এবারের লোকসভা ভোটে বাংলায় ইস্যুগুলির মধ্যে একেবারে প্রথমে রয়েছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। এদিন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ভোট প্রচারে এসে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি তিনি এদিনও বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা গরিবদের হাতে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিনও উঠে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। আর বাংলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরে হামলার প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরে হামলা সারা দেশ দেখেছে। তিনি বলেছেন, এখানে এমন পরিস্থিতি যে আদালতকে সব ব্যাপারেই হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাংলা এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র গরিবদের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর তৃণমূল সেই টাকা লুট হচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূলের ছোট নেতাও বড় বাংলোয় থাকেন। কিন্তু চা-বাগানের দিকে তাদের কোনও নজর নেই। বাংলার চা-শিল্প দেশের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে।
গত পাঁচ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির ওপরে হামলার পরে ছয় এপ্রিল ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপরে হামলা হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, সারা দেশ কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপরে হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, তোলাবাজদের বাঁচাতে তৎপর তৃণমূল। সেই জন্য তারা কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে বাধা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিন উঠে এসেছে রাজ্যের রেশন ও নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গও। প্রধাননমন্ত্রীর অভিযোগ রাজ্যের সর্বত্র সিন্ডিকেট রাজ কায়েম হয়েছে। তবে সব কিছুর মধ্যে থেকেও প্রধানমন্ত্রী এদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর গ্যারান্টির কথা বলেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন কেউ ছাড় পাবে না। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জুন মাস থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে আরও গতি আসবে।
বাংলায় কেন্দ্রের উন্নয়নে ব্রেক কষছে তৃণমূল, এমন মন্তব্যও করেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিনও প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতির কথা। তিনি বলেছেন, বাংলায় দুর্নীতির মাধ্যমে যারা টাকা জমিয়েছিল, তাদের তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি এব্যাপারে কথা বলছেন। ওই টাকা তিনি বাংলার গরিবদের দিনে চান বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবারই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, বুধবার তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে। ইতিমধ্যে বারাসতের সভাস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে 'নারীশক্তি সম্মান সমাবেশ'-এ বাংলার মা, বোন, ভাইদের প্রণাম জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মোদীজি।
লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। ১লা মার্চ বাংলায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগ, কৃষ্ণনগরের পর এবার বারাসতে জনসমাবেশে উপস্থিত হন তিনি। এদিন তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকালেই নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হল হাওড়া-ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুট। দেশে এই প্রথম গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটল মেট্রো।
বারাসতের সভামঞ্চ থেকে এদিন মোদীজি এদিন গলা চড়িয়ে বলেন, 'ওরা জানতে চায় মোদীর পরিবার কোথায়? দেশের কোণা কোণা থেকে মানুষ সভাস্থলে এসেছেন। এটাই তো আমার পরিবার। বাংলার সকল মা, বোনেরা আমার পরিবার। মোদীর সমস্ত জীবন এই পরিবারের জন্য সমর্থিত। আমার জন্য বাংলার মা-বোন দুর্গার মতো পাশে দাঁড়ায়।'
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির মহিলাদের কথা যাতে জাতীয় স্তরে পৌঁছে দেওয়া যায়,তার ব্যবস্থা সভাস্থলে রাখা হয়েছে বলেও খবর বিজেপি সূত্রে । সেই কারণে ভার্চুয়ালি 6 হাজার জায়গা থেকে মহিলাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে । এছাড়া সভাস্থলের আশেপাশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে জায়েন্ট স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার লাইভ সম্প্রচার তুলে ধরা হবে বলেও জানা গিয়েছে । অর্থাৎ, মোদির জনসভা সফল করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব ।
বাংলার উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। আর বাংলাকে আত্মনির্ভর করতেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। শনিবার কৃষ্ণনগর থেকে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সাত হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পরে এদিনও ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের কথা জানান। বাংলার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বদা রয়েছেন। এমনটাই কৃষ্ণনগরের সভা থেকে আশ্বাস দিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফারাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত হাইওয়ে তৈরি করা হয়েছে। মোদী জমানায় পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নের দরজা খুলে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রাজ্যের একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। এর মধ্যে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেন। ফরাকা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত চার লেনের জাতীয় সড়কের উদ্বোধনও করেন। আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ রেল প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি। তিনি বলেছেন, রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে এগারো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে রাজ্যের জন্য বাইশ হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। শুক্রবার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, বাংলায় রেলের উন্নয়ন এমন হওয়া দরকার যেমনটা অন্য রাজ্যে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, বিকশিত ভারত গড়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেখানে গরিব, মহিলা ও যুবদের সব থেকে বড় ভূমিকা থাকবে।
