প্রসূন গুপ্তঃ এতো ঘটা করে সিপিএমের দেশজ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'তে উপস্থিত থেকে অনেক উপদেশ দিলেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সীতারাম, তারপরেই যখন সমন্বয় কমিটি হলো তখনই সেই কমিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলো সিপিএম। এখন শুধু এই নিয়ে প্রশ্ন নয় বিতর্ক হচ্ছে বিস্তর। তাদের ইঙ্গিত কেরালায় তারা কংগ্রেসের এবং বাংলায় তৃণমূলের বিরোধী কাজেই ওই সমন্বয় কমিটিতে নাকি তাদের প্রতিনিধি থাকলে জনতার কাছে ভুল বার্তা যাবে। কিন্তু এসব তো জোট গড়ার আগেই ভাবনার মধ্যে ছিল তবে এই জোট বৈঠকে যাওয়ার দরকার কি ছিল, উঠছে এমন প্রশ্ন।
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের শক্তি বিলীন হয়ে গিয়েছে। ৩৪ বছর শাসনের পরে ১০ বছরের মাথায় বিধানসভা ভোটে তাদের অবস্থান শূন্য। লোকসভাতে এই রাজ্য থেকে বামেদের একজনও সাংসদ নেই। অন্যদিকে প্রায় একই অবস্থা অন্য প্রাক্তন বামদুর্গ ত্রিপুরাতেও। সেখানেও গত ভোটে বিরোধী হওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছে তারা। টিকে আছে কেরালাতে। আপাতত ওই রাজ্যের ক্ষমতায় বামেরা। বামেদের বিভিন্ন রাজ্যে প্রধান প্রতিপক্ষ একমাত্র ত্রিপুরায় বিজেপি। বাকি বাংলায় তৃণমূল এবং কেরালায় কংগ্রেস। সমস্যা তাদের এই দুই রাজ্য নিয়েই। কেরালাতে তাদের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট মোটেই মেনে নেবে না সমর্থকরা। একই কথা বাংলাতেও। মূলত সিপিএমের বিরোধিতার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের উত্থান কাজেই তৃণমূলের আদি কর্মীরা যেমন মেনে নেবে না সিপিএমের সঙ্গে জোট, তেমনই সিপিএমের টিকে থাকা ভোটাররাও মেনে নেবে না তৃণমূলের সঙ্গে জোট। এই দুই রাজ্যেই জোট করলে আখেরে ক্ষতি সিপিএমের।
অবিশ্যি ব্যঙ্গক্তি আসছে তৃণমূলের তরফ থেকে। তাদের বক্তব্য, বিজেপির সঙ্গে আসল সেটিং সিপিএমেরই। আজ বাংলায় বিজেপির ভোট শতাংশের সিংহভাগই সিপিএমের। বিজেপির এই রাজ্যে নাকি কোনও দিনও ৬-৭ % বেশি ভোট ছিল না, তাহলে ৩৭/৩৮% ভোট তাদের বাক্সে পড়ছে কি ভাবে? একই সাথে তারা বলছে এতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ প্রতি বিরোধী দলের উপর অথচ সিপিএমের উপর কোনও চাপই নেই। তাদের বিস্ফোরক বক্তব্য, চিটফান্ডের জন্ম বাম জমানাতে এবং তাদের সেলিম সহ বহু নেতাকে ওই ব্যবসায়ীদের সাথে একই মঞ্চে বা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে অথচ কি এমন ঘটনা যে, আজ অবধি সিপিএমের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হলো না। রহস্যের এই সমস্ত উত্তর একমাত্র সিপিএমই দিতে পারবে।
দেশজুড়ে বেশ কিছু সঞ্চালক ও অনুষ্ঠান বয়কট করবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। বুধবার দিল্লির কো-অর্ডিনেশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন ১৪টি দলের প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকে আগামী অক্টোবরে বিরোধী জোটের প্রথম কর্মসূচিও ঠিক করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশ তাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। তাই সেই সব সংবাদমাধ্যমকে বয়কট করবে এই জোটের নেতৃত্বরা। কোন কোন সঞ্চালক ও সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠান বয়কট করা হবে, সেই তালিকায় তাড়াতাড়ি জানাবে ইন্ডিয়া-জোটের সমন্বয় কমিটি।
বুধবার দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে দীর্ঘ আলোচনার পর সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত নেন, ভোপালে ২ অক্টোবর তাঁদের প্রথম ব়্যালি হবে। এছাড়াও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয় এই বৈঠকে। আসন সমঝোতা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে, তা যদিও জানানো হয়নি।
বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সমন্বয় বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন ছেড়ে রাখা হয়েছিল। বুধবার ইডির ম্যারাথন জেরা থেকে বেরিয়েই অভিষেক জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এইদিন ইডি তলব করেছে তাঁকে।
