শুক্রবারের পর ফের রবিবার সকালে কেঁপে উঠল নেপাল (Nepal)। শুক্রবার রাতের আতঙ্কের রেশ কাটার আগেই রবিবার সকালে ফের কম্পন অনুভূত হল নেপালেও। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৬। সূত্রের খবর, কাঠমাণ্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। আবার রবিবার মধ্যরাতে কম্পন (Earthquake) অনুভূত হয়েছে অযোধ্যাতেও।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার ভোর ৪টে ৩৮ মিনিট নাগাদ ফের ভূমিকম্প হয় নেপালে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কাঠমাণ্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। যদিও এই ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি নতুন করে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
কিন্তু শুক্রবার রাতে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় নেপালে, তার জেরে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভেরি ও জাজারকোট গ্রাম। এখনও সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে। এই ভূমিকম্পের পরে সেখানে একাধিকবার আফটার শকও অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আবার নেপালে ভূমিকম্পের মাঝেই কেঁপে রবিবার মধ্যরাতে কেঁপে ওঠে অযোধ্যাও। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রাও ৩.৬ ছিল বলেই জানা গিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাত ১ টা নাগাদ উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাতে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল অযোধ্যা থেকে ২১৫ কিলোমিটার উত্তরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। সেখান থেকেও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার রাতে জোরালো কম্পনে কেঁপে ওঠে নেপাল (Nepal)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৪। রাত ১১টা ৩২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। শুধুমাত্র নেপাল নয়, এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গোটা উত্তর ভারত। দিল্লি, বিহার থেকে শুরু করে কলকাতা পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে কম্পন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, রাতের সেই ভূমিকম্পে নেপালে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সকাল হতেই এই মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২-এ। আহত বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল। কম্পনের কেন্দ্র মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার নীচে ছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের পাশেই নেপালের জাজারকোট ও ভেরী গ্রাম অবস্থিত। ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই দুটো গ্রামই। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের পরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। বহু বাড়িতে চওড়া চওড়া ফাটল ধরে। ইট-কাঠ-সিমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়ছে বহু মানুষের। ফলে ভেরী ও জাজারকোট গ্রামে চারিদিকে শুধুমাত্র ধ্বংসস্তূপ।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই খবর পেয়েই সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প নিয়ে শোক প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, "নেপালের ভূমিকম্পে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত। ভারত নেপালের নাগরিকদের পাশে রয়েছে। আমরা সবধরনের সহযোগিতা করব।"
Deeply saddened by loss of lives and damage due to the earthquake in Nepal. India stands in solidarity with the people of Nepal and is ready to extend all possible assistance. Our thoughts are with the bereaved families and we wish the injured a quick recovery. @cmprachanda
— Narendra Modi (@narendramodi) November 4, 2023
ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। সোমবারই উত্তরবঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়। আর এর পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কম্পন অনুভূত হল দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২। প্রায় ৪০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এর তীব্রতাও বেশি ছিল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লিতে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টো ২৫ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৫১ মিনিটে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.২। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস্থল নেপালের ভাতেখোলা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে, মাটির পাঁচ কিলোমিটার কিলোমিটার গভীরে।
