এবারে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। এসএসকেএম বিভিন্ন দুর্নীতিতে নাম থাকা অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছে অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। ওই হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবার অপব্যবহার করছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন মামলাকারী।
জানা গিয়েছে, মামলাটি করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তিনি বলেছেন, 'চিকিৎসার প্রয়োজন নেই অথচ ওই হাসপাতালে প্রভাবশালীরা বেড দখল করে রেখেছেন। সেখানে তাঁদের 'ভন্ড' চিকিৎসা চলছে। সাধারণ মানুষ বেড পাচ্ছেন না। আশঙ্কাজনক রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।' তাই মামলাকারীর আবেদন, ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তদের সব মেডিক্যাল রিপোর্ট আনা হোক। তা যাচাই করা হোক কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাসপাতালকে দিয়ে। সিবিআই এবং ইডিকে নির্দেশ দিক আদালত, ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা অভিযুক্তদের কেস রেকর্ড আদালতে জমা করা হোক। রমাপ্রসাদ সরকারের বক্তব্য, বৃহত্তর জনগণের স্বার্থে এই মামলা করা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে সকলের জন্য সমান চিকিৎসা করা হোক। প্রভাবশালীদের অতিরিক্ত গুরুত্ব যেন না দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোট হচ্ছে রাজস্থানে। তার মধ্যেই কর্নাটকের আকাশে তেজস উড়িয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটি থেকে সেই ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন তিনি।
ক্যাপশনে লিখছেন, এই অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। এই ঘটনার পর বলা যেতে দেশবাসীর উপর আস্থা আরও বেড়ে গেল। দেশজ পদ্ধতিতে এমন একটি যুদ্ধ বিমান তৈরি করা সম্ভব, তা এই উড়ানের পরেই বোঝা গিয়েছে।
ছবিতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার পোশাকে প্রধানমন্ত্রী। বসে আছেন পাইলট সিটে। চোখে তাঁর কালো রোদ চশমা। তবে কতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী আকাশে উড়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
প্রসূন গুপ্ত: বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশে চলে গিয়েছে। শোনা গেলো বিজয়ী দলের জন্য সেরকম কিছু হৈচৈ হলো না তাদের দেশে। আসলে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নতুন করে কি আর আনন্দ করবে? এতো কাপ যেটা একরকম নিয়মই হয়ে গিয়েছে। কাঁটাছেঁড়ার পালাও শেষ। এবারে প্রচার মাধমের কাছে আর এখনই খেলার কিছু নেই যদিও টি ২০ শুরু হচ্ছে ওই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেই কিন্তু তাতে বিশ্বজয়ীদের খুব একটা কেউ নিয়ে , ভারতীয়দের তো প্রায় নেইই। কি হবে আর ওই ম্যাচ নিয়ে, ধারণা যেমন দর্শকদের স্বাভাবিক ভাবে মিডিয়ারও। কিন্তু এতো কাণ্ডের পর একটি ঘটনা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সারা জাগিয়েছে , কপিল দেব কিংবা ধোনিকে ফাইনালে মাঠে দেখা গেলো না কেন ?
জানা গেলো ১৯৮৩ বিশ্বকাপের অধিনায়ক তথা ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কপিল নিজেই তা সোশ্যাল নেটে জানিয়েছেন। কিন্তু এমন ভুল হলো কেন ? জানা যাচ্ছে যা, কপিলকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নিমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কিন্তু এই দুঃসাহস হলো কি করে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি থেকে। যতটুকু গুঞ্জনে জানা গেলো তা, সম্প্রতি যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের সাংসদের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ তুলে অবস্থান করেছিল আমাদের কুস্তির খেলোয়াড়রা, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছিলেন কপিল দেব কাজেই গোঁসা তো হতেই পারে । অথবা আরও একটি বিষয় তো ছিলই। কপিল বরাবরই কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। ইন্দিরা রাজীব নারসিমার সঙ্গে অতি সুসম্পর্ক ছিল। এতেই কি কোপ পড়লো আমন্ত্রণে ? অবিশ্যি ধোনি এলেন না কেন ? তাঁকেও কি আমন্ত্রণ জানানো হয় নি ? গুঞ্জনে, তিনি নাকি বিজেপির প্রচার করতে চান নি গত ঝাড়খন্ড নির্বাচনে, অন্যটি কপিলকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি বলেই নাকি তিনি আসেন নি। রাজনীতিটি কি ভয়ঙ্কর ভাবেই ছিল বিশ্বকাপে ?
