সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে গর্বের অন্ত নেই বর্তমান রাজ্য সরকারের। অথচ এদিকে ফের সরকারি হাসপাতালে অমানবিকতার নজির। অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মাত্র ৪ মাসের অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে বাবা-মাকে বসে থাকতে হল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শনিবার রাতের এমন ছবি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ হাসপাতালের সামনের।
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল ৪ মাসের ছোট্ট শিশু। বাবা-মা নিয়ে যায় হেমতাবাদ হাসপাতালে। বিপদ বাড়ে শিশুকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে রেফার করা হলে। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়ে কোলের শিশুকে নিয়ে বসে থাকতে হয় ঠাণ্ডায়।
সূত্রের খবর, হেমতাবাদ হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স ৫ টি। তার মধ্যে সচল ৩ টি। কেন ২ টি অ্যাম্বুল্যান্স চলে না? ৩ টি সচল অ্যাম্বুল্যান্সের পরিষেবাও অমিল কেন? তা নিয়ে সদুত্তর মেলেনি।
বালির ডাম্পারের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল সিভিক ভলেন্টিয়ারের। ঘটনায় আটক ঘাতক ডাম্পারটি। শনিবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের দাস পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বান্দের হাট এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম জয়নাল হক (৩২)। বাড়ি চোপড়া ব্লকের অম্বিকানগর এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, জয়নাল হক চোপড়া থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ারে কর্মরত ছিলেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। এদিন সকালে বাইকে করে নাইট ডিউটি করে বাড়ি ফেরার পথে বালির ডাম্পারের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তারপর গুরুতর জখম অবস্থায় জয়নালকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে গোটা এলকায়।
জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। ঘটনায় আহত দুই মহিলা সহ তিন জন। গুলি ও বোমা মারার অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের রাহাদিগজ গ্রাম। আহত তিনজনকে শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে গোটা পরিস্থিতি।
সূত্রের খবর, ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চয়েতের রাহাদিগজ এলাকায় একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ হামিদূর রহমানের সঙ্গে তারই আত্মীয় শেখ মজিবুর রহমানের। রবিবার রাহাদিগজ গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা হয়। যদিও পুলিসের উপস্থিতিতে এই সালিশি সভা হয়। সভাতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পরই দুই পক্ষ বাড়ি ফিরে যায়।
এরপর রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে। বিবাদ চলাকালীন দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে গুলি, বোমাবাজি এবং মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এরপর এলাকা ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধরপাকর শুরু করেছে।
কোন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে দেশের সুরক্ষা? সংসদ ভবনের ধোঁয়া হামলার পর থেকেই দেশের সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। এর মাঝেই শঙ্কা ভারত-বাংলা সীমান্তের উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ নিয়ে। দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য বিদেশে পাচারের অভিযোগে মুম্বই অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের হাতে গ্রেফতার কালিয়াগঞ্জের যুবক মুক্তা মাহাতো। অভিযোগ, দেশের গোপন তথ্য পাচার করেই মুক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা। একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করত সে৷ শুক্রবারই ধৃতকে তোলা হয় রায়গঞ্জ জেলা আদালতে৷
অভিযোগ, দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য বিদেশে পাচারের ঘটনায় অ্য়াকাউন্টে হাজার হাজার টাকা ঢুকেছিল ধৃতের। এই ঘটনা জানতে পেরেই হুঁশ উড়ে যায় তদন্তকারীদের৷ কালিয়াগঞ্জের মত গ্রামীণ এলাকায় বসে কিভাবে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিদেশের হাতে তুলে দিল অভিযুক্ত ওই যুবক! তা ভেবেই পাচ্ছে না তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা৷ বর্তমানে দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধে ও জেহাদিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মোদি সরকার। তারই মধ্যে কয়েকদিন আগে সংসদে ঘটে অঘটন। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনায় কার্যত হতবাক জেলার মানুষ৷
এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে ধৃতের বিরুদ্ধে মামল রুজু হয়েছে৷ ভারতীয় কিছু গোপন নথি পাচারের অভিযোগ রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পারে মুক্তা মাহাতোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে৷ মূলত মুম্বই ডক ইয়ার্ডে যে সমস্ত জাহাজ আনাগোনা করত সেখানে নজরদারি চালাত তারা। সেখানকার গোপন নথি বিদেশে পাচার করত৷ এই মামলাতেই ৩ দিনের টার্নজিট রিমান্ডে ১৮ ই ডিসেম্বর মুম্বাইর আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম৷