দিল্লিবাসীর পাশাপাশি কম্পন অনুভব করেন নয়ডা, ফরিদাবাদ, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদের বাসিন্দারা। উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বহুতল থেকে মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
প্রথম ম্যাচে শুধু ব্যাট করে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট-বল দুটোই করে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত। তাতেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি নন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নেপালকে ১০ উইকেটে হারানোর পর তিনি জানিয়েছেন, এই দলের আরও উন্নতি প্রয়োজন রয়েছে। এখনও তাঁরা সেরা ফর্মে আসতে পারেননিা।
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, যে নেপাল প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়, তারা কী ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে ২৩০ রান করে ফেলল ? ক্যান্ডিতে ভারতীয় ফিল্ডিংয়ের দুর্দশার কাহিনি সোমবারই ধরা পড়েছিল। তারসঙ্গে ছিল বোলারদের প্রাথমিক ব্যর্থতা। বুমরার বদলে শামি খেললেন। কিন্তু নেপালের ওপেনারদের ফেরাতে পারলেন না।
যাই হোক সুপার ফোর থেকে অন্য ভারতকে পাওয়া যাবে। এমনটাই দাবি রোহিত শর্মার। ১০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই এশিয়া কাপের সুপার ফোর শুরু করছে ভারত। গত বছর এই পাকিস্তানের কাছে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মারা।
স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারত-নেপাল (India-Nepal) সীমান্তে (Border) গ্রেফতার (Arrest) হল এক বাংলাদেশী যুবক। অভিযোগ, বৈধ নথিপত্র ছাড়াই নেপালে প্রবেশ করছিল ওই যুবক। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ কাউছার ব্যাপারী (২৪)। বাংলাদেশের কুমিল্লার জেলার বাসিন্দা। অভিযুক্ত ওই যুবকের কাছ থেকে বাংলাদেশের পার্সপোট ও নাগরিক পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতে এনে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এসএসবি সূত্রে খবর, শনিবার বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারত থেকে নেপালে প্রবেশ করছিল ওই যুবক। সেই সময় এসএসবির জওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় বাংলাদেশী ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর এসএসবির জওয়ানদের অসঙ্গতি মনে হওয়ায় পরে আটক বাংলাদেশীকে খড়িবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার, ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এর আগে বহুবার অবৈধ অনুপ্রবেশ, গরু পাচার, মাদক এবং বেআইনি অস্ত্র চালান ইত্যাদি কর্মকান্ড নিয়ে এসএসবির জালে ধরা পড়েছে। সাধারণত খাবার জিনিস, ওষুধ এবং মাদকদ্রব্যের মতো চোরা কারবারের গোপন পথ হিসেবে সীমানাকে ব্যবহার করে থাকে।
পাকিস্তানি (Pakistan) গৃহবধূ সীমা হায়দারকে (Seema Haider) নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। তাঁকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। এবারেও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এটিএস আধিকারিকদের কাছে। জানা গিয়েছে, ভারতে প্রবেশ করার আগেই মার্চ মাসে সচিনের (Sachin Meena) সঙ্গেই নেপালের (Nepal) এক হোটেলে ছিলেন সীমা। তবে তখন তাঁর সঙ্গে তাঁর সন্তানরা ছিল না বলেই দাবি এটিএস আধিকারিকদের।
চলতি বছরের মে মাসে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেন পাকিস্তানি নাগরিক সীমা। এরপর প্রেমিক সচিনের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নয়ডায়। ভারতে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের কথা পুলিসের কাছে যেতেই সীমা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু পরে তাঁরা জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এরপর বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে এটিএস আধিকারিকদের কাছে। সীমার সঙ্গে পাক সেনা ও আইএসআই-এর যোগ রয়েছে কিনা, তা জানতে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের।
এরপরই জানা যায় যে, চলতি বছরের মার্চ মাসেই সচিন অন্য নামে পরিচয় দিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুর এক হোটেলে ছিলেন ও তাঁর সঙ্গে ছিলেন সীমাও। তাঁকে স্ত্রী বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন সচিন। কিন্তু সেসময় সীমার সন্তানরা তাঁদের সঙ্গে ছিল না। সেই হোটেলের মালিক গণেশ জানিয়েছেন যে, সীমা ও সচিন তাঁর হোটেলে আলাদা এসেছিলেন ও একই সঙ্গে রুম নম্বর ২০৪-এ প্রায় ৭ দিন ধরে ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা অন্য নামে পরিচয় দিয়ে হোটেলে ছিলেন ও প্রায় সারাক্ষণই তাঁরা ঘরের মধ্যেই থাকতেন। ফলে সীমা হায়দারের মামলায় আর কী কী তথ্য উঠে আসে, তারই তদন্তে এটিএস আধিকারিকরা।
