
পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার আগেই ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী রইল শহর কলকাতা। নিমতলা ঘাট শশ্মানের কাছে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির দোতালায় ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বাড়ির দোতালা কাঠামো কাঠ দিয়ে তৈরি ছিল, ফলে নিমিষের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়ির উপরের অংশ। জানা যায়, প্রায় ৯ টি পরিবারের বাস এখানে। তারা সবাই এখন গৃহহীন। স্থানীয়দের অভিযোগ তাঁদের এই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর সঙ্গে প্রোমোটিং দালালেরও হাত রয়েছে । তাঁরা আরও বলেন প্রায় কয়েকবছর একই ভাবে ঘটছে ঘটনা, স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা।
বৃহস্পতিবার রাত ১ টা ১০ মিনিট নাগাদ, তখন এলাকার মানুষ ঘুমে মগ্ন। হঠাৎই নাকে আসে পোড়া গন্ধ ।বাইরে বেরিয়ে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে তাঁদের শখের বাড়ি। হাতের সামনে যা ছিল তা নিয়েই প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
পুজোর আগে শহর সেজে উঠেছে আলোয় আলোয়। তবে অন্ধকার ছেঁয়ে গেল এই পরিবার গুলির মধ্যে। কেউ নিজের শেষ সম্বল ব্যাগটাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে, কেউ আবার সিলিন্ডার নিয়ে বেরিয়ে এসেছে রাস্তায় । জলভরা চোখে তাকিয়ে দেখছেন তাঁরা তাঁদের পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া শেষ সম্বল টুকুকে। ঘটনার দিন রাতেই এলাকার কাউন্সিলর এসেছিলেন। তবে ঘরহারা অসহায়দের থাকার কোনও বন্দোবস্তের কথা তিনি জানাননি, দাবি স্থানীয়দের।
বিভীষিকাময় রাত কেটে সকাল হয়েছে। দিনের আলো আসতেই ছাইয়ের ধংসস্তুপ থেকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন পুড়ে যাওয়া অবশিষ্টাংশ। তবে সবকিছুতো পুড়ে গেছে। অসহায়ের মত কাঁদছেন ঘরহারারা।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্চি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলর্মীদের। শট সার্কিটের কারণেই আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান।
নিমতায় (Nimta) যেন রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। একটি ঘর থেকে উদ্ধার পচা-গলা মৃতদেহ (Body)। অন্য ঘর থেকে উদ্ধার একটি কঙ্কাল (Skeleton)। সোমবার সকালে নিমতা থানার অন্তর্গত সেকেন্ড লেনের ঘটনা। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মৃতদেহ ও কঙ্কালটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, ওই মৃতদেহ দুটি দুই ভাইয়ের হতে পারে। ময়না তদন্তের পর আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর পরিস্কার হবে। নিমতা থানার পুলিস জানিয়েছে, পচাগলা মৃতদেহটি বীরেন্দ্রকুমার দে (৬৬)। এছাড়া কঙ্কালটি ওনার ভাই ধীরেন্দ্রকুমার দে-র (৬৩) বলে মনে করছেন পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ি থেকে কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই পুলিসকে খবর দেয়। এরপর পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে। পুলিস জানিয়েছে, বেলঘরিয়ার বাড়ি থেকে বীরেন্দ্রর দেহ উদ্ধারের পর তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই একটা ঘর থেকে ওই কঙ্কালটিও উদ্ধার হয়। পাঁচ-ছয় মাস আগেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এতদিন ধরে তাঁর দেহ আগলে রেখেছিলেন দাদা বীরেন্দ্র। দিন কয়েক আগেও তাঁর মৃত্যু হয় বলে অনুমান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরেন্দ্ররা মোট চার ভাই এবং এক বোন। দুই ভাইয়ের আগেই মৃত্যু হয়েছে। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বীরেন্দ্র ও ধীরেন্দ্র বেলঘরিয়ার বাড়িতে থাকতেন। দেহ এবং কঙ্কালটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিসের সামনেই ছোট পর্দার (TV Actress) জনপ্রিয় অভিনেত্রী নবনীতা দাসকে খুনের হুমকি (Murder Threat)। আর এই কাণ্ড শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা নয়, বরং অভিযুক্তপক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। নিমতা থানার (Nimta PS) এহেন ভূমিকায় সমালোচনা করে সরব অভিনেতা জিতু কামাল এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী নবনীতা দাস। উস্তাদ রশিদ খানের পরিবার কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে। সেই টানাপোড়েনে এবার ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই জিতু-নবনীতা একইভাবে পুলিসি হেনস্থার শিকার। এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছেন ওই তারকা দম্পতি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত নিমতা থানার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা এক ভিডিওবার্তায় যেখানে রীতিমতো পুলিসি হেনস্থা এবং তাঁদের সঙ্গে হওয়া কাণ্ডের জন্য অভিনেত্রীকে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বিরাটি থেকে মাঝেরহাটি হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথেই এই কাণ্ড।
ঠিক কী হয়েছে এদিন নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে, যার রেশ এসে পৌঁছয় নিমতা থানা অবধি। সংবাদ মাধ্যমকে নিগৃহীত অভিনেত্রী নবনীতা জানান, 'দুপুর দেড়টা নাগাদ মাঝেরহাটি মোড়ে ডান পাশ দিয়ে একটা পন্যবাহী গাড়ি ঢুকে জোরে আমাদের গাড়িকে মেরে চলে যায়। আমি ডান পাশে বসে ছিলাম এবং পণ্যবাহী গাড়িকে দাঁড়াতে বলি। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে ও বেড়িয়ে যায়। তখন সিগনালে গিয়ে আমার ড্রাইভার গাড়িটাকে ধরে, কিন্তু পণ্যবাহী গাড়ির ড্রাইভার আমাদের ড্রাইভারকে প্রায় পিষে বেড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার সামনে গিয়ে কাঁচে মারলে ওরা উলটে বলে ওদের কাঁচে দাগ পড়েছে।'
তাঁর অভিযোগ, 'এরপর আমি প্রস্তুত ছিলাম যে থানায় আসতে হবে। কিন্তু নিমতা থানার এক পুলিসকর্তা আমাদের থানায় আসতে বাধা দেয়। উলটে বলেন আপনার ড্রাইভার যদি মেরে থাকে তাহলে কিন্তু ওকে লকআপে নিয়ে যাব। উলটে আমাদের বলে ঘটনাস্থলেই যা কথাবার্তা বলে নিন। কিন্তু আমি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে বলি থানায় গিয়ে জিডি করব। থানায় এসে আমাদের দু-আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তারপর থানা বলে দু'পক্ষই একটা করে জিডি করুন। এই সময় থানার বাইরে চিৎকার শুনে বেড়িয়ে গিয়ে দেখি আমার ড্রাইভারকে ওই পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ তাঁর বন্ধুরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা গিয়ে যখন বলি কী হচ্ছে, উলটে আমাকে বলছে মেরে রেখে দেব, এখানে দাদাগিরি হচ্ছে!'
অভিনেত্রী জানান, 'এই ঘটনার সময় দু'জন পুলিস গোটা ব্যাপারটা শোনে। ওদের সামনেই ওই পন্যবাহী গাড়ির চালক ও তাঁর বন্ধুরা বলছে, তোদের দেখে নেব, মেরে দেব একবার বেরো এখান থেকে। পুলিসকে আমি বলি যে আপনাদের সামনে এটা কী হচ্ছে। এখানেই এসব হচ্ছে, বাইরে গেলে কী হবে?' এখানেই থামেননি অভিনেত্রী, নিমতা থানার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে অভিনেত্রী জানান, 'প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রেখে আমাদের এফআইআর নেয় পুলিস। যদিও প্রথমে বলে আপনারা সাদা খাতায় সই করে যান, এফআইআর আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।'
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাতক পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ ৪ জনের এফআইআর দায়ের করে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪,৫০৬,৩৪১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক একজন, একজন পুলিসের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
আবারও পর্বতারোহনে (Trekking) গিয়ে মৃত্যু (death) পর্বতারোহীর। এবার উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা (Nimta) থানা এলাকার আলিপুরের বাসিন্দার মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার। জানা যায়, চলতি মাসের ১১ তারিখ নিমতার আলিপুরের বাসিন্দা বছর ৪৩-এর নির্মল বিশ্বাস। তিনি উত্তরাখণ্ডের গিয়া বিনায়ক পাসে পর্বতারোহনের (Ghiya Vinayak Pass Trek) জন্য রওনা দেন। কিন্তু ফেরা আর হল না। শুক্রবার নির্মল বাবুর পরিবারের কাছে মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছয়। শুক্রবার পাহাড়ের কোলেই মৃত্যু হয় নির্মল বাবু।