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার নিয়ে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। এবার বাসি-পচা খিচুড়ি বিতরণ করায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। অভিযোগ, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কর্মী ও সহায়িকার গায়ে ঢেলে দেওয়া হয় পচা খিচুড়ি। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জর গৈতোর এলাকায়। অভিযোগ, গত শনিবারে রয়ে যাওয়া খিচুড়ি পরিবেশন করা হয় মঙ্গলবার।এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
জানা যায়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অধীনে ৮৫ জনের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। যারা প্রতিদিন এই কেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহ করে। এখন প্রশ্ন, বাসি-পচা খিচুড়ি খেয়ে কোনও শিশু অসুস্থ হলে দায় কার? যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তার দায়িত্ব নেবে কে? চাপে পরে সহায়িকার কাঁধে দায় চাপিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী। সাফাই, তাঁকে নাকি চুপ থাকতে বলে ছিলেন সহায়িকা। এদিকে যদিও ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত সহায়িকা।
বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের দক্ষিণ বাড়ইবাড়ি এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম প্রহ্লাদ বর্মন। বাড়ি হেমতাবাদের কলোনীপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে চার বন্ধু একসঙ্গে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। এরপর স্নান করতে নেমেই জলে তলিয়ে যান এক যুবক। বাকি তিনজন পুকুরে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও হদিশ পাননি প্রহ্লাদের। এরপর খবর দেওয়া হয় হেমতাবাদ থানার পুলিসকে ও ডুবুরি টিমকে। পুলিস প্রশাসনের উপস্থিতিতে ডুবুরি নামিয়ে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে খোঁজ চালানো হয়। কিন্তু খোঁজ মেলেনি ওই নিখোঁজ যুবকের।
এরপর শনিবার গভীর রাতে যুবকের মৃতদেহ স্থানীয়রা পুকুরে ভাসতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহট উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
বাড়ির উঠোনে উদ্ধার হল মহিলার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়ার তোরিয়াল পঞ্চায়েতের লতিপুর গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম পার্বতী দাস। তিনি তোরিয়াল হাইস্কুলে রাধুনীর কাজ করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকতেন ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালবেলা পার্বতী দাসের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন গুরুতর জখম অবস্থায় উঠোনে পড়ে রয়েছেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর। এরপর খবর দেওয়া হয় চাকুলিয়া থানার পুলিসকে। খবর পেয়ে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পারিবারিক বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এই খুনের পিছনে যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
গাছে বেঁধে এক পঞ্চায়েত সদস্যের (Panchayat member) ভাইপোকে পিটিয়ে খুনের (Death) অভিযোগের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার গোয়ালপোখর থানার ইলোয়াবাড়ি এলাকায়। মৃত ওই যুবকের নাম পল্টু ওরাও (২৫)। বাড়ি গোয়ালপোখর থানার ধরমপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক পাঞ্জিপাড়ার শান্তি নগর এলাকায় একটি মিলে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হন ওই যুবক। রাতে গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির পুলিস ইলোয়াবাড়ি এলাকা থেকে ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। গভীর রাতে চিকিৎসা চলাকালীন ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন যুবককে কেউ বা কারা বেধড়ক মারধর করেছে। ইসলামপুর মহকুমা ভর্তি রয়েছে। সকালে পরিবারের লোকজন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে গেলে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পল্টুকে কী কারণে মারধর করা হয়েছে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না।
