এবার ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়ে গ্রেফতার এক ব্য়ক্তি। লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকা থেকে লালগোলা থানার পুলিস গ্রেফতার করে ওই ব্য়ক্তিকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ভুয়ো এনআইএ অফিসারের নাম জাহির আব্বাস। বাড়ি লালগোলার রামনগর এলাকায়। মঙ্গলাবার ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন রেখে লালবাগ আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রাতে লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকাতে নাকা চেকিং করছিল পুলিস। সেই সময় একটি স্কুটি আরোহীকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। ওই ব্যক্তিকে থামিয়ে স্কুটির ডিকির ভিতর তল্লাশি চালাতে গেলে সে নিজেকে এনআইএ অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয়। এরপর তার স্কুটির ডিকি থেকে ভুয়ো আইডেন্টিটি কার্ড ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অভিযুক্তকে।
তবে এর পিছনে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা বা কী উদ্দেশ্য়ে ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়পত্র তৈরী করেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ইডি স্ক্য়ানারে এদিন ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়। সূত্র মারফত খবর, তাঁর অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এক ট্রাঙ্ক ও ২ ট্রলি ব্যাগ ভর্তি নথি উদ্ধার করল ইডি।
ইডি সূত্রে আরও খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস থেকে ৫০০ টা দলিল উদ্ধার হয়েছে। ১০০ টারও বেশি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। প্যান কার্ড পাওয়া গিয়েছে ৭০টার মতো। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। উল্লেখ্য বিষয়, যে দলিলগুলো উদ্ধার হয়েছে, তা প্রসন্ন রায়ের অফিসে বেতনভুক কর্মীদের নামে রয়েছে। যাঁরা মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন, তাঁদের নামই বাড়ির দলিল তৈরি করেছিলেন প্রসন্ন রায়। সেই সমস্ত কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে পরিবহন ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০২৩-এর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান প্রসন্ন। জামিনের ৩ মাস পরেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির স্ক্যানারে এই প্রসন্ন রায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রসন্নর একাধিক ফ্ল্যাট ছাড়াও নিউটাউনের অফিস সহ মোট ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা।
পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিস কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ঘটনায় কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ এক যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিস। অভিযোগ, মেলায় মদ্য়প অবস্থায় একদল যুবক মহিলা পুলিস কর্মীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।
জানা গিয়েছে, গত ২৩ শে ডিসেম্বর পানিহাটি অমরাবতীর মাঠে পানিহাটি উৎসব চলাকালীন ব্যারাকপুর পুলিস ব্যাটালিয়নের মহিলা ডিউটিতে ছিলেন মহিলা পুলিস কর্মী পম্পা দেবনাথ। তখন আনুমানিক রাত ন'টা নাগাদ শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে মেলা কমিটির কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে 'নির্যাতিতা পুলিসকর্মী'। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘোলা থানার অন্তর্গত নাটাগড় এলাকা থেকে দ্বীপ মজুমদার নামে এক যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুলিস।
ধৃত এই যুব তৃণমূল নেতা পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলার স্বপন কুন্ডুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। শ্লীলতাহানির ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে খড়দহ থানার পুলিস।
কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে গ্রাহকের হাতে খুন হল ফিল্ড রিকভারি অফিসার। লোনের টাকা আদায় করে ব্যাঙ্কে জমা দেন তিনি। অভিযোগ, সেই লোনের কিস্তির টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত গ্রাহক নিমেশ ঘোষ। সোমবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা থানার নওপুকুরিয়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ফিল্ড অফিসারের নাম জাহাঙ্গীর আলম। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার জাহাঙ্গীর আলম নিমেশ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে লোনের ২৫০০ বকেয়া টাকা চাইতে যান বেলডাঙা থানার নত্তপুকুরিয়া এলাকায়। কিন্তু লোনের টাকা দিতে নারাজ হন তিনি। অভিযোগ, লোন টাকা দিতে না চাওয়ায় প্রথমে বচসা শুরু হয়। এরপর লোনের টাকা আদায় করতে না পেরে সেখান ফেরার পথে পিছন দিক থেকে নিমেশ ঘোষ নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে তিনি। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন জাহাঙ্গীর আলম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বেলডাঙা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই ব্য়ক্তি বছর চারেক থেকে আরোহণ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জ্বর হওয়ায় তেরো দিন আগে সে বাড়িতে ছুটিতে এসেছিলেন। গত শনিবার বাড়ি থেকে সে বেলডাঙায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর সোমবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাত্র ছ'মাস আগে সে বিয়ে হয়েছে তাঁর। তারপর এই মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গোটা এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোরতর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। সেই সঙ্গে এই পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সোমবার সকালে বেহালার ঠাকুরপুকুরে ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পুলিসকর্মীর। মঙ্গলবার এই দুঃসংবাদ জানা যায়। ঘটনায় প্রায় ১৯ জন আহত হয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁদের মধ্য়ে বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সূত্রের খবর, মৃত প্রাক্তন পুলিসকর্মীর নাম নির্মল কুমার দাস (৬৯)। বাড়ি রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার ঠাকুরপুকুর ত্রিএ বাসস্ট্যান্ডে প্রাক্তন পুলিসকর্মী নির্মল কুমার দাস নিজের স্ত্রীর সঙ্গে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন বুরুল যাবে বলে। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লাক্সারি বাস ধাক্কা মারে ২৩৫ নং রুটের একটি বাসে। গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর গ্রিন পুলিস ওই প্রাক্তন পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুর তিনটে চল্লিশ নাগাদ মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন পুলিস কর্মী নির্মল কুমার দাস এর। বাস দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে ট্রমা কেয়ার সেন্টার ভর্তি ছিলেন তিনি।
শিক্ষা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্কে এবার নয়া মোড়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যেখানে চলতি মাসের ২০ তারিখ ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছে রাজ্য। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটায় নবান্নে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে তাদের। সূত্রের খবর, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করবে রাজ্য। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন প্রয়োজনে অর্থনৈতিক অবরোধের পথেও হাঁটবে রাজ্য। তারপরেই এইচ আর এম এস নিয়ে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে এমন বৈঠকের বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মহলে রীতিমত শোরগোল পড়েছে বলেই খবর।
সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে সরকার বেতন বাবদ একটি টাকা দিত। সেই টাকা অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেই একাউন্টে পান। এইচ আর এম এস চালু হলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় কে এড়িয়ে সরাসরি সেই কর্মীর একাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবে। এখানে অধ্যাপক সংগঠনের একাংশ মনে করছে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এর ফলে সরকার নিজের ইচ্ছামত কোন অধ্যাপকের বেতন প্রয়োজনে বন্ধ করতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় এবার স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসকদের বোর্ড গঠনের ব্যপারে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলায় সামনে এসেছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর কথা উঠে এসেছিল।
