এর আগেই জানা গিয়েছিল, অনলাইন গেমিং (Online Gaming), হর্স রেসিং ও ক্যাসিনোতে (Casino) বসতে চলেছে চড়া জিএসটি (GST)। এবারে সেটাই হল। শুক্রবার পাশ হয়ে গেল সেন্ট্রাল অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি বিল (GST Bill)। অনলাইন গেমিং, রেসিং, ক্যাসিনো এসবের উপর এখন থেকে ২৮ শতাংশ কর কার্যকর করা হবে বলে খবর। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম শুরু হতে চলেছে।
শুক্রবার, বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় 'দ্য সেন্ট্রাল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (অ্যামেনডেন্ট) বিল ২০২৩' এবং 'দ্য ইন্টিগ্রেটেড গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (অ্যামেনডেন্ট) বিল ২০২৩' ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে। জিএসটি আইনের ৩এ ধারা পরিবর্তন করার সুযোগ পেতেই এই সংশোধিত বিল পাশ করা হল। অনলাইন গেম, ক্যাসিনোর পাশাপাশি অনলাইনে জুয়া সংক্রান্ত বিষয়েও কার্যকর হবে ২৮ শতাংশ জিসএসটি। এই বিল পাশের জন্য সম্মতি দিয়েছিল জিএসটি কাউন্সিল। এ বার তা সংসদেও পাশ হয়ে গেল। তবে এই আইন ১ অক্টোবর থেকে শুরু কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।
অনলাইনে (Online) কয়েক ঘন্টা কাজ করলে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ এক দম্পতির বিরুদ্ধে। সংসারের কাজের ফাঁকে অনলাইনে কাজ করলেই রোজগারের বিশেষ সুযোগ সুবিধা। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক দম্পতি। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে একটি অ্যাপের মাধ্যমে পার্ট-টাইম কাজও শুরু হয়। তবে রোজগারের জন্য় ওই দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষের বেশি টাকা জমা দিতেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তাঁরা। থাণে পুলিসের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন নবী মুম্বইয়ের এক বধূ।
পুলিস সূত্রে খবর, ৪২ বছরের ওই বধূর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন বলে এক দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ। ওই বধূর দাবি, একটি অ্যাপের মাধ্যমে পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। অনলাইনে হোটেলের রিভিউ করলেই মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাতে রাজি হয়ে অনলাইনে কাজ শুরু করে দেন।
অভিযোগ, রোজগারের টাকা পেতে হলে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জমা রাখতে হবে বলে শর্ত দিয়েছিলেন ওই দম্পতি। সেই শর্ত মেনে ১৪ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করে ওই দম্পতির অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জমা দেন তিনি। তবে টাকা জমা দেওয়ার পর থেকেই সবরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন ওই দম্পতি। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে পুলিস। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পনবেল থানার পুলিস।
অনলাইন প্রতারণার (Online fraud) শিকার মানুষ প্রায়ই হয়। গ্রাহকদের (Customer) অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপ কল (WhatsApp call) বা মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। এর পর গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের জন্য তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে হোয়াট্সঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা। তাদের তরফেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গ্রাহকদের জন্য তিনটি নম্বর থেকে ফোন এলে না ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নম্বরটিকে ‘ব্লক’ করে, সংস্থার কাছে ‘রিপোর্ট’ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মেটা সংস্থা জানিয়েছে, মূলত আন্তর্জাতিক কল-এর মাধ্যমেই গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলে ফাঁসানো হয়। হোয়াট্সঅ্যাপে বহু সংখ্যক গ্রাহকের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের থেকে টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দু-এক দিন পর পর ভুয়ো কল বা মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ঘটে। প্রতারণার এই ঘটনা সব চেয়ে বেশি ঘটছে মালয়েশিয়া, কেনিয়া, ভিয়েতনাম এবং ইথিওপিয়ায়। হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ দিয়েছেন, ফোন নম্বরের শুরুতে যদি ৮৪, ৬২ এবং ৬০ থাকলে তবে ভুলেও সেই ফোন তুলবেন না। পাশাপাশি ফোন কেটে দিয়ে নম্বরটিকে ব্লক করবেন।
