স্পেন সফরে মাদ্রিদের রাস্তায় মর্নিং ওয়াক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশ সফরেও পোশাক একই। নীল পাড়, সাদা শাড়ি পরে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার মাদ্রিদেই লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক আছে মমতার। ওই বৈঠকে থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তার আগে গায়ে শাল জড়িয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
মাদ্রিদের রাস্তায় স্থানীয় এক সঙ্গীতশিল্পীকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পীর হাতে অ্যাকোর্ডিয়ন বাদ্যযন্ত্র চেয়ে তা নিজেই বাজান। দক্ষ হাতে উঠে আসে 'আমরা করব জয়' গানের সুর। তাতে ওই শিল্পীও আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সময়ের নিরিখে কলকাতা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পিছিয়ে মাদ্রিদ। এদিন দুপুরে বাংলার বইমেলা কমিটির সঙ্গে স্পেনের প্রকাশনা সংস্থার কর্তাদের বৈঠক আছে। সন্ধ্যায় লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়ায় দেখা মিলল একটি বিমানের (Plane) আকারের বেলুন। শনিবার সকালে দেখতে পান স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, সাদা এবং কালো রঙের ওই বেলুনে পাকিস্তান বিমান সংস্থার ‘পিআইএ’-র (PIA) নাম লেখা। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হীরানগরে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে বেলুনটি উদ্ধার করে। কোথা থেকে বিমানটি এল তা খতিয়ে দেখছে তারা। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে এসে পড়েছে বেলুনটি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ‘রহস্যময়’ বেলুন উড়ে এসে পড়েছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিমলায় আপেলের একটি বাগান থেকেও এরকমই বিমানের আকৃতির সাদা-কালো বেলুন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তাতে ঠিক একই রকমভাবে পাকিস্তান বিমান সংস্থার নাম লেখা ছিল। এছাড়াও গত বছর অক্টোবর মাসে ‘আই লাভ পাকিস্তান’ লেখা একটি হলুদ রঙের বেলুন কাঠুয়া থেকেই উদ্ধার করেছিল পুলিস। সেখানে অবশ্য় ইংরাজি এবং উর্দু দু’ভাষাতেই লেখা ছিল।
বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া (Neha Dhupia) এবং অভিনেতা অঙ্গদ বেদী (Angad Bedi) ২০১৮ সালের ১০ মে, সকলকে অবাক করে দিয়ে বিয়ে করেন। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হয়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং নয়, বরং গুরুদ্বারে গিয়ে পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের মধ্যে নিজেদের বিয়ে সারেন। নেহার পরনে ছিল হালকা গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা এবং অঙ্গদ পরেছিলেন সাদা কুর্তার সঙ্গে গোলাপি পাগড়ি। কিন্তু বিয়ের কয়েকমাস পরে হঠাৎ একদিন নেহাকে জনসমক্ষে দেখে বোঝা যায় তিনি সন্তানসম্ভবা (Pregnancy)। নেট দুনিয়ায় নেহাকে নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা।
সেই বছরই নভেম্বরে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নেহা। কিন্তু তাঁকে নিয়ে চর্চা তখনও থামেনি। আসলে দর্শকেরা ততক্ষণে হিসেবে করে বুঝে নিয়েছিলেন, নেহা বিয়ের আগেই সন্তান ধারণ করেছিলেন। সেই থেকে দর্শকদের খারাপ কথা বিদ্ধ করেছিল নেহাকে। সমাজ যে খবর শুনে অস্থির হয়ে উঠেছিল, নেহার অভিভাবক সেই খবরে কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন, তা অভিনেত্রী জানিয়েছেন সম্প্রতি।
একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, 'আমাদের একতরফা বিয়ে হয়েছিল। কারণ আমরা বিয়ের আগেই সন্তানসম্ভবা হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা যখন সেই খবর বাড়িতে মা-বাবাকে জানাই, তাঁরা আমাদের খবরে খুশি হন। তবে এও জানান, যে আমাদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে বিয়ে করতে হবে।' এরপর নেহা জানান, বিয়ে করার জন্য তাঁর কাছে আড়াই দিন ছিল। খুব তাড়াহুড়োয় সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে বিয়ে সেরেছিলেন এই দুই তারকা।'