এক যুবকের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার (Recovery) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার অন্তর্গত শিয়ালতোর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম সামসুল (৩২)। তিনি ইসলামপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবস্তি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক ইসলামপুর শহরের ইসমাইল চকের একটি দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিন মদ্য পান করতেন। এমনকি রবিবারও কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় তিনি মদ্যপ অবস্থাতেই ছিলেন। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সামসুল। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তাঁকে পাননি। তারপরে সোমবার সকালেই নয়ানজুলি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পান তাঁরা।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের অনুমান, যুবকের সাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা কেউ ছিনতাই করে তাঁকে খুন করেছে।
চোর সন্দেহে (Theft Beaten) গণধোলাই। আর তার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinjpur) জেলার রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত ইটাল গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম রহিম শেখ। তিনি ইটাল গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনায় মৃতের পরিবারের সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে জমির ফসল দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই পাশের জমিতে বসানো সাব মার্সেল পাম্পের মোটর চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে আটক করে পাম্পের মালিক সহ বেশ কয়েকজন। পরিবারের দাবি, প্রথমে তাঁকে বেঁধে রাখা হয়। তারপর চলে গনধোলাই। পরপর কিল, চড় এবং লাঠি দিয়ে মারা হয় তাঁকে। এই প্রচন্ড মারধরের জন্য ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রহিম শেখের। পরে পুলিস গিয়ে তাঁর দেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় শোকে ভেঙে পরেছেন মৃতার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের লোকজন। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, একইভাবে চোর সন্দেহে মারধর করে গামছা দিয়ে এক ব্যক্তিকে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ে প্রকাশ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ক্যানিং থানার পুলিস। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের কাজ করেছে তার তদন্তও শুরু করেছে পুলিস।
পুকুরে মাছের বদলে জালে ধরা পড়ল ব্যালট বাক্স। একেই ব্যালট ও ব্যালট বাক্সের নয়-ছয় নিয়ে হৈচৈ গোটা রাজ্যে। এরই মধ্যে পুকুরে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হল উত্তর দিনাজপুরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যালট বাক্স (Ballot Box) সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে বিরোধীরা আগেই সরব হয়েছিল। এমনকি ব্যালট বক্স নয়-ছয়ের অভিযোগে মামলাও গড়িয়েছে হাইকোর্টে। যার জেরে এই ব্যালট বাক্স নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। ভোট কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট বাক্স যত্রতত্র ফেলেও দেওয়া হয়েছে। আবার ব্যালট বাক্স সঙ্গে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। আর এই কারণেই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় পঞ্চায়েত ভোট বাতিল করে আবার পুননির্বাচন করা হয়েছে। এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন-ডিজিটাল) আসতেই ফের হইচই গোটা রাজ্যে।
উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার করনদিঘি (Karandighi) ব্লকের বাজারগাঁও ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুয়া বুথে, হঠাৎ কিছু গ্রামবাসী পুকুরে জাল ফেলতেই মাছের বদলে জালে উঠে আসে ব্যালট বাক্স। সঙ্গেসঙ্গে কৌতুহল বসত স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হয়, খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়, সূত্রের খবর, স্থানীয় ডালখোলা থানার পুলিস এসে সমস্ত ঘটনা শুনে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় করণদিঘির বিডিও নীতিশ তামাং বলেন, 'করনদিঘি ব্লকের মোট পাঁচটি গনণা কেন্দ্র ছিল। যার মধ্যে একটি গনণা কেন্দ্র থেকে একটি ব্যালট বাক্স চুরি হয়েছিল। এই ব্যালট বাক্স চুরির ঘটনায় আগেই থানায় জানিয়েছিলেন পোলিং অফিসাররা। সেই চুরি যাওয়া ব্যালট বাক্সটিই ওই পুকুর থেকে পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যাটল বাক্সটিকে পুলিস থানায় নিয়ে গিয়েছে। তবে ব্যালট বাক্সটি খোলা ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি।'
আম গাছ থেকে উদ্ধার (Rescue) এক যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ (Deadbody)। বুধবার, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার হেমতাবাদের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের পিরোজপুর এলাকার। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মেয়েটির বয়স ১৫ বছর ও যুবকের নাম জসিমুদ্দিন আহাম্মেদ (২৫), বাড়ি কালিয়াগঞ্জ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হেমতাবাদ থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে এলাকাবাসীরা একটি আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় ওই যুগলকে। মৃত নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। গত কয়েকদিন ধরে তার বাড়িতেই দুজনে থাকত। মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ দুজনকেই রাতের বেলা থেকে বাড়ি চত্বরে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর এদিন সকালবেলা এলাকাবাসীরা খবর দিলে গিয়ে দেখেন দুজনে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে রহস্য তৈরী হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে ইতিমধ্য়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিস।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনায় (Awas Yojana) ঘর দেওয়ার নামে স্থানীয়দের থেকে দু-তিন হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) সদস্যদের বিরুদ্ধে। তবে এখনও সেই ঘরের টাকা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। আর সেই কারণেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার পণ্ডিতপোতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাবাগান এলাকায়।
সূত্রের খবর, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই চা-বাগানে দিন-মজুরের কাজ করে সংসার চালান। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের থাকার বাড়িঘর কী হতে পারে তা অনেকটাই অনুমান করা যায়। তাই সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে পাকা বাড়ি পাওয়া তাঁদের কাছে অনেকটাই আনন্দদায়ক ব্যাপার হয়েছিল। তাই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতে তাঁদের নাম থাকায় বেশ আনন্দে ছিল তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার প্রায় প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছিলেন বলে, অভিযোগ। তবে টাকা দেওয়ার কয়েকমাস কেটে যাবার পরেও এখনও ঘরের টাকা পাচ্ছেন না। তাই বেশ হতাশ পণ্ডিতপোতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিনগর কলোনী, বীরবলডাঙ্গী, কুন্দরগাঁও-এর বাসিন্দারা।
আর কয়েকদিন বাদেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই এবারের ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকেই হাতিয়ার বানিয়েছে বিরোধী দল। তবে শাসক দল এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। শাসক দলের দাবি, এই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কোনও উপভোক্তার কাছে দলের কেউ টাকা নেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করতে দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) চা বাগান শ্রমিকদের (Worker)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার চোপড়া থানার কাঁচাকালী এলাকায়। অভিযোগ, এলাকার এক যুবক চা বাগানের এক মহিলা শ্রমিককে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও চা বাগানে কাজ করতে আসেন এক মহিলা শ্রমিক। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় এলাকার এক যুবক ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। মহিলার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাগানের অন্যান্য শ্রমিকরা ওই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপর ওই যুবক কোনও রকম ভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও ওই যুবক এমন অপরাধমূলক কাজকর্ম করার চেষ্টা করেছে। এছাড়াও একাধিক সমাজ বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ওই যুবক। এরপর ওই যুবকের শাস্তির দাবিতে কাঁচাকালী বাজারে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাগানের শ্রমিকরা। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার পুলিস। পুলিস আসার পর অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বিধ্বংসী আগুনের (Fire) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর দিনাজপুরের (NorthDinajpur) ইসলামপুরে৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর থানার রামগঞ্জের বোহনগছ গ্রামের একটি বস্তিতে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত হয়ে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ি।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ ইসলামপুর থানার রামগঞ্জের বোহনগছ গ্রামের একটি বস্তিতে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে পরপর কয়েকটি বাড়ি। মুহূর্তে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ি। সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল রহমান ও তাঁর দাদা নাজির হোসেনের বাড়িতে আগুন লাগে। এরপর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে নেভানোর কাজে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর দমকল কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন।
কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটল তা এখনও স্পষ্ট জানা না গেলেও গ্রামবাসীদের সন্দেহ কেউ বা কারা ষড়যন্ত্র করে আগুন লাগিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাড়িতে মজুত করা ফসল, নগদ টাকা ছাড়াও সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। কিভাবে আগুন লাগলো তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।