দীপাবলিতে দেশবাসীকে ১৮ পয়েন্ট উপহার রোহিত শর্মাদের। টানা ৯টি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা যা পারেনি, সেটাই করে দেখাল নেদারল্যান্ডস। ভারতের শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের চিন্নাস্বামীতে ৪৭.৫ ওভার পর্যন্ত লড়াই করল ডাচ ব্রিগেড। হারতে হল ১৬০ রানে। হাফসেঞ্চুরির পর বিশ্বকাপে প্রথম উইকেট পেলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইডেনে ৮৩ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪১১ রান তাড়া করতে নেমে কিন্তু লড়াই করল নেদারল্যান্ডস। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স আইয়ার (১২৮) ও কে এল রাহুল (১০২)। হাফসেঞ্চুরি করেন রোহিত ও বিরাট। বিধ্বংসী ইনিংস আসে শুভমান গিলের ব্যাটে। ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১০ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও সামলে নেয় নেদারল্যান্ডস। ১২ ও ১৫ ওভারে আরও দুটি উইকেট হারায় দল। চার নম্বর উইকেট তুলে বিপক্ষকে চমকে দেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সিব্র্যান্ড ইজেলব্রেট ৪৫ রান করেন। বড় রান করেন তেজা নিদামানুরু। দুটি করে উইকেট তুলে নেন জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা। একটি উইকেট বিরাট কোহলির।
কালীপুজোর দুপুরে বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। নয়ে নয় করার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। তার একদিন আগেই ঠিক হয়ে গেল ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের লাইনআপ। আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। চার বছর আগে এই দু দেশই সেমিফাইনাল খেলেছিল। বিরাটের ভারতকে হারিয়েছিল উইলিয়ামসনের নিজজিল্যান্ড।
১৬ নভেম্বর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপের মঞ্চে তাদের গা থেকে চোকার্স তকমা কী ঝেড়ে ফেলতে পারবে প্রোটিয়ারা ? উত্তর পাওয়া যাবে কলকাতায়। আর ১৯ নভেম্বর মেগা ফাইনাল। ওইদিন আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি মুম্বই ও কলকাতার সেমিফাইনালে জয়ী দল।
বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক করল আফগানিস্তান। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল তাঁরা। প্রথমে ব্যাট করে ১৭৯ রান করে নেদারল্যান্ডস। ৩১.৩ ওভারে ৩ উইকেটেই সেই রান তুলে নেয় আফগান ব্রিগেড। এই জয়ের পর বিশ্বকাপের পঞ্চম স্থানে উঠে এল আফগানিস্তান। আর এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন মহম্মদ নবি।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাসমাতুল্লা শাহিদি ৫৬ রান করেন। রহমাত শাহ ৫২ রান করেন। আফগানিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নেন মহম্মদ নবি। আফগানিস্তান জেতায় পাকিস্তান ছয় নম্বরে নেমে গেল। আফগানিস্তানের জয়ের পর নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততেই হবে পাকিস্তানকে।
এদিন কোনও উইকেট পাননি রশিদ খান। তবে মহম্মদ নবি একই তিন উইকেট নিয়ে নেন। ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ৩১ রানে ২ উইকেট নূর আহমেদের। ১ উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমান।
কলকাতায় কমলা ঝড়। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে এসে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ডাচরা। এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপে দুটি টেস্ট খেলিয়ে দেশকে তাঁরা হারিয়ে দিলেন। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা, আর শনিবার বাংলাদেশকে হারিয়ে চমক দিল নেদারল্যান্ডস। এদিন ২৩০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪২ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। ৮৭ রানে হার শাকিবদের। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা পল ম্যাকরিন।