কৃষ্ণনগরের সভায় জনগণের ঢল দেখা যায় এদিন। তিনি বলেন, বাংলার বিকাশ হলেই দেশের বিকাশ। এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে ৪২ টি আসনের সবকটিই দখল করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসও ৪২ টির মধ্যে ৪২টি দখলের স্লোগান রেখেছিল। তারপর তারা গিয়ে থামে ২২ টিতে।
চিটফাণ্ড থেকে নিয়োগ দুর্নীতি। একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যে কোনও সময় ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
একেবারে ভোটের মুখে বাংলায় দাঁড়িয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে একযোগে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার পরিস্থিতি কেমন তা গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে। তৃণমূল শুধুই মুখে মা-মাটি এবং মানুষের কথা বলে। আদৌতে কী হচ্ছে তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গরু থেকে নিয়োগ, সব ক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে বলে এদিন তীব্র আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদী। বলেন, শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুরসভায় নিয়োগ। সবক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে। এমনকি গরীবদের রেশন থেকে শুরু করে সীমান্ত থেকে পশুপাচার করা হচ্ছে বলেও আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কারণেই তৃণমূলের মন্ত্রীদের বাড়িতে বিশাল নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে। যা সিনেমাতেও দেখা যায় না। অপরাধ এবং দুর্নীতির নতুন মডেল বাংলায় তৈরি হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী।
তবে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে মোদী! আর সেজন্যে ওরা দুশমন নম্বর ওয়ান আমাকে মনে করে। তবে চুরি করতে দিতে পারি না আমি। যারা গরীবদের টাকা লুঠ করেছে তাঁদের সবাইকে টাকা ফেরত দিতে হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এটা মোদীর গ্যারেন্টি বলে মন্তব্য তাঁর।
পাশাপাশি রাজ্যের কারণে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প কীভাবে আটকে রয়েছে বাংলায় সেই কথাও এদিন বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে কিন্তু কাজ করতে পারছে না তৃণমূল সরকার। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঝরিয়া আর রানিগঞ্জে কয়লা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।
গোটা দেশে দ্রুত গতিতে কাজ হলেও এখানে তা কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী। আর এই সমস্ত প্রকল্পে গতি আনতে বাংলার সব কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটানোর আবেদন করেন তিনি।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগেই চলতি বছরেই দেশের পাঁচটি রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2023)। আর এই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এবারে মেগা প্রচারে নামতে চলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজ অর্থাৎ শনিবার থেকেই ভোট প্রচারে জোরকদমে নামছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গনা, ছত্তিশগড়ে আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে শনিবার থেকেই মেগা নির্বাচন ক্যাম্পেনে অংশ নিতে চলেছেন নমো। ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঠাসা কর্মসূচি।
সূত্রের খবর, আগামী ছয়দিনে মোট আটটি র্যালিতে করবেন। এছাড়াও একাধিক প্রকল্পের শিলান্য়াস করবেন ও বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ ৩০ অক্টোবরে তিনি আছেন ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে। সেই রাজ্যে গিয়ে তিনি বিজেপির 'পরিবর্তন যাত্রা'-য় অংশ নিয়েছেন তিনি। এর পর বিলাসপুরের সায়েন্স গ্রাউন্ড কলেজে 'পরিবর্তন মহাসংকল্প' সভায় বক্তৃতা রাখেন।
১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাবেন তেলেঙ্গনার মেহবুবনগরে। সেখানে গিয়েই তিনি ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও হায়দরাবাদে নতুন পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন করবেন।
২ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশে প্রচারে যাবেন মোদী। গোয়ালিয়রে তাঁর দুটি জনসভা করার কথা রয়েছে। জবলপুর ও জগদলপুরেও দুটি জনসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর তিনি যাবেন রাজস্থানের চিতোরগড়ে। সেখানে গিয়ে একটি জনসভায় গিয়ে তিনি বক্তৃতা দেবেন।
এরপর ৩ অক্টোবর ফের ছত্তিশগড় যাবেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে এক জনসভায় অংশগ্রহণ করার পর তেলেঙ্গনায় ফিরে নিজামাবাদ জেলায় একটি বৈঠক করবেন নমো।
শেষে ৬ অক্টোবর ফের রাজস্থানে ফিরে অশোক গেহলটের দুর্গ বলে পরিচিত যোধপুরে প্রচারসভা করতে পারেন প্রধানমন্তী মোদী।