অভিষেক বলেন, "একদিন আগে তাঁকে তলব করতে পারত। একদিন পরে তলব করতে পারত। আজ ২টোর মধ্যে দিল্লি যেতে হত। যদি বৈঠকে যোগ দিতাম। কিন্তু সকাল সাড়ে ১১টায় ডাকা হয় আমাকে। জেরার নির্যাস শূন্য নয়, মাইনাস ২।"
এদিন অভিষেক বলেন, "আমি আজ বৈঠকে সিনিয়র নেতৃত্ব শরদ পাওয়ারজি, সঞ্জয় রাউতজি, কেসি বেনুগোপালজি, আমি সকলকে নতমস্তকে বিনম্রচিত্তে সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রণাম জানাচ্ছি।"
কেন্দ্রের বিরোধী জোট মঞ্চ ইন্ডিয়া-র বৈঠকে গৃহীত হল মোট তিনটি রেজলিউশন। ওই তিন রেজলিউশনকে মাথায় রেখে এখন থেকেই লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি।
শুক্রবারের বিরোধী জোটের বৈঠকে যে তিনটি রেজলিউশন গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জোটে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আসন বণ্টন, নির্বাচনী প্রচার এবং নির্বাচনী স্লোগান। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে স্লোগানও প্রকাশ করা হয়। লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের স্লোগান হতে হতে চলেছে জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া। যদিও এই স্লোগান প্রতিটি স্থানীয় ভাষাতেই অনুবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি শুক্রবারের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হল বিরোধী জোটের তরফে। মোট ১৩ জন সদস্য রয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, কেসি বেনুগোপাল, সঞ্জয় রাউত সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
দেশের যাতে ভাল হয়, সেই চেষ্টাই করা হবে। মুম্বইয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এমনই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পটনা ও বেঙ্গালুরুর পর শুক্রবার মুম্বইয়ে বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠক। একটি পাঁচতারা হোটেলে যোগ দিয়েছেন ২৮টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর ছেলে, নীতিশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতাদের।
বিরোধী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতিশ কুমার অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি ও রাজ্যে আসন বণ্টন নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি সূত্রের খবর, বিরোধী জোট প্রসঙ্গে সব জোট ই চান দ্রুত বিরোধী জোটের কর্মসূচি নেওয়া হোক।
'ইন্ডিয়া' জোটের কেউ কেউ নিষিদ্ধ জঙ্গি দল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত। এমনই বিস্ফোরক দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী 'ইন্ডিয়া' জোটের সাথে তুলনা টানলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর। এমনকি তুলনা করলেন ব্রিটিশদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গেও। বললেন, 'ইন্ডিয়া নাম নিলেই কিছু হয় না।’
মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভে অচল সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব ‘ইন্ডিয়া’। এই নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিরোধী জোট। এমন আবহে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে বিজেপির সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করেন মোদী। সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদী বলেন, 'ইন্ডিয়া নাম নিলেই কিছু হয় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতেও ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ ছিল। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গেও ‘ইন্ডিয়া’র নাম রয়েছে।'
বৈঠক শেষে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্বিত। ২০২৪ সালে আমরাই ক্ষমতায় ফিরছি। প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি বিবৃতি দিয়েছেন যে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৈরি করেছেন এক জন বিদেশি। এখন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের মতো নাম নিচ্ছেন লোকেরা।’ এর জবাবে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস রাজ্যসভার সংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন টেন দিয়ে জোটেড হাল খুব খারাপ এখন মোদী এই ধরনের কথা বলে ইন্ডিয়া জোটকে কোনভাবেই হারাতে পারবে না এছাড়া এ বিষয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এসব বলে ওরা কিছুই করতে পারবে না।'
পটনার পর বেঙ্গালুরু। তৈরি হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। শুক্রবার কলকাতা থেকে কার্যত শুরু এই জোটের পথচলা। লোকসভা ভোটের আগে ধর্মতলার মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেবেন এই জোটের অন্যতম মুখ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে আগ্রহ এখন আসমুদ্র হিমাচলে।
সকাল থেকেই লোক ভরতে শুরু করেছে ধর্মতলায়। এবার রেকর্ড ভিড়ের দাবি। কিন্তু রাজ্য থেকে দেশ, সবার আগ্রহ মমতার বার্তার দিকে। কারণ, গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে ভারতীয় জোট রাজনীতির ইতিহাসে এক নয়া দৌড় শুরু করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বাম -কংগ্রেসকে নিজের পালে টেনে এনে, এই সভাতেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, আগামী লোকসভা ভোটের আগে যে দুটি রাজনৈতিক দল তৃণমূলের কাছে চাপের কারণ হতে পারত, মমতার কৌশলে এখন তারা দু জনেই একসারিতে। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যা মমতার রাজনৈতিক জয় বলেই মনে করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিকরা।
পঞ্চায়েত জয়ের পর এটাই প্রথম একুশে জুলাই, তাই রাজ্যস্তরে তৃণমূল কর্মীদের আগ্রহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার দিকে। বিশেষ করে পঞ্চায়েতে মূল্যায়ণ নিয়ে অভিষেক কী বার্তা দেবেন, সেই দিকে নজর রয়েছে নিচুতলা কর্মী-সমর্থকদের।
বিরোধী জোটের নাম ঘোষণা হয়েছিল মঙ্গলবার। এবার তার ট্যাগলাইনও (Tagline) ঘোষণা করা হল। জানা গিয়েছে, বিরোধী ঐক্যের ট্যাগলাইন ‘জিতেগা ভারত’ স্থির করা হয়েছে।কিন্তু এসবের মধ্যেই সামনে আসছে জোটের নাম নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে মতবিরোধের খবর।
বিরোধী জোটের তৈরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাল কাটল। মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে জোট রাজনীতিতে নতুন নাম 'ইন্ডিয়া'-র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে, তারপর ২৬ টি দলের সর্বসম্মতিতেই জোটের নাম ঠিক করা হয় । কিন্তু, এখন শোনা যাচ্ছে 'ইন্ডিয়া' নামে সবার নাকি সম্মতি ছিল না।
সূত্রের খবর, বিরোধিতা করেছিলেন স্বয়ং নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও নাকি কিছুটা অসন্তুষ্ট আরজেডি নেতা।কেন নাম নিয়ে আপত্তি ছিল নীতীশের? জানা গিয়েছে, তাঁর বক্তব্য ছিল, এনডিএ ও ইন্ডিয়া দুটি শব্দ প্রায় একই শোনাচ্ছে। পরে এক নেতা নীতীশ কুমারকে বোঝান যে মাঝে ‘আই’ অক্ষর রয়েছে। তারপরে তিনি রাজি হন।
এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, নাম নিয়ে আগে থেকে নাকি কিছুই জানানো হয়নি নীতীশকে। বৈঠকে আচমকাই নামটি প্রকাশ করা হয়। এতেই চটে যান তিনি। আর এসবের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী জোট তৈরি হলেও, এখনও কি তাতে আশঙ্কার কালো মেঘ রয়ে গিয়েছে? সময়ই তার উত্তর দেবে।
বিরোধী জোট নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। ব্যাঙ্গ করে তাঁর মন্তব্য, হাওয়া খেয়ে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিরোধী জোটের যে নামকরণ করা হয়েছে তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বৈঠক করে। বৈঠকে বিরোধী জোটের নামকরণও করা হয়েছে। আর তারপরেই কটাক্ষ দিলীপের গলায়।
এনডিএ-র পালটা মঞ্চ গড়ে জাতীয় স্তরে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এ-নিয়ে বেঙ্গালুরুতে বৈঠকও হয়। ওই বৈঠকে বিজেপি বিরোধী দলগুলি নিয়ে যে মঞ্চ গঠন করা হয়েছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া। তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটুতেই হাওয়া খেয়ে যান। কখনও অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কখনও নীতীশ কুমার, কখনও বা সনিয়া গান্ধী ওনাকে হাওয়া দিচ্ছেন।'
