রেখা পাত্র। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ। বর্তমানে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী। রেখার মেসেজ পেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করলেন রেখাকে। 'শক্তি স্বরূপা' বলে সম্বোধন করে বলেন রেখার সাহসিকতার জন্যই সন্দেশখালির ত্রাস এখন গরাদের ওপারে।
সন্দেশখালির মা, বোনেদের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান রেখা। রেখার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর সন্দেশখালির মানুষের কী প্রতিক্রিয়া তা রেখার কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। রেখা জানান, সন্দেশখালিতে যে কয়েকজন তৃণমূলের সমর্থন করছিল, রেখা প্রার্থী হওয়ার পর তাঁঁরা বিরোধীতা করেছিলেন। তাঁরাও এখন মেনে নিয়েছেন। তাঁরা তাঁকে জানিয়েছেন, তৃণমূলের উস্কানিতেই তাঁরা এসব করেছেন। তাঁরা যা করেছেন, সে সবের জন্য তাঁরা ক্ষমাও চেয়েছেন।’
রেখা প্রধানমত্রীকে আরও জানিয়েছেন, কীভাবে ২০১১ সালের পর থেকে সন্দেশখালির মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এবার যেন তারা নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেটা দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান রেখা। প্রধানমন্ত্রী রেখাকে আশ্বস্ত করে বলেন, রেখার কথা নিশ্চয় নির্বাচন কমিশনের কানে পৌঁছবে। সন্দেশখালির মানুষের পাশে থাকবে কমিশন, যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারে।
রেখা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, সন্দেশখালির সকল মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে চান। এমনকি যাঁরা বিরোধীতা করেছেন তাঁদের জন্যও। প্রধানমন্ত্রী এ কথা শোনার পর খুশি হন, রেখাকে বলেন, বিজেপি সঠিক প্রার্থী বাছাই করেছে। একদিন দেশ রেখার এই ভাবনার জন্য গর্বিত হবে।
রেখা বলেছেন, 'সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের অত্যাচারের পাশাপাশি পুরুষদের উপরেও আক্রমণ হচ্ছে। মারধর করা হয়। কিন্তু তাঁরাও আমার ভাই। তাঁদের সুরক্ষার জন্যও আমি লড়াই করব।'
রাজনীতির অভিজ্ঞতা না থাকা রেখা, খেটে খাওয়া কষ্টে দিন কাটানো রেখা, সন্দেশখালির উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে, কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়ে মিছিলে হাঁটা রেখা। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠা রেখার আত্মবিশ্বাস মুগ্ধ করে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস রেখা নির্বাচনে জয়লাভ করে দিল্লিতে পৌঁছবেই।
শিলিগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত থাকা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও তৃণমূলকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে আক্রমণ করেন।
ভাইপোর কথা তুলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ এই বঙ্গে রেশন দুর্নীতিতেই জেলে খাদ্যমন্ত্রী। তাই রেশন নিয়েও এখানে দুর্নীতি হয়েছে।' এই সভায় তিনি ‘ভাইপো’ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, 'তৃণমূল ভাইপোকে নিয়ে ব্যস্ত।'
অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগদানের পর মোদীর সঙ্গে এটাই প্রথম সাক্ষাৎকার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-এর। সকাল থেকে আলাদাই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে। সেই ইচ্ছেই পূরণ হল শিলিগুড়ির সভামঞ্চে। কাছাকাছি বসার সুযোগও পেয়েছেন। হাত বাড়িয়ে দেন অভিজিতের দিকে। আর তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাত দু’হাতে ধরে নিজের কপালে ছোঁয়ান। আর একেবারে সভার শেষে মোদীর কাছ থেকে সাহসের শংসাপত্রও পেলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।
একদিকে তৃণমূল যখন তাদের ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পাওনা আদায়ে মরিয়া, তখন শিলিগুড়িতে আজ নরেন্দ্র মোদী বলে গেলেন, তৃণমূল সরকার ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের টাকা সরিয়ে নিয়েছে। মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনা থেকে বঞ্চিত করেছে।
এ বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন কি বাতের ১০৯তম পর্বে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে একাধিক প্রসঙ্গ। অযোধ্যার রাম মন্দির, প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে শুরু করে বোর্ড পরীক্ষা বা আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং শ্রীরামের প্রসঙ্গ তুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
