ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজধানী দিল্লি (Delhi) সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে। বিপদসীমা পেরিয়ে ২০৮ মিটার উচ্চতা দিয়ে বইছে যমুনা। রাজধানী দিল্লির বন্যা (Flood) পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দিল্লির এই পরিস্থিতির জন্য হরিয়ানা সরকারকে দায়ী করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিনি অভিযোগ করেছেন, হিরাকুঁদ বাধ থেকে অপর্যাপ্ত জল ছাড়ার কারণেই যমুনা নদী এই ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। রাজধানী দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যমুনা নদী সংলগ্ন এলাকার স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের বাইরে বেরোনো থেকে নিষেধ করা হয়েছে। যমুনা নদীর জল দিল্লির একাধিক জায়গায় বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক সরকারি দফতরে জল ঢুকতে শুরু করেছে।
লালকেল্লায় পৌঁছে গিয়েছে বন্যার জল। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির কাছের এলাকাও প্লাবিত। শুধু রাজধানী দিল্লি নয় উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে প্রবল বর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকট জনক। এখনও পর্যন্ত প্রবল বর্ষণে উত্তর ভারতে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে একাধিক জায়গায় ধস, হড়পা বানে বিপর্যস্ত পরিস্থতি তৈরি হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। সেখানে একাধিক জায়গায় ধস এবং হড়পা বান নেমেছে। কেদার সহ চার ধাম যাত্রা আগে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত (North India)। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। কমপক্ষে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত চার দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৃত্যু সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল। জলের স্রোতের তীব্রতা এতটাই প্রবল, সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শান্ত যমুনার এমন ভয়াবহ রূপ খুব সম্প্রতি দেখা যায়নি। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। বন্যা (Flood) বিধ্বস্ত জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিস।
সূত্রের খবর, রেকর্ড উচ্চতায় বইছে যমুনা। ২০৮.০৮ মিটার উচ্চতা দিয়ে বইছে যমুনা। ৪৫ বছরের রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে যমুনা নদীর জলস্তর। বুধবার নদীর জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই যমুনা সংলগ্ন ৭৫০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২৫০ গবাদি পশুকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরানো হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সতর্কতা জারি করেছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। দিল্লির সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে একাধিক জায়গায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত (North India)। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। সেখানে এক সপ্তাহের মধ্য বৃষ্টিতে (Heavy Rain) মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। আট জন এখনও নিখোঁজ। আহত ৯২ জন। সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৃত্যু সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি ধস, হড়পা বান, জাতীয় সড়ক, সেতু ভেসে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে হিমাচল প্রদেশে।
অন্যদিকে, প্রবল বর্ষণের কারণে মঙ্গলবার দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাজধানী দিল্লির একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। যমুনা নদীর উপরে সেতুতে যানচলাচল এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পশ্চিম রেলওয়ের তরফ থেকে একাধিক ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্জাবের চণ্ডীগড়, রাজধানী দিল্লি গামী একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনের রুটও পরিবর্তন করা হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে মান্ডি, কিন্নর এবং লাহুল-স্পিতিতে ইতিমধ্যেই বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে মঙ্গলবার হিমাচলের প্রায় সব অংশেই ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই হিমাচলের। হিমাচলের সোলান জেলার বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র পরওয়ানুতে জলের তোড়ে রাস্তা থেকে ভেসে গিয়েছে একের পর এক গাড়ি। খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া আগামী কয়েক দিন রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।
ভারী বর্ষণের (Heavy Rainfall) ফলে বিপর্যস্ত পুরো উত্তর ভারত (North India)। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা (Flood) ও ধসে (LandSlide) প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। ধস, হড়পা বান ও বন্যার ফলে বহু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হিমাচলে। সূত্রের খবর, সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়াও পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ৯ জন, রাজস্থানে ৭ জনের ও উত্তরপ্রদেশে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর ভারত জুড়ে ভারী বর্ষণের ফলে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক রাস্তা-ঘাট জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ধসের ফলে ভেঙে গিয়েছে একাধিক বাড়ি, রাস্তা। এই পরিস্থিতিতে হিমাচলপ্রদেশে লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু রাজ্যবাসীদের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছেন। এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে আবার উত্তরাখণ্ডের অবস্থাও শোচনীয়। সেখানকার তীর্থযাত্রীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
