
লোকসভায় (Lok Sabha) পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill), ফলে খুশির মেজাজ মহিলা মহলে। লোকসভা ভোটের আগেই মোদী সরকার হাসিমুখে ৪৫৪ টি ভোটে পাশ করিয়ে নিলেন বহু প্রতীক্ষিত বিল। এবারে এই বিল রাজ্যসভাতেও পাশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এক বিশেষ উদ্যোগ নিলেন। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার বারাণসীর কাশীতে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে একটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর বারাণসীতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার বারণসীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। কারণ আগামী শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কাশীর বারাণসীতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করতে চলেছেন তিনি। আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হচ্ছে এটি। আর এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই কর্মসূচির সঙ্গেই মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করার কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই সভায় অংশ নেবেন শুধুমাত্র মহিলারাই। পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। সভামঞ্চে থাকবেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সারা দেশেজুড়েই রবিবার বেশ ধুমধামের সঙ্গে উদযাপন করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন। দেশ-বিদেশ থেকে আসছে শুভেচ্ছাবার্তা। রাজনৈতিক সতীর্থ থেকে বিপক্ষ, সবাই অভিবাদন জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। ফলে শুভেচ্ছা জানাতে পিছিয়ে থাকেননি বলি পাড়ার তারকারাও। শাহরুখ থেকে শুরু করে কঙ্গনা, সলমন, অক্ষয় অনেকেই মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে নজর কেড়েছে শাহরুখের বার্তা।
রবিবার এক্স হ্যান্ডলে মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘জওয়ান’ শাহরুখ। তিনি লেখেন, 'শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! সুস্থ থাকুন, দিনটা আনন্দে ভরে উঠুক। প্রার্থনা করি, আপনি যেন কাজ থেকে একটু ছুটি পান এবং একটু আনন্দ করার সময় পান। অনেক শুভেচ্ছা।' দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পরামর্শও দিয়েছেন যে, যাতে তিনিও ছুটি নিয়ে বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে পারেন।
Happy Birthday to Hon. PM Shri @narendramodi ji!!! Have a healthy and joyful day. May u get some time off from work and have a bit of fun too. Best wishes.
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) September 17, 2023
শাহরুখের পাশাপাশি অক্ষয় কুমার, সলমন খান, কমল হাসান, সোনু সুদ, রাজকুমার রাও, হেমা মালিনি-সহ বলিপাড়ার একাধিক তারকা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। কঙ্গনা রানাউত আবার প্রধানমন্ত্রীকে নতুন ভারতের বিশ্বকর্মা বলেও আখ্যা দেন।
রবিবার শেষ হয়েছে জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit)। তবে দেশে থেকে গিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন (Prince Mohammed bin Salman)। সোমবার তাঁর সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। হায়দরাবাদ হাউসে বসেছিল সেই বৈঠক। সোমবার একাধিক ইস্যু নিয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয় মহম্মদ বিন সলমনের। এর পাশাপাশি এদিন স্বাক্ষর করা হল একাধিক মউ (MoU)। এদিন বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের অন্যতম বড় সহযোগী দেশ। দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, গত ৮ ডিসেম্বর ভারতে আসেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। জি-২০ সম্মেলনের পরই মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি, এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল। ফলে সোমবারে বৈঠকে বসেন তাঁরা ও একাধিক মউ স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে আর্থিক অবস্থা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর পর, এমইএ-এর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, সোমবার সৌদি আরবের যুবরাজ ও মোদীর মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পরে এও জানা গিয়েছে, বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে নয়া দিল্লিতে একাধিক মউ স্বাক্ষর হয়েছে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে।
PM @narendramodi and Crown Prince & PM of the Kingdom of Saudi Arabia, HRH Prince Mohammed bin Salman held the first Leaders’ Meeting of the ??-?? Strategic Partnership Council.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) September 11, 2023
Agenda included a broad range of areas of bilateral cooperation including energy security, trade and… pic.twitter.com/lGjBHs2vD4