তিনি বলেছেন, ভারতীয় সংবিধান রচিত হয়েছে শ্রীরামের অনুপ্রেরণাতেই। অর্থাৎ রাম রাজ্যই অনুপ্রেরণা দিয়েছে দেশের সংবিধান তৈরি করতে। ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় পরিচ্ছদে রয়েছে দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কথা। আর সেখানেই সংবিধান রচয়িতারা শ্রীরাম, মাতা সীতা এবং লক্ষ্মণজীকে সংযুক্ত করেছেন। কাজেই ভারতীয় সংবিধানের আধারই শ্রীরাম। এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। ৫৫০ বছর পর রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল অযোধ্যায়। সেই ঐতিহাসিক দিনে প্রায় ৭০০০ অতিথি সমাগম হয়েছিল অযোধ্যায়। তার পরের দিন সাধারণের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় তাতে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় দেখা গিয়েছিল রাম মন্দিরে। এক দিনে প্রায় ৫ লক্ষ ভক্ত সমাগম ঘটেছিল সেখানে। যা ভ্যাটিকান সিিট থেকে মক্কা শরিফ সব তীর্থস্থানের বার্ষিক পুণ্যার্থী সমাগমকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। রাম লালার দর্শনে এখনও দিনে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে।
অযোধ্যায় নতুন যুগের সূচনা। ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রাম মন্দিরের রামলালার বিগ্রহে। অভিজিৎ মুহূর্তে ৮৪ সেকেন্ডের মধ্যে রামলালার মূর্তিতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। দ্বাদশীর দিনে শুভক্ষণে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। গোটা দেশ সাক্ষী থাকল সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।
একেবারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলেছে প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান। অযোধ্যার মন্দিরে পা রাখার আগে প্রধানমন্ত্রী রামজন্মভূমি চত্বর প্রদক্ষিণ করেন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। তারপরে একে একে সব অনুষ্ঠান নিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন। গর্ভগৃহে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন। হাতে ছিল একটি রুপোর চাঁদোয়া।
তারপরে মন্দিরের ভিতরে মোহন ভাগবতকে সঙ্গে নিয়ে পুজোয় বসেন তিনি। চক্ষুদানের সংকল্প করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরে পদ্মফুল দিয়ে রামলালার পায়ে পুস্পার্ঘ দেন তিনি। সেসময় হেলিকপ্টারে করে রাম মন্দিরের উপরে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। অযোধ্যায় রামলালা বালক বেশে পুজিত হবেন। শঙ্খ-ঘণ্টাধ্বনিতে মুখরিত অযোধ্যা। একেবারে ঘড়ির কাঁটা ধরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পদ্মফুল দিয়ে পুস্পাঞ্জলি দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর সঙ্গে পুস্পাঞ্জলি দেন মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্য়পাল আনন্দীবেন পটেল। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় রাম লালার বিগ্রহে। সেই সঙ্গে মন্দিরের বাইরে রামনাম হচ্ছিল। সঙ্গে ভজন গাওয়াও চলছিল। পুস্পাঞ্জিলর পর কর্পুরের আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপরে পঞ্চ প্রদীপে রামলালার আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কাঁসর ঘণ্টা সহযোগে রামলালার আরতি করেন তিনি।
দীপাবলির আগে বিপুল অঙ্কের কেন্দ্রীয় অর্থ পেল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, কর বাবদ পশ্চিমবঙ্গকে ৫৪৮৮ কোটি টাকা পেল রাজ্য সরকার। যান গিয়েছে, দীপাবলীর আগেই কর বাবদ একাধিক রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ২৭টি রাজ্যকে বকেয়া অর্থ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। অভিযোগ ছিল, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের বকেয়া টাকার। এই দাবিতে আন্দোলন শানিয়েছিল তৃণমূল ব্রিগেড। এই আন্দোলন পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লিতেও। পাশাপাশি এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল রাজভবনের সামনেও। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বকেয়া টাকার দাবিতে ধর্ণা দিয়েছিলেন রাজভবনের সামনে। যদিও সেই দেনা-পাওনার দাবি এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে বড় অংকের টাকা কর বাবদ কেন্দ্র থেকে পাওয়ায় রীতিমত খুশির হাওয়া রাজ্যে। জানা গিয়েছে, দীপাবলীর আগে মোট ৭২ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগের মধ্যে কেন্দ্রের থেকে বিপুল এই অর্থ পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
শুধুমাত্র জি-২০ সম্মেলন (G 20 Summit) নয়, এর পাশাপাশি ১৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আগে জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদী। কিন্তু এবারে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী মোট ১৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে (Bilateral Meet) করবেন।