বাড়িতে পোষ্য (Pets) থাকলে, তাদের সবসময় বাইরে ভ্রমণে (Trip) নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেকেই তাঁদের পোষ্যদের সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যেতে চান, কিন্তু তা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই সকল পোষ্য অভিভাবকদের জন্য সুখবর এনেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways) কর্তৃপক্ষ। পোষ্য কুকুর এবং বিড়ালদের জন্য অনলাইনে টিকিট (Online ticket) বুকিং পরিষেবা চালু করার কথা ভাবছে রেলমন্ত্রক। এই পরিষেবা চালু হয়ে গেলেই রেলযাত্রীরা (Passengers) তাঁদের পোষ্যদের সঙ্গে নিয়ে কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেড়াতে পারবেন তা অনুমান করা হচ্ছে।
এখন পোষ্যের অভিভাবকদের জন্য একটি চার সিটের কেবিন অথবা কুপের টিকিট বুক করতে হয়। কারণ, পুরো কেবিন বুক করলে তবেই তাঁরা পোষ্যের সঙ্গে যাত্রা করতে পারবেন। এছাড়াও ভ্রমণযাত্রার আগে পোষ্যকে অবশ্যই টিকাকরণ করাতে হবে। অনলাইনে পোষ্যের টিকিট বুক করার পরে তাঁর ফোটোকপি করিয়ে নিজের সঙ্গে রাখুন। পার্সেল বুকিং কাউন্টারে গিয়ে পোষ্যের টিকিটটি সংগ্রহ করতে হয়। ট্রেন ছাড়ার ঘণ্টাখানেক আগে স্টেশনে পৌঁছে যেতে হয় পোষ্যকে নিয়ে। স্টেশনে গিয়ে আপনাকে পার্সেল অফিসে যেতে হয়। সেখানে যাত্রীকে টিকিট, পোষ্যের টিকাকরণ এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট, ভ্রমণের সার্টিফিকেট তৈরি করাতে হয়। এই প্রক্রিয়াগুলি শেষ হলে, বুকিং করা টিকিট হাতে পাওয়া যায়।
টেকনোলজি যত দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, তত যেন প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) সাইটে আজকাল দেখা যায় একটি বিজ্ঞাপন। যেখানে বলা হয়, ঘরে বসে মোবাইল অ্যাপের (Online App) মাধ্যমে বিনিয়োগ করে টাকা ডবল করুন। তেমনই এক অ্যাপের মাধ্যমে টাকা রোজগারের ফাঁদ (Cyber Crime) পেতে প্রায় ১ হাজার মহিলাকে ঠকিয়েছে প্রতারকরা। ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে ইতিমধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে নয়াদিল্লিতে (New Delhi)।
জানা গিয়েছে, ওই প্রতারকরা মহিলাদের ওয়ার্ক ফর্ম হোমের মাধ্য়মেও টাকা উপার্জন করা সম্ভব বলে জানায়। এইরকম মিথ্য়ে আশ্বাসের ফাঁদে পড়ে ঠকেছেন প্রায় ১ হাজার মহিলা। পুলিস সূত্রে খবর, ওই প্রতারণা চক্রের শিকার হওয়া এক তরুণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণীর নাম পালক শ্রীবাস্তব। গুরুগ্রামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে চার অভিযুক্তকে বুধবার গ্রেফতার করে গুরুগ্রাম থানার পুলিস। সাইবার প্রতারণাকাণ্ডে যুক্ত যুবকরা হল, সহলেশ কুমার, তুষার কোহলি, বিনোদকুমার ভাসিন এবং রামকুমার রামন।
পালক পুলিসকে জানান, মায়ের সঙ্গে তিনি একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও টাকাপয়সা ফেরত পাননি। বরং আড়াই লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে তাঁর। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে? সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
অনলাইনে (Online Ticket Booking) ট্রেনের টিকিট বুক করতে গিয়ে ভুল অ্যাপ ব্যবহার করায় দেড়-লক্ষ টাকা খোয়ালেন মুম্বইয়ের এক ব্যাবসায়ী। সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী।
জানা গিয়েছে, ২৪ শে জানুয়ারি ওই ব্যবসায়ী তাঁর পরিবারের সদস্যের জন্য মুম্বই থেকে অমৃতসর যাওয়ার একটি দূরপাল্লার ট্রেনের আসন বুকিং করার জন্য অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু টিকিট কাটার দু-মাস পরেও ওই অ্যাপে বুকিং করা আসনের কোনও লিস্ট পাননি। সেইকারণে অ্যাপের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন তিনি, সেখান থেকে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলানোর নাম করে আরও দুটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে ওই ব্যবসায়ীকে। এমনকি তাদের কথা অনুযায়ী, এটিএম কার্ডের পিন নম্বর পর্যন্ত দিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী।