এবার শুরু থেকেই ডামাডোল বাংলাদেশ দলে। এরমধ্যে কলকাতা ম্যাচের আগে মামুদউল্লার অবসরের সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে চাপে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। যে চাপ তারা কলকাতায় ধরে রাখতে পারল না। ডাচদের ২২৯ রানে আটকে দিয়েও নিজেরা বিশ্বকাপে বেকায়দায় শাকিবরা। ৭০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানোর পরেই ইডেনে ম্যাচ বেরিয়ে যায় টাইগারদের হাত থেকে।
এরআগে প্রথম ব্যাট করে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডের ৬৮ রানের সৌজন্য ইডেনে ২২৯ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট পান চার বোলার। তাতেও অবশ্য শেষ রক্ষা হল না বাংলাদেশের।
নেদারল্যান্ডসকে ৯৯ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয় পেল কিউইরা। সোমবার হায়দরাবাদে নিউ জিল্যান্ডের ৩২২ রান তাড়া করতে নেমে ২২৩ রানে অলআউট ডাচরা। ৫৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট স্যাটনারের। তিনটি উইকেট পেয়েছেন ম্যাট হেনরি। ডাচদের স্কোর কার্ডে ৬৯ রান কলিন অ্যাকরম্যানের।
বিশ্বকাপের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সামনে ৩২৩ রানের টার্গেট রাখে নিউ জিল্যান্ড। সোমবার হায়দরাবাদে প্রথম ব্যাট করে ৫০ ওভারে সাত উইকেট ৩২২ রান করে কিউইরা। ৮০ বলে ৭০ রান করেন কিউই ব্যাটার ইয়ং।
হাঁটুর চোটের কারণে এই ম্যাচেও খেলতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন। তবে চোট সারিয়ে দলে ফিরেছেন লকি ফার্গুসন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঝড়ো হাফসেঞ্চুরির পর এই ম্যাচেও বড় রান করলেন রচিন রবীন্দ্র। এই ম্যাচে ৫১ রান করেন তিনি। অধিনায়ক ল্যাথমও ৫৩ রান করেন।
ডাচদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তিন বোলার। এরমধ্যে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আর্য দত্ত। ব্যাট করতে নেমে লড়ছে নেদারল্যান্ডস।
প্রথম ম্যাচে একদল জিতেছে বড় ব্যবধানে। উল্টোদিকে একদল হেরেছে বড় ব্যবধানে। সেই পরিসংখ্যান মাথায় নিয়ে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে আজ, সোমবার নিউ জিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। তবে ডাচদের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হচ্ছে না কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের।
ম্যাচের আগে কিউই কোচ গ্যারি স্টেড জানিয়েছেন, উইলিয়ামসনের ফিটনেস তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার। কেন ফিট না হওয়া পর্যন্ত কিউই দলকে নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথমই। এর আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ফিট না হওয়া পর্যন্ত মাঠে নামবেন না উইলিয়ামসন। তাও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁকে ফিট করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফিট দুই পেসার লকি ফার্গুসন এবং টিম সাউদি। এই ম্যাচে উইলিয়ামসন নেই। ফলে তাঁর জায়গায় খেলছেন রাচিন রবীন্দ্র। যিনি বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই ঝড় তুলেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বড় রানও করেছিলেন।
নিঃসন্তান দম্পতিদের জীবনে খুশি আনতে শুক্রাণু (Sperm) দান করতে এগিয়ে এসেছেন এক যুবক। এভাবেই শুক্রাণু দান করে প্রায় ৫০০-৬০০ জন শিশুর জন্মদাতা হয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ব্যক্তির উপরেই এবার আদালত (Court) নির্দেশ দিয়েছে যে, তিনি ভবিষ্যতে আর শুক্রাণু দান করতে পারবেন না। আর এই নির্দেশের অন্যথা হলেই দিতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। ঘটনাটি নেদারল্যান্ডসের (Netherlands)।