পিছনে ভারী কিছু আঘাতের চিহ্ন। ঘাড়ে গভীর ক্ষত। তারপরেও ময়নাতদন্তে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর রিপোর্ট, অথচ ওই মহিলার গলায় কোনো ফাঁসের দাগ নেই, দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। মিথ্যে রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সে বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। তা নিয়েই এবার নির্দেশ বিচারপতির।
এদিন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে মামলায় যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে পরে বিবেচনা করবে আদালত। নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কেন নেওয়া হয়নি পদক্ষেপ? সেই প্রশ্ন তুলেই স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি। ৯ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। এখন দেখার পরবর্তী শুনানিতে কোন তথ্য উঠে আসে।
বিয়ের করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন প্রেমিকা, আর এই চাপ সৃষ্টি করার জন্যই তাঁকে খুন করলেন প্রেমিক সেনা জওয়ান (Army Officer)। এমনটাই অভিযোগ উঠে এল এক সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি দেরাদুনের (Dehradun) ও ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্ত সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত সেনা জওয়ানের নাম রমেন্দু উপাধ্যায় ও সে বিবাহিত। অন্যদিকে প্রেমিকা তথা নিহত মহিলার নাম শ্রেয়া শর্মা। তিনি নেপালের বাসিন্দা। রমেন্দুর দেরাদুনে পোস্টিং হওয়ার পর শ্রেয়াকেও সঙ্গে করে সেখানেই নিয়ে গিয়েছিল সে। এর পর একদিন তাকে 'লং ড্রাইভ'-এ নিয়ে গিয়ে এক নির্জন এলাকায় খুন করে বলে তদন্ত করে জানতে পেরেছে পুলিস।
পুলিস তদন্ত করে আরও জানতে পেরেছে, শনিবার রাতে দেরাদুনের রাজপুরে এক ক্লাবে যান তাঁরা। সেখানে তাঁরা মদ্যপান করেন ও এর পর লং ড্রাইভ-এ বেরিয়ে যান। রাত ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ রমেন্দু এক নির্জন জায়গায় যায়। এর পর এক হাতুড়ি দিয়ে একাধিকবার শ্রেয়ার মাথায় আঘাত করে খুন করে তাঁকে। খুন করার পর রাস্তার ধারে মৃতদেহ ফেলে চম্পট দেয় রমেন্দু।
প্রসঙ্গত, বিবাহিত হলেও প্রায় তিন বছর ধরে শ্রেয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল রমেন্দু। জানা গিয়েছে, শ্রেয়ার সঙ্গে তার আলাপ হয় এক পানশালায়। এর পর দেরাদুনে তার পোস্টিং হয়ে গেলে তার সঙ্গে শ্রেয়াকে নিয়ে যায় সে। কিন্তু দেরাদুনে যাওয়ার পর থেকেই শ্রেয়া তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। আর তার জেরেই শ্রেয়াকে নির্মম ভাবে খুন করে রমেন্দু, এমনটাই পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে।
মণি ভট্টাচার্য: ভোটের কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও ১৬ ঘন্টা ধরে নিখোঁজ ভাঙড়ের পোলিং অফিসার। সূত্রের খবর, ভাঙড়ের দ্বিতীয় পোলিং অফিসার সঞ্জয় সর্দার শনিবার গভীর রাতে ভোটের সামগ্রী সমস্ত কিছু ও ডিসিআরসি জমা দিয়ে এখনও অবধি বাড়ি ফেরেননি। তাঁর হঠাৎ এই নিখোঁজ হওয়াতে স্বাভবিকভাবেই চিন্তিত তাঁর পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে জীবনতলা থানায় সঞ্জয়ের নিখোঁজ সমন্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস জানিয়েছে, সঞ্জয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
সূত্রের খবর, প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক সঞ্জয় সর্দার, ভাঙড়ের ১০৭ বনম্বর বুথ দক্ষিণ গাজীপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে ভোটের কাজে যান। এরপর ভোট শেষে ভাঙড়ের কাঠালিয়া হাইস্কুলে ডিসিআরসিতে ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে শনিবার রাত ২ টো ১৫এর সময় সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর ১৮ ঘন্টা হয়ে গেলেও সঞ্জয় নামের ওই দ্বিতীয় পোলিং অফিসার বাড়ি ফেরেননি বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
