
বিরোধী জোটের নাম ঘোষণা হয়েছিল মঙ্গলবার। এবার তার ট্যাগলাইনও (Tagline) ঘোষণা করা হল। জানা গিয়েছে, বিরোধী ঐক্যের ট্যাগলাইন ‘জিতেগা ভারত’ স্থির করা হয়েছে।কিন্তু এসবের মধ্যেই সামনে আসছে জোটের নাম নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে মতবিরোধের খবর।
বিরোধী জোটের তৈরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাল কাটল। মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে জোট রাজনীতিতে নতুন নাম 'ইন্ডিয়া'-র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে, তারপর ২৬ টি দলের সর্বসম্মতিতেই জোটের নাম ঠিক করা হয় । কিন্তু, এখন শোনা যাচ্ছে 'ইন্ডিয়া' নামে সবার নাকি সম্মতি ছিল না।
সূত্রের খবর, বিরোধিতা করেছিলেন স্বয়ং নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও নাকি কিছুটা অসন্তুষ্ট আরজেডি নেতা।কেন নাম নিয়ে আপত্তি ছিল নীতীশের? জানা গিয়েছে, তাঁর বক্তব্য ছিল, এনডিএ ও ইন্ডিয়া দুটি শব্দ প্রায় একই শোনাচ্ছে। পরে এক নেতা নীতীশ কুমারকে বোঝান যে মাঝে ‘আই’ অক্ষর রয়েছে। তারপরে তিনি রাজি হন।
এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, নাম নিয়ে আগে থেকে নাকি কিছুই জানানো হয়নি নীতীশকে। বৈঠকে আচমকাই নামটি প্রকাশ করা হয়। এতেই চটে যান তিনি। আর এসবের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী জোট তৈরি হলেও, এখনও কি তাতে আশঙ্কার কালো মেঘ রয়ে গিয়েছে? সময়ই তার উত্তর দেবে।
প্রসূন গুপ্তঃ পাটনায় আজ গানের সুর 'কি হয় কি হয় কি জানি কি হয়' ছিল। ১৭টি বিজেপি বিরোধী দল শুক্রবার মিলিত হয়েছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আহ্বানে। পাটনায় এই জমায়েতের মূল কান্ডারী নীতীশ বা তেজস্বী হলেও আদতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই দিল্লির জায়গায় পাটনায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন যদিও ১৭টি বিরোধী দলের তাবড় নেতারা। কিন্তু সকলের নজরে ছিল রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার দিকে।
দেখা যায় রাহুল নিজেই সকলের সঙ্গে সভার আগে কুশল বিনিময় করেন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দেখা যায় মমতার সঙ্গে হেসে কথা বলতে। এই বৈঠক আজ শুরু হলেও চলবে নাকি বছরভর। একেবারে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন অবধি জুলাইয়ে পরবর্তী বৈঠক।
সভায় মূল আলোচনা ছিল ভোট নিয়ে, কিন্তু একই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থান থেকে বিভিন্ন দলের পিছনে সিবিআই বা ইডির ব্যস্ততা নিয়েও। দেখার বিষয় ছিল কেজরিওয়াল কি করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেজরিওয়াল এমন কিছু দাবি করেননি যা কিনা রাহুল বা কংগ্রেসকে ক্ষুন্ন হতে হয়। আবার পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও সিপিএম বা কংগ্রেসের তরফ থেকে আলাদা করে এমন কিছু প্রশ্ন তোলা হয়নি যা মমতাকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।
একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা যে সারা ভারতে সম্ভব নয়, তাও পরোক্ষ ভাবে আলোচিত হয়। কিন্তু পারদপক্ষে বেশিরভাগ আসনে যাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী করা যায় তা নিয়েও ভাবনা চলেছে। কেরলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সিপিএম লড়াই করবে তা এক প্রকার সত্যি হলেও বাকি স্থানগুলিতে কি অবস্থান হবে তা নিয়েও আগামীতে আলোচনা হবে। সমস্যা থাকবে কিন্তু আপ পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে সখ্যতার। তবে যায় হোক না কেন পরের বৈঠক অবধি সব দলই যোগাযোগ রাখবে অন্য দলের সঙ্গে।
প্রসূন গুপ্তঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ছিল, বিরোধীদের বৈঠক হোক কিন্তু দিল্লিতে নয়, হোক পাটনায়। যেদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব নবান্নে এসেছিলেন সেদিনই এই প্রস্তাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে রাখেন। পরে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলে মূলত নীতীশের আয়োজনে পাটনায় এই বৈঠক হচ্ছে।
এবারে প্রশ্ন, উপস্থিত থাকছেন কারা? গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যাবেন না। দেখা গেল আগে না জানালেও অধিকাংশ অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই গরহাজির। পরদিন রবিবার ছিল নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। সেখানেও বিরোধী ২০টি বিরোধী দল অনুপস্থিত ছিল। যুক্তি ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানো। যদিও বাহানা রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি কিন্তু ওই ঘটনার মাধ্যমে একটা বিরোধী ঐক্য গড়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে ভারতের পদক জয়ী খেলোয়াড়দের গ্রেফতারির ঘটনাও তাঁদের নতুন তথ্য জোগান দিয়েছে।
বিরোধীদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী কংগ্রেস যেমন জোট হওয়ার কাজে উদ্যোগ নিয়েছে, তেমন রয়েছে নীতীশের জেডিইউ, লালুর আরজেডি, জেএমএম, ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব) ইত্যাদি। তবে কংগ্রেসের বিরোধী হলেও থাকছে তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, তেলেঙ্গানার টিআরএস।
তবে কি বিজেপি একা। না তার অনেক সমর্থক এসে গিয়েছে যাদের ঠিক জোটসঙ্গী বলা যায় না। আছে বিজেডি, এআইএডিএমকে, শিরোমনি আকালি দল। অন্ধ্রের চন্দ্রবাবুর দল বা জগন্ময় রেড্ডির দলও রয়েছে মোদীর পাশে। মজার বিষয় এক সময়ের মোদী বিরোধী দেবেগৌড়ার দল জেডিএস সম্প্রতি কর্ণাটকের ভোটে খুবই খারাপ ফল করেছে, কাজেই তাদের কোনও পছন্দ নেই। সুতরাং রবিবারে আসবো না বলেও সংসদ ভবনের উদ্বোধনে তারা উপস্থিত ছিল।
২০২৪-এর নির্বাচনের আগে সাভারকরের জন্মদিনে সংসদ ভবন উদ্বোধন করে প্রকারান্তে আরএসএস-কে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রসূন গুপ্ত: বিজেপি বিরোধী জোট করতে তৎপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি হঠাৎ কেন এতটা উৎসাহী, এই নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। সোমবার তিনি এলেন নবান্নে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করতে। বৈঠক একেবারেই একান্তে। অন্যদিকে কংগ্রেস চেষ্টা করছে বিজেপি-বিরোধী জোটকে একত্রিত করতে। একটা সুবিধা কংগ্রেসের আছে, তাদের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ বিহারে আরজেডি-জনতা দল(ইউ)-এর সঙ্গে জোট। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-র সঙ্গে জোট, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গে, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে জোট।
তবে উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদব এবং বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে অনীহা। হাত শিবিরের যোগ দিতে অনীহা তেলেঙ্গানার টিআরএস, আপ পার্টিরও। এদের সমস্যা অনেক ১) মোদী বিরোধিতার জায়গা থাকলেও কংগ্রেসকে অপছন্দ ২) প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে? ৩) জোট হলে আসন সমঝোতা করতে নারাজ অনেকেই। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ভারত যাত্রা বেশ কিছুটা সার্থক হলেও রাহুল নিজে বিরোধী নেতা হতে চাইছেন না। তাঁরা তুলে ধরছেন মালিকার্জুন খাড়গেকে। তিনি দলিত নেতা কাজেই গ্রহণযোগ্যতা নাকি তাঁরই বেশি। এই হয়তো-নয়তো নিয়ে রাজনীতে কতটা সার্থকতা আসে তাই প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ মহলে।
তবুও শরদ পাওয়ারের মত প্রবীণ নেতা মনে করেন যে বিরোধী জোটে মমতাকে দরকার, দরকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ফলে অভিজ্ঞ নীতীশ কুমার ময়দানে নেমেছেন। আজ যেমন তিনি মমতার মুখোমুখি তেমনি কলকাতার পরে তিনি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে নিয়ে লখনৌ যাচ্ছেন সমাজবাদী দলের সঙ্গে কথা বলতে। এটা বাস্তব জওহরলাল নেহেরুর পরে টানা তিনবার কেউ বা কোনও দল দিল্লির মসনদ ধরে রাখতে পারেনি। পারাটাও কঠিন কারণ ত্রুটি থাকবেই কাজে এবং তাকে কেন্দ্র করে বিরোধী হাওয়া ওঠে। এটা বাস্তব আজকেও এত সমস্যার পরেও নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট ভাল। কিন্তু সবটাই ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় চলে না।
যদিও উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীতীশের দীর্ঘদিনের নজর দিল্লির মসনদ। এদিকে, মোদী মন্তব্যর জেরে রাহুল গান্ধীর জেল যাত্রা প্রায় নিশ্চিত। যদি সত্যি সেরকম কোনও ঘটনা ঘটে, তবে টেনিস খেলার ভাষায় বলতেই হবে 'অ্যাডভান্টেজ রাহুল'।
মঙ্গলবার নয় বৈঠক হবে সোমবার। রবিবার রাতে নবান্ন সূত্রে খবর মঙ্গলবার নয় সোমবার কলকাতায় আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন সোমবার দুপুর ২ টোয়। সূত্রের খবর, বিরোধীদের এক জোট করার কাজ কোনওভাবেই পিছাতে চাইছেন না কোন রাজনৈতিক দলই।
