার শুরুতে রাজ্য জানায়, মাত্র ৩০ জনকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের মামলায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। নাহলে নিয়োগের ক্ষেত্রে রায়ে তাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে। রাজ্যের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার জানান, প্রার্থীরা যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলে সমস্যা হবে।
এরপরই শনিবার আর মামলা শোনেনি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৫ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রাজ্য নারকোটিকসের (State Narcotics Bureau) ফরেন্সিকে বিভাগের শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব (Home Secretary) বিপি গোপালিকাকে এজলাসে তলব করে এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য নারকোটিকসের ফরনেসিক বিভাগে এই মুহূর্তে ১৭টি শূন্যপদ। তার মধ্যে ১০টি পদে পুজোর আগেই নিয়োগ নির্দেশ হাইকোর্টের। নচেৎ আদালত অবমাননার রুল জারির সম্ভাবনা। এভাবেই স্বরাষ্ট্র সচিবকে সমঝে দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য নারকোটিকসের ফরেন্সিক দফতরের শূন্যপদ পূরণ এবং পরিকাঠামো বৃদ্ধি চেয়ে মামলা দায়ের আদালতে। সেই মামলায় স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব হাইকোর্টের। মঙ্গলবার বিকেল তিনটের মধ্যে ফের স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানাতে হবে রিপোর্ট। পিএসসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে কোর্টকে জানাবেন স্বরাষ্ট্র সচিব। এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ১৭টি শূন্যপদের মধ্যে ১০টি পদ পূরণে রাজ্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোর্টের পাল্টা প্রশ্ন, 'কেন ১৭ পদে নিয়োগ নয়?'
স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, এই দফতর তৈরি ২০১৮ সালে। পিএসসি এই দফতরে নিয়োগ করে।আমি পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলছি।
কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) পুজো উপহার। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী মেট্রো চলবে দুপুর ১২টা থেকে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। দশমীতে মেট্রো চলবে রাত দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা অবধি৷ সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রো। পাশাপাশি পুজোর (Durga Puja) কেনাকাটার ভিড় সামাল দিতে প্রাক-পুজো মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো করিডোরে শনি ও রবিবারও বিশেষ মেট্রো পরিষেবা (Special Train) পাওয়া যাবে। জানা গিয়েছে, প্রাক-পুজো বিশেষ পরিষেবা দিতে শনিবার আপ এবং ডাউন মিলিয়ে ২৮২টি ট্রেন চলবে। পাশাপাশি রবিবার ১৬৪টি মেট্রো চলবে আপ এবং ডাউনে। ৩, ৪ সেপ্টেম্বর, ১০, ১১ সেপ্টেম্বর, ১৭, ১৮ সেপ্টেম্বর এবং ২৪,২৫ সেপ্টেম্বর এই অতিরিক্ত পরিষেবা মিলবে।
এদিকে, UPSC পরীক্ষার জন্য রবিবার অতিরিক্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু হবে মেট্রো। সকাল ৯টার বদলে সকাল ৮টায় চলবে প্রথম মেট্রো। আপে কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর এবং ডাউনে দক্ষিনেশ্বর-কবি সুভাসের জন্য প্রথম ট্রেন সকাল ৮টায়। একইভাবে কবি সুভাষ-দমদম এবনং দমদম-কবি সুভাষের জন্য প্রথম ট্রেনও সকাল ৮টায়।
তবে দিনের শেষ ট্রেনের সূচি একই থাকছে। এমনটাই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল।