করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে নির্বীজকরণ বা এনএসভি করানোর অভিযোগ স্থানীয় দু'জন আশা কর্মী ও ফুলিয়া প্রাথমিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার চাঁদরা রায়পাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার ২৭ নভেম্বর মাধব রায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনএসভি করানো হয়। পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই তাঁকে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সারাদিন পেরিয়ে গেলেও ঠিক সন্ধের আগে পরিবারের লোকজন খবর পান রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছেন মাধব রায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। এরপর কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের কাছে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় মাধব রায়ের এনএসভি অপারেশন করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে এই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকারই দু'জন আশা কর্মী এবং ফুলিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, পরিবারের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাধব রায়ের রোগের কর্ম ক্ষমতা হারানোর। চিন্তায় ভেঙে পড়ছেন মাধব রায়ের স্ত্রী মেনকা রায়। পরিবারের তরফ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
১৭ দিনের অভিযানে মিলল সাফল্য। সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে মুক্তির পথে উত্তরকাশির শ্রমিকরা। উত্তরকাশির সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ১ম শ্রমিককে নিয়ে বাইরে এলেন উদ্ধারকারীর। স্বস্তিতে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের। পাইপের মাধ্যমেই বের করা হচ্ছে শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ টিম সুড়ঙ্গের ভিতরে যায়। সুরক্ষিতভাবে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে প্রথম শ্রমিককে।
সূত্রের খবর, শ্রমিকদের বার করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারকেই ট্রলি হিসাবে ব্যবহার করেছেন উদ্ধারকারীরা।ট্রলি সমেত একজন এনডিআরএফ-এর জওয়ান শ্রমিক উদ্ধারে যান। সেই ট্রলিতেই শ্রমিককে শুয়ে বাইরে বের করে আনেন। প্রতি শ্রমিককে সুড়ঙ্গ থেকে বের করতে ৩ থেকে ৪ মিনিট সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে সব শ্রমিককে উদ্ধার করতে। বাকি ৪০ জন শ্রমিকও সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আজকেই সবাইকে উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং ম্যাচে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে হারতে হয় ব্রাজিলকে। গত ১৭ অক্টোবর সেই ম্যাচেই চোট পান নেইমার। এবার সেই চোটের জন্য হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। বাঁ দিকের হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার হয় নেইমারের।
ব্রাজিলের টিম ডাক্তার রড্রিগো লাসমার নিজেই অস্ত্রোপচার করেছেন। জানিয়েছেন, "অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এসিএল ইনজুরি ছিল তাঁর।" এই চোটের জন্য বেশ কয়েকমাস বাইরে থাকতে হবে নেইমারকে। বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার্স ম্যাচে আর্জেন্টিনা ও কলোম্বিয়া ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে নামতে পারবেন না। ভারতের আসার কথা ছিল নেইমারের। আল হিলালের হয়ে সেই ম্যাচেও নামতে পারবেন না নেইমার।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে (Israel-Hamas War) আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে 'অপারেশন অজয়' (Operation Ajay) অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। এই অপারেশনের দৌলতেই শুক্রবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ২১২ জন ভারতীয়কে। এবারে শনিবার ২৩৫ জন ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হল। এদিন সকালেই দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বিশেষ বিমান।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে দুই শিশু-সহ ২৩৫ জনকে নিয়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করে কেন্দ্রের পাঠানো বিশেষ বিমান। ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’। সূত্রের খবর, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ ইজরায়েলের তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দ থেকে ভারতের উদ্দেশে বিমানটি ছাড়ে। নয়াদিল্লি পৌঁছয় শনিবার সকালে। রাতেই এই দ্বিতীয় বিমানের কথা জানিয়ে এক্স মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবারও ইজরায়েলে বিমান পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অবশেষে ইজরায়েলে (ISrael) আটকে পড়া কিছু ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে ২১২ জন ভারতীয়কে নিয়ে বিমানটি দিল্লিতে অবতরণ করে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১৪ মিনিটে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দ থেকে নয়া দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করেছিল বিমানটি। তাঁদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে পড়েছিলেন বহু ভারতীয়। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবারই ঘোষণা করা হয় 'অপারেশন অজয়'। বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে উড়ে যায় প্রথম চার্টার উড়ানটি। এর পর শুক্রবার সকালে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল ‘অপারেশন অজয়’-এর প্রথম চার্টার উড়ানটি। জানা গিয়েছে, প্রথম বিমানে যাঁরা দেশে ফিরেছেন, তাঁরাই ইজরায়েলে আটকে পড়া ৭ অক্টোবরের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যাত্রী। ওই দিন ভোরেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। যুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষিতে সেই বিমানটি তড়িঘড়ি বাতিল করে এয়ার ইন্ডিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে তেল আবিব থেকে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে বিমানটি নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমান যাত্রীদের ছবি পোস্ট করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