অভিযোগ, কিছুসময় পর ওই ব্যবসায়ী মেসেজে জানতে পারলেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়। পরে ওই ব্যবসায়ীকে একটি নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, কোনও ভাবে ভুল করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়। ওই ব্যবসায়ীর বুকিং করা আসন ও টাকা ফেরত দেওয়ারর মিথ্যে প্রতিশুতি দেয়।
ব্যবসায়াীর অভিযোগ,বুকিং করা টিকিট ও উধাও হওয়া টাকা কোনোটাই পাননি তিনি।বরং ধাপে ধাপে প্রায় দেড়-লক্ষ টাকা গায়েব হয় তাঁর। সাইবার প্রতারণার ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ক্যুরিয়ার অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তির পাঠানো লিঙ্ক ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই উধাও হয়ে গেলো কয়েক হাজার টাকা। ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সংস্কৃতিমন্ত্রী অমরজিৎ ভগতের ওএসডি অতুল শেঠ সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে দাবী করেন। গত ১৩ই মার্চ সোমবার ক্যুরিয়ার অফিস থেকে তাঁর বাড়িতে একটি ডেলিভারি (Online Delivery) আসার কথা ছিলো। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় ডেলিভারি বয়টি ফিরে যান।ইন্টারনেট থেকে খুঁজে ওই ক্যুরিয়ার অফিসের কাস্টমার কেয়ার (Customer Care) নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন তিনি। এক ব্যক্তি ফোন ধরে নিজেকে ক্যুরিয়ার অফিসের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটের সময় ডেলিভারি পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু সে জন্য তাঁকে অনলাইনে দু-টাকা ডেলিভারি ফি দিতে হবে। তাতে রাজি হলে তাঁর মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই চোখের পলকে হাজার হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় তাঁর।
শুক্রবার সাইবার প্রতারণার অভিযোগে রাইপুরের তেলীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেন অতুল শেঠ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে চারটি কিস্তিতে মোট ৯৯,৯৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারণায় অভিযুক্ত পশ্চিমের বাসিন্দা। তাছাড়া ইন্টারনেটের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরটিও ভুয়ো (Fake Call)। যেকারণে লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে অতুল শেঠের যাবতীয় তথ্য পেয়ে যায় এবং টাকা-পয়সা নিমেষে হাতিয়ে নেয়। অভিযুক্তের খোঁজ ইতিমধ্যে শুরু করেছেন পুলিস।
এবার সাইবার প্রতারণার (Cyber Fraud) শিকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজস্থান থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস (Cyber Police)। সূত্রের খবর, ২০২২-র অক্টোবরে মাসে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (Judicial Magistrate) সোমশুভ্র ঘোষাল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ, 'তিনি, পরিবার নিয়ে পুরীতে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে অনলাইনে একটি ফাইভ স্টার হোটেল বুকিংয়ের চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁকে হোটেল বুকিং প্রসিডিওরের জন্য একজন ফোন করেন। সেখানে তাঁকে হোটেলে বুকিংয়ের জন্যে টাকা জমা করতে বলা হয়। মাননীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে একটি অ্যাকাউন্ট ডিটেলস দেওয়া হয়।'
জানা গিয়েছে, তিনি সেই অ্যাকাউন্টে ৯২ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন। তবে কিছুদিন পরে ওই হোটেলে খোজ নিলে জানতে পারেন, তাঁর নামে ওই হোটেলে কোনও বুকিং হয়নি। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিসের দ্বারস্থ হন তিনি। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে পুলিস জানতে পারে ওই হোটেলের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে এই প্রতারণা চক্র চালানো হচ্ছিল। এরপরই টাকা কোন অ্যাকাউন্ট জমা পড়েছে সেই সূত্র ধরে রাজস্থানের ভরতপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিস।
সেখান থেকেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রেম চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিস। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয় তাঁকে। শনিবার তাঁকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