ফের নেপালে (Nepal) ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Helicopter Crash)। এক বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর জানা গেল মঙ্গলবার। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার অন্তত ৬ জন যাত্রী নিয়ে কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশি, তাঁরা মেক্সিকান বলে জানা গিয়েছে। মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কাঠমান্ডুর একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কপ্টারটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মানাং থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কপ্টারটির সঙ্গে। জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটি সার্কে থেকে সোলুখুম্বুতে আসছিল। এরপর নেপালের সোলুখুম্বু জেলার লিখুপিকে গ্রামীণ এলাকা লামজুরায় সেটি ভেঙে পড়ে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, নেপালের এক কপ্টার মাঝ আকাশে উধাও হয়ে যায়। ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ সেটার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই কপ্টারটির সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়। বেলা গড়াতেই এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। সেই কপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ লামজুরার চিহন্ডায় পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। পাঁচ জন যাত্রী ও একজন ক্যাপ্টেন সহ ৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ও তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছে যে, পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খেয়েই কপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় ও ভেঙে নীচে পড়ে যায়। আর এতেই ৬ জনের মৃত্যু হয়।
ভারত-নেপাল (India-Nepal Border) সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে দেখা মিলল এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ (Deathbody)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পানিট্যাঙ্কি শিমূলতলা এলাকায় টুকরিয়া ফরেস্টে। ঘটনাস্থলে আসে খড়িবাড়ি থানায় পুলিস। অপরিচিত যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছ।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পানিট্যাঙ্কি শিমূলতলা এলাকায় টুকরিয়া ফরেস্টের মধ্যে একটি গাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ভিড় জমান ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় খড়িবাড়ি পুলিসকে। তড়িঘড়ি খড়িবাড়ি থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃত যুবকের আসল পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
বিয়ে (Wedding) মানেই নাচ-গান-আনন্দ আর বিভিন্ন রীতি-নিয়মে ভরা এক অনুষ্ঠান। বিশ্বের এক এক জায়গায় এক এক রকমের বিয়ের রীতি (Rituals) রয়েছে। এমন এমন অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে যা দেখে অবাক হবেন আপনিও। এমন এক ভিডিও সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, যেখানে নতুন বরকে শাস্তি দেওয়া হয় মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই শাস্তি আবার বরের বাড়ির সকলেই আনন্দের সঙ্গে মেনেও নেয়। এমন আজব নিয়ম নেপালের (Nepal) এক সম্প্রদায়ের।
নেপালের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে, কারোর মুখে পাতা দিয়ে বানানো মুখোশ, কারোর গলায় পাতা দিয়ে বানানো মালা, আবার মাথায়ও পাতার বানানো অদ্ভূত ধরনের টুপি, চোখে চশমা সেটাও পাতা দিয়ে বানানো। আর এমন বেশে দেখা গিয়েছে নতুন বর সহ তাঁর পক্ষের সবাইকেই। এটাই নাকি তাঁদের শাস্তি। বিয়ে হওয়ার পর কনেকে বরের বাড়ি চলে যেতে হয়। বর যেহেতু মেয়েকে নিয়ে চলে যায়, তাই এই শাস্তি দেওয়া হয় বরের বাড়ির সদস্যদের। তাঁদের প্রত্যেককে পাতা দিয়ে উদ্ভট ভাবে সাজানোটাই তাঁদের শাস্তি। তবে তাঁরা এই নিয়ম বেশ মজা করেই পালন করেন। ভিডিওতে পাত্রপক্ষের সবাইকে এই সাজে নাচতে, মজা করতেও দেখা গিয়েছে।
এই ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনরাও কমেন্ট করেছেন। কেউ লিখেছেন, 'এটা সত্যি একটি মজাদার নিয়ম। এখানে পণ দেওয়া হয় না। এমন মজাদার শাস্তি দেওয়া হয়।'