বেঙ্গালুরু থেকে আগামী লোকসভা ভোটের ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছেন বিরোধীরা। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে নতুন জোট ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই রাজনীতির ময়দানে নতুন জোটের উত্থানের খবরে সরগরম রাজনৈতিক মহল। জোটের নাম নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা। এরই মধ্যে জানা গেল, এই ইন্ডিয়া জোটের নামের পিছনে কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, দেশের নামেই নতুন জোটের নাম করা হোক। এমনই প্রস্তাব করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মেনেই সর্বসম্মতিক্রমে বিস্তারিত নামকরণ হয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'ইন্ডিয়া-র প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য সবার কাছে আমি খুব কৃতজ্ঞ।'
উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট নিয়ে বারবার উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই। একাধিক বিরোধী বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, তার একটাও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে, এদিনের বৈঠকে অবশেষে তৈরি হল বিরোধী জোট। সেখানেও ছাপ ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নামকরণেই নামাঙ্কিত হল নয়া জোট।
এদিন বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে দেশকে বাঁচাতে লড়বে নতুন জোট। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কোনও ব্যক্তি যদি বিরোধীদের সমর্থন করেন, তা হলেই ইডি ও সিবিআই চলে যায়। আর সব সময় বিরোধীদের ধমকায়, চমকায়। কাজ করতে দেয় না। গণতন্ত্রকে কিনে নিতে চাইছে বিজেপি। ৩৫৫, ৩৫৬ নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আজ আমরা ৪২০ ধারা করে দিয়েছি। রাজনৈতিক ভাবে এবার ইন্ডিয়া জিতবে, বিজেপি হারবে। ভারত জিতবে, বিজেপি হারবে।'
পাটনার পরে এবার বেঙ্গালুরু৷ বিজেপির বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সেই মহাবৈঠকের প্রথমদিনে গরহাজির এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এই বৈঠকে অংশ নেবে কুড়িটিরও বেশি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল।
দু'দিন আগে শরদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার সহ এনসিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতারা। সম্প্রতি এনসিপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অজিত-সহ একঝাঁক নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপি এবং একনাথ শিণ্ডেপন্থী শিবসেনার মহারাষ্ট্র সরকারে। তারপরেই জানা গিয়েছেল বিরোধী বৈঠকের প্রথমদিনে শরদ পাওয়ারের না থাকার সম্ভাবনা বেশি।
শরদ এবং তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলের বিরোধীদের মহাবৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। প্রথমদিন না থাকলেও দ্বিতীয় দিন, ১৮ জুলাই বৈঠকে অংশ নিতে পারেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ।
প্রসূন গুপ্ত: বেশ কিছুদিন ধরে বাংলায় বিরোধীদের মধ্যে কোথাও একটা একতা বা পরোক্ষ জোটের বাতাবরণ দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী নেতা একপ্রকার এতে সিলমোহর দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক রাজ্যের বেশ কিছু সমবায় ভোটে সিপিএম ও বিজেপির জোট প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে। দু-তিনটি সমবায় দখলও করেছে এই জোট, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরাজিত হতেও হয়েছে। এই জোটের ফায়দা সব থেকে ভালো তুলেছে সিপিএম। কারণ কমিউনিস্ট পার্টি চিরকাল এই পদ্ধতিতে বিশ্বের নানা দেশে ক্ষমতায় এসেছে।
যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছিলেন, কোনও ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে বামপন্থীরা জোট করবে না। অন্যদিকে বিজেপির তরফে সম্প্রতি 'নো ভোট টু মমতা' স্লোগান উঠেছে। প্রাথমিকভাবে দলের অনেকের এই স্লোগানে সম্মতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত দিল্লির নেতৃত্বের কাছে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে বলেই খবর।
বৃহস্পতিবার বিধাননগরের এক সাংস্কৃতিক মঞ্চে আসন্ন পঞ্চায়েত বিষয়ে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রধান পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) আমিতাভ চক্রবর্তী। এছাড়া সাংসদ ও নির্বাচন বিষয়ক প্রস্তুতি কমিটির কনভেনর দেবশ্রী চৌধুরী। এছাড়াও অগ্নিমিত্রা পল ইত্যাদি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সংঘ ঘনিষ্ঠ দেবশ্রী পরিষ্কার বার্তা দেন যে, বিজেপি বিরোধী দল। বিধানসভায় সিপিএম বা কংগ্রেসের অস্তিত্ব বলে কিছু নেই। কাজেই কারও সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জোট করবে না দল। কেউ যদি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চান তবে তাঁকে বিজেপির সিম্বল নিয়েই লড়তে হবে। কংগ্রেস বা বামেদের সঙ্গে জোটের প্রশ্নই নেই। তাঁর বার্তায় চূড়ান্ত সম্মতি।
একইসঙ্গে দিল্লিতে নাকি এমন প্রশ্ন উঠেছে যে সাগরদিঘিতে কোন গড়াপেটায় কংগ্রেস একটি আসন পেয়ে গেল। কেনই বা বিজেপির ওই কেন্দ্রে ১৯ হাজার ভোট কমে দল তৃতীয় স্থানে চলে গেলো। অন্দরের কথা দলের ভিতরে উভয়পন্থী নেতাদের কথা মানা হবে না। বিজেপির সর্বভারতীয় দল তাঁরা কোনওভাবেই কংগ্রেস বা কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে না।
সংসদে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি-বিরোধী একটা অংশ জোট বাঁধছে। সেই অংশে উদ্ধব শিবসেনা থেকে শুরু করে এনসিপি এবং বাম দলগুলো রয়েছে। রয়েছে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকেও। যদিও এই অংশে খানিকটা ধরি মাছ, না ছুঁই পানি কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরের একাধিক প্রতিবাদ-আন্দোলনে টিএমসি-র অনুপস্থিতি দেখে এমনটাই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলের। তবে আগামি দিনে উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বিজেপি-বিরোধী ফোরামে দেখা যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশেষ সূত্র এই দাবি করেছে।
জানা গিয়েছে, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়াকে মজবুত করার লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসছেন। তাও আবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে প্রস্তাবিত ওই বৈঠক হওয়ার কথা। সমাজবাদী পার্টির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দ জানান, 'সমাজবাদী পার্টির জাতীয় কর্মসমিতির তিনদিনের বৈঠকে যোগ দিতে অখিলেশ যাদব শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় পৌঁছবেন। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা।'
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটকে আরও মজবুত করার বিষয়ে দু'জনের মধ্যে আলোচনা হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারীরা। প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে বিরোধী ঐক্যকে মজবুত করার ডাক দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি বেশ কিছুকাল যাবত নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করছে। গত বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সমাজবাদী পার্টির হয়ে বারাণসীতে প্রচারে গিয়েছিলেন। একুশের ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার সারতে দেখা গিয়েছে সপা-র রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চনকে। এই সমন্বয়কে আগামি দিনে কীভাবে আরও মজবুত করা যায়? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বৈঠকে বসছেন মমতা-অখিলেশ, এমনটাই নাকি সূত্রের খবর।