রণবীর কাপুরের পর এবার ইডির স্ক্যানারে কপিল শর্মা, হুমা কুরেশি, হিনা খানও। মহাদেব বেটিং অ্যাপের (Mahadev Betting App) তদন্তেই এই তিন তারকাকেও সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবারই ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল অভিনেতা রণবীর কাপুরকে (Ranbir Kapoor)। ৬ অক্টোবর তাঁকে দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। আর এবারে বৃহস্পতিবার ইডি তলব করল কমেডিয়ান কপিল শর্মা, অভিনেত্রী হুমা কুরেশি ও হিনা খানকে।
সূত্রের খবর, মহাদেব বেটিং অ্যাপকে প্রচার করার অভিযোগে সমন পাঠানো হয়েছে হুমা কুরেশি ও হিনা খানকে। অন্যদিকে, দুবাইয়ে মহাদেব বেটিং অ্যাপের এক গ্র্যান্ড পার্টিতে উপস্থিত থাকার জন্য কপিল শর্মাকে তলব করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, মহাদেব বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। এই অ্যাপের সঙ্গে শুধুমাত্র রণবীর নন, বলিউডের আরও তাবড় তাবড় তারকারা জড়িত। এবারে সেই তালিকায় নাম যুক্ত হল কপিল, হুমা ও হিনারও।
সেলফি (Selfie) তোলার জের! এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে, সেলফি তুলতে ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছে একাধিক মানুষের। আর এবারেও তেমন ঘটনার ভিডিওই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই ব্যক্তি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান এক ব্যক্তি, এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আশেপাশের মানুষেরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি কেদারনাথের (Kedarnath)। তবে এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
One selfie could coast a Life. Tourist falls into Mandakini River, Kedarnath.#kedarnath #kedarnathdham #selfie #mandakiniriver #tourist @UTDBofficial pic.twitter.com/Dbxx24MDh0
— Vinod Katwal (@Katwal_Vinod) September 5, 2023
সূত্রের খবর, সোমবারের ঘটনাটি ঘটেছে কেদারনাথে। জানা গিয়েছে, কেদারনাথ যাওয়ার পথে মন্দাকিনী নদীর ঠিক উপরের ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন এক যুবক। এর পর আচমকাই পা পিছলে যায় তাঁর। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খরস্রোতা মন্দাকিনী নদীর জলে পিছলে পড়ে যাওয়ার পর এক পাথরকে আঁকড়ে ধরে চিৎকার করছেন তিনি। এই অবস্থায় ছুটে আসেন আশেপাশের মানুষ। তাঁরা উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও সক্ষম হয়নি। পরে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নদীর মধ্যে থাকা এক পাথরের উপর দাঁড়িয়ে যুবককে ছুড়ে দেন দড়ি। এরপর অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করার পর তাঁকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা।
ভিডিও দেখেই গা শিউরে উঠছে নেটিজেনদের। মন্দাকিনীর জলের স্রোতের মধ্যে এক পাথরকে আঁকড়ে ধরে আর্তনাদ করতে দেখে অনেকে ভেবেই নিয়েছিলেন যে, আর একটু হলেই তলিয়ে যাবেন মন্দাকিনীর উত্তাল স্রোতে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেখানেই পৌঁছে যেতেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয় বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। তিনি নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছেন বলে অনেকেই কমেন্ট করেছেন সমাজমাধ্যমে।
মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু। আমেরিকার মায়ামি থেকে ২৭১ জন যাত্রী নিয়ে চিলির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটি যখন মাঝ আকাশে, তখন হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করেন বিমানের পাইলট। বিমানের শৌচালয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহকারী পাইলটের প্ৰচেষ্টায় বিমানটি পানামাতে জরুরি অবতরণ করানো হয়। অন্যদিকে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই ভারতীয় পাইলটের মৃত্যুর খবরে শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। একজনের মৃত্যু হয়েছে বিমানবন্দরে। আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে মাঝআকাশে। দুই ভারতীয় পাইলটের আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা (DGCA)।