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর হবে এই সম্মেলন। কিন্তু তার আগেই হবে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদীর বৈঠক হবে। তার আগে ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে। এর পাশাপাশি মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক সারবেন তিনি।
এর পর শনিবার জি-২০ সম্মেলেনের মাঝেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন ব্রিটেন, জাপান, জার্মানি ও ইটালির রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। আবার রবিবার দুপুরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে হবে মধ্যাহ্নভোজ বৈঠক। এছাড়াও মোদী বৈঠক করবেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) একাধিক বিদেশ থেকে, এমনকি দেশ থেকেও অনেকে বিভিন্ন রকমের উপহার দিয়ে থাকেন। আর এবারে দেশেরই এক মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিলেন রাখি (Rakhi)। তবে জানা গিয়েছে, এই রাখির এক বিশেষত্ব রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই রাখিটি ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে বানানো হয়েছে। ফলে তিনি আশাবাদীও যে, তাঁর বানানো এই বিশেষ রাখি প্রধানমন্ত্রী রাখি পূর্ণিমার শুভ দিন পরবেন।
দেশে যেমন তাঁর সমালোচক রয়েছেন, তেমনি তাঁর অনুরাগীও অনেক। দেশের একাধিক মহিলা আবার তাঁকে ভাই-দাদার স্থানও দিয়েছেন। এবারে ওড়িশার এক মহিলা তাঁকে দাদা মনে করে রাখী পূর্ণিমার আগেই রাখি পাঠালেন। জানা গিয়েছে, ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা হলেন কমলা মহারানা। তিনি ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়েই বিভিন্ন ধরণের জিনিস বানান ও তিনি এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীও চালান। প্রধানমন্ত্রীর ২৫ তম 'মন কি বাত' পর্বে তাঁর নাম নেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তিনি তাঁর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা রাখি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীকে।
কমলা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়িয়ে রাখি বানিয়েছি। ওই রাখিই আমার ভাইয়ের (প্রধানমন্ত্রী) কাছে পাঠিয়েছি। আমার অনেক ভালবাসা পাঠালাম ওনার জন্য। তিনি আরও বলেন, 'মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমায় বোন সম্বোধন করেছেন তিনি। তাই এবারে বোনের দায়িত্ব পালন করেছি আমি। আমার বিশ্বাস উনি ওই রাখিটি পরবেন। খুব আনন্দ পাব।'
ভারত এবং চিনের 'নরম গরম' সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মধ্যে কী কথোপকথন হয়, সেদিকেই নজর ছিল দেশবাসীর। বৃহস্পতিবার দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। সেখানে উভয় নেতাই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করার ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য ব্রিকস নেতাদের সঙ্গে মত বিনিয়ম করেন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) বরাবর অমীমাংসিত সমস্যাগুলি নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন। আর দু-পক্ষই দ্রুত সীমান্ত-সমস্যা সমাধান করতে সম্মত হয়েছেন। যদিও এটা সরকারি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল না বলেও জানান বিদেশসচিব।
২০২০ সালে লাদাখে LAC-এ লাল ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার দুই রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হলেন। উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় উত্তজনাকে কেন্দ্র করে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তর অবনতি হয়।
PM Modi, Xi Jinping shake hands, greet each other at BRICS
— ANI Digital (@ani_digital) August 24, 2023
Read @ANI Story | https://t.co/UZgJ2xPvf6#PMModi #XiJinping #BRICSSummit2023 #India #China pic.twitter.com/ux0EAyqEka
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government employee) জন্য় খুশির খবর। শীঘ্রই মহার্ঘ ভাতা (DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদী। এক কোটিরও বেশি কর্মীর ডিএ তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হতে পারে অর্থাৎ ডিএ-র পরিমাণ ৪২ থেকে গিয়ে দাঁড়াবে ৪৫ শতাংশে। তবে এই ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশনে’র সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের তরফে বলা হয়েছে তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।’’