মমতা নয় শুধু বিরোধী জোটকে এক করার চেষ্টা জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। সেজন্যই কি সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর ২ টোর সময় বৈঠকে বসবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য এই বৈঠকের প্রসঙ্গ হতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র এক বছর।
সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, বিরোধী জোট নিয়েই দুই রাজনীতিকের আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে সোমবারই লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নীতীশের।
মমতা নয় শুধু বিরোধী জোটকে এক করার চেষ্টা জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar Chief Minister) নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar)। সেজন্যই কি মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর সময় বৈঠকে বসবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য এই বৈঠকের প্রসঙ্গ হতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র এক বছর।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, বিরোধী জোট নিয়েই দুই রাজনীতিকের আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, সোমবারই লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নীতিশের।
সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন নীতিশ। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে নীতিশ জানিয়েছিলেন, বিরোধী জোট গঠনের উদ্দেশ্যে তিনি সব নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই সফরে নীতিশের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বিরোধী জোট নিয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আলাদা করে উল্লিখিত হয় মমতা এবং অখিলেশের কথা। কারণ বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল এবং সপা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর অবশ্য খড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায় তৃণমূল। ইদানীং বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বহুবার জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলি এক হলে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে না।
বিহারে (Bihar) বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন। এবার বিষমদ-কাণ্ডে নির্দিষ্ট শর্তাধীনে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহারে বিষ মদ খাওয়ার ঘটনা এর আগেও শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি সে রাজ্যের চম্পারণ জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে মারা যান ২৬ জন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০১৬ সালে বিহার সরকার রাজ্যে মদ বিক্রি এবং মদ্যপানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরেও অবশ্য মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যায়নি। সোমবার, নীতীশ সংবাদমাধ্যমকে বিষমদ-কাণ্ড নিয়ে বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা মৃতদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে গেলে শর্ত মানতে হবে। মৃতদের পরিবার যদি লিখিতভাবে জানায়, তারা বিহার সরকারের মদ বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে, তবেই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।'
বিহারে (Bihar) দলীয় সভা থেকে দাঙ্গাবাজদের (Rioter) উল্টো করে ঝোলানোর হুঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। বিহারে রামনবমী ঘিরে অশান্তির ঘটনায় নীতিশ কুমারের সরকারের দিকে একের পর এক আক্রমণ শাহের। রবিবার বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। রবিবার নওয়াদায় সভা থেকে নীতিশকে টার্গেট করে দাঙ্গাবাজদের নিয়ে হুঙ্কার করেন তিনি। সেখানে তাঁর দাবি, ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
বিহারের সভা থেকে দুই নেতাকেই আক্রমণ করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নীতিশ এবং লালু, দু’জনের দিকেই আঙুল তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ বলেন, ‘ভেবেছিলাম সাসারামে যাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওখানকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এবার যাচ্ছি না। ওখানে মানুষ মরছে। এক দিকে চলছে গোলাগুলি। অন্য দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটছে। তবে পরের বার বিহার এলে ওখানে অবশ্যই যাব।’ একই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘ক্ষমতায় এলে উল্টো করে ঝোলানো হবে দাঙ্গাবাজদের।’ অমিত জানান, বিহারের রাজ্যপালকে ফোন করে তিনি পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন।