#OperationAjay gets underway.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) October 12, 2023
212 citizens onboard the flight are enroute New Delhi. pic.twitter.com/fGSAYiXbBA
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas War) পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন ভারতীয়রা। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কেন্দ্র সরকার। ফলে ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরাতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে 'অপারেশন অজয়'। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে এই উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, প্রথম ধাপে ইজরায়েল থেকে ২৩০ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই তেল আবিব বিমান বন্দর থেকে চার্টার্ড উড়ানটি ভারতের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার সকালের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে পারেন ভারতীয়রা। প্রসঙ্গত, ক্রমশ তীব্রতর হয়ে উঠেছে হামাস ও ইজরায়েলের যুদ্ধ। সংঘর্ষের জেরে ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার ভারতীয়। তাঁদের দেশে ফেরাতে ‘অপারেশন অজয়’-এর কথা বুধবার ঘোষণা করে ভারত সরকার। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পার হতে না হতেই শুরু হয়েছে এই অপারেশন।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অস্ত্রোপচার হয়েছে গত সপ্তাহেই। এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী ? ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, আপাতত এখন অনেকটা সুস্থ আছেন স্বস্তিকা। তবে, একমাস তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে।
জানা গিয়েছে, স্ত্রীরোগ জনিত সমস্যা ছিল স্বস্তিকার। অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে নিজের অসুস্থতার বিষয়ে জানান তিনি। অপারেশন হবে খুব শীঘ্রই বলেছিলেন নায়িকা। তবে, এখন সব বাধা কাটিয়ে আপাতত সুস্থতার পথে অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, এখনই কাজে ফিরছেন না নায়িকা। আপাতত বিশ্রামেই থাকবেন। নভেম্বরেই নতুন কাজের জন্য বাংলাদেশ যাবেন স্বস্তিকা। এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে টলিউড অন্দরে।
সাধারণত ডাক্তারদের (Doctors) ঈশ্বরের সঙ্গেই তুলনা করা হয়, কারণ তাঁরাই একমাত্র পারেন বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে। এবারে এমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে গেল ইজরায়েলে (Israel)। এক ১২ বছরের বালকের ধড় থেকে আলগা হয়ে যাওয়া মাথা এবারে অস্ত্রোপচারের (Operation) মাধ্যমে ফের শরীরে বসিয়ে দিলেন ইজরায়েলের ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, এই বালকের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৫০ শতাংশ ছিল। কিন্তু সেই ধারণাকেই ভুল প্রমাণিত করে গোটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিলেন ইজরায়েলের ডাক্তাররা।
জানা গিয়েছে, গত মাসে এক ১২ বছরের বালক রাস্তায় সাইকেল চালাতে গিয়ে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। দ্রুত গতিতে বাসটি এসে তাকে ধাক্কা দিতেই গুরুতর জখম হয় সে। এই দুর্ঘটনায় তার ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায় মাথা। শুধু মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধির সঙ্গে আটকে ছিল মাথার খুলি। এরপরই তাকে তড়িঘড়ি হাদাশা মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ অস্ত্রোপচার করার পর তার বিচ্ছিন্ন মাথা ফের শরীরের সঙ্গে জুড়ে দিতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনায় কারও এমন অবস্থা হলে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে 'বাইলেটারাল আটলান্তো অক্সিপিটাল জয়েন্ট ডিসলোকেশন'।
গত মাসেই এই জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এক মাস পর্যবেক্ষণে রাখার পর সুলেইমানকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। তারপরই সাংবাদিকদের সামনে ঘটনাটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়। আর এই চিকিৎসকদের এমন কীর্তি দেখে বিস্ময়ে বিশ্ববাসী।
সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অস্ত্রোপচার (Operation) হতে পারে। এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন তিনি। গাড়িতেই তিনি উডবার্ন ওয়ার্ডে যান। কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে আসেন মমতা। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালের মধ্যে যান তিনি। সামান্য খোঁড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। গত সোমবারই দুবরাজপুরে মোবাইল ভাষণে নিজের অস্ত্রোপচারের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ডাক্তার রাজেশ প্রামাণিক এবং তাঁর টিমের অধীনেই মুখ্যমন্ত্রীর অস্ত্রোপচার হতে পারে। ইতিমধ্যেই সিটি স্ক্যান করা হয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। বাকি রোগীদের চিকিৎসায় যাতে ব্যাঘাত না হয়, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে উডবার্ন ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। যদি অস্ত্রোপচার হয়, তাহলে তাঁকে হাসপাতালে রাখা হবে নাকি, ছেড়ে দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পঞ্চায়েতের প্রচারে উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পথে খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁর হেলিকপ্টারের জরুরী অবতরণ হতেছিল। সেই ঘটনায় বাঁ পায়ে এবং কোমরে চোট পেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর লিগামেন্টে আঘাত লেগেছিল। গত সোমবারই নিজেই অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী
আহত শাহরুখ খান (Shahrukh khan)। বিদেশে একটি বিশেষ প্রজেক্টের শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন বাদশা। সেখানেই নাকে গুরুতর আঘাত লাগে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ায় তাঁকে শ্যুটিংয়ের ফ্লোর থেকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা অভিনেতাকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারেন, অপারেশন করতে হবে। এরপরই নাকে অস্ত্রপ্রচার করা হয়। শাহরুখ তারপর অবশ্য আর ভিনদেশে থাকতে চাননি। তিনি ফিরে এসেছেন নিজের শহর মুম্বইতে।
কিন্তু কী হয়েছিল পুরো ঘটনাটি? জানা গিয়েছে, লস এঞ্জেলসে একটি প্রজেক্টের জন্য শ্যুটিং করছিলেন শাহরুখ। এমন সময় নাকে চোট লাগে অভিনেতার। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হলে অস্ত্রপ্রচার করার প্রয়োজন রয়েছে। এরপরেই শাহরুখের নাকে অপারেশন করানো হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলেছেন, অভিনেতা বর্তমানে বিপদের বাইরে রয়েছেন।
বর্তমানে শাহরুখ ফিরেছেন মুম্বইতে নিজের বাড়ি মান্নতে। সেখানেই বিশ্রাম নেবেন অভিনেতা। এদিকে হাতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে শাহরুখের। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পেতে চলেছে বাদশা অভিনীত ছবি 'জওয়ান'। কিছুদিন পরেই অভিনেতা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন সিনেমার প্রচারে। তবে শাহরুখের আহত হওয়ার খবর পেতেই ভক্তদের মাথায় চিন্তার ছাপ পড়েছে। যদিও বিদেশের চিকিৎসকেরা বলেছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই।
আজ সকালেই নেটমাধ্যমে দুঃসংবাদ দিলেন 'চিনি' খ্যাত অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে ছবি দিয়েছেন তিনি। হাতে চলছে স্যালাইন। হাসপাতালের দেওয়া পোশাক পরে রয়েছেন মধুমিতা। চোখে বড় চশমা। চাদরের আড়ালে দেখা গিয়েছে বই। এই ছবি দেখেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। মধুমিতাকে নিয়ে তারা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। কী হয়েছে তাঁর? এই প্রশ্নে ছয়লাপ হয়েছে নেট দুনিয়া।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে শ্যুটিং চলাকালীন অভিনেত্রী আচমকাই পেটে ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি বলেন, এই ব্যথা এপেনডিক্সের। দ্রুত একে শরীর থেকে নির্মূল না করলে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। এরপরেই মধুমিতার শরীরে অস্ত্রপ্রচার করা হয়। সেই কারণেই হাসপাতালে অভিনেত্রী। ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের পোশাকেই বেডে শুয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। হাসপাতালের এই সময়টুকু বই পড়েই কাটাচ্ছেন মধুমিতা।
নিজের সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবিটি পোস্ট করে মধুমিতা লিখেছেন, 'গুরুতর কিছু ঘটেছিল, আদুরেভাবে সেরে উঠেছি।' দিন কয়েক পরেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের ওয়েব সিরিজ 'জাতিস্মর'। সেই সিরিজ দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকেরা। অন্যদিকে 'খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন মধুমিতা', এই প্রার্থনা করছেন ভক্তরা।
স্টিং অপারেশনের জের? বিসিসিআইয়ের (BCCI) নির্বাচক কমিটির প্রধানের পদ ছাড়লেন চেতন শর্মা। বোর্ড সচিব জয় শাহকে নিজের ইস্তফা পত্র পাঠান চেতন। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের করা স্টিং অপারেশনে (Sting Operation) চাঞ্চল্যকর দাবি করেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান (Chetan Sharma)। সৌরভ বনাম কোহলি দ্বন্দ্ব এবং চোট লুকিয়ে যশপ্রীত বুমরার মাঠে নামা। এই দুই চাঞ্চল্যকর দাবিতে শোরগোল পড়ে ভারতীয় ক্রিকেটে। তাঁর বিরুদ্ধে বোর্ড ব্যবস্থা নিতই, কিন্তু তার আগেই নিজে থেকে পদ ছাড়েন চেতন শর্মা। এমনটাই বিসিসিআই সূত্রে খবর। তবে এই মুহূর্তে পদ ছাড়ার জন্য বোর্ডের তরফে চেতন শর্মার উপর কোনও চাপ ছিল না। এমনটাই জানিয়েছে বিসিসিআই।
বোর্ডের এক কর্তা এক সংবাদ সংস্থার কাছে এই খবর স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'বোর্ড সচিব জয় শাহের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন চেতন। তা গ্রহণও করা হয়েছে। স্টিং অপারেশনের পর ওর ভবিষ্যৎ এমনিতেই টলোমলো ছিল। নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছে। কেউ জোর করেনি।' আপাতভাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবসুন্দর দাসকে নির্বাচক কমিটির প্রধানের পদ সামলাতে বলা হয়েছে বলে খবর।
রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচের জন্য কলকাতায় ছিলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান। সে সময় এক টিভি চ্যানেলের ‘স্টিং অপারেশন’-এ চেতন বলেন, 'সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ এক সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিরাট সেই সময় নেতা ছিলেন। কে বড় তা নিয়ে একটা লড়াই ছিল।'
পাশাপাশি চেতন দাবি করেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে চোট পুরোপুরি না সারিয়েই খেলেছিলেন বুমরা। তিনি একটি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। বুমরা ব্যথা কমিয়ে খেলতে গিয়ে নাকি নিজের চোট আরও বাড়িয়ে ফেলেন। যে কারণে এখনও ভুগছেন তিনি।'