মঙ্গলবার দিল্লিতেও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ শিবির এবং কমিউনিটি সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকা এবং যমুনার জলস্তর নিরীক্ষণের জন্য দিল্লি সরকার ১৬ টি কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার তৈরি আছে বলেও জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
আবার পুরো উত্তর ভারতের এমন পরিস্থিতির জন্য মোট ৩৯ টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৪ টি টিম পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশে ১২ টি ও উত্তরাখণ্ডে ৮ টি ও হরিয়ানার ৫ টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রবল তাপপ্রবাহের (Heat wave) পর এবার হালকা বৃষ্টিতে আপাতত স্বস্তি পেল দিল্লি (Delhi), উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশ। তবে গরমের থেকে রেহাই পায়নি পূর্ব-পশ্চিম এবং মধ্য ভারত।
বৃহস্পতিবার, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে হালকা বৃষ্টি হয়ছে। তার জেরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল। চলতি মাসের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই উত্তর, পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করে গিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার সেই তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি ছুঁয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের মতো পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির আশপাশে ঘুরছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি বেশি। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হওয়ায় রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এমনকি রাজ্যের কোনও কোনও জায়গায় বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। পূর্ব ভারতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
ভূমিকম্পে (Earthquake) কাঁপলো রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের একাংশ। মঙ্গলবার দুপুরে হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে (Richter Scale) প্রায় ৫.৮। এই কম্পনের রেশ ছিল প্রায় ২৫ সেকেন্ড। এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ২০২১-র ১২ ফেব্রুয়ারি জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপেছিল দিল্লি (Delhi Earthquake)।
রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল প্রায় ৬.৩। দিল্লির পাশাপাশি মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের নয়ডা, গাজিয়াবাদের ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল এবং চিন অধিকৃত তিব্বতের সীমান্তে। ফলে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য আতঙ্ক ছড়ায় রাজধানী দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকায়। আতঙ্কিত দিল্লিবাসীদের অনেকে বাড়ি, অফিস থেকে রাস্তায় বেড়িয়ে আসেন। একই চিত্র দেখা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের কিছু রাজ্য।
ঠাণ্ডার দাপট চলছে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতজুড়ে। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জবুথুবু রাজধানীও। দিল্লির (Delhi) পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশায় কাবু পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের একাংশ। চণ্ডীগড় এবং রাজস্থানের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের ফলে তাপমাত্রা কমছে। এমনকি শৈত্যপ্রবাহের (Cold Wave) জোরদার প্রভাব পড়েছে দিল্লি এবং এনসিআর জুড়ে (Delhi-NCR)। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মৌসম ভবন সূত্রের খবর, সোমবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মরসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমছে। প্রভাবিত হচ্ছে ট্রেন ও বিমান চলাচল। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ধরে শৈত্যপ্রবাহের জেরে পারদ নিম্নমুখী থেকেছে। যদিও রবিবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া কয়েকদিন একটু ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও ফের একধাক্কায় দিল্লিতে অনেকটা কমে যায় তাপমাত্রা।
উল্লেখ্য, আগামী ৩ দিন উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। শৈত্যপ্রবাহের কারণে রাজস্থানের উদয়পুরে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ জানুয়ারির পর তাপমাত্রার পারদ কিছুটা চড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দফতর।
হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জবুথুবু উত্তর ভারতের (North India) একাংশ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে সেখানকার একাধিক শহর-সহ জাতীয় রাজধানীও। শৈত্যপ্রবাহের (Cold Wave) দাপট চলছে দিল্লি এবং এনসিআর জুড়ে (Delhi-NCR)। এই পরিস্থিতির ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও, বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায়। কম দৃশ্যমানতার কারণে ট্রেন-বিমান চলাচল প্রভাবিত।
জানা গিয়েছে, উত্তর রেলওয়ে অঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে ২৩টি ট্রেন দেরিতে চলছে। রেল মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে, হাওড়া-নয়া দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস, দ্বারভাঙ্গা-নিউ দিল্লি ক্লোন স্পেশাল, পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, গয়া-নয়াদিল্লি মহাবোধি এক্সপ্রেস, মালদা টাউন ফারাক্কা এক্সপ্রেস, ডক্টর আম্বেদকর নগর-শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা মালওয়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল-নিউ দিল্লি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) অনুসারে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ সহ উত্তর ভারতে কুয়াশার অবস্থা বর্তমান। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে বাতাসের দাপটও বেড়েছে।
ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন উত্তর ভারতের একটা অংশ। প্রবল শৈত্য়প্রবাহ দিল্লি সহ এনসিআর-এ। এই আবহাওয়ার কারণে হাওড়া-শিয়ালদহে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন দেরিতে ঢুকছে। একইভাবে ব্য়াহত বিমান চলাচল। তাই যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একাধিক ট্রেনের সময় সারণি বদলেছে পূর্ব রেল। দেখুন কোন কোন ট্রেনের টাইম টেবিলে বদল এসেছে-
ছয়টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির টাইম টেবিল বদলেছে:
• 13005 হাওড়া-অমৃতসর মেল ১৯:১৫টার পরিবর্তে ২১:৫৫ তে হাওড়া ছাড়বে আজ মঙ্গলবার (১০.০১.২০২৩)
• 12321 হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস মুম্বই মেল ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২৩:৩৫টার পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ০০:৩০ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12987 শিয়ালদহ–আজমীর এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২২:৫৫-র পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ০২:৩০টায় শিয়ালদহ ছাড়বে।
• 13009 হাওড়া-যোগ নগরী ঋষিকেশ দুন এক্সপ্রেস ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ২০:২৫ টায় নির্ধারিত প্রস্থানের পরিবর্তে ২৩:০০ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12311 হাওড়া–কালকা নেতাজি এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩(মঙ্গলবার) তারিখে ২১:৫৫ টায় নির্ধারিত প্রস্থানের পরিবর্তে ২৩:৫৫ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12331 হাওড়া-জম্মু তাওয়াই হিমগিরি এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২৩:৫৫টার পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩ (বুধবার) তারিখে ০৫:৩০ টায় হাওড়া ছাড়বে।
নোটিশ দিয়ে এমনটাই জানান পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী।
প্রবল শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু গোটা উত্তর ভারত। এর জোরদার প্রভাব পড়েছে দিল্লিতেও (Delhi)। রবিবার রাজধানীর তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২ ডিগ্রির নীচে। দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Temperature) ছিল ১.৯। সফদরজং-র আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এটি চলতি মরশুমের শীতলতম দিন। আবহাওয়াবিদরা (Weather) বলছেন, গত ১০ বছরের তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেল ২ ডিগ্রির নীচে।
অন্যদিকে, কুয়াশার দাপটও বেড়েছে রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায়। একদিকে শৈত্যপ্রবাহ, তার উপর কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ব্য়াহত হচ্ছে যান চলাচল। মৌসম ভবনের তরফে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন থাকবে এই শৈত্য়প্রবাহ। দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল-সহ একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। এমনকি কুয়াশার জেরে ব্যাহত হচ্ছে বিমান চলাচলও।
প্রায় প্রত্যেকদিন বাতিল করা হচ্ছে বেশ কিছু বিমান। একইসঙ্গে বিমানের টেক অফ ও ল্যান্ডিং বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ উড়ানের পাশাপাশি কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে রেল পরিষেবাও। উত্তর ভারতের সমস্ত ট্রেন ১২-১৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
হাড় কাঁপানো শীতে কাবু উত্তর ভারত। আর তাকে ঠেক্কা দিচ্ছে দিল্লি। শীতে কাতর রাজধানী। শৈত্যপ্রবাহের সাক্ষী থাকল দিল্লিবাসী। বুধবার দিল্লিতে এই মরশুমের ‘শীতলতম দিন’ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সফদরজংয়ের মানমন্দিরে তাপমাত্রার পারদ নেমে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, দেরাদুনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর ভারতজুড়ে চলতে থাকা শৈত্যপ্রবাহের জেরেই এই পারদপতন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে একই সঙ্গে মৌসম ভবন এও জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
অন্যদিকে, দিল্লি, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের কিছু অংশে তাপমাত্রা তিন থেকে সাতের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে প্রবল কুয়াশার কারণে দৃশ্যমান্যতা তৈরি হয়েছে। এদিকে কুয়াশার কারণে বিমানের সঙ্গে ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। গড়ে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা দেরিতে চলছে দূরপাল্লার ট্রেন।
প্রসঙ্গত, বছর শেষ হতে বাকি আর ৪ দিন। দিন কয়েক আগে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে বাংলা থেকে উধাও হয়েছে শীত। মঙ্গলবার কার্যত উষ্ণতম দিন কাটিয়েছেন বাঙালিরা। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র দিল্লি সহ উত্তর ভারতে। কনকনে হাওয়ায় উত্তর ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।
হাড় কাঁপানো শীত উত্তর ভারতে, তার সঙ্গে দোসর ঘন কুয়াশা। কুয়াশায় মুড়ছে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ড। সঙ্গে বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। বস্তুত, রাজধানী দিল্লিতে মঙ্গলবারই এই মরসুমের শীতলতম দিন বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সেখানে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। কুয়াশা এমনই যে দিনের বেলা এক হাত দূরের রাস্তাও দেখতে সমস্যায় গাড়িচালকরা। দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।