সঞ্জয় সর্দারের স্ত্রী টুম্পা সর্দার সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে শেষবার ফোন যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন সে সবে ভোট শেষ করেছেন। এরপর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায় নি। তিনি জানিয়েছেন তারপর থেকে ফোন বন্ধই ছিল। এ ঘটনায় রীতিমত ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা আজ সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিতে ঘুরেছি। কিন্তু কোনও খোঁজ পাই নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে খুব দেরি হলেও সঞ্জয়ের বাড়ি অর্থাৎ ক্যানিংয়ে পৌঁছাতে দেড় থেকে ২ ঘন্টার বেশি লাগার কথা নয়। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার টিপুসুলতান হালদার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আমাদের ভোট কেন্দ্রে তেমন কিছু হয় নি। যখন আমরা ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে ফিরছি তখন দেখেছিলাম ওনার ফোন বন্ধ। এরপর থেকে ১৭ -১৮ ঘন্টা কেটে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি।'
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহার ব্লকের একটি স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন করণদিঘির রহতপুর হাইস্কুলের শিক্ষক রাজকুমার রায়। ভোট চলাকালীনই তিনি বুথ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন সকালে রায়গঞ্জ থানার বামুনগাঁ এলাকায় রেললাইনের ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্কুল শিক্ষক প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট চলাকালীন এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্যের কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার। এবার ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে কিছু জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসারদের মারধর করা হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নি। কিন্তু ভাঙড়ের এই পোলিং অফিসার নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ফের বন্য হাতির (Elephant Attack) হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা ব্লকের ৩ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা (Forest Officer) ঘটনাস্থলে আসেন। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত আড়াইটা নাগাদ পার্শ্ববর্তী জলঢাকা জঙ্গল থেকে একটি বুনো দাঁতাল হাতি নাগরাকাটার ৩ নম্বর রেলগেট এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতিটি ঢুকেই প্রথমে নারায়ণ সেন নামের এক বাসিন্দার বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর ঘরের জানালা, দরজাও ভেঙে দেয়। সেখান থেকে হাতিটি বেরিয়ে এসে কনকা দত্ত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয় এবং ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে এক বস্তা ধান উঠিয়ে নিয়ে যায় হাতিটি।
বুধবার রাতে প্রায় আধঘন্টা তান্ডব চালিয়ে হাতিটি ফের জঙ্গলে চলে যায়। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে কনকা দত্তের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ওই বন্য হাতটি। তবে বৃহস্পতিবার হাতিটি ওই এলাকায় এসে কনকা দত্তের বাড়িটি একেবারে গুড়িয়ে দেয়।
তাই এই ঘটনায় বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি সব নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
মনে ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকলে কী না করা যায়! অদম্য চেষ্টা থাকলে অসাধ্য সাধন করাও অসম্ভব কিছু নয়। এমনই এক ছবি ফুটে উঠল নাগপুরের রাস্তায়। দেখা গিয়েছে, এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি হুইল চেয়ারে বসেই বিক্রি করছেন সিঙ্গারা। তবে কেন জানেন? কারণ তিনি নিজের আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে চান। পড়াশোনার প্রতি তাঁর এত আগ্রহ ও তাঁর কঠোর পরিশ্রম দেখে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ভিডিও বানিয়েছেন ফুড ভ্লগার গৌরব ওয়াসান। আর এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেট দুনিয়া।
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির নাম সুরজ, তিনি নাগপুরের বাসিন্দা। তিনি নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি করেছেন। তবে তিনি কোনও চাকরি খুঁজে পাননি। এরপরেই সুরজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর আইএএস হওয়ার স্বপ্নপূরণ করবেন তিনি। কিন্তু টাকা-পয়সার অভাবের জন্য তাঁকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাতেও থেমে থাকেননি সুরজ। ঠিক করেন, হুইল চেয়ারে করেই সিঙ্গারা বিক্রি করবেন তিনি। এভাবেই তাঁর যাত্রা শুরু। সিঙ্গারার প্রতি প্লেট ১৫ টাকা করে বিক্রি করেন তিনি। সুরজ জানিয়েছেন, প্রতিদিন দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৭টা পর্যন্ত এই কাজ করেন তিনি।