রোবটের (Robots) দুনিয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রোবটের হাতেই খেলেন চা, এমনকি কথাও বললেন। সেই ছবিই এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। এই দৃশ্য গুজরাটের (Gujarat) আমেদাবাদের। সেখানের সায়েন্স সিটির নেচার পার্কে আয়োজন করা হয়েছিল রোবট প্রদর্শনীর। আর সেই প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সেই প্রদর্শনীতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোবটদের কর্মকাণ্ড দেখেন তিনি।
সূত্রের খবর, 'ভাইব্র্যান্ট গুজরাট' কর্মসূচির ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্যে গুজরাটে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার দিনভর তিনি ঘুরেছেন সায়েন্স সিটিতে। মোদীর সঙ্গে এদিন ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। নিজের কর্মসূচির ব্যস্ততার মাঝেই গুজরাটের সায়েন্স সিটির রোবটিক্স গ্যালারি ঘুরে দেখেন। রোবটিক্স গ্যালারিতে সময় কাটানোর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে ও সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, রোবটের হাত থেকে চা নিয়ে খাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে দুটি স্যান্ডউইচ, জলের বোতলও। এছাড়াও রোবটের নানান কর্মকাণ্ড দেখেন তিনি। রোবটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই ছবিগুলো বর্তমানে ভাইরাল।
দেশের মাটিতে বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে, এবারে সেই তালিকায় আরও একটি যুক্ত হল। বারাণসীতে (Varanasi) এবারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে। শনিবার দুপুরে বারাণসীর গাঞ্জরী গ্রামে এই স্টেডিয়ামটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই স্টেডিয়ামের শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, রজার বিনির মত প্রাক্তন তারকারা। এছাড়াও ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর হাতে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি তুলে দেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)।
বারাণসীতে এই স্টেডিয়াম তৈরি করার ফলে উত্তরপ্রদেশ পেল মোট তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কানপুর, লখনউয়ের পর বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে এই স্টেডিয়াম। জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হবে ও খেলার জন্য তৈরি করা হবে। এই স্টেডিয়ামটির নাম করা হবে কাশী স্টেডিয়াম এবং এটা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, ভগবান শিবকে উৎসর্গ করে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। তাই এই স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে মহাদেবের আদলে। মোট ৩০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন এই স্টেডিয়ামে। মোট ৩৩০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে এই স্টেডিয়াম।
শনিবারের স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ছাড়াও আরও একটি নজরকাড়া মুহূর্ত সকলের সামনে আসে। এদিন সচিন তেন্ডুলকর বিশেষ উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মোদীর হাতে সচিন তুলে দেন টিম ইন্ডিয়ার জার্সি। ওই জার্সিতে নামের জায়গায় লেখা ‘NAMO’ এবং জার্সির নম্বর ১।
লোকসভায় (Lok Sabha) পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill), ফলে খুশির মেজাজ মহিলা মহলে। লোকসভা ভোটের আগেই মোদী সরকার হাসিমুখে ৪৫৪ টি ভোটে পাশ করিয়ে নিলেন বহু প্রতীক্ষিত বিল। এবারে এই বিল রাজ্যসভাতেও পাশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এক বিশেষ উদ্যোগ নিলেন। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার বারাণসীর কাশীতে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে একটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর বারাণসীতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার বারণসীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। কারণ আগামী শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কাশীর বারাণসীতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করতে চলেছেন তিনি। আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হচ্ছে এটি। আর এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই কর্মসূচির সঙ্গেই মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করার কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই সভায় অংশ নেবেন শুধুমাত্র মহিলারাই। পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। সভামঞ্চে থাকবেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সারা দেশেজুড়েই রবিবার বেশ ধুমধামের সঙ্গে উদযাপন করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন। দেশ-বিদেশ থেকে আসছে শুভেচ্ছাবার্তা। রাজনৈতিক সতীর্থ থেকে বিপক্ষ, সবাই অভিবাদন জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। ফলে শুভেচ্ছা জানাতে পিছিয়ে থাকেননি বলি পাড়ার তারকারাও। শাহরুখ থেকে শুরু করে কঙ্গনা, সলমন, অক্ষয় অনেকেই মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে নজর কেড়েছে শাহরুখের বার্তা।
রবিবার এক্স হ্যান্ডলে মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘জওয়ান’ শাহরুখ। তিনি লেখেন, 'শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! সুস্থ থাকুন, দিনটা আনন্দে ভরে উঠুক। প্রার্থনা করি, আপনি যেন কাজ থেকে একটু ছুটি পান এবং একটু আনন্দ করার সময় পান। অনেক শুভেচ্ছা।' দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পরামর্শও দিয়েছেন যে, যাতে তিনিও ছুটি নিয়ে বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে পারেন।
Happy Birthday to Hon. PM Shri @narendramodi ji!!! Have a healthy and joyful day. May u get some time off from work and have a bit of fun too. Best wishes.