নির্মল বাবুর বোন জানান, ১৯ তারিখ তাঁর দাদার মৃত্যু হয়। শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পান তাঁরা। প্রচণ্ড তুষার ঝড়ের কারণে তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন। পেশায় ট্রাভেল এজেন্ট নির্মল বাবু। তাঁর ইচ্ছে ছিল পাহাড় জয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি শৃঙ্গ জয় করেছেন। পাহাড়ের প্রতি ছিল তাঁর অদ্ভুত এক টান। আর সেই টানেই এবার পারি দিয়েছিলেন অন্যতম কঠিন শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশ্যে। কিন্তু শৃঙ্গ জয়ের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নিমতার বাসিন্দা। শোকে বিহ্বল গোটা বিশ্বাস পরিবার থেকে পাড়া প্রতিবেশী।
শব দাহ করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নিমতলা শ্মশানঘাটে (Nimtala Burning Ghat)। গঙ্গার বানে (Flash Flood in Ganga) তলিয়ে গিয়েছিলেন ৩ জন। একজনের দেহ উদ্ধার মঙ্গলবার সকালে। বাকি দু'জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বেলেঘাটা থেকে নিমতলায় দেহ দাহ করতে যায় একটি দল। রাত ১১টা ১৫ নাগাদ বান আসার পর সবাই উঠে এলেও ৮ জন উঠছিলেন না। জানা গিয়েছে, বানের পূর্বাভাস নিয়ে ঘাটের কর্তব্যরত পুলিস তাঁদের বাধা দিলেও, সেই বাধা তোয়াক্কা না করে ৮ জন পাড়ে বসে ছিলেন। স্রোতে ৮ জন তলিয়ে গেলেও, ৫ জন লোহার রড ধরে বেঁচে যান। তিন জন তলিয়ে যান। তাঁদের খোঁজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি। তবে সকাল ১১টা নাগাদ একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে কার দেহ উদ্ধার? সেই শনাক্তকরণের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, মৃত এবং নিখোঁজ যুবকদের প্রত্যেকের বয়স ২৮-৩২ বছর। স্থানীয়দের দাবি, পুলিস এসে আগেই জানিয়ে গিয়েছিল ১০টার পর বান আসবে কেউ পাড়ে বসবেন না। প্রশাসনের তরফে বান আসার খবর ঘোষণা করতেও তোয়াক্কা করেনি ওই আট জন। জল বাড়তে থাকায় কেউ দুর্ঘটনার সময় গঙ্গায় নামতে সাহস পায়নি। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী।
এটিএম (ATM) থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ৮০ হাজার টাকা খুইয়ে প্রশাসন, ব্যাঙ্কের (bank) দরজায় দরজায় ঘুরছেন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ৭০ উর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল নিমতাবাসী (Nimta)।
জানা যায়, নিমতা থানার অন্তর্গত বিরাটি আবাসনের বাসিন্দা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ৭০ উর্ধ্ব বৃদ্ধা স্বাগতা মিত্র। তিনি জানান, অগাস্টের ৩১ তারিখ বিরাটির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে যান টাকা তোলার জন্য। কিন্তু বেশ কয়েকবার এটিএম কার্ড পাঞ্চ করলেও টাকা তুলতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপরেই এক ব্যক্তি তাঁকে তাড়া দিতে থাকেন। বৃদ্ধা সেই সময় এটিএম থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে তাঁর হাত থেকে এটিএম কার্ডটি নিচে পড়ে যায়। এরপরেই বৃদ্ধা মাটি থেকে কার্ডটি তুলে আবাসনে ফিরতেই তাঁর মোবাইলে দুটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা, তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে কুড়ি হাজার টাকা কাটা হয়েছে। যা দেখেই চক্ষুচড়কগাছ বৃদ্ধার।
এটিএম কার্ড তাঁর কাছে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে টাকা কাটা হল? সে নিয়ে ব্যাঙ্কে যেতেই বৃদ্ধা স্তম্বিত হয়ে যান। জানতে পারেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কুড়ি হাজার নয়, ৮০ হাজার টাকা উধাও হয়েছে। পাশাপাশি যে এটিএম কার্ডটি তাঁর কাছে রয়েছে সেটিও তাঁর নয়। সেটি দিব্যেন্দু সাহা নামে এক ব্যক্তির। এরপরেই বৃদ্ধা বুঝতে পারেন তিনি যখন এটিএমে টাকা তোলার চেষ্টা করছিলেন সেই সময় ওই ব্যক্তি তাঁর এটিএম পিন জেনে নিয়ে তাঁর কার্ডটি বদলে ফেলেছেন কোনওভাবে। সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো নিমতা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরও চারদিন কেটে যাওয়ার পরও বৃদ্ধা আরবিআই-এর নিয়ম অনুযায়ী কোনও টাকায় ফেরত পাননি। বরং বারবার থানা ও ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি বলে বৃদ্ধার দাবি। এখন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধা তাকিয়ে রয়েছে প্রশাসনের দিকে।