দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা গান এবারে বিশ্বদরবারে সম্মানিত করা হবে। বিশ্ব সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গ্র্যামিতে মনোনীত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর লেখা 'অ্যাবানডেন্স অফ মিলেটস' গানটি। বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে তাঁর লেখা গানটি।
শুক্রবার মধ্যরাতে জানা যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর লেখা গান গ্র্যামিতে ২০২৪-এ মনোনীত হয়েছে। এই গানটি লেখা হয়েছে মিলেট নিয়ে। ২০২৩ সাল মিলেট বর্ষ বলে ঘোষিত হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই মিলেটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপকারিতা প্রচারের উপর জোর দিয়েছিলেন মোদী। গানটি গেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফাল্গুনী শাহ ওরফে ফালু ও তাঁর স্বামী গৌরব শাহ। গানটি মুক্তি পেয়েছে ১৬ জুন। গানটি মনোনীত হয়েছে ২০২৪ সালের গ্র্য়ামি পুরস্কারে সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স ক্যাটেগরিতে। এই সংবাদ তাঁর কাছে পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'দীপাবলির উপহার' বলে টুইট করেছেন।
২০২৪ অস্কারের (Oscar 2024) দামামা বেজে গেল। বছর ঘুরলেই ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে অস্কারের অনুষ্ঠান। তার আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। কোন কোন সিনেমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অস্কারের মঞ্চে পাঠানো হবে সেই তালিকা তৈরী করার সময় এসেছে। ভারতীয় ফিল্ম ফেডারেশন বিবেচনা করে এই তালিকা তৈরি করবেন। সোমবার থেকেই চেন্নাইয়ে শুরু হয়েছে বেশ কিছু ছবির প্রদর্শন। এই প্রদর্শনী শেষেই ফেডারেশনের বিচারকেরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরী করবেন। তবে সেই তালিকায় কোন কোন ছবিগুলি রয়েছে বা থাকতে পারে, তার কিছুটা আভাস পাওয়া গিয়েছে।
২০২৪ অস্কারের তালিকায় থাকতে পারে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবি, 'দ্যা কেরালা স্টোরি'। সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকটি জায়গায় সিনেমার প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তবে তা সত্বেও সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন কম হয়নি। সারা দেশে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ছবিটি।
এই তালিকায় উঠে আসছে 'ঘুমড়'-এর নাম। চলতি বছরে অগাস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক বচ্চন এবং সাইয়ামি খের। এই ছবিটি দেখতে তেমন হলমুখী হননি দর্শক। বক্স অফিস কালেকশনেও তেমন ম্যাজিক দেখাতে পারেনি। তবে সমালোচকেরা প্রশংসা করেছেন ছবিটির। অস্কারের তালিকায় নাকি থাকতে পারে এই ছবিটির নাম।
নন্দিতা দাস পরিচালিত এবং কপিল শর্মা অভিনীত 'জুইগ্যাটো' ছবিটিও থাকতে পারে এই তালিকায়। তবে শেষ পর্যন্ত অস্কারের মঞ্চে কোন ভারতীয় ছবিগুলি যাবে তা জানা যেতে পারে ২৩ সেপ্টেম্বর।
মক্কায় বসে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজী। এবার সিআইডি-র তলবে সারা দিয়ে ভবানীভবনে পৌঁছলেন তিনি। সূত্রের খবর গত ২৮ জুলাই তাঁকে ভবানীভবনে তলব করে সিআইডি। মক্কা থেকে কীভাবে মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সেবিষয়ে জানতেই তাঁকে তলব করেছে সিআইডি।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় মইনুদ্দিনের জমা দেওয়া মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। জানা যায়, সেসময় মক্কাতে থাকলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে নামের প্রস্তাবক সহ মোট সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী এজেন্সি। এবার ডাক পড়েছে মইনুদ্দিনের।
গত ৪ জুন মক্কায় হজ করতে গিয়েছিলেন মইনুদ্দিন। এরপর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু হয় ৯জুন এবং শেষ হয় ১৫ জুন। ওই সময়ে মক্কাতে থাকলেও পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয় জমা দিয়েছিলেন তিনি।
ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে সি আই ডি তদন্ত চলছে। পাশাপাশি মিনাখাঁর বিডিও ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেও তদন্ত চলছে।
মক্কায় বসে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজী। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল সারা রাজ্যে। সূত্রের খবর এবার মইনুদ্দিন গাজীকে ভবানীভবনে তলব করল সি আই ডি। আগামী ১ আগাস্ট মঙ্গলবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে মইনুদ্দিনের নামের প্রস্তাবক সহ সাত জনকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে চার জন বিডিও অফিসের কর্মীও ছিলেন। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার মইনুদ্দিনকে ডেকে পাঠানো হল।