বৃহস্পতিবার বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পাইলট নাগপুর বিমানবন্দরে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খানিক পরে দুপুর ১টা নাগাদ নাগপুর থেকে পুনেগামী বিমান ওড়ানোর কথা ছিল তাঁর। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর এদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন পাইলট। নির্দিষ্ট বিরতিতে তিনটি বিমান ওড়ানোর কথা ছিল আজ। তার আগেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে বুধবার কাতার এয়ারওয়েসের এক ভারতীয় পাইলটের মৃত্যু হয়েছে দিল্লি থেকে দোহাগামী উড়ানে। ঘটনার সময় তিনি প্যাসেঞ্জার কেবিনে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই বিমানের অতিরিক্ত পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এবং মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তি এর আগে স্পাইস জেট, অ্যালায়েন্স জেট এবং সাহারা-র জন্য কাজ করেছেন।
বলিউডের জনপ্রিয় মুখ বঙ্গ কন্যা সুমনা চক্রবর্তী (Sumona Chakravarti)। তবে এই জনপ্রিয়তা শুরু হয়েছে একটি জনপ্রিয় কমেডি অনুষ্ঠান থেকে। কপিল শর্মা ছিলেন সেই অনুষ্ঠানের মূল কৌতুকাভিনেতা। সিনেমার প্রমোশনে কিংবা খোশ আড্ডায় বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে গায়ক-গায়িকা এবং বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত বহু তারকারাই আসতেন। তখনই সুমনা, সুনীল গ্রোভারের মতো আরও অনেক কৌতুক শিল্পী মঞ্চে উঠে সকলের মনোরঞ্জন করতেন।
দর্শকেরা অনেকবার দেখেছেন, কপিল শর্মা সুমনার ঠোঁট নিয়ে ঠাট্টা করছেন। অনেক দর্শকই এমন জোকে হাসতেন না। সুমনাও যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কষ্ট পেলেও পরিস্থিতি সামলে নিতেন, তা বোঝাই যেত। তবে এই প্রথম তিনি বললেন, তাঁর অনুভূতির কথা। সুমনা বললেন, 'আমার মনে আছে অর্চনা আমার সঙ্গে বসেছিলেন। জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন আমার মন খারাপ। আমি বলেছিলাম, আমি স্ক্রিপ্ট ভুলে যায়নি, ও স্ক্রিপ্ট ভুলে গিয়েছিল এবং অন্য কিছু বলে বসল।'
অনেকে সুমনাকে নিয়ে করা জোকগুলিকে 'মিসোজিনিস্ট'ও বলতেন। এমন জোক যে কারও পছন্দ নয়, তা স্পষ্ট করে দিলেন সুমনা। তবে প্রথম থেকেই সুমনার ভক্তরা জিজ্ঞেস করতেন, তিনি কেন এই অনুষ্ঠান ছেড়ে দিচ্ছেন না? উত্তরে সুমনা বলেছিলেন, 'এইসব স্ক্রিপটেড। আমার মুখ হাঁসের মতো এমনই দেখানো হয়। আমি ঠিকঠাক দেখতে একটি মেয়ে এবং একটি সুন্দর মুখ রয়েছে।'
সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং অভিনেত্রী কুশা কপিলা (Kusha Kapila) বিচ্ছেদ (Divorced) ঘোষণা করলেন। স্বামী যোরাবর আহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ সময় প্রেম করেছিলেন। তারপর ৬ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তাঁরা। তবে কুশার সঙ্গে যোরাবরের সম্পর্ক যে ভালো নেই সেই গুঞ্জন আগেই ছড়িয়েছিল। সোমবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে কুশা তাঁর বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন।
কুশা জানিয়েছেন, 'যোরাবর এবং আমি যৌথভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না কোনও দিক থেকেই। কিন্তু আমরা জানি আমাদের জীবনের এই পর্যায়ে এসে এটাই ঠিক ঠিক সিদ্ধান্ত। যে ভালোবাসা এবং জীবন আমরা একসঙ্গে পেয়েছি তা আমাদের কাছে সবকিছু। কিন্তু বর্তমানে আমরা জীবন থেকে যা চাই তাতে কোনও মিল নেই। আমরা এই বিয়েতে সবকিছু দিয়েছি শেষ পর্যন্ত।'
কুশা সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর নানা কন্টেন্ট নেটিজেনরা খুব পছন্দ করেন। সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সিনেমা সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে বহু ফলোয়ার। কুশার সঙ্গে স্বামীর বিচ্ছেদ নিয়ে দুঃখিত নেটিজেনরাও। যদিও কুশার পোস্টে কমেন্ট করার উপায় নেই। নিজের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আর বোধহয় কিছুই শুনতে চাইছেন না তিনি।