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) September 17, 2023
শাহরুখের পাশাপাশি অক্ষয় কুমার, সলমন খান, কমল হাসান, সোনু সুদ, রাজকুমার রাও, হেমা মালিনি-সহ বলিপাড়ার একাধিক তারকা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। কঙ্গনা রানাউত আবার প্রধানমন্ত্রীকে নতুন ভারতের বিশ্বকর্মা বলেও আখ্যা দেন।
রবিবার শেষ হয়েছে জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit)। তবে দেশে থেকে গিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন (Prince Mohammed bin Salman)। সোমবার তাঁর সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। হায়দরাবাদ হাউসে বসেছিল সেই বৈঠক। সোমবার একাধিক ইস্যু নিয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয় মহম্মদ বিন সলমনের। এর পাশাপাশি এদিন স্বাক্ষর করা হল একাধিক মউ (MoU)। এদিন বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের অন্যতম বড় সহযোগী দেশ। দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, গত ৮ ডিসেম্বর ভারতে আসেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। জি-২০ সম্মেলনের পরই মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি, এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল। ফলে সোমবারে বৈঠকে বসেন তাঁরা ও একাধিক মউ স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে আর্থিক অবস্থা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর পর, এমইএ-এর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, সোমবার সৌদি আরবের যুবরাজ ও মোদীর মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পরে এও জানা গিয়েছে, বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে নয়া দিল্লিতে একাধিক মউ স্বাক্ষর হয়েছে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে।
PM @narendramodi and Crown Prince & PM of the Kingdom of Saudi Arabia, HRH Prince Mohammed bin Salman held the first Leaders’ Meeting of the ??-?? Strategic Partnership Council.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) September 11, 2023
Agenda included a broad range of areas of bilateral cooperation including energy security, trade and… pic.twitter.com/lGjBHs2vD4
জনপ্রিয়তার নিরিখে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যে বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতাদেরও ছাপিয়ে গিয়েছেন, তা একাধিকবার রিপোর্টে এসেছে। এককথায় তাঁর জনপ্রিয়তা শীর্ষে গিয়ে পৌঁছেছে। আর এবারে মোদীর বিষয়ে আরও এক চমকে দেওয়ার মত খবর এসেছে। জানা গিয়েছে, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একদিনও 'ছুটি' (Leave) নেননি। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীত্বের সাড়ে ন'বছরের কেরিয়ারে একদিনও 'ছুটি' নেননি তিনি, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে।
জানা গিয়েছে, আরটিআই বা রাইট টু ইনফরমেশনে (Right to Information) দাখিল হওয়া প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে উত্তর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রফুল্ল পি সারদা নামে এক ব্যক্তি দুটি আরটিআই দাখিল করেছিলেন। যেখানে তিনি দুটো প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। প্রথম প্রশ্ন ছিল, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কতদিন দফতরে উপস্থিত ছিলেন তিনি?' দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কত গুলো ইভেন্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন?' এর পরই প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে প্রথম প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিদিন সময় মতো দফতর এসেছেন। এমনকি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনও ছুটি নেননি তিনি।' দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজারের বেশি ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেওয়া উত্তর নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswasharma)। দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর গর্ববোধ করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'MyPmMyPride'। তবে শুধুমাত্র অসমের মুখ্যমন্ত্রী নন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর তাঁর কাজের প্রতি এমন নিষ্ঠা দেখে বেজায় খুশি মোদী অনুরাগীরাও।
#MyPmMyPride pic.twitter.com/EPpkMCnLke
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) September 4, 2023
দু'দিনের ফ্রান্স সফরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ ফ্রান্সের (France) রাজধানী প্যারিসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ওরলি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। এরপর বিমানবন্দরেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ওরলি বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন। এরপর ওরলি বিমানবন্দরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে 'গার্ড অফ অনার' দেওয়া হয়। আবার তাঁকে স্বাগত জানাতে উভয় দেশের জাতীয় সংগীতও বাজানো হয়।