গত ৪ জুন মক্কায় হজ করতে গিয়েছিলেন মইনুদ্দিন। এরপর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু হয় ৯জুন এবং শেষ হয় ১৫ জুন। ওই সময়ে মক্কাতে থাকলেও পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে সি আই ডি তদন্ত চলছে। পাশাপাশি মিনাখাঁর বিডিও ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেও তদন্ত চলছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দিয়েছেন আনিস খানের (Anis Khan) দাদা। এরপরই তৃণমূল হুমকি দিয়েছে আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান খানের মেজোদাদা সামসুদ্দিন খানকে। এমনই অভিযোগ আনিস খানের বাবা সালেম খানের। নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করলেন তিনি। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন সালেম খান। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সালেম খান বলেন, পুলিস, নির্বাচন কমিশন ও মহামান্য আদালতের কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সামসুদ্দিন আমতা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ নম্বর আসন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সালেম খানের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঠিকঠাক প্রচারেও যেতে পারছেন না। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান তিনি।
গতবারের জয়ী তৃণমূল (TMC) প্রার্থী, এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন (Nomination) জমা করেছেন। কিন্তু তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন আমাকে ভোট দেবেন না। এ ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসত ব্লক ১-এর ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের বামনগাছি পূর্ব মুড়ালী এলাকায়। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় গতবারের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন বটুক দত্ত। এবারও তিনি মনোনয়ন জমা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বদলে দলের তরফে টিকিট পায় প্রগতি রায় নামক অন্য এক তৃণমূল নেতা। ফলে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য অর্থাৎ বটুক দত্তের তৃণমূলের মনোনয়ন বাতিল হয়, এবং নিয়ম অনুযায়ী তার মনোনয়ন নির্দল হিসেবে বদলে যায়। যার জেরেই এমন ঘটনা বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
সম্প্রতি কালীঘাটে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে নির্দল কাটা তুলতে কঠোর ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল। ঐদিন তৃণমূলের তরফেই ঘোষণা করা হয়, তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়ালে তাকে বহিস্কৃত করা হতে পারে। এরপরে অবশ্য সম্প্রতি গোটা রাজ্যে মোট ১৮৯ জনকে তৃণমূল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। যদিও এ ঘটনায় তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে নির্দল হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছেন ওই তৃণমূল সদস্য। এছাড়া তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেটের মাধ্যমে সবাইকে বিষয়টা বোঝাতে উদ্যম নিয়েছেন।
রবিবার বটুক দত্ত বলেন, 'মনোনয়ন প্রত্যাহারে নির্দিষ্ট সময় থাকলেও সেসময় পরিবারিক গুরুতর অসুস্থতার কারণে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে যেতে পারি নি। পরে দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টা জানাই। এমনকি বিডিও অফিসে গিয়ে সমস্ত চেষ্টা করি। তাতে সফল হই নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষদের বোঝানো শুরু করেছি যাতে আমাকে ভোট না দেয়।' এ বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'বহু প্রকৃত তৃণমূল কর্মী আছে যারা নির্দলে দাঁড়িয়েছিলেন দলের টিকিট না পেয়ে, দলের সঙ্গে আলোচনা করে অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।'
অবশেষে বাতিল হল মিনাখার (Minakhan) তৃণমূল (TMC Candidate) প্রার্থীর মনোনয়ন (Nomination)। সূত্রের খবর, মিনাখার ওই তৃণমূল প্রার্থী মহিউদ্দিন গাজী সৌদি আরবে বসে জালিয়াতি করে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর পরই হইচই পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। যা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধী পক্ষ। এর পরই বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এলে কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এরপর পুলিশ মারফত রিপোর্ট পেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ওই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করল বলে কমিশন সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর কুমারজোল এলাকার তৃণমূল নেতা মহিউদ্দিন গাজী। স্থানীয় পঞ্চায়েতে মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রধান ছিলেন নাজমা বিবি। আসনটি এবার ওবিসি সংরক্ষিত। ফলে মহিউদ্দিন নিজেই ওই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়নের সময় মহিউদ্দিন বিদেশে ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই সৌদি আরবে চলে যান তিনি। তাহলে কীভাবে জমা পড়ে ওই মনোনয়ন? হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় অভিবাসন মন্ত্রক। সেই রিপোর্টেও উল্লেখ, '৪ জুন হজের উদ্দেশে ভারত ছাড়েন মহিউদ্দিন গাজি'। কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