৩ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) বাড়ির সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং, মাইক বাজিয়ে অধিকারী পরিবারকে হেনস্থার পরিকল্পনা। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (LOP)। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক দলকে শর্তসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটিংয়ের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, 'বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে শাসক দলের কোন কর্মী জমায়েত করতে পারবে না। কাঁথি থানা ও জেলার পুলিস সুপার নিশ্চিত করবেন, সভায় জমায়েত ছাড়া শুভেন্দুর বাড়ি যাতে কেউ না ঢোকেন। মাইক বাজানো শব্দবিধি মেনে করতে হবে।' পাশাপাশি আগামি সোমবার এই নির্দেশ কার্যকরের রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। এদিন জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন শুভেন্দুর তরফে আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানান, আদালত আগে বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত ও লাউড স্পিকার বাজানো নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল। এসপি-কে নির্দেশ দিয়েছিল পরবর্তীকালে যাতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে এমন কোন ঘটনা না ঘটে।
পাল্টা রাজ্যর অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, বাড়ির সামনে কোন জমায়েত হবে না। পুলিস ওখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। "জেড ক্যাটাগরি" নিরাপত্তা পাওয়া ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দিতে বাধ্য পুলিস। এরপরেই বিরোধী দলনেতার আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, '৩ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ১৭০ মিটার দূরে মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। অভিষেক ব্যানার্জি আসবেন, জনসমাগম হবে। বাড়ি থেকে ১ মিনিট দূরে কলেজের মাঠ সেখানেই এই জনসভা।
জানা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার পরিবারকে মাইক বাজিয়ে হেনস্থার পরিকল্পনা। আর এই অভিযোগ জানিয়ে এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার ইডির (ED Summon) কলকাতা দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে পাঠানো হয়েছে। নেপথ্যে কয়লা পাচার মামলা। আর কেন্দ্রীয় সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো (Opposition)। বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা কটাক্ষের সুরে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীই তো বলে দিয়েছেন কে কে চোর। এবার দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কবে ইডি নোটিস আসে। আশা করব যাদের ডাকা হচ্ছে, তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, 'এগুলো কোনও খবর নয়। পিসি-ভাইপো সব জানেন। বিশেষ করে ভাইপো এই পাচার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জানেন। জ্যোতিষী না হলে কী করে পিসি সব জানলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক থেকেই উনি সব জেনে গিয়েছেন।'
কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, এর আগেও ডেকেছে। এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু দেখছি না। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো বা নিজের সূত্র থেকে বিষয়টা আন্দাজ করেই একটা আভাস দিতে পেরেছিলেন।
এদিকে, ফের আগামী শুক্রবার কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছে ইডি। যদিও ২৮ তারিখ রবিবার তাঁকে নোটিস মেইল করা হয়েছে। এমনটাই সূত্র মারফৎ খবর। এবার তাঁকে যেতে হবে ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিশেষ আধিকারিকরা আসছেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তিনি অবশ্যই আইনি পরামর্শ নিয়েই ইডি সমনে সাড়া দেবেন। পর্যবেক্ষকদের কাছে রহস্যময় বিষয় এই যে সোমবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কে বলতে পারে আজকের সমাবেশের পর (পড়ুন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান) ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কারও ডাক আসতে পারে। এই আশঙ্কাই খানিকটা আক্রমণের সুরে করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।