জনপ্রিয়তার নিরিখে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যে বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতাদেরও ছাপিয়ে গিয়েছেন, তা একাধিকবার রিপোর্টে এসেছে। এককথায় তাঁর জনপ্রিয়তা শীর্ষে গিয়ে পৌঁছেছে। আর এবারে মোদীর বিষয়ে আরও এক চমকে দেওয়ার মত খবর এসেছে। জানা গিয়েছে, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একদিনও 'ছুটি' (Leave) নেননি। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীত্বের সাড়ে ন'বছরের কেরিয়ারে একদিনও 'ছুটি' নেননি তিনি, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে।
জানা গিয়েছে, আরটিআই বা রাইট টু ইনফরমেশনে (Right to Information) দাখিল হওয়া প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে উত্তর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রফুল্ল পি সারদা নামে এক ব্যক্তি দুটি আরটিআই দাখিল করেছিলেন। যেখানে তিনি দুটো প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। প্রথম প্রশ্ন ছিল, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কতদিন দফতরে উপস্থিত ছিলেন তিনি?' দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কত গুলো ইভেন্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন?' এর পরই প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে প্রথম প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিদিন সময় মতো দফতর এসেছেন। এমনকি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনও ছুটি নেননি তিনি।' দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজারের বেশি ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেওয়া উত্তর নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswasharma)। দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর গর্ববোধ করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'MyPmMyPride'। তবে শুধুমাত্র অসমের মুখ্যমন্ত্রী নন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর তাঁর কাজের প্রতি এমন নিষ্ঠা দেখে বেজায় খুশি মোদী অনুরাগীরাও।
#MyPmMyPride pic.twitter.com/EPpkMCnLke
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) September 4, 2023
দু'দিনের ফ্রান্স সফরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ ফ্রান্সের (France) রাজধানী প্যারিসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ওরলি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। এরপর বিমানবন্দরেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ওরলি বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন। এরপর ওরলি বিমানবন্দরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে 'গার্ড অফ অনার' দেওয়া হয়। আবার তাঁকে স্বাগত জানাতে উভয় দেশের জাতীয় সংগীতও বাজানো হয়।
ফ্রান্সের জাতীয় দিবস বা বাস্তিল ডে-তে বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্যারিস সফর উপলক্ষে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়রা আনন্দে আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে পৌঁছনোর আগে ভারতীয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রবাসীদের 'মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়' বলেও স্লোগান দিতে দেখা যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী প্যারিসে পৌঁছনোর পর 'ভারত মাতা কী জয়' বলেও স্লোগান দেন ভারতীয়রা। পাশাপাশি বন্দে মাতরম বলেও স্লোগান দিতে শুরু করেন প্রবাসী ভারতীয়রা। ফলে তাঁদের এই উষ্ণ অভ্যর্থনায় আপ্লুত মোদীও। হাসিমুখে তাঁদের সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন। ছোটদের আশীর্বাদ দিতেও দেখা যায় তাঁকে ও বড়দের থেকে হাতজোড় করে সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন নমো।
ফলে প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে পৌঁছতেই তাঁর এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় জমান আট থেকে আশি। প্যারিসের রাস্তায় উপচে পড়ে ভিড়। আর সেই সব ভিডিওই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এককথায়, প্যারিসের রাস্তায় একপ্রকার মোদী ঝড় দেখা গেল এদিন।
পূর্বেই জানা গিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ফ্রান্স (France) সফরে শক্তিশালী হবে ভারতের নৌবাহিনী (Indian Navy)। ফ্রান্সের মাটিতে পা রাখতেই এদিকে রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Jet Fighter) কেনার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)। প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরের দিনই ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান এবং তিনটি অতিরিক্ত স্কর্পেন-শ্রেণির সাবমেরিন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করল ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। ফলে এবারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে ভারত।
A meeting of the Defence Acquisition Council (DAC), held under the chairmanship of Raksha Mantri Shri Rajnath Singh, approved three proposals on July 13, 2023. The DAC granted Acceptance of Necessity (AoN) for procurement of 26 Rafale Marine aircraft along with associated… pic.twitter.com/7M1ajs8VFa
— ANI (@ANI) July 13, 2023