কেন্দ্রের হারে ডিএ-র দাবিতে সরব পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে আইনি লড়াইও চলছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই মামলা। ডিএ-র দাবিতে কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচে সরকারি কর্মীদের অবস্থান বিক্ষেভও চলছে। তাই সবদিক চিন্তা ভাবনা করে তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানো হতে পারে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর পর প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁর বক্তব্য, যে কোনও সভ্য সমাজের জন্য এই ঘটনা নিন্দাজনক।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাদল অধিবেশনের সূচনা হয়। সূচনার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ঘটনার দুঃখ প্রকাশও করেন। তিনি বলেন, 'এই ঘটনায় আমার হৃদয় ব্যথিত। আমি ক্ষুব্ধ।' এর সঙ্গে তিনি জানান, যে ঘটনা ঘটেছে তা সভ্য সমাজের জন্য লজ্জার।
আরও এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল অগ্নিগর্ভ মণিপুর। দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাঁদের গণধর্ষণও করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে হাংঝাওতে এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হবে। এশিয়ার ক্রমতালিকায় প্রথম ৮-এ থাকা দলই অংশ নিতে পারবেন। তাই এবার এশিয়াডে অংশ নিতে পারছেন না সুনীল ছেত্রীরা। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দ্বারস্থ হলেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ।
এশিয়ার ফুটবল টিমগুলির মধ্যে ১৮ নম্বর আছে ভারতীয় ফুটবল টিম। সুনীলদের হেডস্যারের দাবি, ভারত যেন অংশ নিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে নিজের বিবৃতি টুইট করেছেন স্টিমাচ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, ফুটবল দলকে এশিয়ান গেমসে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়। দেশ ও তেরঙ্গার জন্য লড়াই করবে ছেলেরা।
সম্প্রতি ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ ও সাফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এশিয়াডে গেলে ভারত ভাল পারফরম্যান্স করতে পারত ভারত। এমনই মনে করেন, স্টিমাচ।
চলতি বছরের গত মাসেই অর্থাৎ জুনেই মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আর সেই সফর যে নজির গড়েছিল তা বলাই বাহুল্য। এবার প্যারিস (Paris)) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সফরও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) আমন্ত্রণে দুই দিনের (১৩ জুলাই ও ১৪ জুলাই) সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার ব্যাস্টিল দিবস উপলক্ষে সেখানে বিশেষ অতিথি হয়ে যাচ্ছেন তিনি। ফ্রান্স সফর সেরে ফেরার পথে এক দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্যাস্টিল ডে-কে ফ্রান্সের ন্যাশনাল ডে-ও বলা হয়ে থাকে। এটি ফ্রান্সের এক বিশেষ দিন। সেই অনুষ্ঠানে কোনও না কোনও বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকেন প্রতিবারই। এবার সেখানেই হাজির থাকবেন নরেন্দ্র মোদী। এমনকী বিভিন্ন দেশের বিমানও অংশ নেয় সেই অনুষ্ঠানে। ফ্রান্স সফরে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে একাধিক বৈঠক হবে। তাঁরা যোগ দেবেন নৈশভোজেও। ফ্রান্সের বিখ্যাত লুভর মিউজিয়ামে মোদীকে আপ্যায়ন করবেন ম্যাক্রোঁর। একাধিক সংস্থার সিইও-দের সঙ্গেও দেখা করবেন মোদী। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন, সেনেট প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলোচনা হবে তাঁদের।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দুই দেশ কীভাবে একযোগে কাজ করতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। অনুমান করা হচ্ছে, তাঁদের আলোচনায় উঠে আসতে পারে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, নির্মাণকাজ, পরিবেশ রক্ষা, খেলাধুলা বা সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিষয়গুলি।
ফ্রান্স সফরের পর আগামী ১৫ জুলাই আবু ধাবি যাবেন মোদী। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সে দেশেও মোদী কথা বলবেন শিক্ষা, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতির মতো বিষয়ে।
নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Building) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এই ভবন তৈরির কাজ যাঁরা করেছেন, রবিবার তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে জানেন কি নতুন এই সংসদ ভবন সেজে উঠেছে একাধিক বাঙালি শিল্পীর হাতের কারুকার্যে? নজর কেড়েছে বাঙালির কীর্তি।
সংসদ ভবনের প্রধান তিনটি দরজা জ্ঞানদ্বার, শক্তিদ্বার এবং কর্মদ্বারের ভিতরে ঢুকেই বিখ্যাত বাঙালি শিল্পী গৌরমোহন পাহাড়ির নেতৃত্বে তৈরি দু'পাশের দেওয়ালে লাগানো ছ'টি পিতলের ম্যুরাল। গাজিয়াবাদের লোনির কর্মশালায় গত এক বছর ধরে তৈরি হয়েছে এই ম্যুরালগুলি। গৌরমোহনের পরামর্শ অনুযায়ী কলকাতা আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নতুন সংসদ ভবনের 'কনস্টিটিউশনাল ফয়ার'এর দেওয়ালের ফ্রেসকোয় ফুটিয়ে তুলেছেন সংবিধানে আঁকা ১৫ টি ছবি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনীর ছবি এবং কলকাতার বিখ্যাত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের চিত্র। এছাড়াও রাম-লক্ষণ-সীতার পুষ্প বিমান, মহেঞ্জোদারো, গুরুকুল, নেতাজি-আজাদ হিন্দ, গান্ধীজির হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বের মতো ১৫টি ছবি। গৌরমোহনেরই পরামর্শে যা করেছেন কলকাতা আর্ট কলেজের বাঙালি শিল্পীরা। সংবিধানের পাতায় যা এঁকেছিলেন নন্দলাল বসু, হুবহু তাই ফুটেছে ফ্রেসকোয়। কলা, শিল্প, স্থাপত্য নামে তিন ‘ইন্ডিয়া গ্যালারি’র দুই দেওয়ালে ভারতীয় সংস্কৃতির নানা উদাহরণও হবে দৃশ্যমান।
