পুরনিয়োগ দুর্নীতির জট বিস্তৃত অনেক দূর পর্যন্ত, তা কার্যত স্পষ্ট তদন্তে। তদন্তে আরও দেখা যাচ্ছে বহু পুরসভার কাউন্সিলর, ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে এর আগেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। প্রয়োজনে জোর কদমে চলেছে জেরা। সোমবার জানা গিয়েছিল, কামারহাটি পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬২ লক্ষ টাকার সোনা এবং হীরের গয়না। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ১৩০০ পাতার নথি। এরপর তথ্য উঠে এল দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তকে নিয়ে।
সূত্রের খবর, নিতাই দত্তর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, তাঁর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে একাধিক নথিপত্র। জানা যায়, তাঁর স্ত্রী এবং ভাই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা ও পুরসভায় দুর্নীতির বৃহত্তর চক্র থেকে একাই ৩৫০ কোটি টাকার কুবের-ভান্ডার গড়ে তুলেছেন প্রোমোটার অয়ন শীল। এর আগে বহুবার নিয়োগ দুর্নীতিতে 'মানি মেশিন' অয়ন শীল উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। ইডি সূত্রের খবর, অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্তে উঠে আসে এই নিতাই দত্তের নাম। তাই এখন নিতাই দত্ত সম্পর্কে আরও কী কী তথ্য পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে উঠে আসে, সেটাই দেখার।