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সেই ছাড়পত্র মিলল। এর ফলে নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য যুদ্ধবিমান কেনা একপ্রকার পাকা হয়ে গেল। আজকের এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন রাজনাথ সিং। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান, ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান এবং সেনার উচ্চপদস্থ কর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হবে ফ্রান্স-ভারতের। এর মধ্যে ২২টি ‘সিঙ্গল সিটার’, বাকি চারটি ‘ফোর সিটার’ যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
কনভয় ছেড়ে এবারে দিল্লি মেট্রোতে (Delhi Metro) দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কনভয় ছেড়ে হঠাৎ দিল্লি মেট্রোতে কেন, এই নিয়ে যাত্রীদের মধ্য়ে কৌতুহল বেড়ে যায়। জানা গিয়েছে, শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ফলে সেই অনুষ্ঠানেরই প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য় মেট্রো পথকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। শুক্রবার মেট্রোতে চেপে তাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
শতবর্ষ উপলক্ষে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী। তাই শুক্রবার সকালেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই গাড়িতে চেপে নয়, বরং সাধারণ মানুষের মতো মেট্রোয় চেপে তিনি যান। যাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। ইতিমধ্য়েই সেই ভিডিও-ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র অনুষ্ঠানেই যোগ দেবেন না, সেখানে তিনটি নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। পাশাপাশি তিনি একটি কফি টেবিল বইয়ের উদ্বোধনও করবেন। যে তিনটি বিল্ডিংয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সেগুলিতে প্রযুক্তি, কম্পিউটার সেন্টার ও অ্যাকাডেমিক ব্লক তৈরি করা হবে। ৮ তলা এই ভবনগুলিতে বিশ্বমানের সমস্ত প্রযুক্তি ও পরিষেবা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
দু'দিনের মিশর সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভারত-মিশর (India-Egypt) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করাই যে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, তা বোঝাই যাচ্ছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট এল সিসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে একাধিক মউ ও চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে দু'দেশের পক্ষে। এগুলো দু'দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট এল সিসির সঙ্গে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আবার তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, বাণিজ্যের প্রচার, সংস্কৃতি, শিল্প নিয়ে মউ-চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মোদী। বিনয় কোয়াত্রার মতে, ভারত ও মিশরের মধ্যে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' এর 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগান্তকারী' সহ চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অন্যদিকে মোদীর মিশর সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করেছেন,'আমার মিশর সফর ছিল ঐতিহাসিক। এটি ভারত-মিশর সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের দেশের এতে জনগণ উপকৃত হবে৷'
ফের মোদীর (Narendra Modi) মুকুটে নয়া পালক। ফের এক দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মিশরের (Egypt) সর্বোচ্চ সম্মান 'অর্ডার অফ দ্য নাইল'-এ (Order of the Nile) ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবেদল আল ফট্টা এল সিসি (Abdel Fattah El-Sisi) রবিবার তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দিলেন। মার্কিন সফর শেষে দু'দিনের মিশর সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়েই তিনি মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাডবাউলির সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর আজ সেদেশের রাষ্ট্রপতি এল সিসি মোদীর হাতে এই সম্মান তুলে দিলেন। প্রথম ভারতীয় হিসাবে তিনি এই সম্মান পেলেন।
#WATCH | Egyptian President Abdel Fattah al-Sisi confers PM Narendra Modi with 'Order of the Nile' award, in Cairo
— ANI (@ANI) June 25, 2023
'Order of the Nile', is Egypt's highest state honour. pic.twitter.com/e59XtoZuUq
শনিবার সন্ধ্যায় মিশরের কায়রোর বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাডবাউলি। এরপর সেদিনই বৈঠক করেন তাঁর সঙ্গে। রবিবার রাষ্ট্রপতি এল সিসির সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ভারতের সঙ্গে একাধিক মউও সই করেন মিশরের রাষ্ট্রপতি। তারপরেই মোদীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মান। তাঁর গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় মেডেল। সবাই করমর্দন করে তাঁকে অভিনন্দন জানান।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) পা স্পর্শ করে ফের প্রণাম। এর আগেও এমন একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল পাপুয়া নিউ গিনিতে। সেদেশ সফরে গিয়ে সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এবারে মোদীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন মার্কিন সংগীতশিল্পী মেরি মিলবেন (Mary Millben)। মার্কিন (US) সফরে যেতেই সেদেশে এককথায় মোদী ঝড় উঠেছিল। তাঁর জন্যই সেদেশের ভারতীয় প্রবাসীরা ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রেগানে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানেই ভারতের জাতীয় সংগীত 'জণগণমন' গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর থেকে আশীর্বাদ নেন মেরি মিলবেন।