অনলাইন বুকিং অ্যাপের (Online Booking Apps) সাহায্যে মাল্টিপ্লেক্সে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার সোনারপুর থানার পুলিসের (Sonarpur Police)। সোনরপুরের তরুণী সায়ন্তনী মিত্র নরেন্দ্রপুরের এক শপিং মলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুল করে সিনেমা শেষে সিটেই ব্যাগ ফেলে (Bag Lost) আসেন তিনি। নীচে নেমে তাঁর ব্যাগের কথা মনে পড়লেও ফের উঠে গিয়ে দেখেন ব্যাগ নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ব্যাগে ওই তরুণী এবং তাঁর মায়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিল। তাই এহেন জরুরি নথি সমৃদ্ধ ব্যাগ খোওয়া যাওয়ায় উদভ্রান্ত হয়ে পড়েন সায়ন্তনী।
হারানো ব্যাগের সন্ধান পেতে প্রথমে নরেন্দ্রপুর থানা পরে সোনারপুর থানার দারস্থ হয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, সিনেমা হলে সায়ন্তনীর আশপাশে যারা ছিলেন, তাঁরা সকলেই একটি অনলাইন অ্যাপের সাহায্যে টিকিট বুক করেছিলেন। সেই অ্যাপের সাহায্য নিয়েই পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারেন তরুণীর পাশে বসা এক মহিলা ওই ব্যাগ নিয়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ি আবার গড়িয়াতে। তাঁকে চিহ্নিত করে এবং যোগাযোগ করে খোয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে সোনারপুর থানার পুলিস।
এই প্রসঙ্গে ব্যাগ ফিরে পেয়ে আপ্লুত সেই তরুণী জানান, 'শুক্রবার বিকেলে নরেন্দ্রপুরের একটি মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখে ব্যাগ রেখে বেড়িয়ে আসি। নিচে নেমে আমার ব্যাগের কথা মনে পড়ে। আবার হলে ফিরে কর্তব্যরত কর্মীদের ব্যাগ হারানোর কথা বললে, ওরা খুঁজে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। এই ব্যাগে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল। ব্যাগ খুঁজে পেতে আমি নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হই। ওরা আমাকে সোনারপুর থানায় পাঠায়। ওখানকার অর্ঘ্যবাবু ব্যাগ ফিরে পেতে আমাকে সাহায্য করে। আমি ব্যাগ খুঁজে পাবো এই আশা করিনি। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে যেভাবে ভালো কাজ করে মিরাকেল ঘটিয়েছে সোনারপুর থানা, আমি কৃতজ্ঞ।'
অনলাইনে গেম (Online game) খেলার প্রতি মারাত্মক আসক্তি সর্বনাশ ডেকে আনলো আদ্রার এক রেল কর্মীর পরিবারে। খেলতে গিয়ে বাজারে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ করে ফেলেছিলেন আদ্রার বাসিন্দা ওই রেল কর্মী। অবশেষে ঋণ (loan) শোধ করার কোনও উপায় না পেয়ে নিজেই আত্মঘাতী হলেন। তবে শুধু নিজেকেই শেষ করেননি, আত্মঘাতী (Suicide) হবার আগে শ্বাসরোধ করে খুন (murder) করেন বছর ৫ এর নিজের সন্তানকেও। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ৩৫ এর অমরচন্দ্র মোদকের সংসারে ছিলেন স্ত্রী জবা মোদক (২৮) ও মেয়ে অঙ্কিতা মোদক (৫)। তিনি তাঁর নেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারায় এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেন। পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার তিনি নিজে আত্মঘাতী হওয়ার আগে স্ত্রী জবা দেবীকে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাইয়ে খুনের চেষ্টা করেন। এরপর স্ত্রী ওষুধ খেয়ে আচ্ছন্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মারা গিয়েছেন মনে করে মেয়েকেও খুন করে আত্মঘাতী হন তিনি। পরে জবা দেবীর ঘুম ভাঙলে চোখের সামনেই মেয়ে ও স্বামীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদর এমন অবস্থা দেখতে পেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবাশীদের সমস্ত বিষয় জানান। জানাজানি হলে স্থানীয়রাই খবর দেয় পুলিসে।
খবর পেয়ে আদ্রা থানার পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি জবা দেবাকে ভর্তি করা হয় আদ্রা রেলের বিভাগীয় হাসপাতালে। সেখানেই মৃতের স্ত্রীর প্রাথমিক জবানবন্দী নেয় পুলিস। জবা দেবী পুলিসকে জানিয়েছেন, অনলাইনে গেম খেলতে গিয়েই প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল স্বামীর। পরিজনরা ধার মেটাতে টাকা দিয়ে সাহায্যও করেছিল।কিন্তু গেমের নেশা দূর হয়নি। এরপরই রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনা।
এখন কম-বেশি অনেকেই অনলাইন খাবার অর্ডার (Online Food Delivery) করেন। ধরুন আপনি জোম্যাটো (Zomato), সুইগি বা অন্য কোনও সাইটে খাবার অর্ডার করলেন। আর সেই অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থার সিইও (CEO) আপনার বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন আপনার মন-পসন্দ খাবার নিয়ে। কেমন হবে ভাবুন তো বিষয়টা?