সুরজের আইএএস হওয়ার এই স্বপ্নপূরণের কাহিনী 'ইউটিউবস্বাদঅফিসিয়াল' নামক ইনস্টাগ্রামের চ্যানেল থেকে এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। কমেন্টে তাঁর প্রশংসা করে বলছেন, 'তিনি তাঁদের এক অনুপ্রেরণা।'
অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিক (Former Indian Air Force officer) এবং তাঁর স্ত্রীয়ের। জানা গিয়েছে, ওই বায়ুসেনা আধিকারিক কর্মজীবন থেকে ভিআরএস নিয়েছিলেন। পুলিসের অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী (suicide) হয়েছেন দম্পতি। ওই বায়ুসেনা আধিকারিকের নাম অজয় পাল (৩৭) আর স্ত্রী ৩২ বছরের মণিকা। ঘটনাটি দিল্লির (Delhi)।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা ওই দম্পতি সুখেই ছিলেন। ঘটনার দিন মণিকা বাড়ি এসে দেখতে পান তাঁর স্বামী বাড়িতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, 'বিষপান করে আত্মঘাতী হয়েছেন অজয়। এরপর বাড়ি ফিরে আসেন মণিকা। বাড়িতে ঢুকে তিনি নিজেও বিষপান করেন। পরে পুলিস দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।'
কী কারণে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই বিষপান করলেন? এর পিছনে কেবল অবসাদ নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
একজন IFS অফিসারের (IFS Officer) শেয়ার করা চা বাগানে রাজকীয় চালে বাঘের সাফারির (Tiger) ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল। ক্যামেরার বাঘের এই সাফারির সুন্দর মুহূর্ত ভালোভাবেই ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, এই বনকর্তার নাম সুশান্ত নন্দা। টুইটারে (Twitter) তাঁর শেয়ার করা ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, সেই চা বাগান দক্ষিণ ভারতের (South India)। সুশান্ত নন্দার শেয়ার করা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ৫ হাজার পর্যন্ত ভিউজও পেয়েছে।
এই ভিডিও প্রসঙ্গে এক নেটিজেন জানান, 'IFS অফিসার সুশান্ত নন্দা চা বাগানের চারপাশে ঘোরাফেরা করা বাঘের যে ভিডিও শেয়ার করেছেন, সেটা দক্ষিণ ভারতের। এই ভিডিওয় প্রথমে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার (Wildlife photographer) মানো শেয়ার করেছিলেন এবং পরে সুশান্ত নন্দা শেয়ার করেন। যা ৫ হাজার ভিউজ ছাড়িয়েছে।'
ভুয়ো আয়কর দফতরের আধিকারিক (Fake IT Officer) সেজে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় ডাকাতি (Debra Dacoity)। ডেবরা ব্লকের বালিচক এলাকার কার্তিক পাত্র নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল অভিযুক্তরা। গত বছর মার্চের এই ঘটনা। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে চলতি বছর এই ডাকাতির ঘটনার প্রধান পাণ্ডাকে ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে ডেবরা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শরৎ পাণ্ডে। মধ্যপ্রদেশের রিওয়া জেলার গুড় থানার বাগমোড়ার ওই যুবককে গ্রেফতার করে ডেবরায় আনা হয়েছে। ডেবরা থানার পিএসআইয়ের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশের গিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁর টি-আই প্যারেড করা হবে।
আইএএস অফিসার (IAS) পিবি সেলিমের নামে ফেসবুকে ভুয়ো একাউন্ট(Fake Account) খুলে আত্মীয়দের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক। অভিযুক্ত যুবক আইএএস অফিসার পিবি সেলিমের নামে ফেসবুকে ভুয়ো একাউন্ট খুলে তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু এমনকি ছাত্রছাত্রীদের থেকে টাকা চাইছিলেন। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে আইএএস অফিসারের। ২০২১সালের ৯-ই ডিসেম্বর তিনি বিধাননগর থানায় (Bidhannagar PS) বিষটি নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন। তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস সল্টলেকের এক যুবক বিলালকে গ্রেপ্তার করে।জানা গিয়েছে, আদতে সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
যদিও অভিযুক্ত নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ বিদাননগর আদালতে তাঁকে পেশ করা হয়।যদিও পুলিসের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। বর্তমানে পি বি সেলিম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এসডি পদেও আসীন।