Indian culture possesses a remarkable beauty, as its values transcend boundaries effortlessly. Through the humble act of touching feet of Hon PM Shri @narendramodi Ji, @MaryMillben has exemplified profound respect for our ancient values. It truly represents the idea of 'One… pic.twitter.com/dAMEuqmffj
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) June 24, 2023
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরের শেষদিনে ইউনাইটেড স্টেটস ইন্ডিয়ান কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের তরফে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে চারিদিকে প্রবাসী ভারতীয়দের ভিড়, তাঁদের প্রত্যেকের মুখে নমোস্তুতি। এরই মাঝে আফ্রিকান-মার্কিন সংগীতশিল্পী মেরি মিলবেন প্রধানমন্ত্রীর জন্য জাতীয় সংগীত 'জনগণমন' গান। এরপর জাতীয় সংগীত শেষ করেই সরাসরি এগিয়ে গেলেন মোদীর দিকে ও তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন। আর এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল পুরো বিশ্ববাসী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য জাতীয় সংগীত গেয়ে মেরি মিলবেন বলেন, 'চারবার মার্কিন রাষ্ট্রপতির আমলে আমেরিকান জাতীয় সংগীত এবং দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করার পরে, আমি প্রধানমন্ত্রী মোদী, দেশ ও জনগণের জন্য ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে পেরে গভীরভাবে সম্মানিত।'
তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজ তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন, আর এদিন বিশেষ নৈশভোজের (Dinner) আয়োজন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হোয়াইট হাউসে (White House) মোদী পৌঁছতেই বিশেষ সম্মান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। এক বিশেষ নৈশভোজেরও আসর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জিল বাইডেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিরামিষভোজী। আর সেই কথা ভেবেই তাঁর জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, হোয়াইট হাউসের রান্নাঘরের দায়িত্বে রয়েছেন সেখানেরই প্রধান শেফ নিনা কার্টিস।
প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের দায়িত্বে রয়েছেন জিল বাইডেন। তিনিই শেফ নিনা কার্টিসকে নিরামিষ খাবার তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, খাবারের প্রথমেই রয়েছে ম্যারিনেটেড মিলেট, গ্রিন কর্ন কার্নাল স্যালাড, তরমুজ, ট্যাঙ্গি অ্যাভোকাডো সস। এরপর রয়েছে স্টাফড পোর্তোবেলো মাশরুম, ক্রিমি স্যাফরন ইনফিউজড রিসোটো। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী নন, আরও ৪০০ জন অতিথির এদিন আমন্ত্রণ রয়েছে। তাঁদের জন্য রয়েছে মাছের পদ। লেমন ড্রিল ইয়োগার্ট ও সুমাক রোস্টেড সি বাস নামে দু’টি মাছের পদ। এখানেই শেষ নয়, শেষপাতে রয়েছে মিলেট কেক, সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন স্কোয়াশ। ডের্জাটের জন্য থাকবে গোলাপ ও এলাক দেওয়া স্ট্রবেরি শর্টকেক।
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বিশেষ নৈশভোজের আয়োজনে সমস্ত খাবারেই ভারতীয় ছোঁয়া রয়েছে। দেশের পতাকা রং যেমন দেখা যাবে খাবারের উপর তেমনি, দেশের জাতীয় পাখি ও জাতীয় ফুলের রংও ফুটে উঠবে খাবারের মাধ্যমে। ভারতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এমন উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
অবশেষে সাংবাদিক সম্মেলনের (Press Conference) সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২২ জুন, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের একেবারে মুখোমুখি হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন ও ভারতীয় দুই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আরও জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলনে এক মার্কিন সাংবাদিক এবং এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে একটি প্রশ্ন থাকবে। সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি এই যৌথ সম্মেলনকে 'বড় বিষয়' বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র এই বিষয়ে জানিয়েছেন, 'হোয়াইট হাউস কৃতজ্ঞ যে সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।'
তিনদিনের সফরে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এটাই তাঁর প্রথম অফিসিয়াল মার্কিন সফর। ফলে এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছনোর পরই তাঁকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর আজ হোয়াইট হাউসে পৌঁছতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাঁকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান।
ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ (Train Accident) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনার পরই শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আর সেখানে পৌঁছতেই তিনি জানালেন, 'দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।' আজ, শনিবার সকাল থেকেই দুর্ঘটনাস্থলে একে একে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সকালে নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তারপরেই বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ বালেশ্বরে পৌঁছন মোদী। এরপর রেলমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রের আরও এক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। খতিয়ে দেখেন উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে তিনি ওড়িশা মন্ত্রিসভার সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। আহতদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এরপর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বালেশ্বর হাসপাতালেও যান প্রধানমন্ত্রী। আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকার কোনও চেষ্টাই বাকি রাখবে না। এটা একটা গুরুতর ঘটনা। প্রতিটি কোণ থেকে এর তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।'
উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর (PM Modi) উপহার। এবারে অসমেও (Assam) চালু হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ২৯ মে, সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ অসমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই ট্রেন উদ্বোধন করলেন তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, 'সোমবার প্রধানমন্ত্রী অসমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করবেন। ফলে এটা খুবই গর্বের মুহূর্ত'।
উত্তর-পূর্ব ভারত এবারই প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেল। এটি দেশের অষ্টাদশ বন্দে ভারত ট্রেন। রেলসূত্রে খবর, এই ট্রেন গুয়াহাটি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ এই ট্রেনের মাধ্যমে অসমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগাযাোগ আরও দ্রুত হবে। জানা গিয়েছে, ৪১০ কিমি পথ যেতে এই ট্রেনের সময় লাগবে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। এই ট্রেন সপ্তাহে ছ'দিন চলবে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করবে ৬ টা ১০ মিনিটে আর গুয়াহাটি পৌঁছবে দুপুরের দিকে। আবার গুয়াহাটি থেকে এই ট্রেন চলবে বিকাল সাড়ে ৪টায় ও নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে রাত ১০ টা ২০ মিনিটে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ও অসমের মধ্যে মোট পাঁচটি জায়গায় ট্রেনটি দাঁড়াবে। সেই জায়গাগুলো হল- নিউ আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার, কোকরাঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও, কামাখ্যা।
সূত্রের খবর, সোমবার অসমের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রেলমন্ত্রীকে এই ট্রেনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Building) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এই ভবন তৈরির কাজ যাঁরা করেছেন, রবিবার তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে জানেন কি নতুন এই সংসদ ভবন সেজে উঠেছে একাধিক বাঙালি শিল্পীর হাতের কারুকার্যে? নজর কেড়েছে বাঙালির কীর্তি।
সংসদ ভবনের প্রধান তিনটি দরজা জ্ঞানদ্বার, শক্তিদ্বার এবং কর্মদ্বারের ভিতরে ঢুকেই বিখ্যাত বাঙালি শিল্পী গৌরমোহন পাহাড়ির নেতৃত্বে তৈরি দু'পাশের দেওয়ালে লাগানো ছ'টি পিতলের ম্যুরাল। গাজিয়াবাদের লোনির কর্মশালায় গত এক বছর ধরে তৈরি হয়েছে এই ম্যুরালগুলি। গৌরমোহনের পরামর্শ অনুযায়ী কলকাতা আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নতুন সংসদ ভবনের 'কনস্টিটিউশনাল ফয়ার'এর দেওয়ালের ফ্রেসকোয় ফুটিয়ে তুলেছেন সংবিধানে আঁকা ১৫ টি ছবি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনীর ছবি এবং কলকাতার বিখ্যাত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের চিত্র। এছাড়াও রাম-লক্ষণ-সীতার পুষ্প বিমান, মহেঞ্জোদারো, গুরুকুল, নেতাজি-আজাদ হিন্দ, গান্ধীজির হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বের মতো ১৫টি ছবি। গৌরমোহনেরই পরামর্শে যা করেছেন কলকাতা আর্ট কলেজের বাঙালি শিল্পীরা। সংবিধানের পাতায় যা এঁকেছিলেন নন্দলাল বসু, হুবহু তাই ফুটেছে ফ্রেসকোয়। কলা, শিল্প, স্থাপত্য নামে তিন ‘ইন্ডিয়া গ্যালারি’র দুই দেওয়ালে ভারতীয় সংস্কৃতির নানা উদাহরণও হবে দৃশ্যমান।
এছাড়াও সংসদ ভবনের উপরে যেখানে সিংহের এমব্লেম বসানো হয়েছে ঠিক তার সামনে রাখা হয়েছে 'ফোকো পেন্ডুলাম'। যার দুলুনি প্রমাণ করে পৃথিবীর নিজের চারিদিকে ঘুরছে। কলকাতার ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সাইন্স মিউজিয়ামের ডিজি অরিজিৎ দত্ত এবং সেন্ট্রাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ল্যাবরেটরি ডিরেক্টর নটরাজ দাশগুপ্ত তৈরি করেছেন এই অনন্য পেন্ডুলাম। ২৫ সেন্টিমিটার গোলাকার এবং ৩০ কেজি ওজনের এই পেন্ডুলামের উপরে রয়েছে সোনার পরত। বাঙালি পদার্থবিদদের তৈরি এই অভিনব ফোকো পেন্ডুলাম থাকছে নতুন সংসদ ভবনের একেবারে কেন্দ্রে। যা চোখ এড়াতে পারবেন না কারোর।