ফের বিমানবন্দরে (Airport) এক হুলস্থুল কাণ্ড। রবিবার লন্ডন থেকে দিল্লিগামী বিমান নিয়েই জয়পুর বিমানবন্দরে (Jaipur Airport) হইহই পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, গতকাল আবহাওয়া ঠিক না থাকায় লন্ডন থেকে দিল্লি আসার সময় এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার (Air India) বিমানকে জয়পুরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। এরপর আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে ফের বিমান ওড়ানোর অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেই বেঁকে বসেন পাইলট। তিনি বলে ওঠেন, তিনি আর বিমান ওড়াতে পারবেন না। কারণ তার কাজের সময় ফুরিয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে দিল্লির পথে উড়ান দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১১২ বিমান। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দিল্লি না গিয়ে জয়পুরের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তবে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে গেলেও অবতরণের দু'ঘণ্টা পর জয়পুর বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করতে রাজি হলেন না এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের পাইলট। তখনই তিনি বলে ওঠেন, তিনি আর বিমান চালাতে পারবেন না। কারণ তাঁর সময় ফুরিয়েছে।
বিমানচালক যেতে না চাইলে ও তাঁর জেদেই তিনি অনড় থাকায় পরে বিমানযাত্রীরা কেউ কেউ নিজেরাই নিজেদের মতো সড়কপথেই দিল্লিতে ফিরে যান। এরপরও ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, তখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, আসলে কোনও পাইলটের ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন পেরিয়ে গেলে তিনি আর বিমান চালাতে পারবেন না। তাই যাত্রীদের জন্য বিমানকর্মী সহ অন্য বিমান দেওয়া হবে আশ্বাস দেওয়া সংস্থার পক্ষে।
বলিউডের জনপ্রিয় মুখ কপিল শর্মা (Kapil Sharma)। এক দশকের বেশি সময় ধরে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের সফল সঞ্চালক তিনি। তাঁর কৌতুকরসের ভক্ত আট থেকে আশি, বাঙালি থেকে অবাঙালি সকলেই। বর্তমানে অভিনয়ের খাতাতেও নাম লিখিয়েছেন। পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি নায়কের ভূমিকাতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এতগুলো বছর বলিউডে সংগ্রাম করার পর, তাঁর উপার্জন যে অনেক তা মোটামুটি সকলেই জানেন।
কপিলের বিলাসবহুল জীবনের কথা সকলেই জানেন। কিন্তু সেই জীবনযাত্রায় বোধহয় অনটন এসেছে। কপিলের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী গিন্নি ছত্রত, এক মেয়ে এবং ছেলে। তাঁদের খরচ বহন করতেই কি হিমশিম খাচ্ছেন অভিনেতা! সম্প্রতি কপিল নিজের ভ্লগিং চ্যানেল শুরু করেছেন। বহু তারকাই এমন ভ্লগ করে থাকেন আজকাল। কিন্তু কপিল নিজেই এই নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ খোলসা করে বললেন।
সম্প্রতি কপিল তাঁর লাইফস্টাইল ভিডিও বানিয়েছেন। সেই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমি ভ্লগ বানানো শুরু করেছি কারণ আমি খরচ বহন করতে পারছি না।' যদিও কপিলের চাহিদা যে বর্তমানে তুঙ্গে তা সকলেই জানেন। তাই তিনি যে নিছকই খেলার ছলে এই কথা বলেছেন, তা সকলেই বুঝে গিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে লাইভ এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কপিল শর্মার (Kapil Sharma) সতীর্থ।কপিলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'কপিল শর্মা'র একটি চরিত্র ছিলেন তীর্থানন্দ রাও (Tirthanand Rao)। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জেরবার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চাইলেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে লাইভ এসে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তীর্থানন্দ। তবে এই প্রথম নয়, জানা গিয়েছে ২০২১ সালেও একই কাণ্ড করেছিলেন তিনি।
শোনা গিয়েছে, ২০১৬ সালে কৌতুক শিল্পী সুনীল গ্রোভার কপিল শর্মা শো ছেড়ে দিলে কপিল নিজেই তীর্থানন্দকে সেই জায়গায় নিতে চান। সেই অনুষ্ঠানে কাজও করেছিলেন তীর্থানন্দ। তবে তাঁর জীবনে নেমে এলো বিপর্যয়। জানা গিয়েছে, অভিনেতা এক মহিলার সঙ্গে 'লিভ-ইন' সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি নাকি সেই মহিলা অভিনেতাকে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ওই মহিলার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগও তুলেছেন।