রামনবমী ঘিরে দেশের ছ’টি রাজ্যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটক বিজেপি বা বিজেপি জোট শাসিত। অ-বিজেপি রাজ্যগুলি হল বিহার এবং বাংলা। এ রাজ্যের হাওড়া জেলার কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও গত শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন শাহ।
গত কয়েকমাসে বিহারে (Bihar) বিষমদ (Hooch Tragedy) খেয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে। চলতি সপ্তাহেই ছাপড়া জেলায় বিষমদের বলি অন্তত ২১ জন, এখনও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন একাধিক ব্যক্তি। এই ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (CM Nitish Kumar) সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। মদ নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্বেও কীভাবে এভাবে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধী বিজেপি। এবার এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। খানিক হতাশার সুরেই রাজ্যবাসীকে সাবধান করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'মদ খেলে মরতে তো হবেই। বিহারের মতো ড্রাই স্টেটে (মদ নিষিদ্ধ করা রাজ্য) মদ কিনবেন না। কারণ অবৈধ উপায়ে আমদানি করা ভেজাল এবং বিষাক্ত মদ বিক্রির চেষ্টা হতে পারে।'
একই সঙ্গে তিনি জানান, মদ কিনতে গিয়ে ধরা পড়া কোনও গরিব মানুষকে গ্রেফতার করা হবে না। গ্রেফতার করা হবে মদ প্রস্তুতকারক এবং অবৈধ ভাবে মদ আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। এই মর্মে তিনি পুলিশ আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৬ থেকে বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। এই সিদ্ধান্তের জেরে পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলের মহিলা ভোটার বেড়েছে। বেআইনি মদ বিক্রি রোধে ব্যর্থ নীতিশ কুমারের প্রশাসন।
২০১৬ থেকে বিহারে মদ (Bihar Liquor Policy) বিক্রি নিষিদ্ধ। এই সিদ্ধান্তের জেরে পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (CM Nitish Kumar) দলের মহিলা ভোটার বেড়েছে। বেআইনি মদ (Hooch Tragedy) বিক্রি রোধে ব্যর্থ নীতিশ কুমারের প্রশাসাশন। ফের বিষমদ পান করে বিহারে মৃত্যু ৬ জনের। আশঙ্কাজনক কয়েক জন, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, বিহারের ছাপরা জেলার এক গ্রামে বিষমদ খেয়ে বাড়িতেই মারা যান ৪ জন। এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁরও মৃত্যু হয়। বিষমদে অসুস্থের সংখ্যা সঠিক জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, বেশ কয়েক জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছে ছাপরা জেলা পুলিস। তবে প্রাথমিক তদন্তে বিষমদকেই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করছে। এমনটা অভিযোগ মৃতদের পরিবারেরও।
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিহারের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বিষমদ-কাণ্ডে মৃত্যুর জেরে খবরের শিরোনামে এসেছে বিহার। প্রতিবার বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে নীতিশ কুমার সরকার।
ড্রাই স্টেট বিহার (Bihar) অর্থাৎ নিষিদ্ধ মদ বিক্রি। সরকারি এই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই রাজ্যে চলে ব্ল্যাকে মদ বিক্রি। পুলিসি (Police) ভাষায় যাকে বলে মদের কালোবাজারি, আর এই কাজে যুক্তদের জন্য বিশেষ বার্তা পাঠালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) প্রস্তাব, মদের চোরাকারবারা ছেড়ে দিলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শনিবার নেশামুক্তি দিবসে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Nitish Kumar)।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য নীতীশ কুমারের আমলেই ২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছে। আর তাঁর এই সিদ্ধান্তকে দু হাতে স্বাগত জানিয়েছিলেন রাজ্যের মহিলারা। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মানুষকে সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে চান তিনি। তারপর কেটেছে ছ'বছর। বাংলার পড়শি এই রাজ্য কি আদৌ মদমুক্ত হয়েছে? বিরোধীদের অভিযোগ, 'রমরমিয়ে চলছে মদের কালোবাজারি।' একেই চলতি ভাষায় ‘ব্ল্যাকে’ মদ বিক্রি বলে। এবার বিরোধীদের কথাই কি তাহলে মেনে নিলেন নীতীশ কুমার?
