মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের নার্সিং ছাত্রীর রহস্যময় মৃত্যু। দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ? ধোঁয়াশায় পরিবার।
জানা গিয়েছে, সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তী নামের ওই পড়ুয়া জিয়াগঞ্জের রবীন্দ্রনাথ টেগর ইনস্টিটিউটে নার্সিং-এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পড়াশোনাতেও খুব মেধাবী ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীকে অজ্ঞান এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সন্দেহ, অভিষেক হোসেন ওরফে সাহেব নামের বন্ধুর সঙ্গে বাইকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং পরের দিন কলকাতার এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হলে ২৬শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত। তবে নিহত পড়ুয়ার ভাইয়ের প্রশ্ন, যদি বাইক দুর্ঘটনা হয় সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পর অভিষেক বন্ধুকে ফেলে পালিয়ে গেলেন কেন? তার নাম যাতে কোথাও না আসে সেই চেষ্টাই বা কেন?
পরিবারের তরফে গত ২১ তারিখে বহরমপুর থানায় অভিষেক হোসেন ওরফে সাহেব নামে নিহত ওই সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীর বন্ধুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পরিবার সূত্রে খবর। নিহত পড়ুয়ার বাবার দাবি, ঈর্ষার কারণে এই ঘটনা। প্রেম ঘটিত সমস্যার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পরিবার। হয়তো বন্ধুদের দুষ্কৃতী চক্রের পাল্লায় পড়েই মেয়ের এরকম পরিণতি। জানাচ্ছে নিহত পড়ুয়ার পরিবার।
সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীর মৃত্যুতে পরিবারের দাবি সঠিক তদন্ত হোক এবং দোষিদের যাতে শাস্তি হয় প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ফের শিরোনামে যাদবপুর। পূর্ব যাদবপুরের গ্রিনপার্ক এলাকায় নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সূত্রের খবর, গ্রিনপার্ক এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বছর ২২-এর মল্লিকা দাস। সোমবার সকালে নিজের ঘর থেকেই নার্সিং-এর চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে সহপাঠীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল মল্লিকা।
কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কি? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি মানিসিক অবসাদ নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিস। তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রাণোচ্ছল মেয়ে ছিল মল্লিকা। বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে থাকত। কোনও ঝামেলা ছিলনা। ঠিক কী কারণে এই মৃ্ত্যু তা স্পষ্ট নয় তাদের কাছেও।
একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বাঁকুড়ার হাড়মাসড়া গ্রাম থেকে শহরে পড়তে এসেছিল মল্লিকা।ছিল জীবনে কিছু করার তাগিদ। এক লহমায় বদলে গেল বাস্তব ছবি। পরিবারের মায়া কাটিয়ে না ফেরা দেশে হারিয়ে গেল মল্লিকা। মল্লিকার অকাল প্রয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা হাড়মাসড়া গ্রাম।