এছাড়াও সংসদ ভবনের উপরে যেখানে সিংহের এমব্লেম বসানো হয়েছে ঠিক তার সামনে রাখা হয়েছে 'ফোকো পেন্ডুলাম'। যার দুলুনি প্রমাণ করে পৃথিবীর নিজের চারিদিকে ঘুরছে। কলকাতার ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সাইন্স মিউজিয়ামের ডিজি অরিজিৎ দত্ত এবং সেন্ট্রাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ল্যাবরেটরি ডিরেক্টর নটরাজ দাশগুপ্ত তৈরি করেছেন এই অনন্য পেন্ডুলাম। ২৫ সেন্টিমিটার গোলাকার এবং ৩০ কেজি ওজনের এই পেন্ডুলামের উপরে রয়েছে সোনার পরত। বাঙালি পদার্থবিদদের তৈরি এই অভিনব ফোকো পেন্ডুলাম থাকছে নতুন সংসদ ভবনের একেবারে কেন্দ্রে। যা চোখ এড়াতে পারবেন না কারোর।
নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো মোদী সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক। রবিবারের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। মোদী (PM Narendra Modi) সরকারের মেয়াদের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট ২.০-এর আগে এই বৈঠককে বাজেট অধিবেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা ভাল, এবার সংসদের বাজেট অধিবেশন ৩১ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ১লা ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন। সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছিলেন বাজেট পেশ চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
শোনা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রীদের কিছু নির্দেশও দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী চান, বাজেট পেশের পর তাঁর মন্ত্রীরা যেন সরকারের সর্বোচ্চ জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। দেশকে দেওয়া জি-টোয়েন্টির সভাপতিত্ব সংক্রান্ত কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) মা হীরাবেন মোদী (Late Heeraben Modi)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আহমেদাবাদের হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হীরাবেন মোদী। মৃত্যুসংবাদ পাওয়ামাত্রই দিল্লি থেকে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোদী। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছন।
বুধবার ইউএন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় হীরাবেন মোদীকে। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় সুস্থ রয়েছেন তিনি। তবে শুক্রবার ভোরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, না ফেরার দেশে যাত্রা করেছেন হীরাবেন মোদী।
টুইট করে মায়ের মৃত্যুসংবাদ দেন মোদী। তিনি লেখেন, “ঈশ্বরের চরণে বিশ্রাম করছে একটা উজ্জ্বল শতবর্ষ। মায়ের মধ্যে আমি সবসময় এক তপস্বীর যাত্রা, নিঃস্বার্থ কর্মযোগী এবং মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জীবন অনুভব করেছি।” তিনি আরও বলেন, তিনি যখন মায়ের ১০০ তম জন্মদিনে দেখা করেন, তখন তিনি একটি কথা মোদীকে বলেছিলেন,'বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কাজ কর, বিশুদ্ধতার সাথে জীবনযাপন কর।"
সদ্য মাতৃহারা প্রধানমন্ত্রীকে শোকবার্তা জানিয়েছেন রাজনৈতিক মহলের সকলেই। শোকসন্তপ্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীজিকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছনে। অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, জে পি নাড্ডা সকলেই শোকজ্ঞাপন করেন। “মা প্রথম বন্ধু, শিক্ষক। তাঁকে হারানোর ক্ষতি অপূরণীয়। তাঁকে হারিয়ে ফেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শোক”, টুইটে শোকপ্রকাশ অমিত শাহের।
গান্ধিনগরে সম্পন্ন হল নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেনের শেষকৃত্য। মায়ের মুখাগ্নি করলেন মোদী। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে মোদীর বাংলা সফর বাতিল হয়েছে। তবে কর্তব্যে অবিচল প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সব অনুষ্ঠানেই যোগ দেবেন। আহমেদাবাদ থেকে ভার্চুয়ালি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন। এরপর যা যা কর্মসূচি রয়েছে সবটাই ভার্চুয়ালি করবেন। প্রধানমন্ত্রী না এলেও রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় দল।