শুনে ভাবছেন তো সিইও খাবার ডেলিভারি করবেন? এ আবার হয় নাকি? সম্প্রতি জোম্যাটোর সিইও দীপিন্দর গয়ালকে খাবার পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছে গ্রাহকের বাড়িতে। তাও আবার নিজের সুট-বুট পাল্টে, একেবারে জোম্যাটো লেখা লাল টি-শার্ট পরে হাজির গ্রাহকের বাড়ি। গোপন এ তথ্য ফাঁস করেছেন ‘নকরি ডট কম’-এর মালিক সঞ্জীব বিকচন্দানি। জানা গিয়েছে, প্রতি তিন মাস অন্তর এক বার এমন কাজ করেন দীপিন্দর।
টুইট করে সঞ্জীব লিখেছেন, ‘‘দীপিন্দর ও জোম্যাটোর সদস্যদের সঙ্গে দেখা হল। খুব ভাল লাগল জেনে যে, সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজাররা-সহ দীপিন্দরও লাল রঙের জোম্যাটোর টি-শার্ট পরে বাইকে করে এক দিন খাবার পৌঁছে দেন। যাতে তাঁকে সহজে কেউ চিনতে না পারেন, সে কারণেই এমন বেশে খাবার পৌঁছে দেন দীপিন্দর। এ কথা উনিই আমাকে বলেছেন।’’
এ টুইট মুহূর্তে শেয়ার হয়ে যায়। লাইক, কমেন্টে ভোরে যায় বক্স। নেটিজেনরা সিইও-র এই কাজের ভুরিভুরি প্রশংসাও করেছেন।
ফাঁকা অফিসে (Saltlake Office) শুধু রয়েছে আস্ত সার্ভার রুম (Server Room), তাও সক্রিয় অবস্থায়।! স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলছে কম্প্যুটার এবং সার্ভার। অনলাইন গেমিং (Online Gaming)-কাণ্ডের তদন্তে নেমে রীতিমতো তাজ্জব কলকাতা পুলিস (kolkata Police)। এই প্রতারণা চক্রের মূল চক্রী আমির খান। গার্ডেনরিচে (Gardenreach) তাঁর বাড়ি থেকে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি (ED)। যদিও সেই ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়ে থাকা আমির খানকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। তারপরে বেড়েছে এই প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের ঝাঁজ।
এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। রয়েছেন সল্টলেকের ওই ফাঁকা অফিসের ম্যানেজারও। তাঁর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই অনুমান পুলিসের। আমির-সহ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত ৬। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের দাবি, অনলাইন গেমিং প্রতারণা চক্রে অর্থ লেনদেনে যে অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার হতো, সেগুলোর সূত্র ধরে এই গ্রেফতারি। টাকার বিনিময়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিতেন অভিযুক্তরা।
পাশাপাশি এই প্রতারণা চক্রে দুবাই যোগের সূত্র পেয়েছে কলকাতা পুলিস। সল্টলেকের যে অফিসে শুধু সার্ভার রুমের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেটা দুবাই থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। এই প্রতারণা-কাণ্ডে পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের পাশাপাশি আরও এক ব্যক্তির নাম উঠেছে। তিনি দুবাইবাসী শুভজিৎ শ্রীমানি। সল্টলেকের অফিস সম্ভবত তাঁর। সেখান থেকে ১৯৫২টি সিম কার্ড, তিন হাজার এটিএম কার্ড এবং ৪৮৩টি ব্যাঙ্ক কিট উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, এই প্রতারণা চক্রের পৃথক তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারা বুধবার কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায়। উত্তর কলকাতার বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে দক্ষিণ শহরতলির বেহালা-সহ পাঁচ জায়গায় অভিযান চালায় ইডি।