বুকের সংক্রমণের জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে (Air Ambulance) করে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লির এইমসে (Aiims) নিয়ে যাওয়া হল নেপালের (Nepal) প্রেসিডেন্ট (President) রামচন্দ্র পদেলকে। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের বুকের সংক্রমণ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদেলকে দু’বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বুকের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়নি। এই কারণে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনেই ‘এয়ারলিফ্ট’ করে তাঁকে তুলে আনা হল দিল্লিতে।
চলতি মাসের প্রথমদিন প্রেসিডেন্ট পদেল প্রথম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সেই কারণে তৈরি করা হয় একটি মেডিক্যাল টিম। সেই টিম খতিয়ে দেখে প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ প্রেসিডেন্টকে দেখতে আসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল, উপপ্রধানমন্ত্রী পূর্ণবাহাদুর খাদকা এবং অন্যান্যরা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও সমস্যা সমাধান হয়নি তাঁর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নেপালের টিইউ টিচিং হাসপাতালে ফের ভর্তি করা হয় প্রেসিডেন্ট পদেলকে। কিন্তু সেখানে তাঁর বুকে জটিল সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরেই আর দেরি না করে বুধবার, সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছয় নেপালের প্রেসিডেন্টের বিমান অ্যাম্বুল্যান্স। তারপর সেখান থেকে সোজা এমসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছেলে চিন্তুন এবং আরও কয়েক জন ঘনিষ্ঠ।
নাগরিকত্ব অবৈধ (Citizenship Scraps), তাই নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রীকে (Deputy PM) পদ থেকে বরখাস্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। আর নেপালের (Nepal Politics) শীর্ষ আদালতের রায় মেনে নিয়ে উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবি লামিছানে শুক্রবার তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দোহালের কাছে।
জানা গিয়েছে, দেশের সুপ্রিম কোর্টে লামিছানের নাগরিকত্ব খারিজ হওয়ায় তিনি হারাবেন সাংসদ পদও। গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের সময় শীর্ষ আদালতের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে, লামিছানের নাগরিকত্ব বৈধ নয়। বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য সাংগঠনিক বেঞ্চ তৈরি করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হরেকৃষ্ণ কারকির নেতৃত্বাধীন সেই বেঞ্চ জানায়, যেহেতু লামিছানের নাগরিকত্ব বৈধ নয়, তাই নির্বাচনে তাঁর জয়ও অবৈধ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, দল-সরকারের যাবতীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হবে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, নেপালের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মসূত্রে আমেরিকায় ছিলেন। ওই বছর তিনি নেপালে ফেরেন। ২০১৫-তে তিনি নেপালের পাসপোর্ট পান। তাঁর নাগকিরত্ব অবৈধ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, সবই বিরোধীদের অপপ্রচার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশে বেশ বিপাকে লামিছানে।
নেপালের পোখরা বিমান (Nepal Plane Crash) দুর্ঘটনায় উদ্ধার ভেঙে পড়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স। এই দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর গুরুত্বপূর্ণ এই ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার (Black Box rescue) করতে সমর্থ হয়েছে উদ্ধারকারী দল। বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানান, সোমবার সকালেই ব্ল্যাক বক্সটি পাওয়া গিয়েছে। এবার দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে উড়ে বিমানটি পোখরায় অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে আচমকাই ভেঙে পড়ে। স্থানীয় এক নদীর তীর থেকে জ্বলন্ত উদ্ধার হয় বিমানের ধ্বংসাবশেষ। এই ঘটনায় বিমানের পাইলট, কেবিন ক্রু-সহ সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল সেনা।
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে পাঁচ ভারতীয়ও রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনা। যদিও পরে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানায়, আকাশ পরিষ্কারই ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। এদিকে বিমান ভাঙার আগের মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই একদম বাঁক নিয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে। সম্ভবত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এভাবে বাঁক নিতে হয়েছিল বিমানকে। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারায় সেই বিমান। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