জানা গিয়েছে, এই ৪১ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম জোনাথন জেকব। ২০১৭ সালেই তাঁর শুক্রাণুর দান করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেসময় তিনি শুক্রাণু দান করে প্রায় ১০০ জন শিশুর জন্মদাতা হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি। এরপরেও বিদেশ ও অনলাইনে এই কাজ করে গিয়েছেন। এরপর সম্প্রতি এক শিশুর মা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, জোনাথন আগে কতবার শুক্রাণু দান করেছেন তা না জানিয়েই সেই মহিলার কাছে শুক্রাণু দিয়েছেন। এরপরেই আদালত জোনাথনকে শুক্রাণু দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে। আর এই নির্দেশ না মানলে জোনাথনের থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা জরিমানা নেওয়া হবে জানিয়েছে আদালত।
লুই ফন গাল (Louis van Gaal)। আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে নেদারল্যান্ডস শিবিরে রূপকথার মতো উঠে আসছে চিফ কোচের গল্প। জীবনযুদ্ধের গল্প। ৭১ বছরের ফন গাল ডাচ ফুটবলের নমস্য ব্যক্তিত্ব। কোচের কেবিনেটে অন্তত ২০টি বড় ট্রফি রয়েছে। বিশ্বকাপের (World Cup) ইতিহাসে তিনি তৃতীয় কোচ, যিনি ৭০ পেরিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, দু'বছর আগেই প্রস্টেট ক্যান্সার (Cancer) ধরা পড়ে তাঁর। কিন্তু ফুটবলাররা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। কোচ চাননি ফোকাস সরে যাক। শেষ পর্যন্ত খবরটা জানাজানি হয় গত এপ্রিলে।
ততদিনে ২৫টি রেডিয়েশন থেরাপি হয়ে গিয়েছে কোচের। ২০২১ সালে যখন ডাচেরা বিশ্বকাপের টিকিট পায়, তখন হুইল চেয়ারে বসে কোচিং কাটিয়েছেন তিনি। তাই নিয়েই হাজির থেকেছেন প্র্যাক্টিস সেশনে। ইস্পাতের মতো মানসিকতা। ১৯৯৪ সালে স্ত্রী ফেরানদাকে হারিয়েছেন। তিনিও ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন ফান গাল সবে ৩৯।
ভেঙে পড়লেও নতুনভাবে লড়াই শুরু করেন কিংবদন্তি কোচ। আর এবার তো নিজেকেও লড়তে হচ্ছে প্রতিদিন। কোচের জন্য ম্যাচ জিততে চাইছেন ফুটবলাররা। কারণ, ভিতরে ভিতরে ঝাঁঝরা হয়েও লড়ে যাচ্ছেন ফান গাল। লড়তে হবে, জিততে হবে। মাঠ আর মাঠের বাইরে কমলা বিপলবের নায়কের নাম ফান গাল।
কুড়ি কুড়ি বিশ্বকাপ (T20 World Cup)। দ্বিতীয় পর্বে প্রথম জয় তুলে নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। নেদারল্যান্ডসকে (Netherlands) ৯ রানে হারালেন তাসকিন, মোসাদ্দেকরা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ২৭ বলে ৩৮ আফিফ হোসেনের। শেষ দিকে অসাধারণ খেলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন। ডাচদের শুরুতেই ধাক্কা দেন তাসকিন। ফিরিয়ে দেন বিক্রমজিত সিং-কে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে একা লড়াই করে গেলেন কলিন একারমান। ৪৮ বলে ৬২ করলেন কলিন। ৯ রান দূরে থেমে গেল নেদারল্যান্ড। চার উইকেট নিলেন তাসকিন। ম্যাচে দুই দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলেও কোনো ওভার কাটা যায়নি।
ম্যাচ জিতে শাকিব বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নপূরণের কথা বলেন। শাকিব ইন্টারভিউতে বলেন, 'তিনি ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছেন। কিন্তু কোনওবার জিততে পারেননি। এবার আশা করছেন বিশ্বকাপ জেতার স্বপন পূরণ হবে।' নেদারল্যান্ডসকে হারানোর কৃতিত্ব অবশ্য তিনি দল বোলারদের দিলেন।
শাকিব আরও বলেছেন, ‘‘আমরা জানি অস্ট্রেলিয়ায় জোরে বোলাররা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলে কয়েক জন তরুণ জোরে বোলার রয়েছে। ওরা নজর কাড়ছে।’’ এবারে বিশ্বকাপে শাকিবের অন্যতম লক্ষ্য, ফিল্ডিং। ফিল্ডিংয়ে বিশ্বের সেরা দল হয়ে উঠতে চান তিনি। আর তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। শাকিব বলেছেন, ‘‘আমরা ফিল্ডিংয়ে বিশ্বের সেরা হতে চাই। আমাদের দলে বেশ কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। ফিল্ডিংয়ে যদি প্রতি ম্যাচে ১০ রান বাঁচাতে পারি তা হলে সেটা আমাদেরই কাজে লাগবে।’’