মহাজোট সরকারের গঠনের পর বুধবার বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly) আস্থা ভোট মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের (Nitish Kumar)। আর সেদিনেই সে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় মূলত আরজেডি নেতাদের বাড়িতে এই সিবিআই অভিযান (CBI Raid)। শুধু বাড়ি নয় একাধিক আরজেডি (RJD) নেতার অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সিবিআই সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের দলের রাজ্যসভা সাংসদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং এবং বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ রাইয়ের বাসভবনে বুধবার তল্লাশি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতি মামলায় জুলাই মাসে লালু-ঘনিষ্ঠ ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
তবে নীতীশ কুমারের আস্থা ভোটের দিন সিবিআইয়ের এই তল্লাশি অভিযানকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলছে বিজেপি বিরোধী শিবির। লালুপ্রসাদ যাদব যখন প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী, তখন নাকি বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের 'গ্রুপ-ডি' পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিয়োগ ওঠে। এই ইস্যুতে কাঠগড়ায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী-সহ তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল।
এই সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী জানান, গোটা বিশ্ব দেখেছে, সারা দেশ দেখছে, আমরা এসবে ভয় পাই না, কেনই বা পাব।
সম্প্রতি বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে বিহারে মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার। বিজেপি বিরোধী ৭ দলের এই জোট সরকারের অন্যতম বড় শরিক আরজেডি এবং কংগ্রেস। বিহারের আম আদমি যখন এই রূপান্তরে গা ভাসাচ্ছেন, তখনই মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ে হামলা। পাটনায় পাথর ছুড়ে হামলা নীতীশ কুমারের কনভয়ের গাড়িতে। যদিও ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী।
ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে।
Patna | Stones pelted at the convoy of Bihar CM Nitish Kumar; CM was not present in the convoy at the time of the incident. pic.twitter.com/5kNnn7IDlv
— ANI (@ANI) August 21, 2022
তেমনই এক ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জনবহুল রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু লোক লাঠি, পাথর দিয়ে হামলা চালায়। দাঁড়িয়ে পড়ে কনভয়। এরপর আশপাশ থেকে দলে দলে আরও লোক ছুটে এসে কনভয়ের গাড়িতে পাথর ছুড়তে থাকেন। রাস্তায় নেমে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের।
কেন এই হামলা, নির্দিষ্ট কোনও কারণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সূত্রের দাবি, যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, কিছু দিন আগে সেই এলাকারই এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হতে পারে।
স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপনে ভাষণ দিতে গিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে কমপক্ষে ২০ লক্ষ চাকরির (Job) আশ্বাস দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তিনি জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) এর সংযুক্ত সরকারের পরিকল্পনা হল, সরকারি ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ লক্ষ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও ১০ লক্ষ চাকরির ব্যবস্থা করা। এর আগে বিরোধী শিবিরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান। পাটনার গান্ধি ময়দানে ভাষণ দিতে গিয়ে নীতীশ কুমার তা কার্যত দ্বিগুণ করে দিলেন। তিনি একথাও বলেন, রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে এই লক্ষ্যণাত্রা পূরণ করার জন্য। দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে নতুন নতুন চাকরি নিয়ে আসাটাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, বর্তমান উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে থাকার সময় ১০ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলা বাহুল্য, ক্ষমতায় আসার পর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই শরিকই সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করল, তারা মিলেজুলেই কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আর সেকথাই এদিন স্মরণ করিয়ে দেন তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, বিজেপি কখনই তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না। আপনারা বারবার বলে এসেছেন, ১০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতির কী হল? আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজে আপনাদের সামনে সেই প্রতিশ্রুতিই দিলেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দু কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কী হল? এমনকী বিজেপি যে ১৯ লক্ষ চাকরির কথা বলেছিল, তার মধ্যে ১৯ জনেরও কি চাকরি হয়েছে?
পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar CM) হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিলেন তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। বুধবার দুপুরে রাজ ভবনে আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে এই দু'জনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। মঙ্গলবারই আরজেডি, কংগ্রেস (RJD-Congress)-সহ অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাজ ভবনে গিয়েছিলেন নীতীশ-তেজস্বী।
সেই সাক্ষাৎ শেষে বেড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নীতীশ কুমার দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ১৬৪ বিধায়কের সমর্থন আছে। বুধবারই শপথ নেবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সেই ঘোষণা মোতাবেক এদিন দুপুর দুটো নাগাদ রাজ ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এদিন শপথ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০০ সালে এনডিএ শরিক হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। লালুপ্রসাদ যাদবের দাপট কমিয়ে সেবার প্রথম যাদব পরিবারের বাইরে থেকে মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল বিহার। তারপর ২০১৫ অবধি পরপর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিহারের এই কুর্মি নেতা।
যদিও ২০১৫-তে আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে গড়া জোট সরকার মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। সেই মহাজোট ভেঙে বেড়িয়ে ফের বিজেপির হাত ধরে নীতীশ। ২০১৭ সালে ফের একবার এনডিএ শরিক হিসেবে মাজপথেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। ২০২০-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই লড়েন নীতীশ। যদিও রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জেডিইউ।
তাও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারকেও সমর্থন করে বিজেপি। কিন্তু দুই বছর বাদে ফের ডিগবাজি নীতীশের। এবার আবার মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।