জলের তলায় পারমাণবিক (atomic bomb) হামলা চালানোর অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া চালাল পিয়ংইয়ং। সমুদ্রের তলায় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি বিশেষ ড্রোনের পরীক্ষামূলক মহড়া উত্তর কোরিয়ায় (North Korea)। এই অস্ত্রের হামলায় তেজস্ক্রিয় সুনামি ঘটবে বলে দাবি, উত্তর কোরিয়ার। তাই নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, অস্ত্র বহন এই ড্রোনের নাম রাখা হয়েছে ‘আনম্যানড আন্ডারওয়াটার নিউক্লিয়ার অ্যাটাক ক্র্যাফ্ট, হেইল’। আর এই ‘হেইল’ শব্দের অর্থ সুনামি। এই অস্ত্র পরীক্ষার সময় ৫৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জলের তলায় ছিল ড্রোনটি। জলের তলায় প্রায় ৮০ থেকে ১৫০ মিটার গভীরতায় ছিল ড্রোনটি।
শুক্রবারই এই অস্ত্রের কথা প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন সময় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঘুম কেড়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে এবার এই দেশের হাতে এল নতুন অস্ত্র। জলের তলায় পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম এই ড্রোন। এমনকি ড্রোনের আঘাতে তেজস্ক্রিয় সুনামি ঘটবে বলে দাবি, উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের।
ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। শনিবারের উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে নতুন করে দক্ষিণ চিন সাগরে ছড়াল যুদ্ধের আতঙ্ক। এই ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ল জাপান সাগরে। রবিবার আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং-উন একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকা (US) ও দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea)।
সফল উৎক্ষেপণের পরই নাম না করে আমেরিকাকে কিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে প্রমাণ করে দিলাম, আমাদের ক্ষমতা কতটা। হামলা করলে, পাল্টা পরমাণু হামলা করতেও প্রস্তুত আমরা।” উত্তর কোরিয়া প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ হঠাৎই সামরিক মহড়ার নির্দেশ দেন কিম।
জানা গিয়েছে, মিসাইলটি পরীক্ষা করার জন্য রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দর ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৬৬ মিনিট আকাশে ছিল। পরে সেটি উড়ে গিয়ে জাপান সাগরে পড়ে। ২০১৭-য় শেষবার এই মিসাইল পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেন কিম। এর মাধ্যমে কিম বোঝাতে চাইছেন, তিনি পরমাণু হামলা করতেও পিছপা হবেন না।
উত্তর কোরিয়ার (North Korea) শাসক কোনও না কোনও কারণে সর্বদা সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন। ফের জল্পনায় কিম জং উন (Kim Jong Un)। তিনি গোটা দেশে একটি নয়া ফতোয়া জারি করেছেন। এবার সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করেন বলে একটি রিপোর্টে দাবি।
উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রক সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, শাসক কিম জং উনের মেয়ে জু আয়ের (Ju Ae) নামে কেউ নাম রাখতে পারবেন না সেদেশে। যদি কেউ আগেই এই নাম রেখে থাকেন তাহলে তাঁদের অবিলম্বে হলফনামা জমা দিয়ে নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মেয়ে ও মহিলাদের নাম পরিবর্তনের জন্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছে নির্দেশিকায়।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জু আয়ের নামটি এখন "সর্বোচ্চ মর্যাদার" ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। উল্লেখ্য, কিম জং উনের দ্বিতীয় সন্তান হল জু-আয়ে। আরও দুটি সন্তান রয়েছে কিমের। তবে কানাঘুষো, জু-আয়ে তাঁর সবচেয়ে পছন্দের সন্তান। মনে করা হচ্ছে, নিজের উত্তরসূরি হিসেবে দেশবাসীর সামনে নিজের মেয়েকে তুলে ধরতেই জু-আয়ে'কে নিয়ে এত কাণ্ড।
প্রসূন গুপ্ত: সাহিত্যিক সুকুমার রায় তাঁর লেখনিতে হাস্যরস রাখতেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। তাঁর নাটক 'লক্ষণের শক্তিশেল'-এ আছে কিছু মজাদার সংলাপ। লক্ষণ নাকি শক্তিশেল বাণে জ্ঞান হারানোর পর রামচন্দ্রের বানর সেনারা ক্রন্দন অর্থাৎ কান্না শুরু করেন। যেহেতু তারা বাঁদর অতএব কান্নার সঙ্গে কলাও খেতে থাকে। এই কারণে চালু কথা আছে 'ক্রন্দন ও কলা ভক্ষণ'। এবার নাকি সেরকম কিছু ঘটছে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের জীবনে। তিনি নাকি মানসিক ভাবে বিধস্ত। তাই সব কাজ ছেড়ে তিনি সারাদিন মদ্যপান করছেন এবং কাঁদছেন। কিন্তু হয়েছে কি?