ইতিমধ্যে শৈত্য প্রবাহের কথা মাথায় রেখে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে জারি কমলা সতর্কতা। আগামী কয়েক দিন এই সতর্কতা জারি থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আইএমডি জানাচ্ছে, আগামী তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ চলবে দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। অন্তত ২ দিন এই পরিস্থিতি জারি থাকবে হিমাচলে। ঘন কুয়াশা এবং মেঘলা আকাশ দেখা যাবে আরও কয়েক দিন। কনকনে ঠান্ডার জন্য বিহার, উত্তরপ্রদেশে শীতকালীন ছুটি পড়েছে।
এদিকে কুয়াশার কারণে বিমানের সঙ্গে ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। গড়ে প্রায় তিন-চার ঘন্টা দেরিতে চলছে দূরপাল্লার ট্রেন।
বাংলায় বড়দিনেও দেখা মেলেনি শীতের (Winter)। একেবারেই যেন উধাও শীত। যেখানে বছর শেষে জাঁকিয়ে শীত পড়ে বঙ্গে (West Bengal)। কিন্তু অন্যদিকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু দিল্লি (Delhi)-সহ উত্তর ভারত (North India)। দিল্লিতে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ ইতিমধ্যে নেমে গিয়েছে ৫ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। এমনকি শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও জারি আবহাওয়া দফতরের তরফে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আগামী দুই দিনের মধ্যে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তর রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশে শৈত্যপ্রবাহের অবস্থার পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার আইএমডি জানিয়েছে, সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ চলবে। উল্লেখ্য, শৈত্যপ্রবাহ তখনই ঘটে, যখন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম, বা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ ডিগ্রি নিচে নেমে যায়।
রবিবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে শীতলতম বড়দিন ছিল। পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান সহ হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের অনেক অঞ্চলেই একই অবস্থা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির তাপমাত্রা আরও নামবে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার পর্যন্ত উত্তর রাজস্থান এবং আগামী অন্তত চারদিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি এবং হিমাচল প্রদেশে শৈত্যপ্রবাহ চলবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে মৌসম ভবন। এমনকি সোমবার তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দিল্লি সরকার শীতকালীন ছুটির জন্য ১ জানুয়ারি থেকে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঘন কুয়াশার জেরে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। উত্তর রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ঘন কুয়াশার জন্য দিল্লিগামী ১৪টি ট্রেন দেরিতে চলছে। বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া দৃশ্যমানতার অভাবে জাতীয় সড়কেও যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
সপ্তাহ ঘুরলেই দেশব্যাপী উৎসবের মরশুম (Festival Season)। একাধিক শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা জানান দিচ্ছে শীত এসে গিয়েছে। সময় যত এগোবে , ততবেশি পারদ পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। ঠান্ডার এই ইনিংসের মধ্যেই সকালের দিকে কুয়াশার (Weather) চাদরে ঢাকা পড়ছে দেশের একাধিক রাজ্য। বিশেষ করে মধ্য ও উত্তর ভারত (North India)। সব চেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে দেশের রাজধানী এবং তৎ সংলগ্ন এলাকা। অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ থাকি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন উত্তর ভারতবাসী।
স্বাভাবিক কারণেই বিঘ্নিত রেল চলাচল। বিমান চলাচল সচল রাখতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাও।সোম এবং মঙ্গলবার ভোর থেকে বেলা পর্যন্ত দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে কুয়াশা বাড়তে দেখা গিয়েছে। ভারতীয় হাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, খালি চোখে সামনে ১৫০ মিটার দূরত্বের পর আর কিছু দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে রেল চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। পূর্ব কিংবা পশ্চিম ভারত থেকে রাজধানী গামী একাধিক ট্রেন সময়ের পরে নিউ দিল্লি ঢুকছে। সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা।
রাজধানী- দুরন্তের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলো দেড়- দু ঘন্টা লেট চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই লেট পিছনে থাকা অন্য ট্রেনগুলো। অন্তত এই সপ্তাহ কুয়াশার এই দাপট বজায় থাকবে,জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল দিল্লি-এনসিআর (Delhi-NCR)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। নেপাল(Nepal) সীমান্তে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের কাছে হিমালয় অঞ্চল এর উৎসস্থল। ৯ নভেম্বর, গভীর রাত ১:৫৭ মিনিটে দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং উত্তর ভারতজুড়ে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে যে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল, যা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে। নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং গুরুগ্রাম সহ দিল্লি এবং আশেপাশের শহরগুলিতে এমনকি লখনউতেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের হিমালয় অঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী নেপালে গত কয়েকদিন ধরে নিম্ন মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে।
গভীর রাতে হঠাৎ এই কম্পনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মানুষজন। তবে দিল্লি-এনসিআর-এ ভূমিকম্পের কারণে কোনও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বা মানুষের প্রাণহানির খবর এখনও অবধি পাওয়া যায়নি। কিন্তু নেপালে ভুমিকম্পের জেরে ৬ জন নিহত হয়েছে এবং জানা যাচ্ছে ৭ জন আহত হয়েছেন।