ফ্রান্সের জাতীয় দিবস বা বাস্তিল ডে-তে বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্যারিস সফর উপলক্ষে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়রা আনন্দে আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে পৌঁছনোর আগে ভারতীয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রবাসীদের 'মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়' বলেও স্লোগান দিতে দেখা যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী প্যারিসে পৌঁছনোর পর 'ভারত মাতা কী জয়' বলেও স্লোগান দেন ভারতীয়রা। পাশাপাশি বন্দে মাতরম বলেও স্লোগান দিতে শুরু করেন প্রবাসী ভারতীয়রা। ফলে তাঁদের এই উষ্ণ অভ্যর্থনায় আপ্লুত মোদীও। হাসিমুখে তাঁদের সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন। ছোটদের আশীর্বাদ দিতেও দেখা যায় তাঁকে ও বড়দের থেকে হাতজোড় করে সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন নমো।
ফলে প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে পৌঁছতেই তাঁর এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় জমান আট থেকে আশি। প্যারিসের রাস্তায় উপচে পড়ে ভিড়। আর সেই সব ভিডিওই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এককথায়, প্যারিসের রাস্তায় একপ্রকার মোদী ঝড় দেখা গেল এদিন।
পূর্বেই জানা গিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ফ্রান্স (France) সফরে শক্তিশালী হবে ভারতের নৌবাহিনী (Indian Navy)। ফ্রান্সের মাটিতে পা রাখতেই এদিকে রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Jet Fighter) কেনার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)। প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরের দিনই ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান এবং তিনটি অতিরিক্ত স্কর্পেন-শ্রেণির সাবমেরিন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করল ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। ফলে এবারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে ভারত।
A meeting of the Defence Acquisition Council (DAC), held under the chairmanship of Raksha Mantri Shri Rajnath Singh, approved three proposals on July 13, 2023. The DAC granted Acceptance of Necessity (AoN) for procurement of 26 Rafale Marine aircraft along with associated… pic.twitter.com/7M1ajs8VFa
— ANI (@ANI) July 13, 2023
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সেই ছাড়পত্র মিলল। এর ফলে নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য যুদ্ধবিমান কেনা একপ্রকার পাকা হয়ে গেল। আজকের এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন রাজনাথ সিং। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান, ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান এবং সেনার উচ্চপদস্থ কর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হবে ফ্রান্স-ভারতের। এর মধ্যে ২২টি ‘সিঙ্গল সিটার’, বাকি চারটি ‘ফোর সিটার’ যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
কনভয় ছেড়ে এবারে দিল্লি মেট্রোতে (Delhi Metro) দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কনভয় ছেড়ে হঠাৎ দিল্লি মেট্রোতে কেন, এই নিয়ে যাত্রীদের মধ্য়ে কৌতুহল বেড়ে যায়। জানা গিয়েছে, শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ফলে সেই অনুষ্ঠানেরই প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য় মেট্রো পথকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। শুক্রবার মেট্রোতে চেপে তাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
শতবর্ষ উপলক্ষে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী। তাই শুক্রবার সকালেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই গাড়িতে চেপে নয়, বরং সাধারণ মানুষের মতো মেট্রোয় চেপে তিনি যান। যাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। ইতিমধ্য়েই সেই ভিডিও-ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র অনুষ্ঠানেই যোগ দেবেন না, সেখানে তিনটি নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। পাশাপাশি তিনি একটি কফি টেবিল বইয়ের উদ্বোধনও করবেন। যে তিনটি বিল্ডিংয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সেগুলিতে প্রযুক্তি, কম্পিউটার সেন্টার ও অ্যাকাডেমিক ব্লক তৈরি করা হবে। ৮ তলা এই ভবনগুলিতে বিশ্বমানের সমস্ত প্রযুক্তি ও পরিষেবা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
দু'দিনের মিশর সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভারত-মিশর (India-Egypt) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করাই যে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, তা বোঝাই যাচ্ছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট এল সিসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে একাধিক মউ ও চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে দু'দেশের পক্ষে। এগুলো দু'দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট এল সিসির সঙ্গে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আবার তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, বাণিজ্যের প্রচার, সংস্কৃতি, শিল্প নিয়ে মউ-চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মোদী। বিনয় কোয়াত্রার মতে, ভারত ও মিশরের মধ্যে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' এর 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগান্তকারী' সহ চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অন্যদিকে মোদীর মিশর সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করেছেন,'আমার মিশর সফর ছিল ঐতিহাসিক। এটি ভারত-মিশর সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের দেশের এতে জনগণ উপকৃত হবে৷'