কিম উন জং, একটি নাম এবং বংশানুক্রমে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি 'ওয়ার্কার্স পার্টির' সর্বময় কর্তা। এর আগে ছিলেন তাঁর বাবা কিম জং-ইল। মুখেই সোশালিজম বা কমিউনিস্ট দল। আসলে চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশে রাজ কায়েম করেছে এই পরিবার। এই দেশে হাজারো নিয়ম। কেউ অনুমতি ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে পার্টি যদি বোঝে তবে অনুমতি মিলবে। খেলাধুলা, সংস্কৃতি, শিক্ষা সর্বত্রই চলে কিমের মর্জি। দলের বাইরে বা কিমের বাইরে কোনও অপছন্দের কাজ করলে মৃত্যু অনিবার্য। সর্বদা তটস্থ থাকে আম নাগরিক।
তার মধ্যে অর্থসংকট প্রবল, খাদ্য সামগ্রীতে টান ইত্যাদি তো আছেই। মোটের উপর আতঙ্কে বাস করে সে দেশের নাগরিক। এই কিম ক্ষমতায় আসে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে। বয়স এখন মাত্র ৩৯ বছর। শিক্ষা অজানা, জীবনযাত্রা মধ্যপ্রাচ্যের শেখদের হার মানায়। নিজস্ব অসংখ্য বাড়ি এবং প্রতিটি প্রাসাদসম। ১০০-র উপর অত্যাধুনিক গাড়ি, নিজস্ব বিমান। খাওয়া-দাওয়ায় রোজ খরচ কয়েক হাজার টাকা।
ইংল্যান্ডের হুইস্কি, জার্মানির রুটি, ব্রাজিলের কফি, সুইৎজারল্যান্ডের মিষ্টি ইত্যাদি। সঙ্গে আমেরিকার সিগারেট-চুরুট। স্ত্রী থাকলেও তাঁকে দেখভালের জন্য কয়েক ডজন মহিলা পরিচারিকা। স্ত্রীয়ের পরিচর্যায় ব্যাঘাত ঘটলেই হাজত বাস। সেই কিম জং উন নাকি এখন অসুস্থ। শোনা যাচ্ছে এক অদ্ভুত রোগ নাকি বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। কেউ বলছে ক্যান্সার কিন্তু সম্পূর্ণও গোপন থাকছে তথ্য। এই অসুস্থতার জন্য তাঁর মদ্যপান বেড়ে গিয়েছে এবং যুক্ত হয়েছে প্রাণ হারানোর ভয়ে কান্না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ধুমপান এবং মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক। শুধু খবরের স্বার্থে এই তথ্য পরিবেশনা
বদলা নিল দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)? উত্তর কোরিয়ার (North Korea) ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের বদলা ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Launche) দিয়েই নিল সিওল। যা নিয়ে দু'দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি। কেন দু'দেশের মধ্যে শুরু এমন মরণ খেলা? বুধবার উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়া উপকূলের ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ে। এরপরই কোনওরকম দেরি না করে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে দক্ষিণ কোরিয়া। ভয়ংকর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কোরিয়া পেনিনসুলায়। আতংকিত হয়ে পড়েন কোরিয়ার উপদ্বীপ অঞ্চলের বাসিন্দারা। দক্ষিণ কোরিয়া সরকার উপকূলবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় উপকূলের বাসিন্দাদের দ্রুত বাসস্থান ছেড়ে সুরক্ষিত এলাকায় সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়া বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষপণ করে। তার মধ্যে একটি গিয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উলেংডোর দ্বীপের জলসীমার অদূরে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বলেই দাবি করেছে পিয়ংইয়ং। আর এর পাল্টা জবাব দেয় সিওল। উত্তর কোরিয়ার জলসীমা ঘেঁষে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। উল্লেখ্য, পঞ্চাশের দশকে কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথমবার বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় অস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের অভিযোগ, 'উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারণ যে জায়গায় পিংয়ংইয়ংয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ে, সেখানের জলসীমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’দেশের বিরোধ রয়েছে।'
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউএস ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে ওয়াশিংটন-সিওল। এই পরিস্থিতিতে ফের উত্তাপ বাড়ল কোরিয়া পেনিনসুলা অঞ্চলে। উত্তর কোরিয়ার (North Korea) ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল (Missile Fire) জাপানের আকাশসীমার উপর দিয়ে গিয়ে পড়ে প্রশান্ত মহাসাগরে। আর এই ঘটনায় চরম সর্তকতা অবলম্বন জাপ (Japan) সরকারের। এএনআই সূত্রে খবর, কিমের দেশের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় হোকাইডো ও আয়োমরির বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
জাপান সরকারের এক শীর্ষকর্তা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৪ মিনিট নাগাদ উত্তর-পূর্ব জাপান অতিক্রম করে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। মূলত যাকে উদ্দেশ্য করে উত্তর কোরিয়ার এই আস্ফালন, সেই দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।
রয়টার্স সূত্রে খবর, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জেরে উত্তর জাপানে ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম জাপানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া।