২০২১ সালে কোভিড চলাকালীন তীর্থানন্দ একইভাবে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির জন্যই এই কাজ করেছিলেন। বুধবার কীটনাশক খেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যান। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে খবর সংবাদমাধ্যমসূত্রে।
ফের এক বড়সড় দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল এক যাত্রীবাহী ট্রেন (Train)। এবারে দুর্ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) তিরুনিন্নাভুর। রেল ট্র্যাকের উপর গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্রেক কষলেন লোকো পাইলট (Loco Pilot)। আর এর ফলেই ফের এক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরলেন শতাধিক যাত্রী।
রেলসূত্রে খবর, রেললাইনের উপরে নারকেল গাছের গুঁড়ি ফেলা ছিল। আর সেটিই দূর থেকে দেখতে পান লোকো পাইলট। এতে ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে ট্রেন থামান। এই ঘটনার পরই রেলের আধিকারিক এবং রেলপুলিসকে খবর দেন তিনি। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এরপর রেললাইনের উপর থেকে গুঁড়িটি সরিয়ে দেওয়ার পর যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তবে কোথা থেকে গাছের গুঁড়ি এল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর এক স্থানীয়ের নাম সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠছে, তিরুনিন্নাভুরের সেন্থিল নামে এক ব্যক্তি নারকেল গাছ কেটে তার একটা গুঁড়ি রেললাইনের উপর রেখে চলে যায়। তবে এর পিছনে কী উদ্দেশ্য, কেন এমনটা তিনি করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কাণ্ডের রেশ কাটেনি। আতঙ্কে রয়েছেন দেশবাসী। কিন্তু এর মধ্যেই আরও একটি দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এই প্রথম নয়, করমণ্ডলের পর একাধিক মালগাড়ির লাইনচ্য়ুত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এই যাত্রীবাহী ট্রেন একমাত্র লোকো পাইলটের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচেছে বলে দাবি পুলিসের।
এবার কুস্তিগিরদের (wrestler) পাশে দাঁড়ালেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ (World Cup) জয়ী টিমের সদস্যরা। কপিল দেব (Kapil Dev), সুনীল গাভাসকর ও বর্তমান বোর্ড সভাপতি রজার বিনি। কুস্তিগিররা ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন কুস্তিগিররা। এই নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই উত্তাল রাজধানী। ক্রিকেটাররা কেন পাশে নেই, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন কুস্তিগিররা। এবার এগিয়ে এলেন প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ীরা।
৮৩ দলের ক্রিকেটাররা বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'এই ঘটনায় আমরা খুবই হতাশ। মহিলা কুস্তিগিরদের টেনে-হিঁচড়ে নামানো হয়েছে। গঙ্গায় পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কত বছরের পরিশ্রম জড়িয়ে থাকে ওই পদকে। এটা শুরু ওদের পদক নয়, দেশেরও সম্মান। আশা করি, ওদের দাবি শোনা হবে ও তাড়াতাড়ি বিচার হবে। দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুক তাঁরা।'
মঙ্গলবার অলিম্পিক্স পদকজয়ী, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা হরিদ্বার গিয়েছিলেন। গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেবেন, বলে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত গঙ্গায় পদক না ভাসিয়ে কুস্তিগিররা কেন্দ্রকে পাঁচদিনের সময়সীমা দিয়েছেন।
৫৭ বছরে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন বলিউড অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। প্রথম স্ত্রী পিলু বিদ্যার্থীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কিছু সময় পরেই দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি। রূপালি বড়ুয়াকে (Rupali Barua) নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। আর এই খবর প্রকশ্যে আসতেই যেমন নেটিজেনরা প্রশংসা করেছেন, তেমনি একাধিক কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। আর এবারে নিজেই বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন। তিনি জানালেন, তাঁর সমস্ত সিদ্ধান্তই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। বিয়ের পরই তাঁর মুখে এমন কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু প্রশ্ন জাগছে, 'কেন এমন বললেন তিনি?'