বিশ্বকাপ (World Cup 2022) জিতেছে আর্জেন্টিনা (Argentina। ৩৬ বছরের শাপমোচনের পর বাঁধভাঙা উৎসব চলছে। একইসঙ্গে চুঁইয়ে বেরিয়ে আসছে ছোট্ট ছোট্ট নানান গল্প। বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে মাঠের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখেননি কোচ স্কালনি। মাঠের বাইরে নিজেদের মতো করে শপথ নিয়েছিলেন কর্তা আর ফুটবলাররা।
মেসিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মানত করে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার প্রধান ক্লদিও তাপিয়া। সান হুয়ানে জন্ম তাঁর। সন্ত দিফুনতা কোরিয়ার সমাধি রয়েছে সান হুয়ানে। তাপিয়া সন্তের ভক্ত। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, মেসিরা কাপ জিতলে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে সেখানে যাবেন। কাপ এসেছে। মানত পূরণ করতে সমাধি ঘুরে এলেন তাপিয়া। বিশ্বকাপ ট্রফি স্পর্শ করিয়ে নিয়েছেন সমাধিতে।
মিডফিল্ডার পালাসিও-কে নিয়ে গিয়েছিলেন তাপিয়া। বেদিতে ট্রফি স্পর্শ করানোর সময় তাপিয়া বলেছেন, "ভালোবাসা আর আনুগত্য কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হয়।" পরে সান হুয়ানের মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। ২০২১-এ কোপা আমেরিকা জেতার পরেও এই বেদিতে এসেছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল প্রধান। দিফুনতার সমাধিতে যাওয়ার ছবি নিজেই টুইট করে দিয়েছেন তাপিয়া।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান (Shopian)জেলার জৈনপোরার মুঞ্জ মার্গ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ (Encounter) হয়। পুলিস সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষে তিন লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) (LeT terrorists) সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
জিএনএস-এ পৌছানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১আরআর এবং ১৭৮ সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল মুঞ্জ মার্গে অভিযান শুরু করে। বাহিনীর যৌথ দল সন্দেহভাজন স্থানের দিকে গেলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দুই সন্ত্রাসীকে শোপিয়ানের লতিফ লোন এবং অনন্তনাগের উমর নাজির হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, লতিফ লোন একজন কাশ্মীরি পন্ডিত পুরাণ কৃষ্ণ ভাটের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আর উমর নাজির নেপালের তিল বাহাদুর থাপা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
পুলিস সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৪৭ রাইফেল ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। কাশ্মীর জোন পুলিস একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছ, "নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটি-এর সঙ্গে জড়িত ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।"
সৌমেন সুর: 'বাঙালির আতিথেয়তা ও আপন করে কাছে টেনে নেওয়ার দুর্বার ক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ভারতের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ব্যবহার ভীষণভাবে আকর্ষণ করে।' অত্যন্ত সাবলীলভাবে ভীষণ আনন্দে কথাটা বলেন ডক্টর লীনা মারিয়া ফ্রুজিতা। ডক্টর ফ্রুজিতা আদতে ইথিওপিয়ার মেয়ে। বাবা ইটালিয়ান, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। মাত্র তিন বছর বয়সে লীনা বাবা-মায়ের সঙ্গে সুদান চলে আসেন। যখন লীনার বয়স ১৮ বছর, তখন তিনি বাবাকে হারান। প্রথম পর্বের পর...