কমিশন সূ্ত্রে খবর, পুলিস যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৪ জুন হজ করতে সৌদি আবার যান মহিউদ্দিন গাজী। ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটে দিন ঘোষণা হয়। ২ দিন পর, ১০ তারিখ বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা পড়ে ওই তৃণমূল নেতার। এখন প্রার্থী যদি চান, তাহলে প্রস্তাবকের মাধ্যমেও মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। কিন্তু বিদেশ থেকে মনোনয়নপত্রে কীভাবে স্বাক্ষর করা সম্ভব? সেকারণে খারিজ করে দেওয়া হল তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন।
'এভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও নির্বাচন হতে পারে না।' ভাঙড়ের (Bhangar) ৮২ জন আইএসএফ (ISF) প্রার্থীর মনোনয়ন (Nomination) সংক্রান্ত একটি মামলায় এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, ভাঙড়ে আইএসএফ-এর যে ৮২ জন প্রার্থীর নাম ওয়েবসাইট থেকে মুছে গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের অভিযোগ আলাদা করে খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এই পদক্ষেপ করতে হবে ২৮ জুনের মধ্যে।
ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তারা সব আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। আইএসএফ প্রার্থীদের দাবি, অশান্তির পরেও কিছু আসনে মনোনয়নপত্র জমা করতে পেরেছিলেন তাঁরা। স্ক্রুটিনির পরেও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম ছিল বলে দাবি। এমনকি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন অর্থাৎ ২০ জুন সকালেও কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম ছিল বলে দাবি আইএসএফের। কিন্তু সেই রাত থেকে ওয়েবসাইটে তাঁরা আর নাম দেখতে পাননি বলে অভিযোগ। এর ফলে ওই সব আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নের (Nomination) নথি বিকৃতির ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে মনোনয়নের নথি বিকৃতির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। উক্ত মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। ওই মামলার শুনানিতে গত সপ্তাহে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ অর্থাৎ সোমবার ওই মামলার রায়দান ঘোষণা হল।
সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে খারিজ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একটি সিট গঠন করার নির্দেশ দেয়। এবং ঐ সিট-ই এই ঘটনা তদন্ত করে দেখবে বলে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ যে, এই সিটের তদন্তে নজরদারি রাখবে কলকাতা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব-তে বিডিও বিরুদ্ধে নথি বিকৃতির অভিযোগ তোলেন উলুবেরিয়া এক ব্লকের দুইজন প্রার্থী। ওমজা বিবি ও কাশ্মীরা বিবি। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টের একটি মামলাও দায়ের করা হয়। ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। যদিও ওই নির্দেশ সোমবার খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন (Nomination) প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) জানিয়ে দেয়, কোন দল কতগুলি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি জানানো হয়, কোন কোন জেলার কত আসনে ভোট হবে না। ২২টি জেলায় একমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিসংখ্যান অসম্পূর্ণ ছিল। তাই নিয়ে অভিযোগও তোলেন বিরোধীরা। শুক্রবার রাতেই সেই তথ্য দিয়েছে কমিশন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে ৭৩,৮৮৭টি আসনের মধ্যে ৯০১৩টি আসনে ভোট হবে না। ১২ শতাংশ আসনে কোনও না কোনও দল ইতিমধ্যেই জিতে গিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জেলার ৬,৩৮৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৭৬৭টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। ২৩৩টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৮টি জেলা পরিষদেও ফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে।
২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১২ শতাংশ আসনে কোনও লড়াই হবে না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayet Election) মনোনয়নের (Nomination) নথি বিকৃতির ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই জানাল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার দুপুর ২টোয় এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে।
সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শুক্রবার মামলাটি শোনা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের কাশ্মীরা বিবি, ওমজা বিবির মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে ওই বিডিও-র বিরুদ্ধে। মামলাকারীদের অভিযোগ, নথি বিকৃত করার ফলেই স্ক্রুটিনি থেকে বাদ চলে যায় এই প্রার্থীদের নাম। বিডিও-র কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি করা হয়। মামলা হলে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে৷ এর মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রার্থীর (Candidate) বিরুদ্ধে বিদেশে বসে মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই বিষয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবাই হবে সেই মামলার শুনানি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখাঁর কুমারজুলি এলাকার এক তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে উঠল এই অভিযোগ। মামলাকারীর দাবি, ওই প্রার্থী বিদেশ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন! অভিযোগ, কুমারজুলির ওই তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ছিলেন সৌদি আরবে।
মামলাকারীর আইনজীবী এই বিষয়ে কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর আর্জি জানিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টে। একইসঙ্গে তাঁর আবেদন, বাতিল করা হোক ওই প্রার্থীর মনোনয়ন। এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
মনোনয়ন (Nomination) পর্বে গন্ডগোলের ঘটনায় কতজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (RajaSekhar Mantha)। পাশাপাশি সব থানা এবং ব্লক এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, কাশীপুর সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিরোধী দলের একাধিক প্রার্থীকে পাহাড়া দিয়ে পুলিশকে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, সেই নির্দেশ মানা হয়নি। শাসক দলের বিরুদ্ধে বোমাবাজি এবং গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এত ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কী করছিল?
পুরো ঘটনায় ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বসিরহাট মহকুমা এলাকার সব থানার ওসিকে সতর্ক করেছে আদালত। কোনও অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভাঙড় (Bhangar) থেকে চোপড়া (Chopra), গত কয়েকদিন ধরে মনোনয়ন (Nomination) জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে অশান্তির অভিযোগ। গুলি, বোমাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন (Panchayet Election) জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। গত কয়েকদিনের হিংসার ঘটনার একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, কোনওরকম মৃত্যুর রিপোর্ট নেই।
কমিশনের রিপোর্টে দাবি, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত ৩৯টি ঘটনা ঘটেছে। সেই সব ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। কমিশনের দাবি, ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে রাজ্য জুড়ে ৬১টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৭৩,৮৮৭ আসন। তৃণমূলের মনোনয়ন জমা পড়েছে ৮৫,৮১৭। অর্থাৎ মোট আসনের থেকে ১২ হাজার বেশি। শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি মনোনয়ন। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির ৫৬,৩২১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) মনোনয়ন (Nomination) পর্বেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড় (Bhangar)। শনিবার সকালে অশান্ত ভাঙড়ে রুটমার্চ শুরু করেছে পুলিস। ঘনঘন মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপারের পদমর্যাদার অফিসাররা। ওদিকে শুক্রবার উত্তপ্ত ভাঙড় পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষদিন বিডিও অফিস চত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কাঠালিয়া মোড়, কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড, বিজয়গড় বাজার চত্বরে প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিসকর্মীরা। তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। শনিবার মনোনয়নের স্ক্রুটিনি চলছে। পরিস্থিতি সামলাতে, কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।
শনিবার বিডিও অফিসের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া পুলিসি পাহারা মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আগে এই নিরাপত্তা থাকলে, মৃত্যু ঘটত না।