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আশিষ বিদ্যার্থী জানিয়েছেন, তাঁর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের জন্য তাঁকে, পিলু ও তাঁদের সন্তান মোগলিকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে। তিনি বলেন,'পিলু আমার স্ত্রী ছিলেন, তবে এখন তিনি বন্ধু। এভাবেই তিনি আমার পাশে রয়েছেন। তবে দয়া করে ভাববেন না, বিচ্ছেদের জন্য আমাদের কোনও কষ্ট হয়নি। বিচ্ছেদ সত্যিই কষ্টকর ও খুব কঠিনও ছিল। তবে আমাদের কাছে বিকল্প ছিল যে, আমরা এটিকে বেছে নেব নাকি জীবনে এগিয়ে যাব। এরপরই আমরা জীবেন এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।'
বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের জন্য সবাইকেই কষ্ট পেতে হয়েছে, এমনটা বলার পর তিনি এও জানিয়েছেন যে, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রূপালিকে কোন কোন যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় ভ্লগিং করার সময় রূপালির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। পাঁচ বছর আগে রূপালি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন। ফলে এই বিয়ের পরিকল্পনা আগের থেকে ঠিক করা ছিল না। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার পরই তাঁদের মনে হয়েছে যে, তাঁরা জীবনে ফের নতুন করে একসঙ্গে পথ চলা শুরু করতে পারেন।
'না উমর কি সীমা হো, না জনম কে হো বন্ধন। যব প্যায়ার করে কোয়ি তো দেখে কেবল মন' বিখ্যাত গজলের এই লাইনগুলি মনে আছে? এর বাংলা তর্জমা, 'না বয়সের সীমা থাক, না জীবনের বন্ধন। যখন কেউ ভালোবাসবে, কেবল মন দেখুক।' বহু নেটিজেন যখন তখন এই গানের বুলি আউড়েছেন। কিন্তু বাস্তবে যখন এমন ঘটনা ঘটল, রে রে করে তেড়ে এলো সকলে। কথা বলছি আশীষ বিদ্যার্থীর (Ashish Vidyarthi) বিয়ে (Wedding) নিয়ে। বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখন অভিনেতা বিয়ে করলেন। নেটিজেনরা হিসেবে করে দেখলেন প্রথম নয়, এই বিয়ে দ্বিতীয়বার। ব্যাস, সামাজিক মাধ্যমে আশীষ বিদ্যার্থী অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ালেন।
নেট মাধ্যম আলোচনায় এতই সরগরম হয়ে উঠল যে, আশীষকে সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে ভিডিও বার্তা দিতে হল। আশীষ বলেছেন, 'প্রায় ২২ বছর আগে আমার জীবনে পিলু, রাজশী আসে। আমরা বন্ধু হিসেবে, স্বামী স্ত্রী হিসেবে অনেকটা রাস্তা হেঁটেছি একসঙ্গে। এই যাত্রায় আমাদের জীবনে অর্থ (আশীষ এবং রাজশী পুত্র ) আসে। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি একসঙ্গে। কিন্তু দু আড়াই বছর আগে বুঝতে পারি আমরা ভবিষ্যৎ অন্যভাবে দেখি। লোক দেখানো বিয়েতে থাকতে চাইন , তাই দুজনেই সম্মানের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আশীষ বিদ্যার্থীর প্রাক্তন স্ত্রী পিলু ওরফে রাজশী বিদ্যার্থীও নিজের বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, 'আশীষ আমাকে কোনওদিন ঠকায়নি। অত্যাচার করেনি। আমরা মিলিতভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু পোস্ট করে ফেলেছি সামাজিক মাধ্যমে। চাইলে আমিও বিয়ে করতে পারি। আশীষের সঙ্গীর দরকার ছিল। ও সুখে থাক।'