যদিও ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash) নেপালে (Nepal)। ৭২ আসনের বিমানটি ভেঙে পড়ল রানওয়েতে। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে Pokhara Airport) অবতরণের আগে দুর্ঘটনা ঘটে। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সূত্রের খবর, বিমানে থাকা ৭২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোট ৬৮ জন যাত্রী ছিল ওই বিমানটিতে। এছাড়া ছিলেন চার জন ক্রু সদস্য। মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে ৫ জন ভারতীয়, ৫৩ জন নেপালি এবং চার জন রুশ নাগরিক, কোরিয়ার ২ জন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডের ১ জন করে নাগরিক রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি। আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেনি। কোনওরকম যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল বিমান দুর্ঘটনায় দুপুর দেড়টায় জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দমকল ও সেনাকর্মীরা। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিমানের ভিতর থেকে যাত্রীদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে। বিমানবন্দরে আপাতত বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ বছরে নেপালে আটটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১৬৬ জন মারা গিয়েছে বিমান দুর্ঘটনায়। তবে রবিবারের দুর্ঘটনায় মোট কতজন নিহত হয়েছেন, তা এখনও সঠিক জানা যায়নি। বিমানে আগুন ধরে যাওয়ায় তাঁদের বেঁচে থাকা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কী কারণে ঘটল দুর্ঘটনা, তা এখনও অজানা। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভারত নেপাল সীমান্তে ফের গরু পাচার (Cow Smuggling)। গরু পাচার করতে গিয়ে এসএসবি জওয়ানদের (SSB Jawan) দেখেই গরু ছেড়ে পালাল পাচারকারীরা। নকশালবাড়ির (Naxalbari) ঝাপুজোতর ভারত-নেপাল সীমান্তের এই ঘটনায় শুক্রবার চাঞ্চল্য। কুয়াশার চাদর মোড়া অবস্থায় নেপাল থেকে ভারতে গরু পাচারের সময় এসএসবি-র নজরে আসতেই গরু রেখে পালায় পাচারকারীরা। পরে উদ্ধার ৫টি গরুকে নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের পাঠানো হয় খোয়ারে। ভারত-নেপাল সীমান্ত খোলা থাকায় রাতের অন্ধকার ও ভোরের কুয়াশাচ্ছন্নতা কাজে লাগিয়ে গরু পাচার করছে পাচারকারীরা।
ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সিবিআই এবং ইডি দুই সংস্থা এই পাচার-কাণ্ডের তদন্তে। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যদিও সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার-কাণ্ডে বারবার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-কে কাঠগড়ায় তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা গরু পাচার এবং কয়লা পাচার নিয়ে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও।
প্রায় দুই দশক পর নেপালের জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছে সিরিয়াল লেডি কিলার চার্লস শোভরাজ। সুদর্শন চেহারার এই ফরাসী নাগরিক এক সময় স্বল্প বসনা নারীদের কাছে দুঃস্বপ্নের কারণ ছিল। নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেল জীবনে ইতি পড়ছে চার্লস শোভরাজের। তাকে বিকিনি কিলার বলে জানে অপরাধ জগৎ।
গত শতকের সত্তর-আশি দশকের মধ্যে তাইল্যান্ড -সহ পর্যটন বান্ধব একাধিক দেশের মহিলাদের মাদকসক্ত করে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল শোভরাজের। যে মহিলারা তার শিকার হতেন,অধিকাংশের দেহে থাকতো স্বল্প বসন। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছিল, বিকিনি পরা মহিলাদের নিশানা করত শোভরাজ। এমনকি খুনের করে গা ঢাকা দেওয়ার ধরনও তাকে পুলিসের কাছে ধূর্ত করে তুলেছিল। দিল্লিতে তিন পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে তিহার জেলে বন্দি ছিল শোভরাজ। জেল ভেঙে পালাতে সফল হয়েছিল সে। তবে ফের তাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গত শতকের শেষ দিকে ভারতীয় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে ফ্রান্স হয়ে নেপাল যায়। পড়শি দেশে নামতেই পুরোনো এক খুনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারে প্রায় দু দশকের জেলের সাজা হয়েছিল শোভ রাজের। সেই সাজার মেয়াদ কাটিয়ে অবশেষে মুক্ত হতে চলেছেন বিশ্ব অপরাধ জগতের এই বর্ণময় চরিত্র।