ভারতবর্ষের সব রাজ্যে তিনি ঘুরেছেন। তবে বাংলায় এসে বাংলাকে মনে-প্রাণে তিনি ভালবেসে ফেলেন। লীনা দেবীর মতে, 'বাংলাকে আমার নিজের দেশ বলে মনে হয়।যে কোনও মহৎ কাজকে বাঙালি কদর দিতে জানে। বাঙালি কোনও মানুষকে টানতে পারে কাছে। এখানকার মানুষজন এত গভিরভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন, যার জন্য গবেষণার কাজে চাহিদা অনুযায়ী ফল পেয়েছি।'
একজন নৃ-বিজ্ঞানী হওয়ার সুবাদে ফ্রুজিতার বক্তব্য, 'আগামি কয়েক বছরের মধ্যে ভারত একটা সেলফ অ্যাটেনটিভ শক্তি হয়ে উঠবে। এবং দুই বৃহৎ শক্তির শূন্যতায় ভারত স্থান পাবে আন্তর্জাতিকস্তরে। ভারত ধনী দেশ নয় কিন্তু অন্যের জন্য ভাবে। এই জন্য ভারত পৃথিবীর অন্য দেশ থেকে পৃথক।' লীনা এক অদ্ভুত মানসিকতার মেয়ে। পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন মানুষের হয়ে কাজ করতে করতে।
লীনা ভারতে এসে কাজ করায় গর্বিত। বাঙালির মাটির টান তাঁর কাছে দুর্নিবার। লীনা বলেন, 'আমি শুধু আমার কাজে বাংলাকে ধরে রাখিনি। সারা জীবন ছাপ রাখতে ছোট মেয়ের নাম রেখেছি কাত্যায়নী। কাত্যায়নী হবে ভারতবর্ষের জ্বলন্ত প্রমাণ। একজন বিদেশিনীর বাংলা তথা ভারতবর্ষের প্রতি ভালবাসা, অমোঘ টানে আমরা গর্বিত, উল্লসিত, মোহিত।
সৌমেন সুর: 'বাঙালির আতিথেয়তা ও আপন করে কাছে টেনে নেওয়ার দুর্বার ক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ভারতের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ব্যবহার ভীষণভাবে আকর্ষণ করে।' অত্যন্ত সাবলীলভাবে ভীষণ আনন্দে কথাটা বলেন ডক্টর লীনা মারিয়া ফ্রুজিতা। ডক্টর ফ্রুজিতা আদতে ইথিওপিয়ার মেয়ে। বাবা ইটালিয়ান, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। মাত্র তিন বছর বয়সে লীনা বাবা-মায়ের সঙ্গে সুদান চলে আসেন। যখন লীনার বয়স ১৮ বছর, তখন তিনি বাবাকে হারান। সেই দুর্দিনে লীনার মায়ের একটা ধ্যানজ্ঞান ছিল কীভাবে ছেলেমেয়েকে মানুষ করা যায়। ধীরে ধীরে টিপসই জানা মহিলার (লীনার মা) ব্যবসায় প্রবেশ। বুদ্ধিমতী এই মহিলা ধীরে ধীরে ব্যবসাকে নিজের পায়ে দাঁড় করান।
এদিকে, সুদানে স্কুলের পড়া শেষ করতেই লীনাকে পাঠানো হয় আমেরিকায়। সেখানে তিনি ঠিকমতো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন না। কিন্তু মানিয়ে নিতে বাধ্য হন ফ্রুজিতা। আমেরিকার কলেজ থেকে বিএ পাশ করে, বাংলা ভাষা মন দিয়ে শিখে নেন লীনা। এরপর অ্যানথ্রোপলজিতে এমএ পাশ করে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইডি করেন। গবেষণার বিষয় ছিল: বাংলার মেয়েদের আচার, আচরণ ও অনুষ্ঠান।
গবেষণাপত্রের বিষয় স্থির করার পর থেকেই লীনা দেবী ভারতীয় ভাবধারাকে নিজের মনের মধ্যে আত্মস্থ করার চেষ্টা করেন। গবেষণার জন্য তাঁকে ফিল্ড ওয়ার্কে নামতে হয়। এই কাজের জন্য তাঁকে প্রথম ভারতে আসতে হয় ১৯৬৭ সালে। দু'বছর কাজ করার পর ১৯৭১ সালে আবার ভারতে আসেন। (চলবে)